আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড-৫)

আবার কলেজের কয়েকটা ঘটনা।

১) শাফিন ভাই, রাতের বেলা। স্লিপিং স্যূট পড়ে ডাব পাড়তে গাছে উঠছে। কিছু দূর গাছে ওঠার পর নাইট ড্রেসের পাজামার ফিতা ছিড়া গেছে। ভাইয়ার দুই হাতে গাছ জড়াইয়া ধরে আছে। ফলাফল শাফিন ভাই গাছের মাথায় আর পায়জামাটা গাছের তলায়।

২) আমরা তখন ক্লাস এইটে। হঠাৎ লিডিং ব্যাচ কলেজ অথরিটির বিরুদ্ধে আন্দলোন শুরু করল। তার একটা ওয়ে হিসেবে কলেজের এরিয়ায় কয়েকটা কুকুর ধরে তাদের গলায় বিভিন্ন জনের নাম লিখে ঝুলিয়ে দেয়া হল।

বিস্তারিত»

কি আমার পরিচয়?

বর্তমান সময়ের মানদন্ডে যারা একটু বেশী ‘দেশপ্রেমিক’ তাদের হয়তো বেশী ভাল লাগবে না আমার এই লেখাটা। অনেকে হয়তো সম্মান দেখাবার কারনে এর মন্তব্যে নিজের মনের কথাটা স্পষ্ট করে লিখবে না। কিন্তু আমি চাই এ ব্যাপারে আমরা একটু খোলাখুলি ভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। এতে ক্ষতির বদলে লাভের সম্ভবনা বেশী।

৪০ বছর পার হলো বাংলাদেশের জন্মের পর, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আমরা এখনো সঠিক ভাবে বলতে পারছি না কি আমাদের পরিচয়।

বিস্তারিত»

আঙ্কেল……

২ বছর কঠিন প্রশিক্ষন শেষে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী হতে সদ্য কমিশন লাভ করেছে রিয়ান । ইউনিটে যোগদান করার পূর্বে ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছে। এ দুবছরের যত কষ্ট আছে তা দূর করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ১৫ দিন ছুটির প্রতিটা মূহুর্ত উপভোগের যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার সদ্য কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে বন্ধুদের মাঝে তার এখন আলাদা কদর। বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করে তার সময়গুলো দারুনভাবে পার হচ্ছিল। সমস্যা দেখা দিল ছুটির শেষ দিন বসুন্ধরা সিটিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে……

বিস্তারিত»

হঠাত্‍ একদিন

ঘুম থেকে উঠে দেখি বিশ মিনিট দেরী করে ফেলেছি। এখন সাড়ে আটটা বাজে। প্রতিদিন আটটায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস। কোন কোন দিন আটটা দশ বেজে যায়। কোন মতে ব্রাশ হাতে নিয়ে বেসিনে গেলাম। বিপদ যখন আসে সব দিক থেকেই আসে। পৃথীবির তিন ভাগ জলের হিসেবটা ঢাকা শহরের বাড়ীওয়ালাদের কাছে হয়তো অজানা। তা না হলে ভাড়াটিয়ারা পানির অভাবে মরবে কেন? ভাড়াটিয়া শব্দটার সাথে টিয়া পাখির অপূর্ব মিল রয়েছে।

বিস্তারিত»

কষ্ট ও নীরবতা…আমার চলা

সোডিয়াম লাইট এর মিটি মিটি আলোয়
পথ চলতে চলতে মাঝে মাঝে থেমে যাই,
চোখ ধাঁধানো কোন চলন্ত বাস কিংবা ট্রাকের
হেডলাইটের আলোয়,
মনের অজান্তে ক্ষীন সেই টিমটিমে
লন্ঠনের কাছে চলে যাই।

কেয়েকটা ঝিঁঝিঁপোকা
অথবা কয়েকটা জোঁনাকি।
আমার খড়কুটোর ঘরের
ছোট্ট জানালার ফাঁক দিয়ে
শেষ রাতের ঝুলেপড়া চাঁদটা
মাঝে মাঝে নীরবে কথা বলে,
যখন আমি আমার কাছে হেরে যাই।

বিস্তারিত»

