চমকে যাই শরীরে স্রোতস্বীনি জোছনা পতনের শব্দে
চমকে যাই আয়না দেখে আত্নপ্রতিকৃতির এই বিশ্বস্ত ওয়ার্কশপে
চমকে যাই নগরের শব্দে
রিকশার টুনটুন ঝংকারের বায়বীয় অনুনাদে
প্রেমিকা এবং প্রেম পৌরুষ মেরুদন্ড খুচড়া টাকা
দর্শক পার্কের গাড়ল গাছ আর হল্লা করে জেগে উঠা নাগরিক প্লাস্টিক প্রেম
চমকে যাই চায়ের কাপের ছলাৎ শব্দে
ছলকে উথলে পড়ে গাঢ় লিকারের জীবনীশক্তি কবিকূলের
চমকে যাই নক্ষত্রের রাতে বব ডিলনের এক্রোস্টিকের শব্দে
গড়াতে থাকি চমকানো চকমকি পাথর
চমকে যাই খসখসে কলম ছুরি হয়ে সাদা কাগজের হৃদপিন্ড ছিড়ে খুড়ে
একেকটা লাল চমকানো গোধূলী রঙ এর কবিতার আন্দোলনে
চমকে যেতে হয় প্লাবনের কালে ঢেউ প্রবেশের অখন্ড অবসরে
স্রোত স্রোত শুধু স্রোত চমকে যাই স্রোতের শব্দে
চমকে যাই ভালোবাসার বিষাক্ত অনুবাদে
যখন একপেয়ে দেবদূত হয়ে একটা সাদা বক
আর পাহাড়ী ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা সব চমকানো চিত্রকল্প স্রোতে ভাসে
চমকে দেয় আমাকে প্রথম বৃষ্টির সোঁদা আদ্র আকর্ষনী গন্ধ
এক সমুদ্র লাফিয়ে উঠে নীল ধূসর ময়লা আকাশে বিছিয়েছিল বৃষ্টি
ভেজা শরীর পরী ,চমকাতে হয় প্রকৃতি আমায় হিংসায় ফেলে
বৃষ্টি তোমায় জড়ায় চমকে যাই সুন্দর তুমি লাল রং মিশে লাল তুমি
চমকে যাই বাঁকা ঠোট বাঁকা দৃষ্টি চমকে যাই পরী ভালোবাসায় ।
অত্যাচারী সূর্যের নীচে মুখোশের মিছিল
কাক ডাকা ভোরে বেড়িয়ে নিজেকে নানা ভাবে প্রবোধ দিলাম এই পৃথিবী অসমতল ভাবলেই অসমতল। নাহলে ইউক্লিডীয়ান সমতল ভেবে নিলে কেউ তো জবাবদিহী করতে আসছে না। গস ,বোলাই ,রীম্যান ,আইনস্টাইনরা একটু কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু তাদের থোড়াই কেয়ার করি আমি। জানি এই ভোরের হিম লাগা বাতসের আনুপূর্বিক লোমকুপ অভিযান, আর থেকে থেকে শিউড়ে ওঠার পর্যায়ক্রমিকতা যদি আমি থার্মোডিনামিক্স দিয়ে ভাবতে চাই তাহলে তা বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার অসামান্য উদাহরনের মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিস্তারিত»সত্যের শিশ্নচ্ছেদ উতসব
দাবীকৃত ঐশৃরিক প্রত্যাদেশ লিফলেটের বোল্ড হরফে
পার্থিব বায়ুমন্ডলে বেচে জাতিতে জাতিতে কালো সাদা
হলদে পূব পশ্চিম ছোট চোখ গ্রীক নাক সব গেরস্তালীতেই
দাড়িয়ে গেছে জোব্বা চন্দন ক্রুশ মেকাপের রক্তপায়ী
অপমানব উত্তরাধিকারী ।
তাই সভ্যতার ফোলানো বিষবাষ্পের বেলুনে কেবল লাল চোখ
উদগত ঘৃণা তথাকথিত ত্রাতাদের হুংকার ।পোড়া মাংশের গন্ধ
গুজরাটে কাশ্মীরে নিউইয়র্কে প্যলেস্টাইনে আর বঙদেশে
খিন্ন সব জৈবনিক স্পন্দন আর রাস্তায় রাস্তায় পোস্টমর্টেম ।
যেসকল সময়ে মনে হয় আত্নহনন ভীষন অযৌক্তিক
এখন সময় খুব প্যাচানো জালের মত মুক্তিচেতনাহীন।তাই বিভিন্ন আটকানো নি:শ্বাসে বাতাস ভারী,অসুস্থ।মনে হয় থ্রেশহোল্ড পেরিয়ে গেছি,ভেঙ্গে যাবো যে কোনোও সময়ে কেবল অপেক্ষায় আছ কখন ভাঙ্গবো।
আত্নহননে উত্সাহী মানুষরা সবসময়েই আত্নহননের সিদ্ধান্ত নেবার পর খুব আয়েশী হয়ে যায়।আত্নহননের কোনও চিন্তা মাথায় না আসলেও অস্তিত্বের প্রশ্ন (কেন দাড়িয়ে আছি বা কেনই দাড়িয়ে থাকব!)সব গুলো ধমনীর কপাটিকাতে আছড়ে পরে নিরন্তর জলোচ্ছাসের শক্তিতে,ক্রোধে।তাই মুখ লুকোতে হয় বালিশে অথবা প্রিয়ার কাম্য বুকে যদি কিছুটাও আলো আস্বাদনের সুযোগ ঘটে।
বিস্তারিত»অবাস্তব আকাঙ্খা
তুমি কেন এত সুন্দর?
কোন্ অপার্থিব নীলিমায় সৃষ্টি?
অস্পৃশ্যতার আড়ালে অনুভূতির ছোঁয়া
অবাস্তবতার সুস্পষ্ট দেয়াল
যাকে ভাঙতে আমি অপারগ।
তোমায় খুঁজে ফিরি আমি-
অদৃশ্যালোকে,তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশে
তোমার প্রত্যক্ষ আস্তিত্বিক প্রকাশ।
দ্যা গ্রেট এস্কেপ
মৌমাছির গুঞ্জন শুনে চোখ খুলব, কিন্তু সাবধান হবার আগেই বিষাক্ত হুলে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ব্যাথা পেতে হয় এই সব ক্ষেত্রে। মজা হচ্ছে এই ব্যাথার ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোটা যৌক্তিক আবার অযৌক্তিক। যৌক্তিকতা আসে ব্যাথার তীব্রতা আর জ্বর চলে আসার বিরক্তিকর আশংকা থেকে। অযৌক্তিক কারন সম্ভাব্যতার পরিমান ক্ষুদ্র। জানি শুন্যের মুখোমুখি হলে যাতনা কত, কিভাবে চার হাত পা ছুড়ে দিয়ে অসহায়ের মত ছেড়ে দিতে নিজেকে অসীমতটীয় চিন্তায়। তাই বলে কি মোকাবেলা করব না অভ্যন্তরীন প্রশ্ন সমূহের?
বিস্তারিত»রক্তের স্বাদ
প্রতিদিনই সূর্য ওঠে, পূর্বে;
অস্তমিত হয় দিগন্তে।
সকালে ডেকে ওঠে একটি কুকুর
আড়মোড়া ভেঙ্গে, স্বাগত জানায়
প্রতিটি নতুন দিনকে-নরকে।
ডায়লগ (ভার্সন মির্জাপুর) – ২
জিহাদের পোস্ট দেখে অণুপ্রাণিত পোস্ট। কাউকে হেয় করা বা লোক হাসানো নয় জাস্ট আমাদের কলেজের অমর ডায়লগগুলো স্ম্বতির পাতা থেকে ব্লগের খাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা।
ডায়লগ সমাচার লিখতে বসে ক্যাডেট কলেজের কত শত ডায়লগ মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই ডায়লগ গুলোর মর্ম শুধু লেখায় তুলে ধরাটা বেশ কঠিন কাজ। এই লেখা ফ্লপ হবার তীব্র সম্ভাবনা জেনেও সিসিবির গুমোট ভাব দূরকরণের স্বার্থে লিখলাম। উল্লেখ্য ঘটনায় একটু উত্তেজনা আনয়নে কিঞ্চিত কল্পনার সংস্রব ঘটানো হয়েছে।
বিস্তারিত»ব্যক্তিগত রুপকথা : ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ – (শেষ পর্ব)
[রূপকথার তো কোন শেষ নাই…তাই এই ব্যক্তিগত রূপকথাটাও শেষ করবোনা ভাবসিলাম…তবু একটা বিশেষ উপলক্ষ্যে তাড়াহুড়া করে লিখে ফেললাম…এবারো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে :shy: ]
– “সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ মনে হয়, পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা- প্রার্থনার সকল সময়
শূণ্য মনে হয়,
শূণ্য মনে হয়”-
অবারিত ঐশ্বর্য্য নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে সন্ধ্যা নামে…’ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলা চিল’
বিস্তারিত»আমি মডারেটর প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছি
আমি মডারেটর প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছি। ইতিমধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে মডারেটর অপশন সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং আমি এখন থেকে একজন সাধারণ “লেখক” (Author)। এই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব। কেউ আমাকে বাধ্য করেনি বা সরে যেতে বলেনি।
কারণ
আমি অন্যের ব্লগে নিজের কিছু কমেন্ট এডিট করেছিলাম, এমনকি কিছু কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছিলাম। এটা আবার সবার অগোচরেই করেছি। অন্য কারও এমন এডিট বা ডিলিটের ক্ষমতা নেই।
বিস্তারিত»সিক্সটি নাইন
প্রথম কয়েক মিনিট শুধু মেজাজ খারাপ হচ্ছিল।এখন মনে হচ্ছে উঠে গিয়ে শরীরের সব শক্তি দিয়ে একটা চড় মেরে আসি। ব্যাটা ন্যাকার বাদশা কোথাকার!! পাশের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চড় মারার ইচ্ছেটা সমানুপাতিক হারে আরো বেড়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছিনা সত্যি সত্যিই উঠে গিয়ে চড় মেরে আসবো কীনা। জোর করে চিন্তাটা ডাইভার্ট করার চেষ্টা করি। টেবিলে রাখা গ্লাসের বাকি অর্ধেক পানিটুকুও এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেললাম।
আমি রকিব এর কথা বলছি।
বিস্তারিত»জুবায়ের অর্নব ভাইয়ের পোস্ট এবং আমার নৈশ কালের আজাইরা চিন্তার খসড়া
( জুবায়ের ভাইএর পোস্ট “সো লেটস স্টার্ট লিভিং এ লাইফ” পড়ে ভেবেছিলাম একটা মন্তব্য করবো কিন্তু মন্তব্যটা বড় হয়ে যাওয়ায় পোস্ট আকারে দিচ্ছি )
আমরা ভাবতে গেলে প্রায়শই চিন্তাভাবনা এগোতে পারে না, এটা হয়ত পরিপক্কতার অভাব ,যেমন প্রাচীন মানুষরা আকাশের তারকা কে অলৌকিক শ্বাপদের চোখ ভাবত। এখানে যত মানুষ জেনেছে ততই ভ্রান্ত এবং অলৌকিকের ধারনা থেকে মুক্ত হয়েছে। এই মুক্ত হওয়াটা কোন সার্ব্জনিন বিষয় নয় অবশ্যি,
বিস্তারিত»ব্লগের গত কয়েকদিনের আলোচনা দেখে আমার ভাবনা
একটা ছোট সত্য ঘটনা বলি প্রথমে। দিনটা ৫ই অক্টোবর। বাংলাদেশের অন্যতম আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালে ভর্তি হলেন একজন মানবী। তার অবস্থা এমন ছিল হয়তো অন্য কোন হাসপাতালে গেলে সেদিনটাই তার শেষ দিন হতে পারত। কিন্তু অত্যাধুনিক ঐ হাসপাতাল তাকে বাঁচাতে না পারলেও তার মৃত্যু দীর্ঘায়িত করল। শুধু এখানেই শেষ হতে পারত। লাইফ সেভিং নামে একটি অপারেশন করে হাসপাতালের পিছে কাড়ি কাড়ি টাকার সাথে আরো কিছু টাকা বাড়ানো হলো।
বিস্তারিত»একটি বই প্রসঙ্গে
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ভাষাগত অসংলগ্নতায় যারা বিরক্ত হন, পোস্টটি তাদের জন্য না।
[এই লেখাটার একাংশ গত বছর ১৫ই অগাস্ট উপলক্ষে সামুর জন্য ড্রাফট করেছিলাম। যাই হোক সামুর পাতি বুদ্ধিজীবিদের কাদা ছোড়াছুড়িতে বিরক্ত হয়ে ঐখানে যাওয়া বন্ধ করায় এটা আর পোস্ট করা হয় নাই। এখন সিসিবিতে লেখার সুযোগ পেয়ে রিএডিট করে পোস্ট করলাম। বুদ্ধিজীবি প্রসঙ্গে সম্প্রতি পড়া একটা লাইন শেয়ার করার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না –
আমার নারী লিপ্সার ঐতিহাসিকতা এবং বিবর্তন
আমি ঠিক জানি না জানি নাকি নিয়ে লিখব, এম্নিতেই চিন্তাগুলো কে ঢেলে দেবার চেষ্টা করছি এলোমেলো র্যা ন্ডম বিন্যাসে, পারিসাংখ্যিক কেন্দ্রীয় প্রবনতার কারনে হয়ত সেগুলো একটা আকৃতি পাবে তবে নিশ্চিত ভাবে সেই আকৃতি অবয়ব কোনো পূর্বপরিকল্পনার অংশ নয়।
একসময় যখন জীবনটা ব্যাপকভাবে বিক্ষিপ্ত এবং মোটামুটই ভাবে উদ্দেশ্যহীন ছিল(তবে আল্টিমেট পাগলা ছাড়া ছাতার জীবনে হলুদ পাঞ্জাবীর “হিমু” মার্কা নির্লিপ্ততা পাওয়া মোটামুটি ভাবে অসম্ভব ব্যাপার। জীবনকে ঊদ্দেশ্যহীন বলা একরকম আধুনিকতা আক্রান্ত হতাশা বিলাস বলা যেতে পারে)তখন এই একটা ব্যাপার নিয়ে হেভী গবেষনা করতাম।