ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন শাহীন কলেজে ভর্তি পরীক্ষা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগের পরীক্ষাটিতে কিছু একটা গোলমাল করে এসেছি। শুনে বাসায় সবার মুখ কালো। বিরতির পরের দুটো পরীক্ষা দিয়ে মনে হচ্ছে সম্ভব…দেখা যাক। সংবাদপত্রে রোল নম্বর দেখে মায়ের মুখে হাসি দেখেছিলাম কি? মনে নেই। শুক্রবার আসা হলো মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনে। মৌখিক পরীক্ষা। হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হলো আমাদের ১০-১৫ জনকে। সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট হাতে ছোট টেস্টটিউব ধরিয়ে দিয়ে কর্কশ গলায় বলল,
বিস্তারিত»সংসদ নিয়ে আমাদের পড়াশোনা
ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্স আন্তর্জাতিক স্থাপত্য ও শিল্পের ইতিহাসে কি পরিমান গুরুত্ব বহন করে এ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই। কিসের জন্য এই বিশাল স্বীকৃতি, কেন এই পোস্ট-মডার্ণ স্থাপনা পৃথিবীর সর্বকালীন সেরা ১০০ স্থাপত্যের নিদর্শনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, তা নিয়ে অনলাইন ঘাটলে প্রচুর লেখা পাওয়া যাবে। তবে একটা precise সারমর্ম দাঁড় করাতে চাইলে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ের কোন বিকল্প নাই।
বিস্তারিত»ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর
ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর
কেন যেন হঠাৎ করেই নীচের লাইনগুলো লিখতে ইচ্ছা হল। ইদানিং ইমোশোন চেপে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ৬৪২-এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী আসলেই বোধহয় আমাদের ঘণ্টা বাজার সময় শুরু হয়ে গেছে।
গত কয়েকদিন খুব কষ্ট করে নেট ব্যবহার করতে হয়েছে। ছিলাম দিনাজপুরে, থ্রী-জি কাজ করেনা সেখানে। গরুর গাড়ির গতিতে ৬০৩-এর ব্যপারে প্রতিটা খবর নিচ্ছিলাম। মনের অবস্থা কেমন ছিল,
বিস্তারিত»একজন সুপারস্টার এর গল্প
২০০৪ সাল! ক্লাস সেভেন এ আমরা তখন। সবে মাত্র কলেজে ঢুকেছি তখন। পান থেকে চুন খসলেই তখন ভয়ে আমাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায়। একদিন কোন এক ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাই কি একটা কাজে আমাকে ১১ নাম্বার রুমে পাঠান। আমাদের কলেজে কোন সিনিয়র এর রুমে ঢুকতে হলে দরজার পাশে দাড়িয়ে সোজা সামনের দিকে তাকিয়ে পারমিশন নিতে হয়। ১১ নাম্বার রুমের জন্য স্পেশাল একটা পারমিশন ছিল। মে আই কাম ইন প্লিস এর জায়গায় আমাদের বলতে হতো,”বলে কাছা আমা সুখ”
বিস্তারিত»তবু ফিরে ফিরে আসি (হতে পারতো ফেইসবুক, আপাতত সিসিবি)
পাঠক হিসেবে প্রায় প্রতিদিন লগ-ইন করে লেখা ও মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করা বড় কষ্টকর। বিশেষ করে নিয়মিত হাতিঘোড়া লেখার অভ্যাস থেকে পাঠকের অবস্থানে নেমে আসলে হাত নিশপিশ করতেই থাকে। সেই অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে যখন সামাজিক মাদক ফেইসবুকে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়া হয়। লোক দেখানো হচ্ছেনা। কি ভাবছি বলা হচ্ছে না। কি দেখছি লেখা হচ্ছে না। ছবি তোলা হচ্ছে না। ফেইসবুকে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছি।
বিস্তারিত»স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া
দুঃস্বপ্নময় মাঝরাত
মাঝরাতে হঠাৎ জেগে যখন প্রচণ্ড গরমে আপনি ঘামছেন এবং মাথার উপরে ক্লান্ত নিস্তেজ সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন কিঞ্চিৎকর মনে হচ্ছে, আপনার আশেপাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না ডাকার মত কিংবা কথা বলার মত এটা ঠিক সেই সময়ের গল্প। যাপিত জীবনের সকল সাফল্য ছুঁয়ে নিজেকে সফল এবং ভাগ্যবান মনে করে, না হারানোর বিলাস কষ্টে আত্মমগ্ন হয়ে যখন দুঃখবিলাসে ডুবতে চাচ্ছেন হয়তো বা এটা সেই সময়ের গল্প।
পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ১১ [শেষ পর্ব]
১৯ মার্চ, ২০১৪, বুধবার, বিকাল কিংবা সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট
ডে লাইট সেভিং চালু হয়ে গিয়েছে এই মাসের ৯ তারিখ থেকে। কিঞ্চিত বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। সামনে আসছে ম্যারাথন লম্বা দিন। এখনি সূর্য ডুবছে ৮টা ০৫ মিনিটে। এটা গড়াতে গড়াতে ৯টা ৫০মিনিট পর্যন্ত যাবে। টেবিলে বসে রাতের খাবার খাচ্ছি আর এক চিলতে রোদ এসে গায়ে পড়ছেঃ এরকম উদ্ভট অনুভূতি খুব কমই হয়েছে জীবনে। ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানা নেই তবে এখানের গ্রীষ্মকালে রাতে ঘুমাতে বেশ দেরী হয়েছে গতবার।
হয়তো তুমি
হয়তো তুমি স্মৃতির ভীড়ে একলা কোন মেঘ
হারিয়ে ফেলার ভয় হারিয়ে দাঁড়িয়ে নিরুদ্বেগ
হয়তো তুমি হঠাৎ দেখা খুব চেনা এক তারা
আঙুল গলে লুকিয়ে পড়া শ্রাবণ জলের ধারা
হয়তো তুমি দূর অতীতের একটু অভিমান
সুখের ঘোরে আনমনা এক বিষণ্নতার গান
হয়তো তুমি সন্ধ্যেবেলার হঠাৎ অন্ধকার
নিছক আশায় শব্দে, ভাষায় মগ্ন ছন্দকার
হয়তো তুমি নওতো তুমি, তুমি অন্য কেউ
তুমি বোধহয় স্মৃতির না’য়ে আছড়ে পড়া ঢেউ
শুভ জন্মদিন ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭
আজ তেইশে মার্চ ,
ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭ থেকে ১৩ এর ক্যাডেটদের সবার দ্বিতীয় জন্মদিন আজ ।
দেখতে দেখতে সাত সাতটা বসন্ত পেরিয়ে গেলো ।
কিন্তু আজো স্মৃতির পাতায় স্পষ্ট ভাসে দিনটি ,
দিনের প্রতিটি মুহূর্ত আজো হুবহু বলে দিতে পারবো ।
আজ কয়েকটি ঘটনা খুব মনে পড়ছে ।
সত্যি ঘটনা , প্রাইভেছি রক্ষার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঘটনাগুলো শেয়ার করছি…।।
পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ১০
৪ মার্চ ২০১৪, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭টা
ইদানিং প্রথম আলো পড়ি না। আমি মনে করি এরচেয়ে সাদা বরফের দিকে চেয়ে থাকলে কিংবা কোমর ধরে উঠাবসা করলে যথাক্রমে চোখ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তারপরেও মানুষ বিগম্যাক কিনে কিংবা পান করে মনস্টার এনার্জি ড্রিঙ্ক তাই আমিও অসুস্থ স্বাদ পেতে প্রথম আলোর পাতায় ঢুঁ মারি। আজ ঢুঁ মারতেই খেলার পাতায় একটি লেখা চোখে পড়লো। আলোর মাঝে কালোর কষ্ট।
চুলকানির মলম
ঘটনা প্রবাহ ১. আমি যতক্ষনে সব ব্লকড আর জ্যামপ্যাকড রাস্তা দিয়ে ছুটে স্টেডিয়ামে পৌঁছাই ততক্ষনে এলআরবির পারফরম্যান্স প্রায় শেষের দিকে । স্টেডিয়ামের মাঝের বিত্তশালী দর্শকরা তখনো মাত্র আসতেছে, গ্যলারির মাঝের দর্শকরাও আসলে তার গান আদৌ শুনতেছে বলে মনে হল না । ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’ এই প্রবাদ আসমান থেকে পয়দা হয় নাই, আমাদের দেশেই পয়দা হইছে।জাতি হিসেবে আমরা সব সময়ই হীনমন্যতায় ভুগি। নিজেরা নিজেদের মর্যাদা দিতে না পারলে অন্যদের তো ঠ্যাকা পড়ছে এসে দিয়ে যেতে ।
বিস্তারিত»বরুনা প্রবালের গল্প – ০২
আবারো টলে উঠলাম দিয়েগোর কথায়, মিসিং এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন, মানে কোন হালকা ব্যপার না। এর পর সব বলে গেলো দিয়েগো একটানা।
এই এপার্টমেন্টে তেমন একটা ভাড়াটে বদল হয় না মাসে মাসে। নির্ঝঞ্ঝাট এবং বন্ধুবৎসল বলতে যা বোঝায়, প্রবালকে সে দলে ফেলা যায় কোন চিন্তা ছাড়াই। তাই প্রবাল চলে যাওয়ার পর দিয়েগোর মন কিছুটা খারাপ ই ছিলো। গত তিনদিন আগে পুলিশের আগমনে দিয়েগো স্বাভাবিক বলে ভাবলেও,
বিস্তারিত»বরুনা প্রবালের গল্প – ০১
রাত বাজে তিনটা, বুঝলাম না ঘুম ভেঙ্গে গেলো কেন? নাহ, এলার্ম বাজে নি, চারিদিকে সুনসান নীরবতা, তারপরে ও কি হল? গত তিন মাস যাবত এ রকম হচ্ছে। কোন শব্দ বা বড়সড় আওয়াজ হলে মিমির ঘুম ও তো ভাংতো। মিমি কিন্তু শান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। মুহুর্তে মনে হলো প্রবালের কথা, পড়ার রুমে এসে ল্যাপটপ খুলে সবগুলো মেসেঞ্জার চেক করলাম, নাহ, প্রবালের কাছ থেকে কোন নোট আসে নি।
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৯
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪, মঙ্গলবার রাত বারোটা ৪ মিনিট
সবাই কিছু না কিছু বলছে। কবিতা, গুছিয়ে কিছু মনের কথা। আমি পারছি না। এর আগেও পারি নাই। স্বীকার করতে হবে ২৫শে ফেব্রুয়ারী হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আমার মাঝে জোরালো নিস্পৃহা কাজ করে। আজকে বিকালে ক্লাশ শেষে চিন্তা করছিলাম কেন এমনটা হচ্ছে। বিশেষ কোন ঘটনা কি ঘটেছিল? মনে করতে পারলাম না। তবে কি আমার চেনা পরিচিত কেউ প্রাণ হারাননি দেখে এরকম হচ্ছে?
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৮
১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ রবিবার বিকাল ৪টা
ভালোবাসার ফুড প্রসেসরে
যাচ্ছে ‘কেটে’ দিনরাত্রি।
ফিরে এসো গরু হয়ে।
খেয়ে নাও ঘাসটুকু,
জাবর কেটো পরে।
তবু দোহাই লাগে-
কেটোনা মোরে এই
ভালোবাসার ফুড প্রসেসরে।
প্রচারে – মাথা নষ্ট
পেছনের কথাঃ এই ছড়াটা লিখেছি যখন প্রেমিকার সাথে সোভিয়েত রাশিয়া সময়কার স্নায়ু-যুদ্ধের আদলে যুদ্ধ শুরু হলো। কথা বললে উত্তর মিলে না।
বিস্তারিত»