আসর ভাঙ্গার কলরব

(কলেজ থেকে চলে আসার কয়েকদিন আগে এই কবিতাটা লেখা। আমাদের ফেয়ারওয়েল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নামেই কবিতার নামটা দেয়া।)

উদাসী বাতাসে আসর ভাঙ্গার গুঞ্জন শুনি
আজকাল। স্মৃতির ডাকপিয়ন হঠাৎ হঠাৎ
কড়া নাড়ে। লুকোচুরি চলে তার সাথে।
গল্পচ্ছলে বলে কিনা-
আমার নাকি রাধাচূড়া-রক্তকায়ার স্তুপ মাড়িয়ে
আর কোনদিন হাঁটা হবে না-
ভোরবেলা কংক্রিটে চিৎ হয়ে শুয়ে জলরঙা সেই আকাশ,
ছুটির সন্ধ্যায় মাঝমাঠে বুক খোলা শার্ট গায়ে
তারা গোণা…………

বিস্তারিত»

পাঠ ভাবনা : বিতংস — ওয়াহিদা নূর আফজা

প্রচলিত অর্থে রিভিউ বলতে যা বুঝায় আমার এই লেখাটি ঠিক সেই কাতারে পড়বে না। আবার কেউ যদি একে বিজ্ঞাপনমূলক ফরমায়েশী লেখার দলে ফেলে দেন তা হলেও আমি আপত্তি করবো। কারো উপন্যাস নিয়ে যখন আলোচনা মূলক কিছু লিখবো তার উদ্দেশ্যে প্রচারণা থাকবে না এমন আশা করা যায় না। তবে এই লেখাটি আমার কাছে মোটেও ফরমায়েশী নয়। বরং ভালো লাগার জায়গা থেকে স্বপ্রণোদিত লেখা।এত কিছু শুরুতে বলে নেয়ার কারণ হলো এই বইটি আমি পুরোটা পড়ি নি।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো – দেশবিদেশে (পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে –২)


ঢাকা শহরে আমরা বস্তি দেখেই বড় হয়েছি। কিন্তু এবার দেশে গিয়ে প্রথম পানির ভাসমান বস্তি দেখলাম। এ শহরে এখন জমির আকাশচুম্বী মূল্য। রবীন্দ্রনাথের মতো কেউ থাকলে আজ দু বিঘের বদলে এক ইঞ্চি জমি দখলের কবিতা শুনতে পেতাম। প্রতিটি ইঞ্চি মেপে মেপে শহর দালান-কোঠার জংগলে ভরে যাচ্ছে। আর ওদিকে বস্তি উঠে গেছে পানির উপরে। এক-একেকটা বেড়ার ঘর, কোনরকমভাবে বাঁশের পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে থাকলে এসব দৃশ্য গা-সওয়া হয়ে গেলেও প্রবাসী চোখে প্রথম প্রথম এই বৈষম্যটা বড্ড বেশি চোখে ঠেকে।

বিস্তারিত»

ব্যবধান

এখন না হয় সন্ধ্যা নামুক আর কিছুক্ষন পর
সত্যি বলছি তোমায় নিয়ে বাঁধবো নতুন ঘর
থাকবে আঁধার জোনাকীরা তোমায় দেবে আলো
আমি তখন চুপটি করে বাসবো তোমায় ভালো
রাত কেটেছে অনেক আগে এখন হলো ভোর
তোমার আমার ভালোবাসার কাটলোনা যে ঘোর
সকাল বেলা ঘর বাঁধাটা একটু অসম্ভব
দুপুর আসুক ভালোবাসার হবে কলরব
দুপুর রোদে লাগবে ছায়া তোমার আঁচল তাই
আর কিছু নয় আজ এ লগন এটুকুই চাই
দুপুর গেল রোদের তাপে সন্ধ্যা গেল কবে
তোমার আমার ঘর বাঁধা কি আর কখনো হবে?

বিস্তারিত»

ঐ উড়াল বলাকায়- ((প্রভাতী পর্ব))

দুই ঘাড়ের উপর বসে মোনকার-নাকীর এমন জোরে ঝাঁকাঝাঁকি শুরু করল যে রিজভীর ঘুম ভেঙে গেল। রাত তিনটার সময় ঘুম ঘুম চোখ মেলে- মশারির ফুটো দিয়ে ঘরের অন্ধকার দেখল সে কিছুক্ষণ। বারান্দায় আলো জ্বলছিল। আর এদিকে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে বাইরের ফ্লাড-লাইটের আলোকে কিছুটা হলেও ঢেকে দিয়েছে আড়াই তলার সমান উঁচু যুবতী জামরুল গাছ।

প্রসাব করতে বাইরে যাওয়াটা কি ঠিক হবে এখন! সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগছে।

বিস্তারিত»

চারুকলার মুখ …..

