সবই ভালো, সবাই ভালো

এই দেশেতে সবাই ভালো, সবই ভালো
ফরমায়েশী কবি ভালো
সূর্য কিবা রবি ভালো
রাতের বেলা চাঁদের বুকে
সাঈদী সাবের ছবি ভালো।

হাবুল ভালো, আবুল ভালো
ইসলামাবাদ, কাবুল ভালো
টিএসসিতে নারীর গায়ে
হাতবুলানো বাবুল ভালো।

বিস্তারিত»

চলে যায়…

চলে যায়, উড়ে যায়..
শাবকেরা বড় হলে উড়ে যায়,
তাদের শাবকেরাও উড়ে যায়,
পক্ষীমাতার বুক খালি করে উড়ে যায়…
নীড় খালি পড়ে থাকে, পক্ষীমাতার চোখে ভাসে
দু’ফোঁটা নীর, আর বুকে বাজে শুন্যতার হাহাকার!

যে বুকের উষ্ণতা দিয়ে সে তাদের ঢেকে রাখে,
পরম আদরে ঠোঁটে তাদের আধার ধরে রাখে,
সেই বুক খালি হয়ে আসে, একদিন নিমেষে,
যখন তারা চলে যায়,

বিস্তারিত»

আমি বেয়ে চলেছি (অনুবাদ)

আমি বেয়ে চলেছি, আমি বেয়ে চলেছি,
সাগর পাড়ি দিয়ে আবার বাড়ী পানে
আমি বেয়ে চলেছি উত্তাল ঢেউ ধেয়ে,
তোমার কাছাকাছি যেতে, মুক্ত হতে!

আমি উড়ে চলেছি, আমি উড়ে চলেছি,
পাখির মত আকাশ চিড়ে উড়ে চলেছি,
উত্তুঙ্গ মেঘমালা ভেদ করে উড়ে চলেছি,
তোমার সাথে সাথে থাকতে, মুক্ত হতে!

শুনতে কি পাও, তুমি শুনতে কি পাও?
রাতের আঁধারে গভীর তিমিরে,

বিস্তারিত»

নৈঃশব্দের কথকতা

দুটি ব্যাকুল হৃদয়ের মাঝ দিয়ে
যখন ভালবাসার কোন নদী প্রবাহিত হয়,
দেবতারাও তখন কান পেতে শোনে,
নৈঃশব্দের মাঝে বলা তাদের সকল কথা।

প্রেমিক যুগল যখন হাতে হাত রেখে
ভালবাসার নদীতীরে এক লয়ে পথ চলে,
নদীর কুলুধ্বনি তখন থেমে যায়, কারণ
নদীও তখন শোনে নৈঃশব্দের কথা বলা।

অন্ধকার অরণ্যেও যদি প্রেমাকুল দুটি হৃদয়
একান্তে বসে চুপিসারে বলে কিছু হৃদয়ের কথা,

বিস্তারিত»

কোথায় আলো, কোথায় আঁধার

পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ্দুরটুকু ভালো লাগে।
সোনালী সূর্যটা রক্তিমাভা ধারণ করার আগেই,
দখিনের থাই এলুমিনিয়াম জানালার পাশে দাঁড়াই,
দৃষ্টি মিলিয়ে দেই সবুজ বৃক্ষাদির শাখা প্রশাখায়।
নিবিষ্ট মনে দেখি ক্লান্ত পাখিদের ঘরে ফিরে আসা,
সবুজ টিয়াদের ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সবুজ গাছে বসা।

গোধূলির শেষ আলোটুকু দেখতে বড় ভালো লাগে,
দিনান্তের শেষ আয়োজনে প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয়।
ক্লান্ত মানুষের ন্যায় পাখিরাও নিজ ঘরে ফিরে আসে,

বিস্তারিত»

কারো কারো অভিমান

কারো কারো অভিমান
বর্ষার কালো মেঘ হয়ে শুধু বারি ঝরাতেই থাকে।
কারো কারো অভিমান
চাপাকান্নার আওয়াজ হয়ে শুধু ফিরে ফিরে আসে।

কারো কারো অভিমান
বুকের মাঝখানটাতে ঝনঝন করে বাজতেই থাকে,
কারো কারো অভিমান
মৃদু বাতাসের মর্মর ধ্বনি থেকে তীব্র তুফান ডাকে।

কারো কারো অভিমান
তপ্ত প্রশ্বাসের মত শুধু আবৃত মুখে উত্তাপ ছড়ায়,
কারো কারো অভিমান
ক্ষণিক বৃষ্টির অবসানে বর্ণিল রঙধনুর দেখা পায়।

বিস্তারিত»

নাবিকের মনের নোঙর

ছুটি শেষে যে নাবিক গৃহত্যাগ করে,
ফিরে চলে পোতাশ্রয়ে নোঙর করা
তার জাহাজ পানে, জিজ্ঞেস করোনা
তাকে কখনো তার গন্তব্যের কথা।

তার মনে গেঁথে থাকে ফেলে আসা
সব প্রিয়জনের কান্নাভেজা মুখ, আর
বাংলার শ্যামল প্রান্তরে রেখে যাওয়া
তার পদচিহ্নের মৃন্ময় সজীব স্মৃতি।

অচিরেই সেসব স্মৃতিগুলো মিশে যাবে
সাগরের নীল জলে, রয়ে যাবে শুধুই
ভালোবাসার এলোমেলো ব্যক্ত অব্যক্ত
কিছ কথামালা আর ধূসর কিছু কল্পনা।

বিস্তারিত»

আকাশ এত মেঘলা

গত কয়েকদিন ধরে বিশাল ভয়ে আছি। বারবার মনের ভুলে মনে হচ্ছে এই বুঝি বিল্ডিং কাঁপতেসে। গতকাল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেখি ঘুম আসেনা। আমার ধারণা ছিলো এইসব নিয়ে খুব একটা ভয় কখনো আমার ছিলোনা, থাকবেওনা। অবশ্য ব্যাপারটাকে ঠিক ভয়ও বলবোনা, একটা কেমন যেন অস্বস্তি মনের ভেতর সবসময়। বাসা থেকে আমাকে নিয়ে চিন্তা করে, আমি বাসার মানুষজনকে নিয়ে চিন্তা করি। চারপাশে শুধু চিন্তা আর চিন্তা। আজকে সন্ধ্যায় জামান এসে যখন বললো একটু আগে ভূমিকম্প টের পাইসি কীনা,

বিস্তারিত»

তবু

সব বুকে ভালোবাসা থাকে,
তবু সব বুক ভালোবাসা দেয় না।
সব বুক ভালোবাসা পেতে চায়,
তবু সব বুক ভালোবাসা পায় না।

 
ঢাকা
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

ধীরে বহে মেঘনা

সপ্তাহখানেক আগে খাবার টেবিলে অনেকটা আনমনেই বলছিলাম গ্রাম-বাঙলার মানুষের জীবনযাপনের কথা। তাদেরকে খুব কাছে থেকে দেখতে চাই। যেমনঃ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা কিংবা মৌসুমের প্রথম ধান লাগানোর দৃশ্য। কাকা এই কথাগুলো খেয়াল করছিলেন। এরপর দিন দুয়েক আগে হঠাৎ করেই মা বললো, ‘তোমার জাভেদ মামা কালকে মাছ ধরতে যাচ্ছে আমতলী। যাবা নাকি?’ জিজ্ঞাসায় জানতে পারলাম আমতলী হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম এবং মামার শ্বশুড়বাড়ি।

বিস্তারিত»

ঘুম আসেনা

ঘুম আসেনা, ঘুম আসেনা, ঘুম যে গেলো কই,
ঘুম পালালো নিরুদ্দেশে, একলা জেগে রই।
যাদুর একটা বালিশ ছিলো, রাখলে মাথা তাতে,
ঘুম পরীরা আসতো নেমে, কি মদির মৌতাতে!

বালিশটাতো আছে ঠিকই, তবে যাদুর পরশ নেই,
তাই ঘুম আসেনা ঘুম আসেনা, আসেনা কিছুতেই।
টিকটিকি আর ঘড়ির আওয়াজ শুনি থেকে থেকে,
লক্ষীছাড়া এক হুতোম পেঁচাও হঠাৎ ওঠে ডেকে।

ঘুম আসেনা,

বিস্তারিত»

স্বপ্নমাখা নকশীকাঁথা

গায়ে জড়ানো নকশী কাঁথাটার বুননে
কতগুলো স্বপ্ন জড়িয়ে আছে কে জানে!
কতগুলো আঙুলের দু’পিঠ আর তালুর
স্পর্শ আছে সেলাই এর প্রতিটি লাইনে।

কাঁথা মুড়ে শুয়ে যে কবি একান্ত নিভৃতে
মনে মনে রূপরেখা এঁকে চলে কবিতার,
আর দরদী আঙুলের নরম ছোঁয়া যার
কাব্যময় করে তোলে নকশী কাঁথাটাকে,
তারা উভয়ে কিছু কিছু স্বপ্ন দেখে থাকে।
সেসব লুকিয়ে থাকে কাঁথার ভাঁজে ভাঁজে।

বিস্তারিত»

বিষাদ বিলাসী

প্রতিটি প্রদর্শিত হাসির গভীরে
আমি পাই চাপাকান্নার আওয়াজ।
শোকগাঁথা শোনাই কি আমার কাজ?

প্রতিটি উচ্চকিত অট্টহাসির পেছনে
আমি সচকিত ফিসফিসানি শুনি,
আমি কি কেবলই এক বিষন্ন মুনি?

রৌদ্র করোজ্জ্বল দিনেও আমি দেখি
আকাশের ঈশান কোণে মেঘের চক্রান্ত
আমি কি সত্যিই এতটা সংশয়াক্রান্ত?

মধুর সঙ্গীতগুলোই বারবার,
আমার হৃদয় করে যায় ছারখার
শেলীর কথাই কি তবে,

বিস্তারিত»

ইস্যু যখন ইস্যু

প্রিন্ট-মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্যু কিভাবে হারায় ?? ইস্যু ২ ভাবে হারায় ।

১. কন্ট্রোভারসিয়াল বা ডিমোরালাইজিং কোন ইস্যুর পরপর যখন কোন এন্টারটেইনিং কিংবা গ্লোরিফাইং ইস্যু চলে আসে। পহেলা বৈশাখ ইস্যুর পরপর এখন যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেট সিরিজ চলে আসা। ১৬ বছর পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে ওয়ানডে জিতেছে এই ইস্যুতে এখন ফেসবুক গরম, পহেলা বৈশাখ মনে রাখার আর কি দরকার ??

২.

বিস্তারিত»

আশা

কোন বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে
আশা যেন এক অন্তহীন কুজ্ঝটিকা,
বিভ্রান্তির আবহে এক অলীক কুহেলিকা।

কোমল যে হৃদয় একবার আশাহত হয়,
ভঙ্গুর কাঁচের ন্যায় খানখান হয়ে যায়,
তারে জোর করে জোড়ালেও দাগ রয়ে যায়।

পরাভূত মন, দহে অনুক্ষণ,
ব্যথিত হৃদয় পায় কিছু উপশম,
আশার উষ্ণ চাদর তারে ঢাকে যতক্ষণ।

ঢাকা
২৭ নভেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»