গত ০৫ সেপ্টেম্বর গিয়েছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী অর্থাৎ ওয়াশিংটন ডিসিতে। কিছু দাপ্তরিক কাজে জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যেতে হয়েছিল। টিকেট কাটার আগে ভাবলাম, যাচ্ছি যখন সপ্তাহটা বন্ধু শামসুজ্জামানের ওখানে কাটিয়েই আসা যায়। দশম শ্রেণীতে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো এই বন্ধুর সাথে শেষ দেখা হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী হাউজের সামনে। এছাড়া প্রায় দুইবছর পর দেখা হতে যাচ্ছিল মিসৌরী অবস্থানরত আপন বড় ভাই সুহৃদ (মোত্তাকী, মকক ৯৪-০০) এর সাথে। জাদুঘর ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের তীর্থ হিসেবে খ্যাত ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার একটু আগেই তাই মনে করে ক্যামেরাটি নিয়ে নিয়েছিলাম। পৌঁছানোর পর প্রথম দু-দিন গিয়েছে দূতাবাসে দৌড়াদৌড়ি করে। আসার আগে এক প্রফেসরকে মজা করে ইমেইলে লিখেছিলাম, ‘Embassy of Bangladesh — one little piece of Bangladesh inside USA (literal sense in every aspect)’ আমার কথাটা প্রমাণ করার সুযোগ তাদের দেওয়া হয় নাই। যথেষ্ট তৈল মর্দন ও জ্বি হুজুর ও জরুরী ফিস্ প্রদানের মাধ্যমে দু-দিনেই কাজ করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।
ছবির কথায় আসি। ০৫ তারিখ দিনের শেষে বন্ধু শামস আমাদের নিয়ে চলল সাদাবাড়ির দিকে। কাছে যাবার চেষ্টা করতেই বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের থামিয়ে দেয়া হচ্ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থার বেশ কড়াকড়ির কারণ বুঝতে পারলাম না। এদিকে আমিও ১৮-৫৫মিমি লেন্স ছাড়া আর কিছু নিয়ে যাইনি। বাধ্য হয়ে দূর থেকেই ওবামা কাকুর বাসার নিচের এই ছবিটি তুলেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে চলে এলাম একটা মেমোরিয়ালের মত জায়গায়। যেটার নাম মনে আসছে না। তবে নিচের ছবিটিতে যেই স্তম্ভগুলো দেখতে পাচ্ছেন প্রতিটার গায়ে একটি করে রাজ্যের নাম লেখা আছে। ফোয়ারাটা বেশ ভাল লাগছিল দেখতে তাই তুলে ফেললাম ছবিটি।
আমার বড় ভাইকে যারা আগে দেখেন নাই বা অনেকদিন দেখেন নাই তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে নিচের ছবিটি দেওয়া হলো।
কংগ্রেস বরাবর প্রায় মাইল খানেক দূরে এই স্থাপনাটি আব্রাহাম লিঙ্কন বানিয়েছিলেন যেটার ধারনাটা ছিল এরকম যে তিনি সেখানে বসে কংগ্রেসের কর্মকান্ড অবলোকন করতে পারবেন। আক্ষরিক অর্থেই সেটা সম্ভব ছিল কিনা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। দুটো স্থাপনার মাঝে দূরত্বের বিচারে ব্যাপারটিকে প্রতীকি বলেই আমার মনে হয়েছে। তবে ছবিটি তুলেছি ভিন্ন একটি কারণে। শেষ বিকেলের মেঘ চিরে আলো নেমে আসার এই দৃশ্যটি স্বর্গীয় মনে হচ্ছিল। কম্পিউটারের তুলির আঁচড়ে ইচ্ছাকৃত আরো একটু অতিপ্রাকৃতিক করে তুলেছি ছবিটিকে। কেমন জানি সায়েন্স ফিকশান মনে হচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাদে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণকৃত খুব কম যুদ্ধই লেজে শেষে গিয়ে গোবরে অবস্থা ঠেকাতে পেরেছে। কোরিয়ান যুদ্ধ এরমাঝে একটি। যদিও সফলতার পেছনে জাতিসংঘের অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। যাকগে! ছবিটি কোরিয়ান যুদ্ধের সম্মানে তৈরী মেমোরিয়ালের পাশের একটি অংশের। পানিতে টলটলে প্রতিচ্ছবিটি পুরোপুরি তুলে আনতে পারিনি।
পার্কিং থেকে গাড়ি বের করে কংগ্রেস পর্যন্ত পৌঁছাতেই সন্ধ্যা হয়ে এলো। আলোক স্বল্পতাকে কাজে লাগানোর একটা ক্ষুদ্র চেষ্টা হিসেবে এই ছবিটি তুলে ফেললাম। এই স্থাপত্যকর্মটি কংগ্রেসের সামনে অবস্থিত।
মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। ট্রেনের নাম, গন্তব্যস্থলের নিকটের স্টেশানের নাম আয়ত্বে থাকলে খুবই সুবিধাজনক একটি পরিবহন ব্যবস্থা এটি। জংশনগুলোতে দিনের ব্যস্ত সময়গুলোতে ট্রেনে চড়তে গেলে কিছুটা ঢাকায় বিকালের মিরপুরগামী বাসে উঠার আমেজ পাওয়া যায়। লম্বা শাটার স্পীডে তোলা এই ছবিটি তুলেই ছবির ট্রেনটি ধরতেই দৌঁড় দিয়েছিলাম।
দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ০৬ সেপ্টেম্বর ১২টা নাগাদ কাজ কর্ম শেষ করলাম। ততক্ষণে বন্ধু শামস অফিস থেকে অর্ধ দিবস ছুটি ম্যানেজ করে আমাদের নিয়ে ছুটে চলল মাদাম তুসোর জাদুঘরে। ৪৪ ডলার প্রবেশ মূল্যের এই জাদুঘরের ৩টি কমপ্লিমেনটারী টিকেট থাকায় খাপে খাপ মিলে গেল। ওয়াশিংটন এলাকায় মাদাম তুসো মোটামুটি নতুন। জাদুঘরের শহর হিসেবে খ্যাত ওয়াশিংটন ডিসিতে আসলে আরো অনেক জনগণের জন্য উন্মুক্ত জাদুঘর রয়েছে যেগুলোতে যাবার আর চেষ্টা করিনি। এদিকে সন্ধ্যার প্লেনে ভাইয়া ফেরত যাবে। যাই হোক। মার্কিন রাজধানী বলেই হয়তো মাদাম তুসোর এই শাখাটিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের আধিক্য। অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম কিন্তু ঐতিহাসিক দিক বিবেচনায় দেয়ার মত মনে হল রুজভেল্ট ও চার্চিলের মূর্তির একই সাথে রাখা ছবিটি। এদিকে ওবামা কাকুর পারিবারিক মূর্তির সাথে ছবি তুলতে গেলে পয়সা দিতে হবে, তাই জুনিয়ার বুশ কাকুকে সালাম দিয়ে হাতুড়ি কাস্তে নিয়ে চলে এলাম ক্যাস্ত্রোর কাছে। প্রত্যেকটি পুতুল বানানোর ক্ষেত্রে অবাক করার মত নৈপুণ্যের পরিচয় দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় আসল মানুষ মনে করে ধাক্কা লাগবে বা বিরক্ত হবে ভেবে থেমে যাচ্ছিলাম। পরে দেখি এটাও মূর্তি।
জাদুঘরের শেষে ছোট একটি শয়তানি করেছে কর্তৃপক্ষ। বের হবার ঠিক আগে দরজার ডানপাশে ল্যারি কিং দাঁড়ানো এবং বামপাশে একটি মেয়ে দাঁড়ানো যে ল্যারি কিং এর মূর্তির ছবি তুলছে। ছবি তোলার সময় সামনে দিয়ে যাওয়া অভদ্রতা তাই দর্শনার্থীরা অপেক্ষা করার একপর্যায়ে খেয়াল করলাম ছবি তুলতে থাকা মেয়েটিও আরেকটি মূর্তি। চমকে দেবার এই ধারণাটি চমৎকার লেগেছে।
বিকালের দিকে শামসের সাথে গেলাম পুরোনো একটি শহরে। শহরের নাম আলেকজান্দ্রিয়া। তারা ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য পুরোনো এই শহরটিকে কোন পরিবর্তন করেনি। বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাট যেভাবে ছিল সেভাবেই রেখে পর্যটনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তা দেখে অভ্যস্ত হয়ে এই শহরে গিয়ে হাজির হলে রীতিমত চমকাতে হয়। বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম তবে এই ছবিটি আমার বিশেষ পছন্দের।
সন্ধ্যা হয়ে এলে ভাইয়াকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়ে এসে বাসায় ফেরত এলাম। রাতে শামসের পরিবারের সাথে গিয়েছিলাম এলাকার বিখ্যাত এক চায়নিজ খাবারের বাফ্যে খেতে। ভেবেছিলাম পরিবারের সাথে খেতে গিয়ে সঙ্কোচে খেতেই পারবো না। আন্টি আংকেল যখন বললেন, ‘ঠিকমত খেতে হবে কিন্তু!’ এর পরে বাকিটুকু ছিল ইতিহাস। গলা পর্যন্ত ভরে খাওয়া বলতে যেটা বোঝায় বহুদিন পর সেদিন সেভাবে খেয়েছি। তবে ছবি তোলা আর হয়নি। পরেরদিন অর্থাৎ শনিবার সকালে দ্রুত নাস্তা সেরে রওনা দিলাম ইউনাইটেড স্টেটস নেভাল একাডেমী, আনাপোলিস এর উদ্দেশ্যে। পথে তুলে নিলাম আরেক বন্ধু রাজিবুলকে। উদ্দেশ্যটা হয়তো অনেকেরই জানা। সেখানে বর্তমানে ট্রেনিংরত আছে মির্জাপুরে উজ্জ্বল নক্ষত্র (নাফিস) উজরাত। ভার্সিটির ফাঁকিবাজি আইডি কার্ড দেখিয়ে একাডেমির ভেতরে ঢুকেই পড়লাম এবং ভুল ভাঙ্গার পালা শুরু হলো। বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্পর্কে ধারণা আছে এরকম কাউকে “আমেরিকান নেভাল একাডেমী” বললে যেই দৌঁড়ঝাঁপ, গড়াগড়ি, ঝাপাঝাপি, চিৎকার চেচামেচির কথা মাথায় আসবে তার ছিটে ফোঁটাও এখানে পাওয়া গেলনা। আমেরিকার যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় ও এই একাডেমীর মাঝে মূল পার্থক্য হলো এটি নৌবাহিনীর জন্য তৈরী ও কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। নাফিসের সাথে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে কথা বলে জানতে পারলাম, নৌবাহিনীর ডিগ্রী এখানে চার বছর এবং খুবই দামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী। আমার সব কিছু শুনে মনে হলো নিয়ম প্রায় সবগুলো ঝেড়ে ফেলে দিলে ক্যাডেট কলেজের বিশ্ববিদ্যালয় সংষ্করণ। ছাত্ররা মূল প্রশিক্ষণটি পায় চাকুরীস্থলে যোগ দেয়ার পরে। একাডেমীতে মূলত পড়াশোনা ও ভিত্তি গড়ে দিতে যতটুকু প্রশিক্ষণ লাগে ঠিক ততটুকুই দেয়া হয়। সপ্তাহান্ত বলে চারিদিকে প্রচুর দর্শনার্থী ও অভিভাবক। বেঞ্চিতে বসে প্রথম বর্ষের ছেলে খুব আগ্রহ নিয়ে প্রিয় স্যান্ডউইচে কামড় বসাচ্ছে আর দুইপাশ থেকে বসে বাবা-মা দেখছে। একজনের হাতে পানির বোতল আরেকজনের হাতে আরেকটি খাবারের কৌটা। মাঝে মাঝেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম বিভিন্ন স্থানে ঘটে যেতে থাকা এই ডেজা ভ্যুর মাঝে। বিভিন্ন স্থাপনা ও একটি নৌ-জাদুঘর ঘুরে দেখে নিলাম। এরমাঝে বেশ কয়েকটি ছবিও তুলেছিলাম তবে দেয়ার মত আপাতত দুটি। প্রথমটি একাডেমীর পাশের ছোট নোঙরে রাখা নৌকাগুলো এবং পরেরটি তারকা উজরাত তার মির্জাপুরের বড়ভাইদের সাথে। একটা বিষয় মাত্র খেয়াল করলাম। পূণর্মিলনীটি পুরো মির্জাপুরের এবং তিন হাউজের প্রতিনিধিত্ব (আমি সবুজ, শামস লাল, রাজিবুল নীল) ছিল।
শেষের ছবিটি দেয়ার আগে বড় একটি কাহিনী ছোট করে বলতে চাই। যদিও বন্ধু শামসুজ্জামান বলেছিল কোথাও না বলতে। কিন্তু গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছিনা। কাহিনী বললেই বুঝতে পারবেন মানা করার কারণ কি। গাড়ি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে অবস্থিত সি,আই,এ সদরদপ্তর দূর থেকে দেখতে পারা যাবে এই আত্মবিশ্বাসে একটি রাস্তায় ঢুকে পড়েছিলাম। সেখানে রাস্তার ধারের “সংরক্ষিত এলাকা – প্রবেশ নিষেধ” সাইনটি চোখে পড়েনি। ফল সরূপ মার্কিনিদের হাইভোল্টেজ স্থাপনাগুলোর একটিতে ট্রেসপাসের অভিযোগে গাড়ি আটক, প্রত্যেকের আইডি কার্ড নিয়ে ভেরিফিকেশানের জন্য নিয়ে আটকে থাকা প্রায় আধা ঘন্টা। পুরো সময়টিতে দুটো ঘটনা উল্লেখযোগ্য। প্রথমটি শুরুর দিকে। দুইজন পুলিশ পুরো সময়ের জন্য আমাদের গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আমাদের কিছু হবেনা ও দুঃশ্চিন্তা করতে মানা করে ওরা আমাদের সাথে আড্ডা জমিয়ে ফেলল। একপর্যায়ে ড্রাইভিং সীটে শামসের পাশে দাঁড়ানো পুলিশের রেডিওতে যা বেজে উঠলো তার বাংলা করলে দাঁড়ায় কিছুটা এরকম, “৩৫ (কল কোড), তুমি তিন কদম বামে চাপ, স্নাইপার টার্গেট দেখতে পাচ্ছে না।” কিছুক্ষণের জন্য শিরদাঁড়ায় শীতল এক অনুভূতি খেলে গেল। আশেপাশে আঁড়চোখে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম শালারা কোথায় লুকানো। পরে ভাবলাম এরা তো স্নাইপার। এটাই তো এদের কাজ। দ্বিতীয় ঘটনা অপেক্ষার প্রায় শেষের দিকে। একজন পুলিশ জিজ্ঞাসা করলেন, “Are you guys married?” চারজন বিমর্ষ চিত্তে মাথা নাড়লাম। উনি বললেন, “Don’t get married. That will be the second mistake in your life after this!” সবাই হেসে উঠলাম উনার কথায়। যাই হোক, কিছুক্ষণ পরেই সবাইকে তাদের আইডি কার্ড ফেরত দিয়ে, আবারো আশ্বস্ত করে তবে দ্বিতীয়বার এই ভুল না করার অনুরোধ করে ছেড়ে দেয়া হলো। সেখান থেকে সোজা চলে এলাম ভার্জিনিয়ার বিখ্যাত গ্রেট ফলস পার্কে। জলপ্রপাতের খুব নিকটে যাওয়া যায় কিন্তু স্বল্পসময়ে সেটা খুঁজে বের করতে পারলাম না। অগত্যা উপর থেকেই ছবি তুলে সেদিনের মত তথা গোটা ভ্রমনের শেষ ছবি তুলে নিলাম।
পরথম নাকি???
অতিপ্রাকৃতিক আলো আঁধারির খেলাটা ভাল লাগলো।
ভাই, উজরাত পাঙ্গা খাচ্ছে কি রকম?? 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
অবশ্যই প্রথম।
উজরাত কোন পাঙা খাচ্ছে না। এটাই ওর একাডেমীর মজা! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আপনার ছবি ব্লগগুলো ভালো পাই, ছবির সাথে অনেক তথ্য থাকে। আম্রিকা না থাকলেও জানতে তো পারি, তাও বা কম কিসে।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
পড়ে জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমার এটাই লক্ষ্য থাকে। ছবি পোস্ট করা তো কোন ব্যাপার না কিন্তু এর সাথে যদি একটু কাহিনী, একটু ছবিটি নিয়ে বর্ণনা না থাকে তাহলে তো জমলো না। 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বড় সুন্দর করে লিখলা !
আমি চোখ মেললুম আকাশে
জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে
ধন্যবাদ আপা! 🙂 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কি সব কন এগুলা ? নক্ষত্র, তারকা 🙁 কিঞ্চিত বিব্রত বোধ করিতেছি ! 😛
যাই হোক, হাইলাইট অফ দা ডে ওয়াজ খানাপিনা আর সিআইএ এর স্নাইপার এর টার্গেট হওয়া ! 🙂
খানাপিনার ছবি তোলা উচিৎ ছিল তাহলে এখানে দিতে পারতাম। 🙁 ভুল করে ফেললাম! রাতে গিয়া যেই কোপ দিসিলাম! :duel: :duel:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এক শব্দে ফ্যান্টাসটিক।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
ধন্যবাদ ভাই! 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
তোর সাথে আমাদেরও ঘোরাঘুরি হচ্ছে...চলুক :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
পুরা হিস্টরী চ্যানেল খুলে বসছি ভাই!!! 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আম্রিকা যাপো
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
৩ নম্বর বাসে করে এয়ারপোর্ট! বাকিটা ইতিহাস! 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
স্নাইপারগুলা খোঁজার চেষ্টা করার সময় মনে হয় নাই এখন যদি গুলি করে...?
সুন্দর লিখছেন :clap: :clap:
• জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •
ভয়ে হিসু করে দেই নাই এইটাই বেশী! :(( :(( ঘাড় না বাঁকা করে যতটুকু দেখা যায় দেখসি। পরে বের হয়ে যাওয়ার সময় ভালমত দেখসি। চারিদিকে গাছ। তবে নড়াচড়া বেশী সন্দেহজনক না হলে গুলি করতো না!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাই হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো... যাক, এখন গর্ব করে বলতে পারবেন 'সি আই এ'র স্নাইপারের মুখেও পড়েছিলাম'। অনেক টা বাঘ শিকার করার কাহিনীর মত করে বলতে পারবেন... 😛
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ছেড়ে দেয়ার আগে দুই অফিসার আরো একটা কথা বলেছিলো, "guys, now you have a story to tell." 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
লেখা দেখি দিন দিন আরো ভাল হচ্ছে!
ধন্যবাদ ভাই! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\