আমরাই পারি বনাম আমরা পারিও

১। কলেজে ফল বলতে ম্যাক্সিমাম সময়-ই দিতো কলা। কালে-ভদ্রে অন্য ফল দিত। সেই রকম এক কালে-ভদ্রে লাঞ্চে ‘আম’ দিয়েছে। ডিউটি মাস্টার সেইদিন কেমিষ্ট্রির ম’আলি। তিনি আবার খুবই পরিপক্ক প্রোনান্সিয়েশানের সহিত ইংলিশে টক করতেন। ডাইনিং-এ ঢুকে তিনি বীকট শব্দে ঘন্টা বাজায়ে ঘোষনা দিলেন ‘জেন্টেলমেন, ম্যাংগো হ্যাজ বিন গিভেন। পার ম্যাংগো, ওয়ান ম্যান’।

২। ভূগোল ক্লাসে ফয়জুল হাসান স্যার কে ধরে রাখা যেত না। শুরু ভূগোলে হলেও তিনি কোথায় যে শেষ করতেন। তার নিজের সব হিরোইক বর্ণনা। অতি দ্রুত টপিক পরিবর্তন করতেন। আমরা পিছনে বসে আম্পায়ারিং করতাম, কোনোটাকে চারের মার আর কো্নোটাকে বল মাঠের বাইরে, ছয় দিয়ে। স্যারের ছেলে আমাদেরই ক্লাসমেট ছিল, সামিউল। সামিউল-ও যোগ দিত আমাদের সাথে। আমাদের গ্রুপ মেইল-এ হঠাৎ সাল্লু একটা মেইল করলো ফয়জুল হাসান স্যার আর নেই। সাথে সাথে সবাই কন্ডোলেন্স আর প্রার্থনা সহ নানা দুখী দুখী কথায়ে শোক নিবেদন করে মেইল করা শুরু … এর মাঝে একজন ডাউট দিল, অন্য কোন এক কলেজের ফয়জুল আহসান নামে একজন শিক্ষক’ও নাকি মারা গেছেন, আমরা আবার গুলিয়ে ফেলছি নাতো। সন্দেহ দূর করতে এগিয়ে এলো সামিউল নিজে। স্যারের মোবাইল নম্বর দিলো, আমরা সবাই কথা বললাম, স্যার বেচে আছেন। ব্যাস … শুরু হয়ে গেল ক্যাডেট-এর আসল কথোপকথোন। ‘ব্যাটসম্যান ইজ নট আউট, সাল্লু’র ভুয়া আপিলে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি তিনি এখনও অপরাজিত’। আমরা পারিও, কত দ্রুত সব ভুলে, আবার ……

২,০০৩ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “আমরাই পারি বনাম আমরা পারিও”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    আমরা পারিও, কত দ্রুত সব ভুলে, আবার ……

    হ দোস্ত। আমরা আসলেই পারি।
    লেখাটা মজা লাগতেছিলো। কিন্তু শেষ লাইনটা একেবারে জায়গামত লাগলোরে ।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
    • তাইফুর (৯২-৯৮)

      দোস্তো, কিছুই না দিয়া বহুৎ কিছু পাইলাম যাইষ্ট ক্যাডেট হওয়ার বদৌলতে ...
      নতুন যোগ হইল এই ব্লগ। এ্যাক্করে ম্যাগডোনাল্ডস্ 'আই এ্যাম লভিং ইট'


      পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
      মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।