আজ থেকে ঠিক নয় মাস আট দিন আগে সিসিবিতে আমার প্রথম প্রবেশ ঘটেছিলো। এরই মধ্যে এখানে অনেক বন্ধু, হিতাকাঙ্খী, শুভার্থী এবং বোদ্ধা সমালোচক পেয়ে গেছি। মতের মিল অমিল বড় কথা নয়, দিনশেষে মন খুলে কথা বলার একটা জায়গা খুঁজে পাওয়াটাই বড় কথা। সিসিবি’র যেসব পাঠক আমার লেখাগুলো পড়েছেন, সময় করে মন্তব্য লিখেছেন কিংবা আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন, আপনাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃ্তজ্ঞতা।
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ২৬
আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ
আমরা যখন প্রথম কলেজে যোগদান করি, তার মাত্র কয়েক মাস আগে জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এমসিসিতে যোগদান করেছিলেন। মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া একজন তরুণ শিক্ষক। তাঁর বাড়ী ছিল রাজশাহী এলাকায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি অঙ্ক শাস্ত্রে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে আমাদের কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন,
বিস্তারিত»যখন কবিতা লিখি
আমি যখন কবিতা লিখি,
তখন মনে আমার কোন প্রিয় গানের সুর বাজতে থাকে।
ঊর্ধ্বাকাশ থেকে নেমে আসে যেন কোন আলোকচ্ছটা,
যা মন খারাপ করা বিমর্ষ আঁধারকে আলোকিত করে,
জাগতিক পঙ্কিলতার ঊর্ধ্বে উঠে
আমি বিশুদ্ধতায় অবগাহন করতে থাকি,
আর ক্রমে ক্রমে নিজেকে নিষ্কলুষ বোধ করতে থাকি।
কবিতা লিখার সময়
কিছু বিশুদ্ধ ভালোবাসার কথা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে।
হ্রস্ব দ্বিপ্রহর, দীর্ঘ বিক্ষিপ্ততা
কার্তিকের এই হ্রস্ব দ্বিপ্রহরে আমি অস্থির থাকি।
মনে হয়, গাছপালা ফুল পাখি প্রকৃতির সবকিছু
যেন বিষন্নমনে তপস্যায় বসা, গোধূলির খোঁজে।
খুঁজতে খুঁজতেই বিকেলটা হারিয়ে যায় অবেলায়।
দুপুরের পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। টেবিলে বিক্ষিপ্ত
পড়ে থাকে কাগজ কলম, যাবতীয় বিল আর পত্রাদি।
অগোছালো মনের মতই ইতস্ততঃ ছড়ানো ছিটানো।
ত্রস্ত মনে যা গোছানোর কথা ভেবে অস্থির হয়ে উঠি।
আলস্য ঘিরে ধরে।
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ২৫
কিংবদন্তী শিক্ষক JRS (দ্বিতীয় পর্ব)
JRS taking a break from walking around Hyde Park
JRS at Prof Saleh’s (my batch mate) apartment.
JRS at Albert Memorial
“কিংবদন্তী শিক্ষক JRS” এর উপর আমার আগের লেখাটা পড়ে অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। কেউ টেলিফোনে, কেউ ই মেইলে, কেউ ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে কিনা,
বিস্তারিত»অসভ্য সামরিক ছাউনি !
১। “পার্বত্য চটগ্রামে প্রবেশ করার সময় সামরিক ছাউনির অভ্যর্থনার দৃশ্যের মত কদর্যতম চেহারা একটি রাষ্ট্রের হতে পারে না।”
২। “আপনি একটি শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন আর তখনি প্রবেশ্মুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সামরিক বাহিনীর ছাউনি। এটা কোন সভ্য দেশে চলতে পারে না।
৩। “প্রতিনিয়ত সামরিক ছাউনির সঙ্গে এখানকার মানুষের সাক্ষাৎ হবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। এটা কাম্য হতে পারে না।”
সম্প্রতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানুর রহমান রাঙামাটি জেলা পরিষদের হলরুমে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ২৪
JRS এর এই ছবিটা ২০১৪ এর মধ্য জুলাই এ তোলা হয়েছে, লন্ডনে।
কিংবদন্তী শিক্ষক JRS
এমসিসি তে এসে প্রথম যেদিন থেকে ক্লাসে যোগদান করলাম, সেদিন থেকেই জেনেছিলাম এখানকার শিক্ষকগণ তাদের নামের আদ্যোক্ষর দিয়ে পরিচিত। যেমন নাজমুল আহসান-NA, নূরুল ইসলাম-NI, হায়দার আলী-HA, ইত্যাদি। প্রথম দিনের ইংরেজী ক্লাসের শিক্ষক হিসেবে ক্লাস রুটিনে দেখলাম নাম লেখা আছে JRS। কল্পনা করতে থাকলাম,
মায়া
তোমার কাননে আজ লেগেছে বসন্তের হাওয়া,
তাই দখিনা বাতাসের মৃদুমন্দ আসা যাওয়া।
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে জ্বলে ফাগুনের আগুন,
সৌরভে মৌতাতে শোনা যায় ভ্রমরের গুনগুন।
আমার আকাশে আজ শুধু আষাঢ়ের ঘনঘটা,
তাই শার্সিতে আছড়ে পড়ে বৃষ্টির ভারী ফোঁটা।
বাতাসের ঝাপ্টাটা আমায় ভিজিয়ে দিয়ে যায়,
তবু জানালাটা খোলা রাখি যেন কিসের মায়ায়!
