প্রায় দুই দশক পর ভাইকিংস যখন ফেরত এলো রক সঙ্গীতের জগতে তখনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অন্তত ওদের এ্যালবামটি দিয়ে মিউজিক রিভিউ লেখার একটি চেষ্টা করা যেতে পারে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা (সম্ভবত) এ্যাকশানধর্মী চলচিত্র রানআউট-এর সাউন্ডট্র্যাক করার মধ্য দিয়ে ভাইকিংস সঙ্গীত জগতে ফেরত এলে মিশ্র অনুভূতি হয়েছিলঃ রক ব্যান্ড হিসেবে মুভি সাউন্ডট্র্যাক? পার পাবে তো? এ্যালবামের গানগুলো প্রথমবার শোনার পরেই রিভিউটি লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু মাথায় সময়মত গার্ডিয়ান পত্রিকার বিখ্যাত সঙ্গীত সমালোচক এ্যালেক্সিস পেট্রিডিসের একটি উপদেশ ফিলিপস বাতির মত জ্বলে উঠলোঃ মিউজিক রিভিউ লেখার আগে যত বেশী এ্যালবামটি শোনা হবে ততই উত্তম।
বিস্তারিত»Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ একটি অণু+ প্রকাশনা ১ম সংস্করণ
ব্লগের নামকরণ কৃতজ্ঞতায়ঃ নূপুরদা এবং জুনাদা
বাঙালীর হুজুগ শিল্প।
গতবছর দশ ডলার দিয়ে একটি স্যান্ডউইচ টোস্টার কিনেছিলাম। এরপর এইবেলা, ওইবেলা, সারাবেলা, অবেলা স্যান্ডউইচ চলেছে মাসখানেক। মন খারাপ? স্যান্ডউইচ। উদাস লাগে? স্যান্ডউইচ। দেশে ভালোবাসা নাই? স্যান্ডউইচ।
এবছর গ্রীষ্মে আবিষ্কার করলাম প্যানকেক নামক খাদ্যটি বানানো বেশ সহজ। আবারো সারাবেলা, অবেলা প্যানকেক চললো মাসদুয়েক। শালার করলাম না আজকে রাতের ডিনার বলেই ডিম,
বিস্তারিত»গণবিদ্রোহঃ এখন থেকে অণুব্লগ হবে (তারপরেও বেশখানিকটা লিখে ফেললাম)
প্রারম্ভিকাঃ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, “আমরা ক্ষমতায় গেলে সিসিবিতে অণুব্লগের জন্য নতুন শাখা খোলা হবে। অণুব্লগকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে।” কিন্তু তার কোনটাই এরা পূরণ করে নাই। দিনের পর দিন মন্ত্রনালয়ের দারে দারে ঘুরেছি। আভাসে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে টেকাটুকা ছাড়া গতি নাই। আমি আবহমান গ্রাম-বাঙলার দুস্থ ছাত্র। অর্ধাহারে থাকি। মিশুক ট্যাক্সি চালিয়ে চিকিৎসার টাকা জোগার করতে হয় নাই তবে ভোজনালয় ও প্রাক্ষলন রক্ষনাবেক্ষণ করে দুই-চারটি ডলার কামাই করি।
বিস্তারিত»বাস্কেটবল বিশ্বকাপ?! এইটা আবার কি?! খায় না গায়ে মাখে!? আচ্ছা না ভাই ফাইজলামি না এইবার সিরিয়াস।
সাতটি গুলির ঘা এখনো শুকোয়নি। এখনো সেদিনের কথা মনে করলে বুক ফেটে কান্না আসে। গলায় এসে আটকে যায় কান্না। রাতে ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়। ওরা ছিনিয়েই নিল। কত উল্লাস, কত সেলফি। আচ্ছা রসিকতা করা বাদ দেই। বিশ্বকাপের কথা বলি ভাই। বলছিলাম ব্রাজিলের সাত গোলের কথা। ডয়েচল্যান্ডের কষা ফুটবল সৈনিকেরা এরপর ঠান্ডা পানি ঢাললো আর্জেন্টিনার গরম স্বপ্নে। কথাগুলো বলছি ভিন্ন একটি কারণে।
বল ইন দি ফ্লাইট…
১
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ; আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা- ২০০৬; ফাইনাল ম্যাচ।
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ (ম ক ক) বনাম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ( ঝ ক ক)
