প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করছেন এবং সাথে সাথে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনী আইনে এটা আচরন বিধি ভঙ্গ হয়না ঠিকই কিন্তু সরকারী কাজে যেয়ে সরকারী সুযোগ সুবিধা,নিরাপত্তা গ্রহন করে ভোটের ক্যাম্পেইন করা কতটা নৈতিক? যেখানে জাতীয় নির্বাচন অতি নিকটে।
গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে নৌকায় ভোট দিতে বললেন। ভাষণের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হেফাজতের এক হুজুর তেঁতুল তত্ত্ব দিলেন, মেয়েরা কাজ করতে পারবে না, মেয়েরা পড়তে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না। ঘরে থাকতে হবে।’ তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘ওনার তেঁতুলতত্ত্বের তেঁতুল বিরোধী দলের নেত্রী কি না, আমি জানি না। তিনি তো সাজগোজ করে থাকেন। দেখলে এমনি লোভ লাগতে পারে।
ছি: ছি: ছি: একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে বলতে পারেন? তিনি আবার ভোট চেয়েছেন জনগনের কাছে!!!!!!! আমার সন্তান কি শিখবে এরকম নীচু মন মানষিকতার রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে।এ লজ্জা রাখি কোথায়। কি উত্তর দিব আমি আমার সন্তান কে যদি সে এর মানে জানতে চায়? তাহলে ওনার সাথে খালেদা জিয়ার পার্থক্য থাকলো কোথায়? এটা কেমন রাজনৈতিক পরিপক্কতা? একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরো দ্বায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করেছিলাম। যিনি এরকম অশালীন ভাষা ব্যবহার করে বিশাল জন সমাবেশে ভোট প্রার্থনা করেন,তাকে কি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ ভোট দিবে?
আজও ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজও ভোট চেয়েছেন রাজশাহীর বাগমারায় যেয়ে। আজ তিনি দলের মার্কা নৌকায় ভোট চান। এর আগেও কক্সবাজারের উখিয়ায়, রাজধানীর সাভারের আশুলিয়ায় এক জনসভায় নৌকায় মার্কায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চান। তিনি বলেন, ‘আর একবার ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন।’ বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি উপস্থিত জনতাকে বলেন, ‘হাত তুলে ওয়াদা করেন, নৌকায় ভোট দেবেন কি না, বলেন।’ উপস্থিত জনতা হাত তুলে ‘হ্যাঁ’ বলে প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেওয়ার কথা দেন।:সূত্র প্রথম আলো।
এটা ভোট চাওয়ার কি রকম স্টাইল? মানুষকে তিনি অনুরোধ করতে পারেন ভোটের জন্য কিন্তু উপস্থিত জনতার কাছ থেকে ভোট দেয়ার ওয়াদা আদায় করে নেয়াটা কতটা নৈতিক? তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই এভাবে ওয়াদা করিয়ে নিচ্ছেন। এটা কি এক ধরনের চাপ দিয়ে ভোট চাওয়া নয়?
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
ভাই, এতো কেবল শুরু, আরও কত স্টাইল দেখবেন তার ঠিক আছে??
এখন তো ওয়াদা, এরপর দেখবেন অনুরোধ, উপরোধ
আর শেষে হুমকি......
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ওনার ভাষা দেখছো?দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা হয়েও কিভাবে অন্য মহিলাকে অশ্লীল ভাষায় ব্যঙ্গ করেছেন।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
কিছু বলার নাই ভাই। এখন রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রথম শর্তই হল বিরোধীদের আচ্ছা মত গালাগালি করতে পারা। এই একটা যোগ্যতা এনাদের সবারই পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
খালেদা জিয়া যেমন বেশরমের মতন ১৫ই আগষ্ট কেক কেটে জন্মদিন পালন করে,তাহলে ওনার সাথে খালেদা জিয়ার পার্থক্য থাকলো কোথায়?
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি উন্নয়নের কাজ করলে তাতো সরকারীই হবে।
না বেসরকারী???
আমি ৯৬-০১ এর কোন এক সময় ঝিনাইদহ গেছিলাম বেড়াতে।
বদরুদ্দোজা তখন বিরোধী দলের উপনেতা। তিনি দলীয় কাজে ঝিনাইদহ গেলেন।
বন্ধু ও পরিচিতেরা বিএন্পির রাজনীতি করতো। তাদের সাথে গেলাম। বদরুদ্দোজাকে পুলিশ গার্ড অফ অনার দিলো। ইত্যাদি।
তো প্রধানমন্ত্রী সেখানে কি বেসরকারী ভাবে যাবেন???
হাসিনা ভোট চাইছেন।
হা ইলেকশন অনেক দূরে না হলেও দরজায় কড়া নাড়তেছে। ভোট তো সে চাবেই।
ভোট দিবো কি দিবো না এইটা আমরা জনগণের ব্যাপার।
এর মধ্যে নির্বাচন কমিশঅন টমিশন কোন ব্যাপার না।
ক্যান খালেদা কি সভা কইরা বলে না তারে ভোট দিতে?
তাইলে প্রবলেম কোথায়?