ঢাকা
১১ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
পেঁয়াজমানব
অত্যন্ত যত্ন সহকারে নাকের লোম ছিঁড়ছিলাম। নিশ্চিত ছিলাম যে এই দৃশ্য কেউ দেখবে না- রেস্তোরাঁ পুরোই খালি। শৈল্পিক এই কাজে ডুবে যেতে যেতে টেরই পাইনি, মৌরি আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়ে আছে ।
মৌরির গলা খাঁকারি আমায় বাস্তব জগতে ফেরালো। ঘাড় ঘুরিয়ে বিব্রত বোধ করলাম বেশ। চেয়ারের নীচে কোনমতে হাত মুছে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে বললাম, ‘আরে মৌরি, এসেছ?’
মৌরি তিক্ত দৃষ্টিতে আমার হাতের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো।
জীবনের জার্নাল – ২৩
আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন আমাদের বাংলার শিক্ষক ছিলেন, তবে ইংরেজীতেও তাঁর বেশ ভালো দখল ছিলো। একইসাথে তিনি নজরুল হাউসের হাউস মাস্টারও ছিলেন। প্রতিদিন সিরিয়াসলী পড়াতেন না, কিন্তু যেদিন তাঁর পড়ানোর মুড আসতো, সেদিন তিনি পিন পতন নিস্তব্ধতার মাঝে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যেতেন। আমরা হয়ে থাকতাম তাঁর বিমুগ্ধ শ্রোতা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, গোলাম মোস্তফা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ কবিদের লেখা থেকে তিনি প্রচুর রেফারেন্স টানতেন।
তারপর…
একদিন ঝড়ো রাতে তুমি এসেছিলে,
চুপচাপ কাছে এসে পাশে বসেছিলে।
বোশেখের আমগুলো ঝরে পড়েছিলো,
প্রদীপের শিখাটুকু নিভে গিয়েছিলো।
তারপর…
মনে পড়ে?
তারপর আর তেমন কিছু নয়…
আঁধার মাঝেই উঠে তুমি রসুইঘরে গেলে,
উনুন ফুঁকে পাটখড়িতে আগুন ধরালে।
সেই আগুনে নিভে যাওয়া সলতে জ্বালালে,
আবার পাশাপাশি আলোয় বসে গল্প শোনালে…
ঢাকা
০৪ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
জীবনের জার্নাল – ২২
আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাসউদ হাসান
সপ্তম শ্রেণীতে যাঁরা পড়াতে আসতেন, তাঁদেরকে বিষয় বিশেষজ্ঞ না হলেও চলতো। মনে আছে প্রথম দিন কিংবা প্রথম দিকের কোন একদিনে ভূগোলের শিক্ষক জনাব মাসউদ হাসান স্যার এসেছিলেন আমাদের পৌরনীতি পড়াতে। যেহেতু ইংরেজী মিডিয়াম, পৌরনীতিকে বলা হতো সিভিক্স। Civics, Geography এবং History, এই তিনটি বিষয়ের একত্রিত নাম ছিল সোশ্যাল স্টাডীজ। মাসুদ হাসান স্যার ক্লাসে এসে প্রথমে সংক্ষেপে তাঁর পরিচয় তুলে ধরলেন,
“ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন চেকার” নামক একটা অ্যাপ বিষয়ে কিছু উপকারী প্যাচাল
VAT শব্দটা প্রথম জানতে পাই ক্লাস সিক্সে সাধারণ জ্ঞান বইয়ের এব্রিভিয়েশন সেকশনে। ভ্যালু এডেড ট্যাক্স। কাঠখোট্টা টাইপের জিনিস। তো কথা হলো সিসিবিতে এখন এই ভ্যাট নিয়ে হুট করে লেখার কি দরকার পড়লো? কারন আছে.. ভ্যাট এমনিতেই বেশ হট টপিক ছিল গতমাসে। স্পেশালি শিক্ষাখাতে ভ্যাট যোগ করা নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়ে গেল। তবে এই পোস্ট এর ফোকাসটা একটু অন্য জায়গায়। সাম্প্রতিক সময়ে আরো কিছু ব্যাপার আমাদের গোচরে আসছে।
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ২১
পকেট মানি’র অবিশ্বাস্য বরকতঃ
প্রতি টার্মের শুরুতে আমাদের অভিভাবকদেরকে আমাদের পকেট মানি বাবদ কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট ৫০.০০ (পঞ্চাশ টাকা মাত্র) পাঠাতে হতো। আজকের দিনে কি এটা বিশ্বাস করা যাবে, যে তিন মাসের জন্য মাত্র পঞ্চাশ টাকা হাতখরচ? অথচ তখন এই ক্ষুদ্র এমাউন্ট থেকেও কিছুটা হলেও বাঁচানো সম্ভব হতো। কোন দুষ্টামির কারণে কিংবা কোন কিছু হারিয়ে ফেলার কারণে কারো কোন মাইনর ফাইন হলে সেটাও এখান থেকে মিটানো হতো।
আমি আবার সমুদ্রে যেতে চাই
আমি আবার একদিন সমুদ্রে যেতে চাই,
হোক তা রৌদ্র করোজ্জ্বল চকচকে দিন,
কিংবা কোন দুঃখিনী নারীর মুখের মত
মেঘাচ্ছন্ন মলিন, তবু সমুদ্রে যেতে চাই।
সৈকত যেমনই হোক, সমুদ্রে যেতে চাই,
বালুময় কিংবা প্রস্তরাকীর্ণ, সমস্যা নাই।
সৈকত থেকে যদি দূরের কোন বাতিঘর
আমাকে ইশারায় ডাকে, আমি প্রফুল্ল হই।
হোক সে সৈকত ভীড়াক্রান্ত বা পরিত্যক্ত,
তবু আমি আনমনে সমুদ্রে বেড়াতে চাই।