স্কোর বোর্ডে মকক ৫৫ বনাম ঝকক ৫৭, স্টপ টাইম কীপারের হাতে স্টপ ওয়াচ এ সময় আছে মাত্র ১৫ সেকেন্ড। মেজর রাশিদ চিৎকার করে বলবেন, “টেক থ্রী পয়েন্ট শট। জাস্ট রিলিজ দি বল নাজের।“ অ্যাডজুট্যান্টের কথা অনুযায়ী থ্রী পয়েন্টের জন্য শট নিলেও তা রিং এ লেগে বেরিয়ে যেতেই রেফারী বাঁশি বাজিয়ে সময় সমাপ্তির ঘোষনা দিতেই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উৎফুল্ল দর্শকরা জয়ধ্বনি করতে করতে মাঠে প্রবেশ করে উল্লাসে মেতে উঠলো।
দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া, রাত্রি কাটিলো তাবু খাটাইয়া।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটা। ল্যাপটপের সামনে বসে ঘুম তাড়াচ্ছি। সিড়িঘরে পায়ের আওয়াজ পেয়ে বুঝলাম ওরা বুঝি এলো। অমিত, ধ্রুব, সনেট, প্রিয়ম, ও নির্ঝর। আমার রুমমেট জোসেফের এমআইএসটির বড় ভাই ও তার বন্ধুবান্ধবের দল। মিশিগান আপার পেনিনসুলার প্রাকৃতিক নৈঃসর্গের সুনাম শুনে গাড়ি ভাড়া করে চলেই এল ইলিনয়ের দক্ষিণের রাজ্য ইন্ডিয়ানা থেকে। দুষ্ট মস্তিষ্ক আরেক দুষ্ট মস্তিষ্কের কথার তরঙ সহজেই ধরে ফেলে। আমার রুমে এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে দু-চার মিনিটের পরিচয় পর্বের মাথায়ই নির্ঝর মার্লবোরোর প্যাকেট বের করে জিজ্ঞাসা করলো,
বিস্তারিত»রঙ মিস্ত্রির স্টুডিও দর্শন
ইদানিং ক্যামেরা নিয়ে ঘোরাফেরা করা হয় না। তাই ছবিব্লগ লেখার মত ছবি তুলতে পারছি না। গত গ্রীষ্মের মত এবার খুব একটা গায়ে বাতাস লাগিয়ে চলাফেরা করা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডিং এর মেয়াদ ফুরিয়েছে গত বসন্তেই। তাই জীবিকার সন্ধানে সামার স্টুডেন্ট কাস্টডিয়ান হিসাবে কাজ নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তম ছাত্রাবাসটিতে। বলে রাখি এই ছাত্রাবাসটির একটি বিশেষত্ব আছে। তা হলো এটি দৈর্ঘ্যে সিকি মাইল লম্বা অর্থাৎ কিলোমিটারে রূপান্তর করলে প্রায় ৪০০ মিটার।
বিস্তারিত»মানসিক চিন্তার রেলগাড়ী
ওরা বললো-
নরাধম খৃষ্টানেরা, ধর্মান্তর হউ অথবা মৃত্যু।
রাতের আঁধারে রুদ্ধশ্বাসে, সন্তর্পণে হেঁটে যায়।
হঠাৎ কেঁদে ওঠা খোকার মুখ চেপে ধরে মা।
ওরা ঘোড়া চেপে দিতেই কেঁপে উঠলো-
কালাশনিকভ, দেহ। শেষ কয়টি বুলেট-
শিস বাজিয়ে স্থান নিল হাড় মাংসে।
ফিনিক্স পাখি ডানা মেললো নিথর দেহে।
ওরা ডাক দিল খেলাফতের।
আগুন জ্বললো ঘরে বাহিরে।
ঘরের কোণে ছেলেটির চুপসে যাওয়া বল,
আমরা কী ভুলে গেছি!
সবাই বুঝি ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি! ভারচ্যুয়াল জগতটাতেই স্বস্তিতে আছি! একটু কি সময় নেই আমাদের পরস্পরকে দেয়ার জন্য? একটু দেখা সাক্ষাৎ, গল্প আড্ডা, হা হা হি হি, ছবি তোলা, সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া কী করা যায় না?
প্রতিবছর রোজায় ব্লগের ইফতার পার্টির কথা কী আমরা ভুলে গেছি? আমি ভুলিনি। দেখি কার কার মনে আছে? সাড়া দাও, দাও সাড়া।
বিস্তারিত»‘ওয়ার্ল্ডকাপ নামা’
রেইনিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নরা কেন নেক্সট ওয়ার্ল্ড কাপ নিতে পারে না ??
৯৮ থেকে মোটামুটি ভালভাবে ওয়ার্ল্ড কাপ দেখি, তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কোন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নকে নেক্সট ওয়ার্ল্ড কাঁপে চ্যাম্পিয়নের মত খেলতে দেখি নাই। ৯৮ এর চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ‘০২ তে ফার্স্ট রাউন্ড থেকেই বাদ, ‘০২ এর চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ‘০৬ এ কোয়ার্টার থেকেই বাদ, ‘০৬ এর চ্যাম্পিয়ন ইটালি ‘১০ এ ফার্স্ট রাউন্ড থেকেই বাদ,
বিস্তারিত»বিশ্বকাপ ফুটবল, আমেরিকা, লাল সাদা ও নীল
“Can I have a brown ale?”
“Umm…sorry! We ran out of brown ale today!”
“What?! I thought only I drink that beer!”
“Unfortunately, that’s our second hit after November!”
“I’ll take a galaxy then!”
……………………………
“Good choice!”
ঘুরে তাকালাম। শশ্রুমন্ডিত আনুমানিক পঞ্চাশোর্ধ ভ্দ্রলোক। গেলাসে থাকা পানীয়ের রঙে আন্দাজ করলাম উনি গ্যালাক্সি নিয়েছেন। গ্রীষ্মকালীন ধাক্কা দেবার জন্য গ্যালাক্সী আই,পি,এ (ইন্ডিয়ান পেইল এইল) এই পানশালার বাৎসরিক বিখ্যাত সিগনেচার বিয়ার।
বৃষ্টি নামে, নামে রে!
বৃষ্টি নামে, নামে রে!
উপর নিচে, সামনে পিছে
নামে ডাইনে বামে রে!
বৃষ্টি নামে মরচে ধরা রেলিংটাতে
জানলা দিয়ে বাড়িয়ে দেয়া কোমল হাতে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি তাড়ায়
দাবদাহকে ঘা মেরে!
বৃষ্টি নামে, নামে রে!
স্মৃতির পাতায় বিশ্বকাপ অথবা বিশ্বকাপের স্মৃতি : ইটলিয়া ৯০
টানটা কিছুটা রক্তের আর কিছুটা পরিবেশগত ভাবে পাওয়া। তবে সেই টানের রেশ রক্তের স্রোতে সব সময় টের পাই সময়ে কিংবা অসময়ে। সেই টান খেলাধূলার প্রতি টান এবং আমাদের জেনারেশনের জন্য বললে আরো স্পেসিফিক হয়ে যায় ফুটবলের প্রতি টান। যেই সময়ে এই টানের শুরু সেটা প্রায় দুই যুগ আগের গল্প। যখন ঢাকা শহর কিংবা তার পাশ ঘেষে শহরতলীর যে জায়গাতে আমার বাড়ি, এখনকার মত পুরো মাত্রায় ধূলো ধোঁয়ায় ধূসরিত হয়ে উঠে নি।
বিস্তারিত»জ্বরে পুড়ে ফুটবল জ্বরঃ প্রথম প্রেমে পড়িনি।
শেষ বিকেলের রোদ এসে পড়ছে চোখে। বাবার কোল থেকে নেমে দাঁড়ালাম। গাজীপুর সেনানিবাসের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে বেশখানিকটা গাড়িবারান্দার শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইয়া। লনে হাঁটছে শফিক মামা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে দেখি দোতালার বারান্দায় বসে মা হাসছে। লজ্জায় পা নড়াতে পারছি না। আমার পায়ের সামনে বলটা ছেড়ে দিল বাবা। আজকে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হবে। আজকে আমি ব্রাজিল, কারণ গতকাল ভাইয়া ছিল ব্রাজিল। বল নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ভাইয়ার সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম।
বিস্তারিত»স্বপ্ন সন্ত্রাস – ২
ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন শাহীন কলেজে ভর্তি পরীক্ষা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগের পরীক্ষাটিতে কিছু একটা গোলমাল করে এসেছি। শুনে বাসায় সবার মুখ কালো। বিরতির পরের দুটো পরীক্ষা দিয়ে মনে হচ্ছে সম্ভব…দেখা যাক। সংবাদপত্রে রোল নম্বর দেখে মায়ের মুখে হাসি দেখেছিলাম কি? মনে নেই। শুক্রবার আসা হলো মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনে। মৌখিক পরীক্ষা। হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হলো আমাদের ১০-১৫ জনকে। সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট হাতে ছোট টেস্টটিউব ধরিয়ে দিয়ে কর্কশ গলায় বলল,
বিস্তারিত»