বোডেন্সে হ্রদটা জার্মানি, সুইজারল্যান্ড আর অস্ট্রিয়া, এই তিন দেশেরই কিছু জায়গা নিয়ে নিয়েছে। ইংরেজিতে এটাকে “লেক কনস্টান্স” ডাকা হয়। বিশাল এই হ্রদের একটা দ্বীপই আমার এ লেখার বিষয়বস্তু। কথাটা পুরো ঠিক হল না! আসলে আমি শুধু লিন্ডাউ দ্বীপের একটা উৎসব নিয়ে লিখবো, বিজ্ঞান উৎসব। উৎসবের নাম “লিন্ডাউ নোবেল সম্মেলন”। এই বিষয় বেছে নেয়ারও কারণ আছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে তিনজন এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন যাদের মধ্যে একজন হলেন আমাদের “ওমর ভাই” (১৮৩৫)। পুরো নাম ওমর হাবিব রহমান, ডাক নাম সম্পদ। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র। আমরা উনাদেরকে ৪ বছর পেয়েছিলাম।
আসল কথায় আসার আগে একটু ভূমিকা দেব। আসল কথার চেয়ে অবশ্য ভূমিকাটাই বড় হয়ে যেতে পারে। কারণ, ভূমিকার কথা বলে আপনাদেরকে কিছু নিরস তথ্য জানিয়ে দেয়ার ফন্দি এটেছি।
আমার ভূমিকার প্রথম কথা লিন্ডাউ দ্বীপের সৌন্দর্য্য নিয়ে। অদূরে বিশাল বিশাল সব পাহাড়, পাহাড়ের উপর মেঘ, হ্রদের পানিতে ভাসমান মেঘের চলমান ছায়া, অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, এক প্রান্তে জ্যামিতিক আকারের এক দ্বীপ, দ্বীপের সাথে মূল ভূমির দুটো সংযোগ; সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। নোবেল বিজয়ীদের একত্রিকরণের এমন একটা শহর বেছে নেয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রথমেই ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি।
আসলে এখানে নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে উৎসব করার পরিকল্পনা এই শহরের অধিবাসীরাই করেছিলেন। লিন্ডাউয়ের দু’জন পদার্থবিজ্ঞানীই এমন আয়োজনের প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরা হলেন ডঃ ফ্রান্ৎস কার্ল হাইন ও কউন্ট লেনার্ট বের্নাডোটে। বের্নাডোটে আবার সুয়েডীয় রাজ পরিবারের সদস্য ছিলেন। তিনি এই সম্মেলনকে বলেছিলেন “বিশ্বের জানালা“। জানালা দিয়েই জ্ঞানের আদান-প্রদান চলে। লিন্ডাউয়ের বিশ্বজানালাও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে এক প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মাঝে বিলিয়ে দেন। বুঝতেই পারছেন, লিন্ডাউয়ে নোবেল বিজয়ীদের তুলনায় তরুণ শিক্ষার্থী ও গবেষকই বেশী থাকে। প্রতি বছর আয়োজিত এই উৎসবে ২৫-৩০ জন নোবেল বিজয়ী একত্রিত হন, আর বিশ্বের ৬০ টিরও বেশী দেশ থাকে প্রায় শ’পাচেক তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থী যান। এই দুই দলের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান চলে, বিনোদনের মাধ্যমে।
গত বছর থেকে বাংলাদেশও এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে। ২০০৭ সালে ৬ জন বাংলাদেশী লিন্ডাউ ঘুরে এসেছেন। সেবারের উৎসবে ৬ জন তরুণ বাংলাদেশী গবেষকের সঙ্গে মুহম্মদ জাফর ইকবালও গিয়েছিলেন। পত্রিকায় জাফর ইকবালের লেখা পড়েই প্রথম লিন্ডাউ সম্পর্কে জেনেছিলাম। এই প্রসঙ্গে জাফর ইকবালের সেই কলাম থেকে কিছু অংশ তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না:
জার্মানির এক প্রান্তে একেবারে ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট একটা দ্বীপ আছে; নাম লিন্ডাউ। এই দ্বীপটাতে প্রায় ৫০ বছর ধরে একটা জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎসব হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে সেমিনার, কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ হতে পারে, কিন্তু উৎসব হয় কেমন করে? উৎসব হয়, কারণ সেখানে পৃথিবীর সব নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী এসে হাজির হন ছাত্রছাত্রী আর কম বয়সী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সময় কাটাতে। সেখানে তাঁরা ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেন না, তাদের সঙ্গে গল্পগুজব করেন, হাসি-তামাশা করেন, তাদের সঙ্গে আড্ডা মারেন! সারা পৃথিবীর অর্ধশতাধিক দেশ থেকে ছাত্রছাত্রী আর তরুণ বিজ্ঞানীরা সেখানে যায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কেউ যায়নি। তাদের যে আমন্ত্রণ জানানো হয় না তা নয়। প্রতিবছরই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, কিন্তু আমাদের বড় বড় আমলারা সেই আমন্ত্রণের চিঠি পড়ে যখন দেখেন তাঁরা কেউ যেতে পারবেন না, সেখানে যাবে তরুণ-তরুণীরা, তখন তাঁরা নাক কুঁচকে বলেন, ‘যত্তোসব যন্ত্রণা!’ তারপর সেই আমন্ত্রণের চিঠিটা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেন।
আমাদের দেশের আমলা ও রাজনীতিবিদরা এতোটাই গোড়া ও সংকীর্ণমনা যে তাদের সহযোগিতা পাওয়া তো দূরের কথা, তাদের সহযোগিতা চাইতেও লজ্জা লাগে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ তাই নিজ উদ্যোগে সব করেছে। এদেশের শিক্ষার্থীরা উন্নত দেশের মত ধনী না, জার্মানী যাওয়ার মত অর্থও তারা জোগাড় করতে পারেনি। তাদের সব ব্যয়ভার এই বিজ্ঞানী সমাজই বহন করেছে। বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস আর প্রবাসী বেশ ক’জন গবেষকের অর্থেই তারা লিন্ডাউ যেতে পেরেছে।
ভিয়েনা প্রবাসী বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ডঃ এ ফাত্তাহই বিষয়টা প্রথম জাফর ইকবালের নজরে এনেছিলেন। তাদের প্রচেষ্টায়ই লিন্ডাউ-বাংলাদেশ গঠিত হয়। শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া। ইন্টারনেটে আবেদন সংগ্রহের পর চলে নিরীক্ষণের কাজ। গবেষণার ধরণ ও গবেষণাপত্রের সংখ্যা হিসেব করে ১০ জনের নাম পাঠানো হয় লিন্ডাউয়ে। লিন্ডাউ কর্তৃপক্ষ সমগ্র বিশ্ব থেকে যে ৫০০ জনকে নির্বাচিত করে তার মধ্যে বাংলাদেশের ৬ জন ছিল। অর্থাৎ এই ১০ জনের মধ্যে ৬ জন লিন্ডাউয়ে যাবার দুর্লভ সুযোগ লাভ করে।
বাংলাদেশীদের প্রথম লিন্ডাউ সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে পত্রিকা ও ব্লগে অনেক লেখালেখি হয়েছে। লিন্ডাউয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য “Lindau Bangladesh: Participants BlogSite” নামে একটা আলাদা ব্লগই আছে। কিন্তু ২০০৮ সালের লিন্ডাউ অভিজ্ঞতা নিয়ে সে তুলনায় লেখা অনেক কম। এর একটা কারণ, বুয়েটের আসিফ ছাড়া আর কেউ সক্রিয়ভাবে লেখালেখি করেননি। ২০০৭ সালে লিন্ডাউয়ে গিয়েছিলেন: ঢাকা মেডিকেল কলেজের “আয়েশা সানিয়া”, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “খাদেমুল ইসলাম”, বুয়েটের “সুতপা বড়ুয়া”, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “তৌহিদুল ইসলাম”, “জাকিয়া আমিন” ও “মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ”। এর মধ্যে মিনহাজ উদ্দিন সবচেয়ে বেশী লিখেছেন। অন্যরাও কমবেশী লিখেছেন।
এবারের লিন্ডাউ সম্মেলনে গেলেন: বুয়েটের লেকচারার “আসিফ ইসলাম খান”, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের “ওমর হাবিব সম্পদ” আর ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের “মাইনুল হোসেন”। একমাত্র আসিফ ছাড়া আর কারও লেখা আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। একটা কারণ হতে পারে পরীক্ষা। মাইনুল আর ওমর ভাই দুজনই অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার মাঝে লিন্ডাউ গিয়েছেন। লিন্ডাউ থাকার দিনগুলোতে কোন পরীক্ষা ছিল না। এখন তো পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। আশাকরি তারা লিখবেন। আমি ভাবছি ওমর ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিন্ডাউ অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েকটা লেখা নিয়ে আসার। দেখি হয় কি-না।
আমার ভূমিকা কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। ভূমিকার দ্বিতীয় অধ্যায়ে এলাম কেবল। দ্বিতীয় অধ্যায়টা ২০০৮ তথা এ বছরের লিন্ডাউ সম্মেলন নিয়ে। আসিফের লেখা থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি তার আলোকেই লিখছি।
এবারও যথারীতি অর্থের যোগান দেন দেশীয় বিজ্ঞানমোদীরা। “North American Bangladeshi Islamic Council” (NABIC) এর অধ্যাপক এ করিম দু’জনের স্পন্সর করেছেন, আর বাকি একজনের স্পন্সর করেছে বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস। ২৯শে জুন থেকে ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত উৎসবে চলেছে। আসিফ, মাইনুল এবং ওমর ভাই ২৭শে জুলাই লিন্ডাউয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এবার তাদের সাথে কে গিয়েছিলেন তা জানতে পারিনি। গত বছর জাফর ইকবাল লিখেছিলেন, এবারের সম্মেলনে নাকি ডঃ মুহম্মদ ইউনুসকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এবারের উৎসব ছিল পদার্থবিজ্ঞান আর অর্থনীতির উপর। শান্তিতে নোবেল পেলেও অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্যই ইউনুসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডঃ ইউনুস গিয়েছেন কি-না সেটাও এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। আমি অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে, ৩রা জুলাইয়ের পর লিন্ডাউ-বাংলাদেশ ব্লগে নতুন কোন লেখাও আসেনি।
যাহোক, ২০০৮ সম্মেলনের কথায় আসা যাক। আমি গেলে কেমন হোত এই চিন্তা পেয়ে বসেছে। আমার তো এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের আবেদন জমা দেয়ারও যোগ্যতা নাই। গবেষণা দূরের কথা, গবেষণাপত্র কাকে বলে সেইটাও জানি না। তারপরও স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নাই। এবারের যে ২৫ জন নোবেল বিজয়ী এসেছেন তাদের তালিকা দেখলাম।
কেমন যে লাগল বলে বোঝাতে পারবো না। ভার্সিটিতে এসে জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহের সূচনা “সিএমবিআর” এর মাধ্যমে। এটা এক ধরণের মহাজাগতিক তরঙ্গ যা সবদিক থেকে সমানভাবে আসে। পুরো নাম “মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ” (cosmic microwave background radiation)। এই বিকিরণ আবিষ্কৃত হওয়ার পরই মহা বিস্ফোরণ তত্ত্বের একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা গিয়েছিলো। এই বিকিরণ নিয়ে আমি কয়েক মাস আগে একটা ব্লগ লিখেছিলাম যার নাম “মহাজাগতিক ইতিহাসের ভাষা“। সেই বিকিরণের আবিষ্কর্তা স্বয়ং আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন। ভাবতেই গায়ে কাঁটা দেয়। হুম, সিএমবিআর এর আবিষ্কারক জর্জ স্মুট এবার এসেছিলেন।
এসেছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্রায়ান ডি জোসেফসন। ইসলাম ও জোসেফসন একই সাথে কেমব্রিজ থেকে মাস্টার্স করেছিলেন। পিএইচডি করার সময়, জোসেফসন পদার্থবিজ্ঞান বেছে নেন আর ইসলাম বেছে নেন গণিত। অতিপরিবাহিতার জোসেফসন ক্রিয়া যার নামে স্বয়ং তার সাথে কথা বলছি, এটা ভেবেই কূল-কিনারা পাচ্ছি না। এদেশের কয় জন মানুষের ভাগ্যে সচক্ষে একজন নোবেল বিজয়ী দেখার সৌভাগ্য হয়? আমরা সবাই সেই অভাগাদের দলে। তারপরও যখন শুনি, এদেশেরই কয়েকজন তরুণ তাদের সাথে দেখা করে এসেছে তখন গর্বে হৃৎপিণ্ড ফুলে যায়।
তার উপর যখন শুনি আমারই কলেজ ভাই লিন্ডাউ গেছেন তখন আর পায় কে, মস্তিষ্ক পর্যন্ত ফুলে ফেপে উঠে, নিজেকে অনেক মেধাবী মনে হয়। ওমর ভাইও মির্জাপুরে পড়েছেন আর আমিও মির্জাপুরে পড়েছি, এই সূত্রে থেকে নিজের মেধা সম্পর্কে একটু আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিই।
ওমর ভাইকে আমরা চার বছর পেয়েছিলাম। ওহ্হো, আগে বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। ওমর ভাই আবার আমারই হাউজে ছিলেন, নজরুল হাউজে। ব্লগের প্রথম বাক্যেই এটা বলে পাট নিয়ে নেয়া উচিত ছিল। সুযোগটা মিস করলাম। যাহোক, ওমর ভাইকে কলেজ থেকেই খুব মেধাবী বলে জানতাম। অ্যাসিস্টেন্স হাউজ প্রিফেক্ট থাকার সময় উনার সাথে কিছু কথা হয়েছে। এছাড়া তেমন কথা হয়নি বললেই চলে। আমরা তাকে বেশ ভয় পেতাম। যদিও হাউজ প্রিফেক্ট হওয়ার পর যতটা ভেবেছিলাম ততটা পাঙ্গা দেননি।
ওমর ভাইকে অন্তরের একেবারে গভীর থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, বিশুদ্ধ পদার্থবিজ্ঞান বেছে নেয়ার জন্য। স্ট্যান্ড করা একটা ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে, এ যুগে এমনটা ভাবাই যায় না। আমাদের কলেজের ইতিহাসে কয়জন এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন? বিশুদ্ধ পদার্থবিজ্ঞানে ওমর ভাইয়ের আগ্রহের ফলাফলও আমরা পেয়ে গেছি। ইতোমধ্যেই তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। অনার্স শেষ করে এখন নিশ্চয়ই কোথাও মাস্টার্স করছেন। লিন্ডাউ ঘুরে আসা এমন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে কি আমরা অনেক বড় কিছু আশা করতে পারি না? ধরেন একটা সামান্য নোবেল পুরস্কার, পদার্থবিজ্ঞানে। এমন কি হতে পারে না, ওমর ভাই একদিন নোবেল বিজয়ী হিসেবে লিন্ডাউয়ে উপস্থিত হয়েছেন? বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী হিসেবে মির্জাপুরেরই কোন এক্স-ক্যাডেট অংশ নিয়েছে। অবশ্য এতে সমস্যাও হতে পারে। দেখা যাবে দুজনে বিজ্ঞানের জ্ঞানগর্ভ আর রসালো আলোচনা বাদ দিয়ে কলেজের পাঙ্গা আর টিজের ইতিহাস নিয়ে গালগল্প শুরু করে দিয়েছেন। আমরা সেই গালগল্পের অপেক্ষায় আছি।
ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রতিটা মানুষই স্বপ্ন দেখে, প্রতিটা মানুষই স্বপ্নতাড়িত। মুহাম্মদ, তোমার স্বপ্ন সফল হোক সেই অপেক্ষায় রইলাম :dreamy: ।
দুই ক্যাডেট একত্র হয়েছে আর কলেজের কাহিনী নিয়ে কথা হবে না 😀 ? আড্ডা হবে না 😀 😀 ?
পুরো লেখাটাই ভালো লেগেছে :clap: ।
Life is Mad.
ভাল লাগছে জেনে খুব খুশী হলাম। স্বপ্ন সফল হওয়ার ব্যাপারে আমিও আশাবাদী। আমি অবশ্য সব ব্যাপারেই একটু বেশী আশাবাদী। তারপরও এটা সম্ভব বলে মানি।
আমাদের প্রিন্সিপাল মেকা সংবর্ধনায় বলছিলেন, তিনি সেদিনের অপেক্ষায় আছেন যেদিন তার হাতে গড়া কোন এক্স-ক্যাডেট তাকে ফোন করে নোবেল পাওয়ার খবর জানাবে।
১.
গুগলে সার্চ দিয়ে লিন্ডাউ দ্বীপের অনেকগুলি ছবি দেখলাম। আমার কিন্তু বেশ লোভ লাগছে। আসলেই ছবির মতো সুন্দর দ্বীপ। বিজ্ঞান উৎসবে যাবার সুযোগ এই জনমে আর হবে না। কিন্তু বেড়াতে যাবার ইচ্ছেটা রেখে দিচ্ছি। 😛
২.
লিন্ডাউ সম্মেলনে অংশ গ্রহনকারী এবং ভবিষ্যৎ অংশ গ্রহনকারী বাংলাদেশীদের জন্য শুভ কামনা।
৩.
একজন এক্স-ক্যাডেট গেছে শুনে আমার একটু গর্ব হচ্ছে। ওমর হাবিব রহমানকে শুভেচ্ছা। আমরা ওর কাছ থেকে আরো অনেক বড় কিছু আশা করতেই পারি।
৪.
আমার ধারনা আমার মতো অবিশ্বাসী লোক দোয়া টোয়া করলেও কারো কোন কাজে আসবে না। তারপরও মনে প্রানে চাই মুহাম্মদ একদিন লিন্ডাউ দ্বীপের বিজ্ঞান উৎসবে যাবে এবং আরো বড় কিছু করবে।
৫.
বরাবরের মতো তথ্যবহুল লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক ঠিক, বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা সবাই করতে পারি। বেড়ানোর জন্যও অতি চমৎকার জায়গা। আমিও ইচ্ছাটা রেখে দিচ্ছি।
শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি আশাবাদী হলেও অবশ্য এতোটা আশা করতে পারি না। কি করুম, পাঠ্যপুস্তক পড়তে ভাল্লাগেনা। 😀
বাংলাদেশীরা এগিয়ে যাক, আমিও এই কামনা করি।
মুহাম্মদ আমার ধারনা তুমি লেগে থাকলে পারবে। হয়ত লিন্ডাউ হবে না, কিন্তু যা হবে তাও গর্ব করার মত হবে আমি নিশ্চিত।
আমরা তোমার পিছে আছি।
লইজ্জা দিয়েন না!! :shy:
সব কিছুই হতে পারে, সত্য সবসময়ই কল্পনার চেয়ে বড়। 🙂
খুব খাঁটি কথা।
আমিও পাট নেই একটু, সম্পদ (ছোট করে সম্পু) আমার বাল্যবন্ধু। সেই ক্লাস ফাইভে একসাথে বৃত্তি কোচিং করতাম।
ভালো লেখছো মুহাম্মদ। :clap:
তৌফিক ভাই, ওমর ভাই এখন কি করতেছে জানেন? উনার সাথে যোগাযোগ করা দরকার। লেখাতেই তো বলছি, লিন্ডাউ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ওমর ভাইয়ের একটা লেখা এই ব্লগে আসলে খুব ভাল হবে। আমি অবশ্য একটা পুরনো মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল অ্যাড্রেস পাইছি, মেকা ডিরেক্টরি থেকে। যোগাযোগ করতেছি। রাজি করানোর দায়িত্ব কিন্তু আপনার।
জটিল জটিল.....
স্বপ্ন সফল হোক :clap: :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সবাইরে আরেকটা খবর দেই। ওমর ভাইয়ের সাথে মোবাইলে কথা হইছে। উনারে এই ব্লগের অ্যাড্রেস দিয়া দিছি। শীঘ্রই ওমর ভাই তার লিন্ডাউ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
মুহাম্মদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ। অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং জ্ঞানগর্ভ একটা লেখা।