ধ্রুপদী ভাবনা

নিজ হাতে যবনিকা টেনে দিলে তুমি,
ওগো সুদূরিয়া!
ঝরাপাতার দিন শুরু হয়ে গেছে বলে,
তুমি তাকেও ঝরিয়ে দিলে!

শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি
সকাল দুপুর সাঁঝে,
যে বুকে সতত বাজে,
সেতো ঝরেই যাবে!

ঝরা পাতার মুখ তুমি মেঘের মাঝে
খুঁজতে যেয়োনা, সুদূরিয়া!
তুলো নাকো কোন দুখ জাগানিয়া গান
বিষন্ন পাঁজরের মত পিয়ানোর রীডে।

তোমার একটি মায়ামাখা কথা
বদলে দিতে পারে পৃথিবীর যত বিষন্ন সুর,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৪

একাকীত্বঃ
যারা দুষ্টুমি করে জ্বর এনেছিলো, তারা মহা আনন্দে বাড়ী চলে গেলো। আমার সত্যি সত্যি জ্বর এলো, তাই আমি রয়ে গেলাম শুনশান, ক্যাডেটবিহীন এমসিসি’র নিস্তব্ধ প্রান্তরে। বড্ডো একাকী বোধ করতে লাগলাম। দিন কাটেনা। আমি ছাড়া আর বাকী যে তিন চারজন ছিলেন, তারা সবাই সিনিয়র, কিন্তু খুবই ভদ্র। তারা আমার প্রতি অত্যন্ত সদয় ব্যবহার করতেন। আমার কাজ ছিলো তারা যদি কখনো কোন আলাপ শুরু করেন,

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (চ)

শ্যাম্পু কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম। বাথরুমে অনেক দিন আগে থেকেই দেখছি মেরিল বেবী শ্যাম্পুর একটি শিশি পড়ে আছে। সম্ভবত আমার ভাতিজি ওয়ারিশার মাস তিনেকের অবস্থানের সময় কেনা হয়েছিল। রাত বাজে প্রায় দেড়টা। ঈদের পরে প্রথম অফিসের আগের রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে যাচ্ছে চিন্তা করতে করতে শিশিটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে নিলামঃ ‘E-09/16’ যাক তাহলে এখনো তারিখ আছে। হাতে নিয়ে মাথায় ডলে দিতেই পরিচিত সেই গন্ধ। শিশুদের গায়ের সেই চিরচেনা গন্ধ।

বিস্তারিত»

গোয়িং বাটন

সকালে খবরের কাগজে চোখে পড়েছিল, আজ চৈত্রের ২৩ তারিখ।

রাস্তায় বেরিয়ে ‘চৈত্র’ শব্দটা আবার মাথায় উঁকি দিল। কাঠফাটা গরম পড়েছে। এমন আগুনগরম দুপুরে হলুদ পাঞ্জাবী পরা হিমুরা ঘোরের জগতে চলে যায়। আমি হিমু নই, এই নারকীয় মধ্যাহ্নের ভেতর মহাকাব্য খোঁজার চেষ্টা আমার কাছে অনাবশ্যক বিলাসিতা। অসহ্য লাগছে… একটা রিকশা পেলে মেয়েদের মত হুড তুলে চলে যেতাম।

অবন্তী মেয়েটা আসলে পাগল আছে!

বিস্তারিত»

সাংসারিক…

অনামিকা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিলো…
মধ্যরাতে আবীর বিছানায় এসে দেখে,
অনামিকা ডান পাশ ফিরে কাৎ হয়ে শোয়া,
নাকের ডগায় তার চশমাটা শিথিলভাবে বসা।

অনামিকা সবসময় ডানপাশে কাৎ হয়ে শোয়,
আবীরের বাড়ানো বাহুটাতে মাথা রেখে শোয়।
তারপর দু’জনে মিলে পিলো টক করতে করতে
ওরা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তো কখনো আবার
মাঝরাতে এপাশ ওপাশ করে মুখ ফিরে শোয়।
রাত জেগে খেলা দেখছিলো বলে আবীর আজ
বিছানায় দেরীতে এলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৩

আমাদের ক্লাসের প্রথম এক্সট্রা ড্রিলঃ
এমসিসিতে আমাদের প্রথম বছরের প্রথম টার্মের কথা। নজরুল হাউসের পেছনে ছিলো প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারী স্যারের বাসা। রাতের বেলায় নজরুল হাউসের রুমে লাইট জ্বালানো থাকলে কে কি করছে তা তিনি নিজ গৃহ থেকে বেশ দেখতে পেতেন। একদিন লাইটস আউটের আগে নজরুল হাউসের আমার তিন সতীর্থের খুব হাউস চাপলো বক্সিং বক্সিং খেলার। যথারীতি খেলা শুরু হলো। রুম ক্যাপ্টেন মনে হয় ঐ সময় বাথরুমে ছিলেন।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১২

এমসিসিতে রোজাঃ
এমসিসিতে প্রথম রোজাটা পেয়েছিলাম মাঘের শীতে। যেদিন আকাশে প্রথম রোজার বাঁকা চাঁদটি ওঠার কথা, আমরা সবাই সেদিন হাউসের ছাদে উঠেছিলাম তাকে স্বাগত জানাতে, আর আশ্বস্ত হতে। কিন্তু আমরা তার দেখা পাইনি। পরে রাতে খবরে শুনেছিলাম রাওয়ালপিন্ডির কোথাও চাঁদ দেখা গেছে, তাই পরদিন থেকে রোজা শুরু, অর্থাৎ ঐ রাতেরই শেষরাত থেকে সেহেরী খেতে হবে। কলেজে যাবার আগেও বাসায় রোযার মাসে রোযা রাখতাম, তবে তখনো সম্ভবতঃ পুরো মাসব্যাপী রোযা রাখা হয়নি।

বিস্তারিত»

দ্বিখন্ডিতা

অনামিকা স্বেচ্ছায় দ্বিখন্ডিতা হয়ে যায়।
এক খন্ড দিয়ে সে কবিতা লেখায়,
আরেক খন্ড দিয়ে সে কবিতা লেখে।
এক খন্ড হয়ে যায় যাপিত জীবন,
অপরখন্ড থেকে যায় অশ্রুর কারণ।

ঢাকা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

খাঁচার পাখি গায় কেন গান জানি (অনুবাদ কবিতা)

বাতাসের পিঠে লাফিয়ে উঠে মুক্ত পাখি,
ডুব দিয়ে যায় নীচের দিকে যেথায় এসে
শেষ হয়ে যায় স্রোতের নাচন, আর তখন
পাখনা মেলায় কমলা রঙের রোদ্দুরে,
দুঃসাহসে আকাশটাকেই দাবী করে।

কিন্তু সরু খাঁচায় বন্দী আছে যে পাখিটা,
সে হেঁটে বেড়ায় চুপি চুপি। ক্রোধের বেড়া
পার হয়ে তার দৃষ্টি কদাচ বাইরে বেরোয়।
তার ডানা জোড়া এঁটে দেয়া, পা দুটোও
বাঁধা থাকায়,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১১

প্রথম “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”। নামটা সবার জন্য “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন” হলেও, আসলে প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপাল আর এডজুট্যান্ট, এই তিনজন মিলে ভাগাভাগি করে তিন হাউসে ইন্সপেকশনে যেতেন। শুক্রবারে কলেজে এসে রোববারেই এই কঠোর “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”এর সম্মুখীন হলাম এমসিসির কোলে আসা আমরা এই ৫৬ জন সদ্যজাত শিশু। অনেকের অনেক রকম পরামর্শ শুনে মাঝে মাঝে আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। একদিক দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম যে কাপড় চোপড়, জুতো স্যান্ডেল, বই পত্র সবই নতুন।

বিস্তারিত»

জীবন চাপ দিচ্ছে

একটি দিনলিপি সিরিজ চালাচ্ছিলাম। সেটার মাঝে বিভিন্ন স্বাদের মসলা দেয়ার চেষ্টা করতাম। সেটায় হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেললাম। এরমাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। এতকিছু ঘটেছে যে সেগুলো নিয়ে লিখতেও ইচ্ছা করছে না। পাছে লোকে কিছু বলে (কিংবা বলতে পারেন পাছে লোকে কোপ মারে?) বলতে বলতে কোপ নিয়ে কিছু মরবিড রসিকতা করতে ইচ্ছে হচ্ছে। নাহ। সেটাও ঢোক হিসেবে গিলে ফেলি। তখন যদি আবার টিকটিকি পিছু নেয়?

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১০

আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

অর্থহীন

সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।

এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৯

10933813_10152545555877623_7983992424556605231_n
My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)

যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো।

বিস্তারিত»

ভূধরের পাদদেশে এক নামহীন উপল

ভূধর পৃষ্ঠে ঘুমিয়ে ছিলাম
এক নামহীন উপলের মতো,
সময় হলে গড়িয়ে গেলাম,
ধুলো মেখে গায়ে যতো।

পথে পরিচয় কত ঝোপ ঝাড়
আর গুল্মলতার সাথে,
কত পাথরের বোবা কান্না
শুনেছি সন্ধ্যা প্রাতে।

বহু পথ ধরি গড়াগড়ি করি
আজ পড়ে আছি পাদদেশে,
বয়ে যাই কত অচেনা জনের
পদভার অক্লেশে!

ঢাকা
০৯অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»