ফটোওয়াক – ২

নতুন এক ভরং ধরছি আমি, প্রতি শুক্রবার ক্যামেরা নিয়ে হাটি। তবে একা না, সাথে আরও কয়েকজন বড় বড় ক্যামেরা সহ ভাল ভাল ফটোগ্রাফার থাকে বলে খুব একটা খারাপ লাগে না হাটতে। হিসাব করে দেখলাম, সকাল ১০টা থেকে যে হাটা শুরু হয় সেটা শেষ হয় বিকাল ৪-৫টায়, মাঝে শুধু একটা কাচ্চি বিরিয়ানী ব্রেক। O:-)

এগুলা গত ২ ডিসেম্বরের তোলা ছবি, শিডিউল সদ দেয়ার চেস্টা করি নিচে।

বিস্তারিত»

মন খারাপের মেয়ে

মন ভালো করা আর যুদ্ধ জয় করা সমান। মোটামুটি একটা যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি নিলাম। তানির মন খারাপ। শুধু খারাপ না অনেক খারাপ। কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা সহজে মন খারাপ করেনা। কিন্তু একবার মন খারাপ করলে মন সহজে ভালো করতে চায়না। তানি অনেকটা এরকম মেয়ে। চুপচাপ স্বভাবের। কখনো বলবেনা মন খারাপ। কিন্তু আমি বুঝতে পারি। ভালোবাসা নামক যে অদৃশ্য বস্তু প্রকৃতি আমাদের দান করেছে তার মাধ্যমে দুটি বিচ্ছিন্ন মনের অবিচ্ছিন্ন আবেগ খুব সহজেই আমরা বুঝতে পারি।

বিস্তারিত»

এবার আমি বদলা নেবো

এখন এবার আমার পালা,এখন আমি বদলা নেবো
সত্যি আমি ঠিক করেছি এবার আমি বদলা নেবো
:আমার সাথে সকল প্রকার প্রতারণার
সকাল দুপুর হেলায় ফেলায় দিন কাটানো অবহেলার
আমার সাথে কুষ্ঠি-পাথর,জন্মরাশি ভুল বোঝানোর
আমার সাথে সকল প্রকার মিথ্যে এবং ছল চাতুরীর বদলা নেবো

বুকে আমার বাড়ন্ত ঘাস ক্রমশ কমে শ্যাওলা হলো
তোমার সকল মলিনতর স্মৃতিময় ক্রমশ জমছে ধুলো
আমি সেসব ফেলে রাখা ফ্রেমের ছবির হিসেব নেবো
তোমার কাছে-
আমার সকল ভালো মন্দ জানা ছিলো
কোথায় আমার দিক মেলেনা,কোথায় আমি ভীষণ অন্ধ
তোমায় এবার বলতে হবে কোথায় আমার রূপোর কৌটাও
আমার দেওয়া সোনার কাঠি লুকিয়ে তুমি কাকে দিলে
আমার কাছে তোমার সকল শপথ ভাঙার হিসেব নেবো

ভাবছো তুমি কোথায় পাবো তোমায় এখন এই আঁধারে
মনে রেখো পরজন্মেও দেখা হবে বলেছিলে নদীর ধারে!

বিস্তারিত»

ক্যাঁনে ক্যাঁনে

আমাদের এক math এর স্যর ছিলেন, স্যার খালি বলতেন, “এ্যাঁ:, এঁটা করস ক্যাঁনে, ওটা করস ক্যাঁনে”

একদিন ক্লাস নাইন এ principal inspection এর আগে স্যার এসেছেন আমাদের রুমে, পাশের রুম থেকে মফিজুর এসেছিল তখন আমাদের রুমে যেন কি কারনে।

স্যার মফিজুরকে দেখেই বলে উঠলেন “মফিশ, এখানে এসেশো ক্যাঁনে, যাও নিজের রুমে যাও”।

মফিজুর চলে গেল, স্যারও চলে গেলেন।

আমাদের রুমগুলোর ছিল দুইটা দরজা,

বিস্তারিত»

রূপান্তর-৩

অন্যমনে এলিয়ে থাকার
সফলপ্রায় ভানে
পস্তে চলা দুজনার
আঙুলগুলো নিয়ে
টিমটিমে চোখের
বেবিটেক্সিটি
দুপাশের গ্রামীণ
আঁধার ঠেলে
শহরের মুখে
এসে পৌঁছুতে’

ছটফটিয়ে
মুঠোর ভেতরে মুঠো
এসে গিয়ে
নোখেদের ঠোঁটে ঠোঁটে
নিরুপায় নোখ।
বিচ্ছেদের আসন্ন
ক্ষণে
ওদের আলিঙ্গন,
না হয়
আরেকটু প্রলম্বিত হোক!

