আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো।
বিস্তারিত»অর্থহীন
সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।
এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,
জীবনের জার্নাল – ৯
My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)
যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো।
বিস্তারিত»ভূধরের পাদদেশে এক নামহীন উপল
ভূধর পৃষ্ঠে ঘুমিয়ে ছিলাম
এক নামহীন উপলের মতো,
সময় হলে গড়িয়ে গেলাম,
ধুলো মেখে গায়ে যতো।
পথে পরিচয় কত ঝোপ ঝাড়
আর গুল্মলতার সাথে,
কত পাথরের বোবা কান্না
শুনেছি সন্ধ্যা প্রাতে।
বহু পথ ধরি গড়াগড়ি করি
আজ পড়ে আছি পাদদেশে,
বয়ে যাই কত অচেনা জনের
পদভার অক্লেশে!
ঢাকা
০৯অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
জীবনের জার্নাল – ৮
সাত জুলাই সাতষট্টি, দিনটি ছিলো শুক্রবার, বাংলা ক্যালেন্ডার মোতাবেক ২৩শে আষাঢ়। তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিলো রোববারে, শুক্রবার ছিলো অর্ধদিবস, জুম্মার নামাযের জন্য বেলা ১২টায় অফিস আদালত ছুটি হয়ে যেতো। আমাকে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে রেখে আসার জন্য আব্বা ঐ দিনটা ছুটি নিয়েছিলেন। সকাল থেকেই আমর মনটা খুব খারাপ ছিলো। কলেজে যাবার দিন যতই ঘনিয়ে আসছিলো, বাসার সবাই আমার সাথে ততই সদয় আচরণ করা শুরু করেছিলো।
বিস্তারিত»তুমি না এলে
তুমি না এলে চারপাশ কেমন নিষ্প্রভ মনে হয়,
তুমি চলে গেলে তারাগুলো সব উদাস হয়ে রয়।
তুমি না এলেও জীবন বয়ে চলে, বয়ে যায় সময়,
তবু মনে হয় বয়ে চলা যেন এ চলার নাম নয়।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।)
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ৭
কাজের ছেলেভাইভার পর মেডিকেল টেস্টকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা বই অন্য কিছু মনে হয়নি আমার, যদিও সেখানেও প্রায় ২০/২৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন কারণে বাদ পড়েছিলো। শেষ বৈতরণীটি পার হবার পর থেকে মনটা বেশ ফুরফুরে থাকতো। আমারও, বাড়ীর আর সবারও। চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়েছি, এটা জানার পর আর স্কুলে যাবার তাগিদ অনুভব করতাম না, বাড়ী থেকেও তেমন কোন চাপ ছিলোনা। এই প্রথম জীবন প্রণালীর শক্ত বুনটে কেমন যেন এক ঢিলে ঢালা ভাব অনুভব করতে শুরু করলাম।
বিস্তারিত»নিউ ইয়র্ক সিটি
“একটি চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া,
জনম ভইরা চলতে আছে”
সেই যে কবে থেকে বাউল কবির এ গান শুনেছি,
এখানে এসে দেখতে পারছি তার সঠিক চিত্ররূপ।
চাবি মারা কলের মত মানুষের জীবন, আচরণ,
ঘড়ির সাথে বাঁধা তার দু’পা, ছুটছে তো ছুটছেই।
জীবনের এই অন্তহীন দৌড়ের কোন বিরতি নেই।
হাডসন নদীর সাথে মিশে আছে কত নোনা অশ্রুজল,
কে তার হিসেব রাখে?
সেই বায়বীয় হস্তলিপির কথা
হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।
চারিদিকে ঔৎসুক্যের অভাব ছিলনা, সবারই
জিজ্ঞাসা, কি লিখি? সহাস্যে এক কথাই বলতাম,
ঐকিক নিয়মের এক কঠিন সমাধান খুঁজছিলাম!
কথাটা সবাই বিশ্বাস করতো, কেবল তুমি ছাড়া!
এর পর জীবনে অনেক নাম এসেছে আর গেছে,
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ৬
(Mr. M W Pitt, the first Principal of Momenshahi Cadet College – আমার জীবনে দেখা প্রথম ইংরেজ, যার সামনাসামনি বসে জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। তাঁর হাসিমুখ আমার কিশোর মনে সেদিন স্থায়ীভাবে খচিত হয়ে গিয়েছিলো, সে স্মৃতি আজও সমুজ্জ্বল, আপন আলোকে দীপ্যমান। ফটো ক্রেডিটঃ মাহবুব শহীদ ভাই, ক্যাডেট নং ৩)
দু’দিন বিশ্রাম নেয়ার পর ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম।
বিস্তারিত»মেঘবালিকা

আমি তাকে আকাশ দিতে চেয়েছিলাম,
সে চাইলো শুধু এক টুকরো মেঘ।
তারপর মেঘেরই আড়ালে লুকিয়ে পড়লো,
চোখেরই সামনে মেঘে মেঘে ভেসে গেলো।
এর পরে আর তার দেখা পাইনি….
মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেলো,
সাঁঝের মায়াও ধীরে নেমে এলো,
পাখীরা যখন নীড়ে ফিরে আসে ধীরে ধীরে,
তখনো আমি খুঁজে ফিরি মেঘবালিকাকে,
জীবনের জার্নাল – ৫
যেদিন আমার ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হবার কথা, ঠিক তার আগের দিন আমার এলো গা ফাটা জ্বর, সাথে প্রচন্ড মাথাব্যথা আর বমি। এর একদিন আগে ভরদুপুরে প্রচন্ড রোদে খেলতে নেমেছিলাম। ঘরে ফিরে গায়ের ঘাম না শুকোতেই তরিঘরি করে গোসল করেছি, এটাই জ্বরের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার এবং আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা চলছিলো। কারণ যাই হোক, আমি চাচ্ছিলাম মাথাব্যথাটা অন্ততঃ দ্রুত কমে যাক, জ্বর থাকলেও থাকুক।
বিস্তারিত»অশ্রুর বিচিত্র রসায়ন
নারীর দুইটা চক্ষু আছে, যেমন আছে নরের,
মূল কাজটা একই হলেও, ফারাক মাঝে দুয়ের।
নারীর চক্ষু ভরাপুকুর, শাওন মেঘে ঢাকা,
নরের চক্ষু মরুভূমি, জলহীন, করে খাঁ খাঁ।
যতই থাকুক নরের দাপট ভিতর ও বাহির,
পণ সে করুক যতই কঠিন প্রসঙ্গে নারীর,
তার ধনুর্ভঙ্গ পণগুলো সব ভেঙ্গে হয় খানখান,
যখন নারীর গালে অভিমানে বহে অশ্রুবান।
নারীর অশ্রু নাইট্রিক এসিড,
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ৪
ভেবেছিলাম, এখান থেকেই চলে যাবো আমার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার কাহিনীতে। কিন্তু না, আমাদের ক্লাসের আরেকজন ছাত্রের ব্যাপারে কিছুই না বলে চলে যাওয়াতে মন কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না। আর সেটা আরও প্রবল হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ‘জীবনের জার্নাল – ২’ পড়ে করা এক পাঠকের মন্তব্যে। কি করে যে সে বুঝতে পারলো আমার মনের কথাটা কে জানে। সে লিখেছে, “আপনাদের ক্লাসের সবচেয়ে অবহেলিত ছেলেটির কথা জানতে চাই।“
আমিও তার কথাটা একটু বলতে চেয়েছিলাম।
বিস্তারিত»ফাঁকিবাজি ছবি ব্লগ -পার্ট ৩ ( ক্লাস ১২ এর গল্প)
ফাঁকিবাজি সিরিজের দুইটা পোস্ট দিয়েছিলাম অনেকদিন আগে। কেন এটাকে আমি ফাঁকিবাজি পোস্ট বলি তার পেছনে একটা কারন আছে। এধরণের পোস্ট লিখতে খুব একটা মাথা খাটাতে হয়না। রেডিমেড ছবি , এরসাথে স্মৃতি থেকে কিছু লিখে দিলেই হয়। বাড়তি ঝামেলা কম। এধরণের স্মৃতিচারণা মূলক লেখা লিখতেও আরাম লাগে। হাতে কিছু সময় পরে আছে.. ফেসবুক এর নিউজফিডে ও নতুন কিছু নেই। তাই ভাবলাম হাবিজাবি কিছু লিখে ফেলি আর কি !
বিস্তারিত»