ধোঁয়া ও স্বপ্ন

চায়ের কাপের ধোঁয়াগুলো
শূন্যে মিলিয়ে যায়, তবে-
তারা আকাশ ছুঁতে পারেনা।

বাকরুদ্ধ মনের কষ্টগুলো
যদিও ঊর্ধ্বপানে ধায়, তবুও-
তারা আকাশ খুঁজে পায় না।

শুধু অবুঝ মনের স্বপ্নগুলো
ধোঁয়া হয়ে যায় অভ্র ফুঁড়ে,
কোন নিশীথ রাতের বৃষ্টিপাতে
আবার স্বপ্ন ফেরায় নয়ন জুড়ে।

ঢাকা
১৪ জুন ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

আমার এ কবিতাটার ভাবানুসরণে “Dreams And Smoke”

বিস্তারিত»

তোমার শখের পসরা

আমার ঘরের নিভৃত একটি কোণে
রয়েছে তোমার এক নিজস্ব ভূবন।
সেখানে কখনো প্রবেশ করিনি আমি।
তবে বাহির থেকে দেখেছি কি সুন্দর করে,
সাজিয়ে রেখেছো তোমার শখের পসরা
একটি আলমারীর ক্ষুদ্র পরিসরে, থরে থরে।

কতনা যতন করে রেখেছো সেখানে,
ছোট ছোট সব শখের পজেশনগুলো,
শাড়ীর পরতে পরতে, এভাঁজে ওভাঁজে,
গোপন কুঠুরির কোন গোপনতম স্থানে।
আর পরখ করে দেখ সেসব অমূল্য রতন
যখনি সময় পাও,

বিস্তারিত»

বায়োস্কোপ

ফুলি বেগম যেদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসলো, সেদিন সে মনে মনে অনিশ্চয়তার দোলাচল আর কিছুটা চাপা উত্তেজনায় চঞ্চল ছিলো। বিয়ের আগে সে বাবুল মিঞাকে পরিবারের অন্যান্য সবার সামনে বসে চাক্ষুষ দেখার আর তার সাথে মাত্র দুই একটা কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলো। দুই একটা কথা আর দুই একবার দৃষ্টি ও হাসি বিনিময় ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য আর কিছুই ঘটেনি। কন্যা সম্প্রদানের সময় প্রথানুযায়ী বুকফাটা কান্নাকাটির পর সেই যে সে সোজা বাবুল মিঞার ঘরে চলে এলো,

বিস্তারিত»

কনকপ্রভা

কনকপ্রভা,
তুমি মাঘের কোমল রোদ্দুর হয়ে এসেছিলে,
তেমনই থেকো, এই আছো এই নেই।
এই অরণ্যচারীর নিভৃত নিবাসে
এক চিলতে সোনালী রোদ্দুর হয়ে থেকো।
আলোছায়া হয়ে মিশে রবো একসাথে।

কনকপ্রভা,
তুমি আষাঢ়ের মেঘ হতে চেওনা।
এমনিতেই তুমি আমার ভেতরে
শান্ত স্রোতস্বিনীর ন্যায় সততঃ প্রবাহমান।
তুমি নরম রোদ্দুর হয়েই থেকো,
গায়ে মুখে মেখে হবো, আঁধারেও চক্ষুস্মান!

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ঙ)

প-তে পযুক্তি (র-ফলা নাই)
আমি যদি বলি গত তিন বছর ধরে আমি একটি প্রযুক্তির উপর বসে আছি তাহলে আপনি কি ভাববেন? “এ আর এমন কি? সবাই কোন না কোন ধরনের প্রযুক্তির উপর বসে আছে।” কিন্তু আমি আপনাকে বলবো আমার কথাটি আক্ষরিক অর্থে নিতে। কারণ প্রযুক্তিটির নাম কর্নিং গরিলা টেকনোলজি। বর্তমান যুগের সিংহভাগ স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটগুলোর স্ক্রীণ যেই প্রযুক্তির কাঁচ দিয়ে বানানো হয় সেই প্রযুক্তি।

বিস্তারিত»

কী হবে?

সূর্যটা শেষমেষ
সাগরের তরল বুকেই ডুবে যায়!
আগুনের ফুলকিগুলো
শেষমেষ ছাই হয়ে জলে মিশে যায়।

কী হবে কাঠিন্য দিয়ে,
তারল্যের বুকেই যদি লিখা থাকে
শেষ ঠিকানাটা।
সব কিছু দ্রবীভূত হয়,
যদি রসায়নটা ভালো করে জানা থাকে।

দিগন্তে যে সূর্যটা হারিয়ে যায়,
ভূঁই ফুঁড়ে সে আবার বের হয় পরদিন।
আবার আলো জ্বালে, উত্তাপ ছড়ায়,

বিস্তারিত»

পজিটিভিটি

নিজেকে একেবারে মেলে ধরতে পারি না
আর কারো কাছে, শুধুমাত্র তুমি ছাড়া।
আমার জীবনের সকল অর্জনগুলোর সার-সংক্ষেপটাকে
সামেশন করে যখন কারো কাছে নিবেদন করতে যাই,
কি করে যেন ফলাফলের আগে
একটা মাইনাস চিহ্ন বসে যায়।
তোমার কাছেই শুধু পজিটিভ মূল্য পায়
আমার সকল অকিঞ্চিৎকর নিবেদন।

ঢাকা
০৬ মে ২০১৫কাছেই
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

আশা নিরাশা

কালি কলম সবই ছিল,
সাদা কাগজ, তাও তো ছিল,
চিঠিও লেখার ইচ্ছে ছিল, কেবল…
লিখবো যাকে, সে ছিল না!

উথাল পাতাল ইচ্ছে ছিল,
কাব্য করার সাধ্য ছিল,
চোখেও গভীর স্বপ্ন ছিল, শুধু…
স্বপ্নদেবীর খোঁজ ছিল না!

দু’চার চরণ পদ্য লিখে,
কেটে দিতাম পর নিমেষে,
কি হতো আর ওসব রেখে, যখন…
পদ্য পড়ার কেউ ছিল না!

বিস্তারিত»

দৃষ্টিতে বৃষ্টি

রুটিন বাঁধা জীবন, সেতো বন্দীত্বেরই নামান্তর!
এপারেতে দৃষ্টি উদাস, ওপারেতে মুক্ত আকাশ,
অসীম পানে দৃষ্টি রাখি,
ভেতর থেকে বাহির দেখি,
বৃষ্টিভেজা বৃক্ষ দেখি,
কালো কাকের চক্ষু দেখি।
মাথায় ছিল সংখ্যা যত,
হঠাৎ দেখি সংকুচিত,
শূন্য ছাড়া নেই কিছু আর,
এপার ওপার ভাবতে গিয়েই ঘটছে কত ভাবান্তর!

তৃষ্ণা যখন মনের ভেতর, দৃষ্টি যখন তেপান্তর,
তখন দেখি দালান ভেজে,

বিস্তারিত»

পিঙ্ক ফ্লয়েড এর দেয়াল : একখানা মুভি

গানের ব্যাপারে নিজেকে আমি সর্বভুক বলেই দাবি করি.. তবুও কেউ যখন ফেভারিট আর্টিস্ট বা ব্যান্ড এর ব্যাপারে তখন আমি চোখ বন্ধ করে বলে দেই Pink Floyd এর কথা। পিঙ্ক ফ্লয়েড ইজ পিঙ্ক ফ্লয়েড। পিঙ্ক ফ্লয়েড এর নাম প্রথম শুনি পত্র পত্রিকায় আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড এর ইন্টারভিউএ । তখন আমি স্কুলে পড়ি আরকি। সাংবাদিকরা যখন আমাদের দেশের বিভিন্ন আর্টিস্ট দের জিজ্ঞেস করে যে দেশের বাইরে তাদের ফেভারিট ব্যান্ড কি তখন সবাই কয়েকটা ব্যান্ড এর নাম বলে..

বিস্তারিত»

ভালবাসার হলুদ ফুল

ঘনসবুজ পাতা আর উজ্জ্বল হলুদ ফুলের
পাতায় আর পাঁপড়িতে দেখি এক ভেনাসের মুখ।
ফাঁক ফোকর দিয়ে দেখা যায় ধুসর আকাশ,
তা দেখে মনের আকাশে নেমে আসে হাল্কা অসুখ।

ফুলের সৌরভ ভেসে আসে বাতাসে বাতাসে,
মৌ মৌ করে মন আরো কিছু অচেনা সুবাসে।
ফুলের ঔজ্জ্বল্য মনটাকে করে দেয় বেজায় ভালো,
পরশে মেখে যায় ভালবাসার কিছু নরম আলো।

 

বিস্তারিত»

মোম ও তুমি

মোম গলে যায় অগ্নিশিখায়,
তুমি গলে যাও নরম কথায়।
ফোঁটায় ফোঁটায় মোমের ক্ষয়,
জানি, কিসে তোমার কষ্ট হয়।

তুমি মোমের মত গলে গলে
আমার বুকে আটকে গেলে!
ফোসকা পড়ার ভয় ছিলনা,
গরম তাপের জ্বালা ছিলনা।

আমার বুকে জ্বলছে মোম,
জ্বলতে থাকে সর্বক্ষণ,
সেই আলোতে চলছি পথ,
স্মরণে রেখে সব শপথ।

 

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ঘ)

শুক্রবারে ধানমন্ডিতে কাকার বাসায় যাবার সময় দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি মাথায় পড়েছিল। সেটা সহ্য হয়নি। দেশে আসার পর প্রথম রোগ বালাই কিংবা বলা চলে রোগ বালাইয়ের উপসর্গঃ হাল্কা জ্বর, গায়ে ব্যথা, মুখে অরুচি এইসব ধানাইপানাই। কিন্তু নিয়ম করে সন্ধ্যায় ও ভোররাতে জ্বরের আনাগোনা দেখে গতকাল গিয়েছিলাম ডাক্তারখানায়। টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড আমার খুব কাছের বন্ধু। ভাবলাম আবারো বাড়ি এলো কিনা?

এলাকার হাসপাতালের কাউন্টারের সামনে হেসে,

বিস্তারিত»

শব্দের নীরব সান্ত্বনা

কবির অরক্ষিত মনে,
শব্দরা দাঁঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দ প্রহরীর মত।
মনের আনাচে কানাচে কিছু কিছু শব্দ থাকে
ইতস্ততঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে, আর কিছু ডুবে থাকে
মনের অতল গভীরে। ডাক দিলে নিমেষেই চলে আসে।
কবির পাশে যখন কেউ থাকেনা, তারাই কবিকে ঘিরে রাখে।

কবি কখনো আহত হলে,
সেইসব শব্দরা চলে আসে বিশ্বস্ত দেহরক্ষীর মত।
নীরবে পাশে দাঁড়িয়ে শোনায় যত সান্ত্বনার বাণী।

বিস্তারিত»

অনিশ্চিতের প্রতীক্ষায়

মুখের বলিরেখাগুলো বলে দেয়,
কতটা পথ তুমি পেরিয়ে এসেছো।
সে পথটা যে কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা,
চোখের অভিব্যক্তিই তার প্রমাণ।

মুখে প্রতিবাদ নেই, চোখে আছে।
দুটো ঠোঁট যেন সেলাইয়ে জোড়া
দুটো চোখ যেন কত বিস্ময়ভরা,
উষ্মায় ভুরু দুটো কুঁচকে গেছে।

হে অনিশ্চিতের পথযাত্রী,
তোমার বাকী পথটুকু মসৃণ হোক!
মশালের ন্যায় জ্বলজ্বলে চোখদুটো
বোঁজার সময় এক পশলা বৃষ্টি হোক!

বিস্তারিত»