বিস্তারিত»

এই ডিসেম্বরে ছুটির ঝুলি

ত-য়ে তুষারপাত, ঘ-য়ে ঘরে বসে থাক
আমার সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে শেষমেষ বরাবরের মতো একটি হোয়াইট ক্রিসমাস হলো এবছরও। ক্রিসমাসের দিন আকাশ ভেঙ্গে সাদা পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো তুষারপাত শুরু হলো সারা নগর জুড়ে। দিনভর তুষারপাতে শহরটা চোখের সামনে নিমেষে শ্বেতশুভ্র রহস্যপুরী হয়ে গেলো। এদেশের মানুষজন ক্রিসমাসে তুষারপাতে দারুণ খুশি হয়। জানালা দিয়ে কিছুক্ষন পরপর উঁকি দিয়ে সেই তুষারপাত দেখে আমিও দারুন খুশি!

বিস্তারিত»

তোরা…

বৃহস্পতিবার রাত।

দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছে এটা “চাঁদরাত” বলে খ্যাত।আকাশে চাঁদ থাকুক আর নাই থাকুক,এটা চাঁদ রাত।সারা সপ্তাহের ক্লান্তিকর ল্যাব, ক্লাস, ক্লাসটেস্ট, অ্যাসাইনমেন্টের বোঝা থেকে দিন দুয়েকের জন্য মুক্তির সুবার্তা নিয়ে আসা মহিমান্বিত বৃহস্পতিবার রাত।ক্ষেত্রবিশেষে চাঁদরাত থেকেও আনন্দপূর্ণ।

আজ সেই বৃহস্পতিবার রাত।

রাশা আধশোয়া হয়ে আছে তার বিছানায়।অলস চোখজোড়া ল্যাপটপের স্ক্রীনের উপর বুলিয়ে যাচ্ছে।ফেসবুক ট্যাব ওপেন করা।শতশত নিউজ ফিড।তার প্রায় পাঁচশ ফেসবুক বন্ধুর কেউ না কেউ প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু করছে।জাকারবার্গের সদ্য পরিবর্তিত ফেসবুক সিস্টেম সেটা তড়িৎবেগে স্ক্রীনের ডানদিকের কোনায় দেখিয়ে দিচ্ছে।ফেসবুকপাগল রাশা অন্য যে কোন দিন হলে চরম আগ্রহভরে প্রতিটা নিউজ দেখত।কিন্তু আজ সে কোন আগ্রহ পাচ্ছে না।নিতান্ত অভ্যাসবশত চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু চোখ থেকে তথ্য নিয়ে নিউরোন সেলগুলো মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাচ্ছে না।তাই ব্রাউজার ক্লোজ করে ড্রাইভগুলোতে ঢুঁ মারতে থাকে রাশা।একটা মুভি দেখা যায়।হয়তোবা তাতে মানসিক অবস্থা একটু পরিবর্তন হবে।

বিস্তারিত»

ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-১৭, এম সি সি রিইউনিয়ন, ২০১১

 

এই সপ্তাহে হয়ে গেলো এম সি সি এর রিইউনিয়ন। পোলাপানের সাথে ঘুরে আসলাম। ভাবলাম, এসে দেখবো সিসিবি তে ফটো ব্লগের ছড়াছড়ি। কই? সব আলসে হয়ে গেছে আমার মতো। তাই আমাকেই দ্বায়িত্ব নিতে হলো।

বরাবরের মতোই অনেকদিন পর আমি হাজির আমার সেলোগ্রাফী নিয়ে।

MCC একাডেমিক ব্লক

একাডেমিক ভবন

ফজলুল হক হাউস

ফজলুল হক হাউস

Xi A ফর্ম, যেখানে আমরা ছিলাম

যে ক্লাসে আমরা ছিলাম

Artcell এর কনসার্ট

আর্টসেল ইন একশন

female singer নাম মনে নাই

নারী শিল্পী (নাম জানি না)

 

বিস্তারিত»

ধর্মানুভূতির বয়ান

সকল সমাজেই ধর্মানুভুতির সংক্রান্ত সামাজিক ট্যাবু অথবা ক্ষেত্রে বিশেষে আইনি বন্দবস্ত থাকে। প্রায়ই আমরা দেখতে পাই কোন একজন মানুষকে মুরতাদ অথবা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। কারও কারো মাথার দাম ঘোষণা করা হয়। যদিও মাথার দাম ঘোষণা করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে সেলফ হিপোক্র্যাসি মনে হয়। ধরা যাক সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে(ইরান সত্যিই সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল, আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে আয়াতুল্লাহ খোমেনী করেছিলেন।

