হাত ধরো

পথ চলতে চলতে যদি পিছলে পড়ি,
হাত ধরো, অন্ততঃ একটি হাত।
আবার উঠে দাঁড়াবো, ঘুরে দাঁড়াবো।

ভুল পথে যদি কখনো পা বাড়াই,
শুধু একটি হাত ঊঠিয়ে ইশারা করো,
নিমেষেই বুঝে নিব, ফিরে আসবো।

একান্তে যদি কখনো কিছু বলতে চাও,
আলতো করে শুধু হাতটি ধরো,
বুঝে নিব, বলার আগেই বুঝে নিব।

ঘুমের মাঝে যদি কোন বার্তা দিতে চাও,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল

জীবনের জার্নাল

প্রায় একষট্টি বছর আগে কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়নের শেষ দিনে, রোববারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনীতে আমার জন্ম হয়। এমনিতেই ছোট দিন, তখন দিনেরও প্রায় শেষ, একটু আগেই আসরের নামাজীরা মাসজিদ থেকে ঘরে ফিরে গেছে। ক্লান্ত সূর্য্টা দিগন্তে রক্তিমাভা ছড়িয়ে অস্ত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, পাখিরা ঘরে ফেরার। এমনি এক সময়ে আমি দিনের শেষ আলোটুকু ধরার জন্যই যেন পৃ্থিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হ’লাম।

বিস্তারিত»

বর্ষা ও প্রাইভেসি

সকালে উঠেই চোখ কচলে যদি দেখি, দূর আকাশে
ঘন কালো মেঘের আনাগোনা, আর চারিদিক থেকে
ধেয়ে আসছে অথৈ আঁধার, তখন থেকেই আমার
মনের মাঝে একটা ময়ূর পেখম মেলতে শুরু করে।

শ্রাবনের প্রথম শীতল বারিধারাকে স্বাগত জানাতে
প্রকৃতির গাছ গাছালিগুলো যেন উন্মুখ হয়ে থাকে।
ঘনসবুজ ডালপালাগুলো আনন্দে হেলেদুলে নাচে,
পাখীরা খুশীতে হঠাৎ হঠাৎ গান গায়, আসে যায়।

বর্ষার কালো মেঘ দেখলেই,

বিস্তারিত»

সমস্যা আছে

ভরা যৌবনেও যে বাঙালি কবিগুরুর সন্ধান পায়নি,
তার চিত্তের মাঝে দৈন্য আছে, কিছু সমস্যা আছে।
যে বাঙালি যুবক তার কবিতা কিংবা গল্প পড়েনি,
সে তো জানলোনা সে কতটুকু আত্মবঞ্চিত হয়েছে।
প্রেমে পড়েও যে বাঙালির প্রেমিক চিত্ত রবীন্দ্র সংগীত শুনে
একটুও দোলায়িত হয়নি্, সত্য ও সুন্দরের সন্ধান করেনি,
নদী ও জ্যোতস্নাকে ভালোবাসেনি, বিরহী পাখীর কূজনে
প্রিয়ার কন্ঠ শোনেনি, সে যুবকের কিছু সমস্যা আছে।

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ: জঙ্গীবাদ, ক্যাডেটীয় ভ্রাতৃত্ববোধ এবং কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা

[শিরোনাম দেখে যদি কেউ ধরে নেন ক্যাডেট কলেজ এবং এক্স ক্যাডেটদের বিষোদাগার করবার জন্য লিখছি, তাহলে অনুরোধ করব দয়া করে লেখাটা নির্মোহভাবে পড়ুন। আমার পুরো লেখাটার উদ্দেশ্যই সমস্যাটার মূল বোঝার চেষ্টা করা এবং সমাধানের পথ খোঁজা]

এক

আমাকে যদি সত্যিকার অর্থে আমার জীবনের সবচাইতে বড় সৌভাগ্যগুলোর মধ্যে পাঁচটা বেছে নিতে বলে, তাহলে সম্ভবত আমি প্রথমেই বলব ক্যাডেট কলেজের কথা। কথাটার মাঝে আবেগ যতটুকু তারচেয়ে নির্মোহভাবে প্রাপ্তির হিসাব নিকাশ কোন অংশে কম নয়।

