জীবনে অনেক মানুষের সাথেই মিশেছি হয়েছে বন্ধুত্ব। তবে এই স্বল্প পরিসরে কিছু মানুষ পেয়েছি যারা আসলেই অভাগা। মানে তারা যাই করতে যায় না কেন সব সময় বিপরীতটাই ঘটে থাকে। তবে এই কথাটি সব সময় আবার প্রযোজ্য নয়। আর আমার এই লেখাটিকে আশা করবো সবাই Fun হিসাবেই নিবে, এটা কাউকে ছোট করার জন্য যেমন নয় তেমনি কাউকে অপমান করার জন্য নয়ই। শুধুই মজা করার জন্য।
এই পর্যন্ত যতগুলো বন্ধু পেয়েছি তার মাঝে সব চেয়ে অভাগা আমার মনে হয়েছে অয়নকে। বেচারা আমার রুমমেট, হাউসমেট, ফর্মমেট, এলাকামেট, এক কথায় বলতে গেলে মাশরুরের পর ঐ সবচেয়ে কমন পরে সব ব্যাপারে। তো বেচারা নিজেই নিজেকে কুফা বলে দাবি করে, তার অন্যতম কারণ সে যেই দলই সাপোর্ট করুক না কেন? হার তাদের অবধারিত। তো এই ঘটনার প্রমাণ সে মাঝে মাঝেই আমদের দেখানোর চেষ্টাও করেছে। তার জীবনের প্রথম প্রেম যেই তালগাছটি ছিল কোন এক অজানা কারণে সে আর তার দেখা পাইনি ( যেটা ওর লেখা গল্প প্রথমা তে আছে) , আর দ্বিতীয় কেশবতী, তাকেও তার কিছুই বলা হয়নি। আসলে সে তাও যে চেষ্টা করেছিলো তাতে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের ব্যাপক প্রয়োগের ফলেই হয়তো তার কিস্তি মহাঅর্ণব আর পার হতে পারেনি। সরি দোস্ত। এসবই ছিল বাচ্চাকালের বাচ্চামি। তবে সত্যিকার অর্থেই যখন সে একজনের প্রেমে পড়লো তখন অনেক সময় নিলো, তাকে বোঝার সময় দিতে চাইলো আর ব্যস তাতেই হয়ে গেলো মহাভুল। 🙁 সারাবেলা প্রেম করবো না করবো না বলেও শেষবেলায় ঠিকই পাখি উড়াল দিলো নীল আকাশের বাঁধভাঙ্গা সীমানায়, আর আমার বন্ধুটি ? আজ শুধুই কবিতা পড়ে- “যাওয়া বলে কিছুই নেই সবই ঘুরে ফিরে আসা।/ শুধু নারীরা একবার গেলে আর ফিরে আসেনা।” যাই হোক এই গল্পগুলো সে নিজেই সবার কাছে লিখবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর তার প্রথমা পড়ে যতটা আনন্দ এবং কষ্টের মিশ্র অনুভূতি তৈরি হয়েছে পরবর্তী দ্বিতীয়া ও তৃতীয়াও একি অনুভূতিরই সৃষ্টি করবে বলে আমরা আশা রাখি, দোস্ত তাড়াতাড়ি পোস্ট কর আর দেরী সহ্য হচ্ছেনা, তোর awesome লেখাগুলোর অপেক্ষায় আছি। আর সে এই অভাগা দলের একা না আমি নিজেও একজন বড় রকমের সদস্য, আমাদের পছন্দের তালিকায় এক কলকাতা ছাড়া আর কিছুই পড়েনা, তবুও যেদিন দুজনে একসাথে কলকাতার খেলা দেখেছি, সেদিন যেন জেতা ম্যাচটাও ইচ্ছে করে হেরে যেত যাতে প্রমাণিত হয় আমরা দুইটা সবচেয়ে অভাগা। তবে ওর জন্য খুশির খবর এইবার রিয়াল লা লিগা জিতেছে আর এটাতে এতোটা খুশি হইছিল যে সেটা বুঝানো যাবেনা। প্রথম বারের মতো কুফার বৃত্ত ভেঙ্গেছে। আশা করি তোর এই কুফা চক্র ভেঙ্গে গেছে আর তুইও এখন থেকে সব জায়গায় সফলতাই পাবি দোস্ত।
এরপর বলতে গেলে বলতে হয় আমার হার্টথ্রুব সহপাঠী মুকরামিনের কথা। তবে ওর জীবনে এই অভাগা শব্দটা দুটি ব্যাপারে আসবে। একটি আমি এখানে উল্লেখ করবোনা। এখানে যেটা লিখবো তা শুধুই প্রেম সম্পর্কিত। বেচারা এই জীবনে যতবারই সিরিয়াসলি কাউকে ভালবাসতে চেয়েছে বা বেসেছে সেখানে থেকেই কেন জানিনা ছ্যাঁকটা ফ্রিতে পেয়েছে। আর যারা তোরা ওকে সামনাসামনি দেখেছিস তারা অন্তত বুঝবি বেচারা বেশী ভালো হওয়াতেই এই দশা। ব্যাপার না দোস্ত, জীবনের আসল সময়ে তুই অনেক সুন্দরী এবং গুণবতী একজন সাথী পাবি এই দোয়া আজ থেকে আমরা সবাই তোর জন্য করবো।
তারপর সিরিয়ালে আসে আমাদের কলেজের সবচেয়ে সেরা ছাত্র মোহাইমিন। এর ব্যাপারটাও ঐ একি প্রেমঘটিত। বেচারা ক্লাস ফাইভে থাকতে কারো উপর crush খাইছিলো কিন্তু তার দেখা এখনো পেলো না। তারপর আরো একজনকে তার ভালো লাগছিলো কিন্তু পরে জানা গেলো সে অমুসলিম। এই হল আরেক অভাগা।
এরপর আছে আমাদের বিতার্কিক মুজাহিদ। ওর ঘটনাটাকে আমি কি নাম দিব খুঁজে পাচ্ছিনা। কিন্তু ফলাফলটা যে তাকে অভাগাদের দলেই ফেলেছে তা আর বলে দিতে হয়না। লাইব্রেরীতে বই কিনতে গিয়ে একজনকে দেখা। মিনিট দশেক চোখাচোখি তারপর সাহস করে এগিয়ে যাওয়া, কথা বলা। মোটামুটি সব ঠিক খালি ফোন নাম্বারটা নিলেই কাজ, কিন্তু তখনি মেয়ের মায়ের আগমন আর সাথে সাথেই হৃদয়ে বেদনার সুর বাজা। আসলে মায়ের উপস্থিতিটা আসল কারণ ছিলোনা। আসল সমস্যা ছিলো মেয়ের মায়ের মাথার সিঁদুর আর হাতে থাকা শাঁখের চুড়ি। সিঁদুরে আগুন মনে জ্বলে উঠলো আর শাঁখের চুড়ির মতোই ভেঙ্গে খান খান হল তার হৃদয়। কি আর করা দোস্ত হয়তো এই লেখা তুই পড়বি না, তবুও তোর জন্য রইলো সীমাহীন দোয়া। যেন এরপরের দশ মিনিটের খেলায় আর কোন মা এলেও যেন তোর মনটা ভেঙ্গে না যায়।
টুকটাক সবার লাইফেই এমন ঘটনা ঘটে। তবে এই লিস্টে আর একজন আছে সে হলো আমাদের শাহনেওয়াজ। ২০১১ এর ICCতে একদিনের জন্য এক্সকারসনে গিয়ে কেনা বার্মিজ লুঙ্গিটা পরলো আর ঐদিনই অ্যাডজুটেন্ট হাউসে রাউন্ডে দিতে এসে দেখে ফেললো। কি আর করা ব্যাপার না। সবই কপালের লিখন।