বিস্তারিত»

তোমার মুখে থুথু

তোমার মুখে থুথু
ভীষণ কাতুকুতু

ছদ্মবেশী বর
ভাঙবে তোমার ঘর

পণ না মোটেও,চাঁদা
বাবার নীরব কাদা

তবুও তুমি চুপ
থুথুর দলা-স্তুপ

ঘর ভেঙেছে কার
রাতের অন্ধকার

আগুন করলো দিন
সস্তা কেরোসিন

ঢাললো গায়েঃ-সুখে
থুথু তোমার মুখে

থুথুর সাথে কাশি
এই মেয়েটাঃ-ফাসি

আঁচল বাধা গলায়
ঝুলছে সে গাছতলায়

দিচ্ছি থুথু তোকে
নীরব এ কৌতুকে

এই মেয়েটা বোকা
তিন বছরের খোকা

খোকার নতুন মা
অসভ্য তুই,

বিস্তারিত»

বন্দী রূপকথা

শ্বেত শুভ্র দেয়ালটার ঠিক মাঝে একটা ফটোফ্রেম

ডানদিকে কি ঝুলে গেছে কিছুটা?

মনে আছে তোমার

ফ্রেম বন্দী ছবিটার নেপথ্য?

ওই যে কত্ত ঝগড়া, কত অভিমান শেষে

এক কনে দেখা আলোয়,

হেসেছিলে ঝঙ্কার তুলে…

 

মুহূর্ত টিকে বুকে রেখে ,লেন্সের ফ্রেমে আটকেছি

শুধু দুঃখ দুঃখ হাসিটা

সব ভুলে গেছ বুঝি????

বিস্তারিত»

আমলকি

আমলকি-রাত কেটে গিয়ে
জিভের গায়ে লেপ্টে
আসছে
মিষ্টি মিষ্টি ভোর,

দোর খোলা।
মিঠে আলস্যে
শতচ্ছিন্ন কাঁথা দ্যাখে
কুয়াশায় পুরুষটির
ফিরে চলা….

এদিকে
সুধায়-জারিত মেয়েটি
নিজেকে ভোলাবে বলে
স্বপ্নের ঝোলা
আমলকিতে ভরে তোলে…

বিস্তারিত»

প্রলাপঃ৬০৯

তোল অবগুন্ঠন,কেটে দাও পলাতকা নাম
এই ভোরে আমিও জানলাম
গত পৌষের কুয়াশা ও প্রেম
বিকেল ও মফস্বল
লালন ও ইউটিউব
এবং কলম
আগুনে পুড়েছে,আগুনে পুড়ছে,আগুনে পুড়বে!

চোখে লেগে আছে তোমারই মুখ
তোমার তিল
তোমার বুক ও তাতে বরফ
তোমার যোনীচিহ্ন ও মঞ্চের কুশীলব

সেই একটা দুপুর আমাদের কাছে কেমন অন্যরকম হয়ে গে’ছিল না?

বিস্তারিত»

ছবির ফ্রেম

পুরনো ডায়রিটা খুলে হঠাত্‍ করেই তিথির মন খারাপ হয়ে গেল। ডায়রির মাঝে রুদ্রের একটা ছবি। বাতাস লেগে প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।রুদ্রের স্মৃতি বলতে তিথির কাছে এটুকুই। পনের বছর আগের ছবি।অনেক কষ্টে তিথি ডায়রিতে লুকিয়ে রেখেছে। কেউ দেখে ফেললে বিপদ। বিবাহিতা স্ত্রীর কাছে স্বামী ছাড়া অন্য যে কারো ছবি থাকাটা গুরুতর অপরাধ। তিথি জানে। তারপরেও রুদ্র বলে কথা। একটা সময় ছিল যখন তিথির প্রতিটি নিশ্বাস জুড়ে ছিল রুদ্র।

বিস্তারিত»

চলে গেলো জিসান আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে

২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ করেছিলাম । সেই সাথে ক্যাডেট পরিবার এর সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেললাম । আমি ছিলাম সিরাজী হাউস (লাল) আর জিসান ছিল ভাসানী হাউস ।প্রথম দিকে পরিচয় না হলেও আস্তে আস্তে ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ।জিসান ছিল A ফর্মে আর আমি ছিলাম B ফর্মে ।জিসান A ফর্মে থাকলেও A ফর্ম আকারে ছোট থাকার কারণে  A ফর্মের ৫ জন আমাদের B ফর্মে ছিল ।কারণ B ফর্মের রুম ছিল আকারে অনেক বড় ।সেই ৫ জন এর ভিতর জিসান ছিল ।৭এবং ৯ এ আমরা এইভাবেই ছিলাম ।

বিস্তারিত»