বিস্তারিত»

খইমুদ্দির খাট

খইমুদ্দি কখনো কোনদিন খাটে শোয়নি।
এবাড়ী ওবাড়ী গেছে দিনমজুর হিসেবে,
গায়ে গতরে খেটেছে। কাঠমিস্ত্রীর সাথে
শ্রমিক হিসেবে ফুট ফরমাস খেটেছে,
একটা একটা করে অংশ জোড়া লাগিয়েছে।
এভাবেই সে তাদের ঘুমের ব্যবস্থা করেছে।

আনমনে খইমুদ্দি অবাক বিস্ময়ে ভেবেছে,
কি করে এমন খাটের উপর মানুষ ঘুমায়!
খইমুদ্দির জীবনের আধেক রাত কেটেছে
একটি গোয়াল ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে কোণে,
বাকী আধেক বাঁশতলার একটি ছাপড়ায়,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ এক ফুল

বনের মাঝে কত রঙের ফুল ফোটে,
নীল-বেগুনি, লাল-সাদা আর হলদেটে।
রঙ্গিন ফুলের রঙ্গিন শোভার মাঝখানে,
কোনটা হাসে, কোনটা কাঁদে কে জানে?

প্রজাপতি, ফড়িং এর দল সব ছোটে,
রঙের নেশায়, মধুর আশায়, তা বটে।
পাখনা মেলে হাওয়ায় ভেসে যায় উড়ে,
ফুলের মধু খেয়ে বেড়ায় ঘুরে ঘুরে।

পুষ্পরেনু জড়িয়ে তাদের হাল্কা গায়ে,
বয়ে নিয়ে পাখায় পাখায়,

বিস্তারিত»

শেকড়

কখনো কখনো আমি ইউক্যালিপ্টাস গাছের মত
তরতরিয়ে বেড়ে উঠি।
সতীর্থদের ছেড়ে মাথা উঁচু করে আকাশ দেখি,
সবার আগেই আকাশ দেখি।
তবে যতই উপরে উঠিনা কেন, আমার পাতারা
সব ভূমিমুখী হয়ে ঝুলে থাকে,
আমার ডালপালাগুলো হঠাৎ হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে,
আমি শেকড়ে ফিরে আসি।

কখনো কখনো আমি লতাগুল্মের ন্যায় কান্ড খুঁজি,
উপরে ওঠার পথ খুঁজি।
মহীরুহকে আঁকড়ে ধরি,

বিস্তারিত»

সত্যাশ্রয়ী প্রার্থনা

পেছনে ফেলে এসেছি অনেকটা পথ,
জানা অজানায় করা অনেক শপথ,
কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা অনেকটা তার,
শ্বাপদ সংকুল ছিল কখনো আবার।
বরাভয় ছাড়াই তবু হেঁটে এসেছি,
ভুলে ভ্রান্তিতে প্রভু তোমায় স্মরেছি।

যা কিছু সত্য, ঋজু, ন্যায় ও সুন্দর,
হে প্রভু, বেঁধে রেখো মোরে নিরন্তর
তারই সাথে। আর যা কিছু অসত্য,
বক্র, ভ্রষ্ট ও অসুন্দর, প্রভু রচে দিও
তা থেকে আমার ব্যবধান দুস্তর।

বিস্তারিত»

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা সেই মেয়ে

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা এক মেয়ে
প্লে গ্রুপে পড়তো যখন প্রিপারেটরী স্কুলে,
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনেটুনে রেডী করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে পানি,
তাইনা দেখে বাকী সবাই করতো কানাকানি।
ঐটুকু এক মেয়ে, তার মনেও কত মায়া,
সাথীর চোখের অশ্রু তাকে করতো অসহায়া।

পকেট থেকে টিস্যু নিয়ে মুছাতো চোখের জল
তার নরম কথায় ছিঁচকাঁদুনে মনে পেতো বল।

বিস্তারিত»

জন্মে ও মৃত্যুতে বেদনা

শিশু জন্মের বেদনার কথা প্রসূতি জানে,
বুনোফুল ফোটানোর ব্যথা বনভূমি জানে।
পিয়ানোর মূর্ছনার ব্যথা বেটোফেন জানে।
কবিতার বেদনার কথা শুধু কবিই জানে।

হলুদ পাতা ঝরার ব্যথা মালিনী বোঝে,
পরিত্যক্ত পিয়ানো তার বাদক খোঁজে।
তটিনীর যে স্রোতধারা মরুতে হারায়,
উৎস গিরি বারে বারে তার পানে চায়

বেদনা ছাড়া সৃষ্টি হয় না,
বেদনা ছাড়া ধ্বংস হয় না।

বিস্তারিত»

আলস্যে ভিজেছে মন, বৃষ্টিতে আর কি আসে যায় !

এক আমেরিকান বন্ধুর কাছ থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড সেনহেইজার হেডফোন টা কানে লাগিয়ে কাউচে বসে গেলাম। ল্যাপটপে অর্ণব এর রবীন্দ্রসঙ্গীত এর প্লে-লিস্ট টা ছেড়ে দিলাম। কম করে হলে একটা ঘন্টা আর গান সিলেকশন করতে হবেনা। একটানা চলতে থাকুক। পারফেক্ট আবহাওয়া। বসে আছি আমার স্পন্সর ফ্যামিলির বাসার বেজমেন্টে।রাত প্রায় ১০ টার মতন। সন্ধ্যাই ঠিক মতন হলো ঘন্টাখানেক আগে। সূর্য টা ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই আকাশ কালো করে মেঘরা জড় হচ্ছিল।

বিস্তারিত»

আমি তোমার নই (অনুবাদ কবিতা)

আমি তো তোমার নই, হারাইনি তোমাতে,
হারিয়ে যাইনি, যদিও চাই নিঃশেষ হতে
দ্বিপ্রহরে জ্বালিয়ে রাখা মোমের মত,
সাগরে বিলীন হওয়া স্নোফ্লেক উদ্ভিদের মত।

তুমি আমায় ভালোবাসো, তাই আমি এখনো
তোমাতে দেখি এক উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস অনুপম।
তথাপি আমিতো আমিই, হারাতে যে চায়,
আলোর মাঝে আলো যেভাবে হারিয়ে যায়।

আহ, আমাকে ডুবিয়ে দাও প্রেমের গভীরে,
আমার চেতনাগুলো নিভিয়ে দাও তিমিরে,

বিস্তারিত»

তোমার কবিতাগুলো

তোমার কবিতাগুলো,
কোন মোহিনী নারীর নাকে বসে থাকা
অমূল্য হীরক কণার ন্যায় প্রতিভাত হয়।
ঝলসে ওঠা দ্যূতি হঠাৎ হঠাৎ বিচ্ছুরিত হয়,
আবার কখনো ছেয়ে যায়, ম্লান পেলবতায়।

তোমার কবিতাগুলো,
পড়ে ফেলার পরেও আমার অগভীর কর্ণকুহরে
দিকভ্রান্ত পাগলিনীর ন্যায় অবলীলায় কথা বলে,
কখনো তা অর্থহীন মনে হয়, কখনো বাঙময়।
কিভাবে ওসব লেখা হয়, তা এক অজানা বিস্ময়।

বিস্তারিত»

অন্য আয়োজন

তুমি আমি মিলে কত না হৈ হুল্লোরে আর
কতনা আয়োজন করে সাজালাম এ জীবন!
তুমি আমি মিলে…

তুমি আমি মিলে যেদিন ‘আমরা’ হয়ে গেলাম,
কতনা সহজে ভুলে গেলাম,
একদিন আমরা তো শুধু আমিই ছিলাম।

তুমি আমি মিলে একসাথে কত দৌড়ঝাঁপ করে
একসাথে হাঁপিয়েও উঠলাম,
হৃদস্পন্দন একটু থিতু হতেই আবার দৌড়ালাম!

তুমি আমি মিলে ঘাটে বাটে থেমে তুলে নিলাম
জীবনের কত না সোনালী সঞ্চয়,

বিস্তারিত»