মানুষের পোর্টেট আমি তুলতে পারি না, আসলে মানুষ বললে ভুল হবে, প্রান আছে এমন কোন কিছুর (মানুষ, পশু-পাখি, গাছ; মৃত গাছ হলে একটু একটু পারি) ছবি তুলতে পারি না। তাই আপাতত ভাস্কর্য দিয়ে হাত টেস্টিং।

শয়তান

সুদখোর মোড়ল

শিশু

দম্পতি

তাহারা

খেলা

হাতকাটা খাবেন?

বিস্তারিত»

ঘুম -ময়মনসিংহ পর্ব

ক্লাস নাইনে থাকতে একদিন সকাল বেলায় ঘুম থেইকা উঠার মিনিট পাঁচেকের মাঝে সেইরকম একখান থাবড়া খাইসিলাম।আমার জানের জান রুমমেট লুনা মারসিল।কারণ কিন্তু কিছুই না, তারে ঘুম থেকে উঠার জন্য অনেক্ষন ঘ্যানঘ্যান করতেসিলাম। B-)   আমার ক্লাসমেট দের একজন আবার ক্লাস সেভেন এ ৭ দিনের টার্ম এ গাইড আপা ঘুম থেকে ডাকছিল দেখে হেব্বি ঝাড়ি মেরে হাত দিয়ে ধাক্কা দিসিল,কিন্তু ব্যাড লাকের কপাল খারাপ দেখে ওই আপা ছিল অতিশয় টিংটিঙে …..ফলাফল আপা বাড়ি খাইসিল লকারের দরজায়,পরের কাহিনী আর নাটকএর পাত্র পাত্রী ……থাক,

বিস্তারিত»

দুঃখিত, আমি বাংলাদেশী না, ভারতীয় প্রদেশের নাগরিক

১৮ জানুয়ারী – মুর্শিদাবাদ বর্ডারে এক বাংলাদেশীকে ধরে অকথ্য নির্যাতনের ভিডিও টেপ প্রকাশ, ব্লগে ঝড় হলেও মিডিয়া আর সরকার এক নিউজ দিয়েই চুপ।

১৯ জানুয়ারী – ইন্ডিয়ার চোরাচালানীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হাবিলদার লুতফুর রহমানকে বিএসএফের অপহরন, পরের দিন নির্যাতনে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেরত। বিজিবি ১২ ব্যাটালিয়ানের ভাষ্যে, ‘লুৎফুর রহমানকে ভারতে নির্যাতন করা হয়েছে। তার দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি ৪

ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর প্রায়ই স্বপ্ন দেখি আবার সেই দিন গুলোতে ফিরে গেছি। অদ্ভুত সুন্দর সেই স্মৃতি গুলো মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়। ক্যাডেট কলেজ থেকে যেদিন বের হয়েছিলাম সেদিন হয়তো ভাবিনি জীবনটা এত স্মৃতিময় হয়ে উঠবে। আজ আরো কয়েকটা টুকরো স্মৃতিচারন করছি।

আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। নামায পড়াটা তখন ছিল বাধ্যতামূলক। এরমাঝে কিছু মোল্লাটাইপ ক্যাডেট ছিল যারা খুব ধার্মিক পার্ট নিত।

বিস্তারিত»

কলেজের ডিজিটাল ভার্সন পার্ট ওয়ান

ক্যাডেট কলেজের যে যুগের সাথে আমাদের অনেক সিনিয়র ভাইদের পরিচয় নেই সেই দিনগুলোর কিছু শর্ট ভিউ দিতে চাই । আমরা তখন এইচ. এস. সি ইক্সামের ঠিক আগের পুলসিরাত “টেস্ট” দিলাম । শেষ বারের মতো ইক্সামের প্রিপারেশন নিতে যখন সবাই হিমশিম খাচ্ছে তখন আমাদের কজনের মাথায় শয়তানী বীজ কিলবিলইলো । ভাই খবর দিল আইজ রাইতে হইব । এখানে একটু বলে রাখা ভালো এই “ভাই” কিন্তু সিনিয়র ভাই না আমাদের ব্যাচের “আন্ডার ওয়ার্ল্ড” (কলেজে যা বিধানভুক্ত কাজ না) ভাই ।