তবে সবচেয়ে অভাগা বলা ঠিক হবেনা। হয়তো নিয়তি ওর সাথে পরিহাসই করে বলতে হয়, সে হল আনোয়ার। এপর্যন্ত সে কলেজে যতগুলো কাজে জড়িত ছিলো তার অর্ধেকটাতেই ধরা খেয়েছে। জানিনা এটা নিয়তির অলিখিত নিয়ম কিনা যে আনোয়ার যাই করুক না কেন ধরা must. তবে সবচেয়ে সৌভাগ্যটাও ওরই বলা চলে, সবচেয়ে ভাগ্যবান ৫টা বণ্ড সাইনের পরও ছেলে কলেজে আছে, আর তারপর তার গার্লফ্রেণ্ড, এতো ভালো মেয়ে খুব কমই দেখেছি। আমি নিজে যদি ওর মতো হতাম তাহলে হয়তো আমার আজ বাড়িই থাকা হতোনা, সেখানে সে দিব্যি তার পরিবার আর প্রেমিকা নিয়ে আছে। তাকে সৌভাগ্যবান বলবনা তো আর কি বলব? ডোস্ত এই ভাগ্যটা যেন আজীবন তোমার সাথে থাকে সেই ডোয়াই থাকলো।
এরকম আরো অনেকেই আছে, যেমন আমাদের এহসান মামা। সারাজীবন সবচেয়ে বেশী পড়ালেখা করেও প্রথম হইতে না পারার মতো দুর্ভাগ্য তার, আতিক এতো চেষ্টা করেও মনের মানুষটাকে কিছুই বুঝাতে না পারার মতো অভাগা। আশিক যার কাছে আজীবন লাইফটা বোরিঙই রয়ে গেলো। সুবর্ণ যাই করুক না কেন পচানিটা হজম তাকেই করতে হবে এমন অভাগা। তাকি জীবনে কিছুই পাইলো না, একটা ব্যান্ড টিম করার ইচ্ছে প্রচুর কিন্তু জীবন তাকে সেই সামর্থ্য দিলেও পরিপূরক যে অর্থনৈতিক সামর্থ্য দরকার তা দেয়নি।
অভিজিৎ যেকিনা এখনো তুলির আঁচড়ে খাতার পাতাতেই ছবি একে গেলো আর মিশেলকে নিয়ে বিরক্ত হতে হল, সত্যিকার অর্থে কোন তুলি বা কোন মিশেলেই তার জীবনে আসলো না। মাহমুদ, যে কিনা বলি বলি করেও ঐশীকে তার মনের কথা বলতে পারলোনা, শুধুমাত্র এই ভয়ে, যে অ্যাথলেট ১২ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ায়, সে পারবে কি তার সাথে জীবনের দৌড়ে? কিন্তু দোস্ত তুই নিজেও তো সেরা ডিফেন্ডার আর লং রানার, দি স্ট্যামিনা ম্যান, তাহলে আর সমস্যা কি?
যাই হোক প্রান্তকেও এই দলে রাখা যেত কিন্তু এই ছুটিতে আসার পর ওর কপালটা খুলে গেছে, তাই আর এই দলে রাখলাম না। এখন আর ডাইনিংয়ে আগের মতো খিচুড়ি খেতে পারেনা ব্লুজদের কাণ্ডারি রাশিক, তাই ওকেই বা এই দল থেকে বাদ দেই কি করে। এতো পড়াশুনা করেও প্রথম ৩ জনের মাঝে আসতে না পারার মতো অভাগা আমাদের মাশরুর, এখনো একটা প্রেম করতে পারলো না, এই আক্ষেপটা কতবার শুনেছি। রবিউল, এম হাসান, তোফায়েল, ইউসুফ, আলি, ওস্তাদ রাব্বী, শাহেদ, সিফাত, অতনু, রাইসুল, আর সাক্কাফ এই কয়েকটাকে এই দলে রাখা যায় না। কারণ যত ঝামেলাই আসুক কি করে যেন সব হেসে খেলে উড়িয়ে দিয়ে জীবনটাকে ইনজয় করাই যেন এদের by born quality.
আর গুরু মোস্তাকের কথা নাই বলি, বেচারা কমেন্ট্রি বক্সে বসে এতো সুন্দর কমেন্ট্রি করার পরও জুবায়ের স্যারের কাছে ঝাড়ি খাওয়ার মতো অভাগা। পরে অবশ্য স্যার তাকে ছোটখাট একটা সান্ত্বনা পুরষ্কারে মন ভরানোর চেষ্টা করেছিলেন যদিও বুঝিনি কতটুকু তার মন ভরেছিল। আর ফর্মে তার জোকসের পর খাওয়া পচানির জন্য তাকেও প্রথম কাতারেই রাখা যায় নির্দ্বিধায়। আর আমাদের অভাগা দলের আরেক সদস্য হাসান। ক্লাস নাইন থেকে পুশ আপ দিয়ে আসছে একটা আশায় হয়তো একদিন জন সিনার মতো ওর বাহুটাও ফুলেফেপে উঠবে, কিন্তু এখনো হয়ে উঠলো না। দোস্ত ব্যাপার না চালায় যা একদিন না একদিন ঠিকই হয়ে যাবে।
আর আমাদের মুন্না ভাইয়ের কথা কিছু লেখা উচিত তার Dj তাকে ফেলে আরেক জনের Vj হয়ে গেলেও সে কিছুই করতে পারেনি, আর আদৌ পেরেছে কিনা আমাদের জানা নেই। আমাদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান সাকিবের জীবনে দুর্ভাগ্যটা বোধ করি ওর এতো সাধে অর্জন করা জ্ঞানের বদৌলতেই এসেছে। আসলে বাঙালি তো ভালো কথার ধার ধারেনা, কি আর করা? ব্যাপার না দোস্ত একদিন দেখিস এই জ্ঞানই তোকে সবার থেকে আলাদা সীমায় এক অজানা উচ্চতায় নিয়ে যাবে যা আমাদের কারোরই জানা নেই। বিশ্ব প্রেমিক সাকিব আর এফএম মাস্টার তমালের জীবনে দুর্ভাগ্যের ফাড়া অনেক আগেই কেটে গেছে এখন তারা পড়া শুনায় ব্যস্ত তাই ওদের আর নোটিফিকেশন পাঠিয়ে বিরক্ত করবোনা। আর আকিব, এম ইসলাম আর মোতাহারের কথা তো ফুটবল মাঠেই ঘুরপাক খায়। বেচারা মোতাহারের জন্য গোল করতে না পারাটাই যেন সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়। আর সবচেয়ে লম্বা মানব ফারুকের জন্য হয়তো ওর এই উচ্চতাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের কারণ। কেননা ওর সাথে খাপ খায় এমন মেয়েই যে আজ পর্যন্ত খুঁজে পেলো না।
তবে গোটা ত্রিশ তম ব্যাচে সবচেয়ে দুর্ভাগা বোধ হয় আমাদের মনির। খালি মনির নিজেই না আমরা সবাই, কেননা লক মাস্টার থাকলে তো আজ আর কলেজে এতো কষ্ট করে টিভি রুমের তালা খুলতে হতো না। চোখের পলকেই কাজটা করে দিত মনির। আর ওর কপাল মন্দ কারণটা প্রিন্সিপাল বজলুর রশিদ, যার কথা মনে পড়লে মুখ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে মন চায়। আর কারণ? কারণটা মনির। তার জন্যই মনিরকে কলেজ থেকে চলে যেতে হয় নবম শ্রেণীর শুরুতে। যাই হোক এখানে হতভাগাদের কথাই লিখছি। রাগ করে কি হবে, যে গেছে সে ফিরে তো আর আসবেনা। সর্বযুগের মুভি আর গল্পের বই স্পেশালিষ্ট পরাণ আর নির্ভেজাল ভালো ছেলে জাহিদকেও এই চক্র ছেড়ে কথা বলেনি, তবে ঐ বিষয়েও আমি কিছু লিখবনা। কেননা লেখার মতো যোগ্যতা আমার নেই।
শাহনুর আর রিফাতকে এখনো ধরেছে কিনা টের পাইনি। তবে রিফাত যে খেলার মাঠে অনেককে অভাগা বানিয়ে ছেড়েছে সে ব্যাপারে হয়তো কারো কোন সন্দেহ থাকার কথা না। ওর লৌহসম হাড্ডিতে যে ফুটবল খেলতে গিয়ে একটু টোকাও খেয়েছে সে জানে আসলে মন্দ কপাল কাকে বলে। গায়ক নাসরুলের হতভাগ্য মিলনের বেটী আজ তাকে ঘুরিয়েই মারলো, ধরা দিলো না। আর আমাদের গিটারিস্ট তানভীর ওর দুঃখটা একটু ভিন্ন, বেচারা বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় সারাদিন মায়ের চোখের ডগায় থাকতে হয়। নিজের খুশিমতো চলতে না পারার দুঃখটাই ওর কাছে সবচেয়ে বেশী লাগে। আর আমাদের সায়েন্টিস্ট ইয়াসিরের দুঃখ সে নাসাতে কাজ করতে চায় কিন্তু নিয়তির গ্যাঁড়াকলে পরে তার বাবা মা তাকে ডাক্তার বানানোর অপচেষ্টায় নেমেছে। এরপর আমাদের এবারের ICC এর দুই নায়ক, যাদের সারাজীবনের আক্ষেপ যাই ছিল এই ICC তা ভুলিয়ে দিয়েছে, উজিরের সারাজীবনের কষ্ট করে পড়া GK ওকে মেডেল আনিয়ে দিয়েছে, দিয়েছে তার যোগ্যতার প্রমাণ।
আর তামহিদ? তার কথা লিখতে গেলে তো খবরই আছে তবুও ছোট্ট এক বাক্যে লিখবো সব পেয়েছে, মেডেল থেকে শুরু করে সেটেল পর্যন্ত হয়ে গেছে। সব শেষে বাকী আছে আমাদের লাভার বয় ফিরোজ আর সাদাত। ওদের জীবনে হয়তো এসেছে অনেকবারই কিন্তু এখানে লেখার মতো কিছুই তেমন একটা মনে পড়ছে না। তো এইসব অভাগাদের নিয়েই আমার ও আমাদের জীবন। ত্রিশতম ব্যাচের সব অভাগারা,
জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলি কাটীয়ে এসেছি। জানিনা আগামীর বাকি দিনগুলিতে আর কি কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। জানিনা আরও একবার কাঁদতে হবে কিনা, ৫০ জনকে একসাথে। তবে ঝড় বাদলা যাই আসুক এই ৫০ অভাগা যদি একজায়গায় দাড়ায় তো যেকোন দরিয়াও শুকিয়ে যাবে। তবে সত্যিকারে অভাগা হবো ঐদিনে যেদিনে এইসব অভাগারা আলাদা হয়ে যাবে, হয়ে যাবে আপণসত্ত্বায় অভাগা,। এক অভাগার কষ্ট বোঝার জন্য আরেক অভাগা থাকবেনা। এই পৃথিবীর নিষ্ঠুর পাথুরে পথে হাটতে গিয়ে বারবার উস্টে গিয়ে পড়বো মাটিতে আর মনে পড়বে তোদের কথা, মনে হবে ইশ ! আজ যদি কোন এক অভাগা থাকতো তাহলে হয়তো হাত ধরে উঠিয়ে নিত। জানি যদিও তোরা সেদিনও থাকবি যেমন আজ আছিস, ছুটে আসবি। তবুও নিঃশ্বাসে আর কেউ টের পাবেনা মনটা খারাপ, ঐদিন সত্যিই বড় অভাগা হয়ে যাবোরে। সত্যি সেদিন সবচেয়ে দুঃখী হয়ে থাকবো, ভালো থাকিস তোরা সব অভাগার দল।
আগে চর দখল এরপর ক্রয় দলিল মুসাবিদা! 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😛 :))
বারে বারে অবাক হই, আর দেখি ফিরে ফিরে
কতটা বদলে গেছি এই আমি প্রতিটি পদে পদে.....................
বিভিন্ন সময়ে লেখার মিশেল মনে হল (কিছু গত বছরের, কিছু কলেজের শেষ দিকের, কিছু কলেজ থেকে বের হবার পর...)। ঠিক বললাম, নাকি ভুল??
লেখার ভেতরে উল্লেখিত 'মোহাইমিন' এর ডাক নাম কি মীম?
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
পুরো ক্যাডেট লাইফটাই মিশে আছে ভাইয়া। আর ডাকনাম মীম না। ওর ডাকনাম শিহাব। আর একজন মোহাইমিন আছে কিন্তু তার কলেজ নাম ছিলো এম.ইসলাম। আর আময়ার ডাকতাম ইসলাম বলে। তার ডাকনাম মীম। বাসা গাইবান্ধা।
বারে বারে অবাক হই, আর দেখি ফিরে ফিরে
কতটা বদলে গেছি এই আমি প্রতিটি পদে পদে.....................