একটা কবিতা……অতঃপর তুমি

মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমার সাদা ক্যানভাস এ
তাকিয়ে আছি , সাদা ক্যানভাস
আর কিছু নেই।

আমার কিংবা আমার আকাশ
প্রতিচ্ছবি,ব্যস্ত স্বপ্ন কিংবা
আমার শহুরে নীরব প্রাণহীন
সকাল।

জানো একটুও ছাপ
পড়েনি তোমার।
আমার ক্যানভাস রংহীন
নাহ, অবশ্যই তোমার জন্য নয়।

একবারও কেন ভাবনি ?
আমি তোমায় ভালবাসিনি
করুণা করেছিলাম, আজ
তাই তোমাকে ভাবতে ঘৃণা হয়
ভাগ্যিস ভালবাসিনি।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো – দেশবিদেশে (পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ১)


নিউ ইয়র্কে যখন সূর্যাস্ত বাংলাদেশে তখন সূর্যোদয়। তারপরও পাশ্চাত্য আর প্রাচ্য বলতে আমরা মূলত সংস্কৃতির পার্থক্য বুঝি – দ্রাঘিমার নয়। আমি পূবের মানুষ। থাকি এখন পশ্চিমে। তবে ছোট হয়ে আসা এই পৃথিবীতে প্রবাসী শব্দটার মধ্যে এখন আর কোন জৌলুস নেই। বরং প্রবাসী মানেই রেমিটেন্স নয়তো মেধা-পাচার। এই একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন এলাকা এখন বিরল যেখানে অন্তত: একজনও প্রবাসে থাকে না। তবে বাঙালিদের বিশ্ব-ভ্রমণ আজকালকার বিষয় নয়।

বিস্তারিত»

দিবা সপ্ন

দোষ  কি  যদি  হই  ক্ষুদ্র  পাখির  মতো

ঠিকানাবিহীন  আকাশজুড়ে  ভবঘুরে

ক্লান্ত  পরিস্রান্ত  ঘরে  ফিরি , কে  বা

দেবে  এমন  ঘরের  খোঁজ

নাম  না  জানা  নানা   রঙের  দুঃখ

পেয়েও  ঘুম  আসে  না  , দুঃখের  সাথে  আড়ি

আমি  সারথপর,

একলা  ঘরে  নিজের  মুখোমুখি , অবসাদে   এলিয়ে

পড়েও  সুখের  পেছন  ছুটি ,

বিস্তারিত»

ব্রুটাসের অট্টহাসি

ব্রুটাস, তুমি এইখানে, এদিকটায় এসো

বঙ্গদেশে তোমাকে অভ্যর্থনা জানাতে

হাজারে হাজার সাঁজোয়া গাড়ির প্যারেড,

অশ্বারোহী কিংবা তরবারী স্যলুট

যেটাই তুমি চাও, প্রস্তুত।

চল্লিশ বছর আগের হাড়গোড়

-বেশি নয়, হাজার বিশেক খুব জোর

নিখোঁজ কিছু নিখোঁজ সংবাদ, দুটো চারটে ধর্ষণ

সব কিছু ভুলে গেছি, কসম!

চার চার করে কত বছরের মসনদ চাই,

বিস্তারিত»

আমি চোখ বুজে যাকে খুঁজছি তার সাথী হোক প্রিয় অন্ধ

আমি চোখ বুজে যাকে খুঁজছি তার সাথী হোক প্রিয় অন্ধ
বুকে হাত রেখে যাকে চাইছি তার পায়ে হোক মৃদু নৃত্য
তার ঠোঁটে লেগে আছে কুয়াশা
আমার বুক পকেটে রক্ত
আর একবার সে নড়লেই কেপে উঠবে সারা বিশ্ব
তাই তার নাম করে বারবার
এই এলোমেলো পথে হাটছি
আর চাইছি সে বিড়বিড় করে আমার নাম ডাকুক
আজ রাত্রির শেষ স্বপ্নে চোখে লেগে থাকা দৃশ্যে
তার বুকে মুখ রাখতেই
উড়ে এলো তিন পায়রা,

বিস্তারিত»

অবশেষে বাড়ি ফেরা

কয়েকমাস ধরে আমি এমপ্লয়েড বেকার।মাঝে মাঝে অফিসের কাজের চাপে বাসায় ফিরি রাত দশটায় আর মাঝে মাঝে কাজের অভাবে অফিসে বসে বসে জেগে দিবা স্বপ্ন দেখি …সরকারি অফিস হলে নিশ্চয় মাছি মারতাম, নেহায়েত সিসিটিভি নামক আপদ টা আছে দেখে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাইতে পারিনা,বড়ই দুঃখের ব্যাপার।

যাই হোক এরকম অকামের দিনগুলাতে যে পরিমান চিন্তা আমি করি,তা যদি শুধু ভাল চিন্তা করতাম তো কবেই দার্শনিক হয়ে যেতাম ।আজ হঠাত হাবিজাবি চিন্তার মাঝে একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল।বাকি আর সবগুলা ক্যাডেটের মতই ক্যাডেট শব্দটা শুনলেই আমি আপ্লুত হয়ে যাই।আবার সব কাজ বাদ দিয়ে মনে মনে চিন্তা করি আর হা হুতাশ,ইশ আবার যদি ক্লাস সেভেন হতাম।

বিস্তারিত»

পারফ্যুম

একান্তে নিয়ে
আলতো
ইশারায়
যেই আমাকে
মুক্ত করে দিলে
হাওয়ায়,
আঃ!
মুহুর্তের জন্যে
জগৎটা জমে গেছে

নিমীলিত চোখ,
মুগ্ধ ঘ্রাণের সুযোগে
জন্মান্তরের বন্দী
বুদ্বুদগুলো
ঝাঁকে ঝাঁকে
সহস্র প্যারাসুট মেলে
তোমার সারাগায়
নেমে এলে

দ্বিধায়
শতধা হয়ে
করেছি অনুনয়
সখী,
আজ বেড়াতে
না গেলেই কি নয়!

বিস্তারিত»

জগতের সকল নারী সুখী হোক !!! এপিসোডঃ ২

আবার বসলাম লিখতে। যারা আগের লেখাটা পড়ছেন তারা নিচের প্যারাটা না পড়লেও হবে। ঠিক করছি ধারাবাহিক নাটকের শুরুর নাম দেখানোর মত এই সিরিজের প্রতি পর্বেই এটুকো দিয়ে দিব।

এটা আমার নিজের গল্প।[ অন্য কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় !!]

আমার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। বিশ্বাস করেন একটাই। আমাদের অনেক দিনের রিলেশন। প্রায় ৭বছর হল আমরা প্রতিাদিন ঝগড়া করি। প্রতিদিনই প্রায়।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস এবং প্রাসঙ্গিক কথা

ইদানিং খোমাখাতায় বিভিন্নজনের তথ্য দেখতে গেলে আমি বেশ মজা নিয়ে লক্ষ্য করি রাজনৈতিক দর্শনের জায়গাটাতে খুব গর্ব ভরে পূরণ করা আছে “আমি রাজনীতি ঘৃণা করি”।লেখাটার মধ্য দিয়ে নিজেকে ফ্রেশ প্রমাণের একটা উন্নাসিক ভাব খেয়াল করি বলেই হয়তো আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয় তা। কারণ রাজনীতি ঘৃণা করি বলে রাজনীতিকে নিজের বলয়ের বাইরে ডিফাইন করার প্রক্রিয়াটি আমি মনে করি একধরণের ভেজিটেশন প্রক্রিয়া। আর এর মাধ্যমে নোংরা রাজনীতিবিদদের নোংরামিকে প্রতিবাদ করার জায়গাটা থেকে আমরা সরে আসি।

বিস্তারিত»

ডিজিটাল ক্যামেরা: দরকারী কিছু জানা-অজানা তথ্য

• ভূমিকা
• ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে
• Compact vs SLR
• ফিচার/ফাংশন
• ক্যামেরা কেনার আগে
• ক্যামেরা কেনার পরে
• অটোমুডে ছবি
• শেষ কথা

Compact vs SLR
ডিজিটাল ক্যামেরাকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। Shoot and Point (Compact) ও SLR (Single Lens Reflex) কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় বেশিরভাগ ফাংশন অটোমেটিক যা ক্যামেরা নিজেই নিজস্ব প্রোগ্রামের আলোকে সেটিং করে।

বিস্তারিত»