বিস্তারিত»

উল্টা-পাল্টা-উল্টা

অপরাধ মার্জনীয়

অনেক কথাই মনে আসছে। লিখতেও ইচ্ছা করছে অনেক বিষয়েই। কিন্তু নানান ঝামেলায় থাকার কারণে লেখা আর হচ্ছে না। কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরি। ঘটনার তো অভাব নেই।

কিছুদিন আগে কোন এক ফেসবুক গ্রুপের বা ব্লগের লেখা কোন এক (ঐ ব্লগটি চরম জামাতপন্থী ও মৌলবাদীদের) লেখা ক্যাডেটদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার করা হয়। এই মহৎ প্রচারে উদ্যোগ নেয় কতিপয় ক্যাডেট (বুঝে বা না বুঝে) ক্যাডেটদের বিভিন্ন গ্রুপ (ফেসবুক) আমার কাছে উদ্দেশ্যবিহীন,

বিস্তারিত»

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যেরা

আগের ফটোব্লগে পুরান ঢাকায় হালকার উপর চক্কর কাভার করছিলাম, আরেকটা ফটোব্লগ দেয়ার সময় হয়ে গেছে। এটার ছবিগুলা অবশ্য আরও আগে তোলা, আর পুরান ঢাকাও যাওয়া হয় নাই। ঢাকা ভার্সিটির মধ্যেই হাটাহাটি করে দিন পার আর কি।

আলাদা করে দেয়ার কারন হল ঢাকা ভার্সিটির মধ্যে মুল ৩টা ভাস্কর্যের সঠিক নাম আবার পরিচয় করে দেয়া, হয়ত অনেকেই জানে না (আসলে আমি নিজেই জানতাম না) যাই হোক,

বিস্তারিত»

ঈশ্বরের এক আজব সৃষ্টি: আমার বাবা-মা

প্রাক-কথন: নিজের কাছে দায়বদ্ধতার সূত্র থেকেই এই লেখার সূচনা। অনুভূতিগুলো একান্ত আমার, কথাগুলো নিজের, হয়তবা আরও অনেকের সাথে মিলে যেতে পারে; কিন্তু কথাগুলোর চাপ অনেকদিন জমিয়ে রেখে কেমন যেন এক দমবদ্ধ অবস্থার সম্মুখীন হই প্রতি মুহূর্তে। তাছাড়া আছে শঙ্কা, ভয়, হারিয়ে যাওয়ার ভয়। মানবের অকিঞ্চিৎকর জীবনে যদি অকস্মাৎ হারিয়ে যাই, অথবা যাদের উদ্দেশ্যে বলা তারা যদি হারিয়ে যায় তাহলে যে সারা জন্মই বৃথা। নিজেই দোষী হয়ে যাব নিজের কাছে।

বিস্তারিত»

‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক’

গোলাম আযম কারাগারে। বয়সের দোহাই দিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে চেয়েছিল। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের খুজে বের করে ৯০ বছর বয়সে জেলে নেওয়ার উদাহরণ রয়েছে। মিশরের হোসনি মোবারকের বয়স ৯০, বিচার হচ্ছে। গোলাম আযমের কিছু কুর্কীর্তির বিবরণ দিয়ে কারাগারে যাওয়াকে স্মরণীয় রাখতেই এই পোস্ট।

১.
১৯৯২ সালের গণআদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আত্মজীবনীতে তিনি সেই অভিযোগপত্রটি উল্লেখ করেছেন।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ভাইয়া……

ক্লাস সেভেন’এ প্রথম সাত দিনের মধ্যেই একটা পরীক্ষা হতো।সম্ভবত ওইটাকে সার্ভে টেস্ট বলতো।ওই পরীক্ষায় কোনমতে সব সাবজেক্টে পাস করাই ছিলো অনেক বড় ব্যপার।আমাদের সার্ভে টেস্টের পর একাডেমী ব্লকের টয়লেটে ক্লাস এইটের আরেফিন ভাই আমাকে ডেকে বলতেসে তোমার রেজাল্ট কি।আমি তো খুশিমনে বললাম ভাইয়া সব সাবজেক্টে পাস করছি 😀 ।আরেফিন ভাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকায় বললো তুমি কামরুল ভাইয়ের ভাই না? আমি বললাম জী ভাইয়া।

বিস্তারিত»