জ্নগণরে তো হাত তুইলা ওয়াদা নিবেই। খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার।
যদি জনগণের হাতে কোরান, বাইবেল, গীতা দিয়া ওয়াদা করাইতো তাইলে না হয় কথা আছিলো।
ঐ একৈ পাবলিক খালেদার সভায় গিয়া হাত তুইলা ওয়াদা করবে যে তারা খালেদারে ভোট দিবে।
সো সিরিয়াসলি নেবার কিছু নাই।
আমাদের বাসায় ভোট চাইতে আসলে তো সবাইরেই বলতাম যে ভোট দিবো।
তেতুল থিউরি তো বেশ মজার।
তবে হাসিনার জনসভাটা শুনি নাই সো বলতে পারতেছি না খালেদারে নিয়া খারাপ কি বলছেন।
তবে হেফাযতের সাথে তো বিএনপির যোগাযোগ রয়েছেই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার উত্তর গুলো আমার লেখাতেই আছে। একজন প্রধানমন্ত্রী যখন সরকারী উন্নয়ন কাজে যান তখন তিনি দলীয় কেউ নন। তিনি তখন সবার প্রধানমন্ত্রী। সরকারি টাকা কিন্ত দলীয় টাকা নয়। তাই সরকারি টাকায় উন্নয়ন করা এবং জনগণ কে লোভ দেখিয়ে ভোট চাওয়াটা নৈতিকতার প্রশ্ন। উনি যদি সাংগঠনিক সফরে কোথাও যেয়ে জনসভা করে ভোট চান তাহলে ঠিক আছে। দুটো কিন্তু ভিন্ন বিষয়।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
তা কেনো হবে?
কখনো কি তা হয় নাকি???
ধরা যাক এরশাদের সময় কোন ভালো খাজ হইছিলো তা সেটার ফিরিস্তি কি জাতীয় পার্টি দেয় না!
আর উন্নয়ন তো দেশের টাকাতেই হবে। কাজটা হয় মূলত সরকারি দলের হাত ধরে।
কিন্তু তার মানে তো এই না যে সরকারী দল কোন কৃতিত্ব পাবে না!
কারণ ঐ কাজটা করা বা না করার দায় কিন্তু সরকারী দলের।
একৈ ভাবে কোন কাজে দুই নম্বরি করলে তার দায় ও সরকারী দলের।
যদি ধরে নেই হাসিনা আওয়ামীলীগের নয় বরং শুধুমাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রী
তাইলে তো বলতে হয় খালেদা বিএনপির নয় বরং দেশের বিরোধী দলের নেতা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সরকার এক জিনিস আর বিরোধী দলীয় নেত্রী আরেক জিনিস।আর এজন্যেই কিন্তু অনেক দেশেই দলীয় প্রধান এবং সরকার প্রধান এক ব্যক্তি হয় না।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
আর এজন্যেই কিন্তু ভোটের সময় আচরন বিধি বলে একটা নিয়ম আছে যেটা খুব ভালভাবে মানার চেষ্টা করে নির্বাচন কমিশন। এখন যে ইলেকশন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে এমন কি বর্তমান সংবিধান মেনেও যদি ইলেকশন হয় তাহলেও একটা সমস্যা হবে সেটা হল সংসদ ভেঙে দেয়া হবেনা। তার মানে সংসদ সদস্য,মন্ত্রী,প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ পদে থেকে নির্বাচন করবেন তাতে তারা সরকারী সুবিধা ভোগ করবেন যা নির্বাচন কমিশনের করা গনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সাথে সাংঘর্ষিক।
এখন ইলেকশন ঘোষনা করা হয়নি ঠিকই কিন্তু ইলেকশন খুব কাছে তাই সরকারি সফরে উন্নয়ন করে আবার সেখানে ভোট চাওয়াটা নৈতিকতার প্রশ্ন।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
এরকম কথা শোনা যেতো দেবী দূর্গা নৌকায় করে আসেন বলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নৌকায় ভোট দেয়।
আবার প্রচুর লোক আছে ভাত যেহেতু অন্ন তাই ধানের শীষে ভোট দেয়।
আবার অনেকে চেহারা যার সুন্দর তাকে ভোট দেয়।
সো হিসাবের শ্যাষ নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কে কাকে ভোট দিবে বা কি কারণে দিবে সেটা ভোটারের বিষয়। তার সাথে আমার এই লেখার সম্পর্ক নাই। আমার কথা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকতে হবে।
আরো সহজ একটা উদাহরণ দেই। খুব সম্ভবত বরগুনার এক এমপি মারা যাওয়া তার শুন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান এমপি ইলেকশন করবেন কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাকে পদত্যাগ করে ইলেকশন করতে হবে। ভাল কথা,সে পদত্যাগ করেছে কিন্তু সে তার প্রাপ্ত সরকারী গাড়ি করে নমিনেশন জমা দিতে গেছে কিন্তু তখন কিন্তু সে সেই গাড়ী ব্যবহার করতে পারেন না কারণ তিনি তখন আর উপজেলা চেয়ারম্যান নন। তার প্রতিদন্দীরা মটর সাইকেলে নমিনেশন জমা দিতে গেছে। এখানেই হচ্ছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি