গত ২৮শে আগস্ট প্রথম আলোর একটি অনুসন্ধানি রিপোর্ট থেকে এই ভয়ঙ্কর তথ্য বের হয়ে এসেছে।২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া ২৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের কম পেয়েছিলেন। দেশের ৫৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ১৬টির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ পেয়েও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার নজির পাওয়া গেছে। অথচ এমনও একজন কে পাওয়া গেছে যে ১০০তে ৫৪ নম্বর পেয়েও ভর্তি হতে পারেনি কারন তার কাছে অনেক বেশি টাকা চাওয়া হয়েছিল।
অনুসন্ধান করা ১৬টি কলেজের মধ্যে আটটি পরিচালনা পর্ষদের কোটায় ৩০ জনকে ভর্তি করেছে। এঁদের মধ্যে ১৯ জন ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বরও পাননি।
সরকার বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর অনুমতি দিয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থী না পেলে ওই আসনগুলো দেশি শিক্ষার্থী দিয়ে পূরণের বিধান আছে। আলোচিত ১৬টির মধ্যে চারটি কলেজ বিদেশি কোটায় ৭৮ জন দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। এঁদের মধ্যে ৩০-এর কম নম্বর পেয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন (৪৪ শতাংশ)।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এসব সম্ভব হয়েছে শুধু টাকার জোরে। আর এই সুযোগ তৈরি হয়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির কোনো ন্যূনতম নীতিমালা না মানায়। কিন্তু সব ছাড়িয়ে এখন যে প্রশ্নটি মনে এলে বুক দুরু দুরু করছে বলে খোদ একাধিক চিকিৎসক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা হলো—এই মানের শিক্ষার্থীরা কীভাবে চিকিৎসাশাস্ত্র আয়ত্ত করবেন? এঁরা চিকিৎসক হয়ে কীভাবে মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবেন?
আমার তো এখনি ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে কারন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া স্টুডেন্টরা সংখ্যায় বেশি। ৬বছর পর যখন এরা বের হয়ে আসবে তখন কি হবে। হয়তো এদের অনেকেই ভাল পড়ালেখা করে ভাল ডাক্তার হয়ে বের হয়ে আসবে কিন্তু অধিকাংশরা কি করবে? তাদের কাছে আমি কি চিকিৎসা নেবো? এরাইতো দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল,ক্লিনিকে চিকিৎসা দিবে। এমনিতেই প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে রোগী ভর্তি হয় কম তাই তারা ক্লিনিকাল শিক্ষা কম পায়। তার উপর যদি মিনিমাম বেসিক মেধাটুকুরও ঘাটতি থাকে তাহলে আমরা রোগিরা কার কাছে যাব? কোথায় যেয়ে সঠিক চিকিৎসা পাব?
চিকিৎসা অনেক সেনসিটিভ ব্যাপার। ভুল চিকিৎসার কারনে হাজারো পার্শ প্রতিক্রিয়া, হীতে বিপরীত কত কি হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ডাক্তারী পড়া, পাশ করা এবং প্রাকটিস করা অনেক অনেক কঠিন। তারা সচেতন, তারা বোঝে জীবনের মুল্য আগে। আমি অনেক বাংলাদেশী এক্সপার্ট ডাক্তারের কথা জানি যারা ওসব দেশে সহজে লাইসেন্স ই পায়নি।
তবে এটাও আমি বিশ্বাস করি ভাল রেজাল্ট মানেই ভাল ডাক্তার নয়।ভাল ডাক্তার হওয়া মানে ভাল প্রাকটিস,হাতে কলমে প্রফেশনাল হওয়া। প্রচুর পরিমানে ক্লিনিকাল শিক্ষা। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মানেই যে খারাপ হবে তাও না। কারন দেশের সবচেয়ে ভাল ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে কিন্তু একই প্রশ্নপত্রে যখন বেসরকারি মেডিকেলের ছাত্র পাশ করে যায় আর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ফেল করে তখন বলার কিছু থাকেনা। কারন এমবিবিএসের পরীক্ষাগুলো একই প্রশ্নপত্রে একই সাথে হয়। সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এক্সটারনাল আসে এবং খাতাও দেখেন অন্য কলেজের শিক্ষকরা। ঠিক বোর্ডের পরীক্ষাগুলো যেমন হয়।কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় মিনিমান কোয়ালিটি মেইনটেইন করা উচিৎ।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কাহিনী আর সরকারীগুলাতে প্রশ্ন ফাঁস-এই দেশে ডাক্তার দেখানো দুস্কর হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে 🙁
দুঃখের কথা যখন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ছিলনা তখনো কিন্ত বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ভাল ছিলনা। এখন আরো হ-জ-ব-র-ল হয়ে যাবে।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
নিঃসন্দেহে ভয়ংকর।
কিন্তু এইটাও খারাপ ব্যাবস্থা না যে যার বাপের টাকা আছে সে পড়বে।
কুল সিস্টেম।
আর এট দ্যা এন্ড যার হাতে রোগী বেশি মারা যাবে তার কাছে রোগী যাবে না।
একটা কথা সিসির মেডিকেল অফিসাররা খুব কামেল ডাক্তার ছিলেন বইলা মনে হয় না। কাজ কিন্তু চইলা যাইতো।
সো ডোন্ট ওরি, বি হ্যাপী।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই,দেশে তো নাই বুঝবেন কি। দেশের একজন বড় নামকরা ডাক্তারের কাছে নিয়া গেছিলাম বাপ কে। সে দেইখা কয় একটা অপারেশন করতে হবে তাহলেই সুস্থ। নিয়া গেলাম ইন্ডিয়াতে। ওখানে বল্লো একদম উল্টা অসুখ। ৩টা অপারেশন করতে হল এবং সেটা ছিল রেয়ার অসুখ,বাংলাদেশে এর কোন ট্রিটমেন্ট ছিলনা। এর ট্রিটমেন্ট ইন্ডিয়াতে আর সিংগাপুরে হয়। ইন্ডিয়ার ডাক্তার বল্লো,আর কয়েকদিন পর আসলে বাচানো যেতনা।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
দেশে নাই বইলা কি বুঝবো না!
তোর ঐ বড় ডাক্তার কি প্রাইভেট পাশ দেয়া???
কথাতো ঐখানেই প্রফেসনের প্রতি ১০০ ভাগ ডেডিকেটেড না হইলে ঐ ফেল করা প্রাইভেট আর সরকারি মেডিকেলে পড়া জিনিয়াসরা একৈ নিদান দিবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করা।
প্রফেসনের প্রতি ১০০ ভাগ ডেডিকেটেড না হইলে ঐ ফেল করা প্রাইভেট আর সরকারি মেডিকেলে পড়া জিনিয়াসরা একৈ নিদান দিবে। -----------একদম ঠিক।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
রাজিব ভাইয়ের কথার শেষ লাইনটা দিয়ে বাংলাদেশে যেকোন সেবা মূলক (সার্ভিস ওরিয়েন্টেড) পেশার মূল সমস্যা ব্যাখ্যা করা যায়। কর্মস্পৃহা ও যা পড়ছি তার প্রতি ভালোবাসা না জন্মালে সেই মানুষের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা উচিৎ নয়। তার উপর পারিপার্শ্বকতা, আর্থিক স্বচ্ছলতার অনেক কিছুই এসে যায়। ছেলে ডাক্তার হবে, মেয়ে আর্কিটেক্ট হবে এই পারিবারিক একনায়কতন্ত্র যতদিন বন্ধ না হচ্ছে এই সমস্যা থেকেই যাবে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নিজের কাজের প্রতি ভালবাসা নাই আমাদের। রেসপনসিবিলিটিও নাই। জবাবদিহিতা তো অনেক পরের ব্যাপার ।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
প্রথম দুইটা নিজের মাঝে না অনুভূত হয়ে শেষেরটা আসার প্রশ্নই আসে না!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এইটা ঠিক বলছো।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
টাকা দিয়ে বেসরকারী মেডিকেলে ভর্তি একটা পুরোনো এবং ভয়াবহ রোগ। ভর্তি পরীক্ষা একসাথে করে দেয়ায় কিছুটা হয়তো কমেছে কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে এসব ফেল করে চান্স পাওয়াদের বিরুদ্ধে একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স করে প্রফেশনাল পরীক্ষাগুলো যেখানে আমি নিজে বেশ কয়েকজনকে আলটিমেটলি ঝরে যেতে দেখেছি। ভর্তি পরীক্ষা থেকেও প্রফেশনাল পরীক্ষাগুলোর মান বজায় রাখা একটু বেশি জরুরী, এতে করে এভাবে টাকা দিয়ে বা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে চান্স পাওয়া ছাত্র ছাত্রীরা যদি শেষ পর্যন্ত পাশ করে বেরিয়েও আসতে পারে তাহলেও তাদের কাছ হেকে একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড আমরা আশা করতে পারবো।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সহমত।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি