আমি কখনোই কিছু বলিতে পারি না -৪

[আমি আসলে ব্লগে প্রথমবারের মত সার্ফিং করতে এসেছিলাম…, আমার ছোটভাই কবীর, সায়েদ এবং অন্যান্যদের (স্পেশালি ইউসুফ ভাই) লেখাগুলি পড়েই আমার এই লেখালেখির শুরু।
আমি আমার এই করুণ পরিণতির জন্যে তাই এই তিনজনেরে ব্যাঞ্ছাই!!!! ]
কেসঃ ১৭
আমার দীর্ঘ এক যুগের চেস্টা/অপচেস্টা/প্রয়াস…ইত্যাদির সফল/অসফল পরিসমাপ্তি হলো আমার প্রেমিকার সাথে বিবাহ।
এই বার বছরে আমি যেমন তাকে বুঝতে চেস্টা করেছি…, তেমনি সে-ও আমাকে…
আমার সব ফ্রেন্ডদেরকে না দেখলেও সে বোধহয় তার মত করে বুঝে নিয়েছে…আমি খুব আড্ডাবাজ লোক।

বিস্তারিত»

রক্তচক্ষু @ night prep

নাইট প্রেপ-এ ঘুমানো ক্যাডেট-দের জন্য একটা খুব-ই নরমাল জিনিস ছিল এটা তো সবাই জানে। এটার জন্য প্রেপ গার্ড সিনিয়র ভাই-দের কাছে কত যে chicken/duck হয়ে থেকেছি তার গল্প তো শেষ হবার নয়।

তো, তখন আমরা খুব সম্ভবতঃ class XI -এ; আমাদের হাফিজ একবার এরকম একটা নাইট প্রেপে ঘুমাচ্ছিলো। ঐদিন ডিউটি মাস্টার ছিলেন আব্দুল মান্নান রোকনি স্যার (যাকে আমরা তখন ‘মান্নান খাউজানি’ ডাকতাম কারণ উনি তার বাম হাত মাথার পেছন থেকে এনে ডান দিকের গাল চুলকাতেন,

বিস্তারিত»

আমি কখনোই কিছু বলিতে পারি না -৩

[দেরীতে লেখা প্রকাশ করার অভিমানে “ব্লগের এডু এবং মডু-দের উপরে মাইন্ড খাইয়া” হাল না ছাড়ার পণ করিয়া লিখিতেই থাকিবই ভাবিতেছি ]

কেসঃ ১৪
আগেই বলেছিলাম, আমারে nobody ever counted (কেউই কখনো গুনতো না), এই যে…এডু এবং মডু-রাও আমার আগের লেখাটারে চাইর ঘন্টা ধইরা মারলো!!!!

কলেজে ছোটকালে একটা বড় দুঃখ ছিল প্রায়ই সিনিয়র ভাইয়ের মধ্যে থেকে কেউ বলে উঠতেন, “তুমি যেন কোন হাঁস???”

বিস্তারিত»

ইউক্যালিপ্টাসের মুখ

আমি যখন কুয়াশা-শৈশব-মেশানো-ভোরে দৌড়াতাম পিচে-ঢালা-পথে ঘুরে ঘুরে অনবরত;
বারবার তোমাকে টপকে যেতাম আলতো-আঙুল-গীটারে-বোলানোর মত পদবিক্ষেপে
সেখানে দাঁড়ানো ঊর্ধ্বমেঘ-ছোঁয়ায়-সঙ্গমেচ্ছু ইউক্যালিপ্টাসের শরীর, ঋজুত্ব দেখে
লয়-ভাঙা-পা পড়তো পিচ আর আলকাতরা-মেশানো-শতবর্ষী বুড়ো রাস্তায়।

দিনের আলো কতবার বদলে দিত ওর শরীরের চাল-ধোয়া-ঘোলাটে-সাদা রঙ;
আমি সারাদিন ওরপাশে ঘুরে ঘুরে পা মেপে মেপে চকিতে আঁক কষতাম, উপরে
তার শরীর-ছাড়ানো-মুখ দেখার তীব্র, তুমুল, নাড়িছেঁড়া-বাঁধনের মত ইচ্ছারা
বিতর্কিত-বেশ্যা-ছেনাল মেঘেদের সাথে কূট-কুরুক্ষেত্রে মেতেছে শকুনির মতোই!

বিস্তারিত»

আমি কখনোই কিছু বলিতে পারি না -২

[প্রথম লেখার যথেস্ট ভালো রেসপন্স না পেয়ে হতাশার মুখে লাথি মেরে পর্যায়ক্রমে লিখে যাব ভাবছি]
কেসঃ ৬
আমারে nobody ever counted (কেউই কখনো গুনতো না),
সেই ছেলেবেলায় যখন ছেলেমেয়েরা একসাথে বর বউ খেলতো………, আমারে রাখতো পাহারাদার!!!!!!!!!!
একদিন প্রতিবাদ করে বললাম, “আমি আর পাহারাদার থাকতে পারবো না”
তখন আমাকে সবাই বললো, “ঠিক আছে, তুই আজকে কাজী!”

বিস্তারিত»

আমি কখনোই কিছু বলিতে পারি না -১

কেসঃ ১
পাশের বাড়ীর লুনা (অবশ্যই কাল্পনিক নাম!!) আন্টি আমাকে খুবই পছন্দ করতেন, প্রায়ই চকলেট খেতে দিতেন…
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময়ে একদিন বিকেলে হঠাৎ আমি তার রুমে হাজির হয়েছি। অন্য দিন অনেক কথা বললেও ওই সময়ে তিনি কেন জানিনা আমাকে তাড়াতাড়ি তাঁর রুম থেকে বের হওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছিলেন। রুম থেকে বের হওয়ার ফাঁকে খাটের উপরে একটা ছোট খাপওয়ালা মিনিশ্যাম্পুর মতন জিনিস দেখতে পেলাম।

বিস্তারিত»

কলেজ জীবনের Ctrl+Z আর Ctrl+Y গুলো…

প্রথম পোস্টে জীবনে রিউইণ্ড-পজ-প্লে আর undo সম্পর্কে লিখেছিলাম। ভাবনা যখন লিখা হয়ে ভূমিষ্ঠ হয় তখন মনে হয় এর ডালপালা গজাতে থাকে। আমার বেলা হলও তাই। Undo কথাটা লিখার পরেই মনে হল আচ্ছা সুযোগ পেলে আর কি কি undo করতাম আমি। কল্পনাই যখন করছি, তখন redo নিয়ে চিন্তা করতে তো বাধা নেই। (লেখাটা আমাদের ব্লগের সাইন্স ফিকশন গুরুদের ‘যোগাযোগ মডিউলে’ একটা চিন্তার খোরাক দিতে পারে)।

সত্যিই যদি জীবনের কিবোর্ডে Ctrl+Z প্রেস করা যেত তাহলে এই সমস্ত ইভেণ্টগুলোকে undo করতামঃ (সংগত কারণে সারা জীবনের ইপ্সিত undo গুলো ক্লাসিফায়েড,

বিস্তারিত»

অ্যাবসার্ডিটি

“প্রস্তাব ছিল, আমরা যখন যূথবদ্ধ শিকারী তখন আমাদের কেশরের ফুলে ওঠায় শিউরে উঠবে বাগানের সকল বিড়াল”- এই শালা চুপ কর! কথায় কথায় অশ্লীলতা টানিস কেন?

আমার দিকে খুব খেউড়ে ওঠা দৃষ্টি ছুড়ে দেয় মাইদুল। কাজী মাইদুল হক। আমাদের গুরু। আর আমরা তার চ্যালা। চ্যালা হতে পেরে আমরা খুব খুশি। মাইদুল হকের মত মানুষ আমাদেরকে তার পদতলে রাখছেন, মাঝে মাঝে লাথি-ঝাঁটা মারছেন, খ্যা খ্যা করে হেসে উঠছেন অবান্তর।

বিস্তারিত»

আজাদ-এর প্রথম সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা

আমাদের SSC exam এর registration করানোর জন্য একবার কলেজ এ যাওয়া লাগলো। আমাদের intake এর সবাই… তো, আমাদের হাফিজ থাকতো ঝিনাইদহ-তেই। সে কলেজ-এ সাইকেল চালিয়েই চলে আসলো।

আজাদ তখন সাইকেল চালাতে পারতো না। ও বায়না ধরলো যে তাকে সাইকেল চালানো তখন-ই শিখাতে হবে। ভাল, আমি শিখানো শুরু করলাম। বললাম, প্যাডেল মার, দুরে তাকা, ভয় পাইসনা আমি আছি পেছনে তরে ধইরা রাখমু problem নাই তুই just সোজা তাকা আর প্যাডেল মারতে থাক।

বিস্তারিত»

অতঃপর বিচ্ছেদ…!!

মন ভাল করার কোন ট্যাবলেট থাকলে মন্দ হত না। ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলতাম, ‘স্যার, আমার মন খুব খারাপ…কি ঔষধ খাব?’ উনি গম্ভীরভাবে সব কিছু শুনে আমাকে প্রেসকাইব করতেন, ‘তোমাকে দুইটা ট্যাবলেট দিলাম- আনন্দসিটামল আর মজাটল। তিন বেলা খাওয়ার পর এক একটা করে তিন দিন খাবে, আর প্রচুর পানি খাবে…’ চতুর্থদিন ফোন করে তাঁকে জানাতাম, ‘ডাক্তার স্যার, কি দিলেন,মামা??? আমার মন তো ভাল হয়ে গেছে…!!’

কিন্তু হায়!

বিস্তারিত»

‘শাব্দিক’ – একটা অসাধারণ বাংলা লেখার সফটওয়ার

ভাল কোন সফটওয়ার্ এর খোঁজ পেলে মানুষকে জানানোর একটা বদঅভ্যাস আমার আছে। আমি কম্পিউটার geek বা freak কোন পর্যায়েই পরি না। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে বা সফটওয়ার্ সিডি কিনে ট্রাই করা আমার একটা বিশেষ বাজে হবি। আর এই অভিজ্ঞতা থেকেই এটা লেখা। অনেকের কাছে রদ্দি জিনিস হতে পারে।

এই জীবনে বাংলা টাইপ না করতে পারায় অনেক সময় অসুবিধায় পড়েছি। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে অফিসের ক্লার্কদের কাছে একটা কোর্স করি।

বিস্তারিত»

পোস্ট যখন গান নিয়েই….তবে তাই সই…..কলেজের সময়ের গান

ক্যাডেট কলেজের সময়টুকুতে অনেক কিছুর সাথে মনে হয় গানটাও শুনতে শিখেছিলাম। যতদূর মনে পড়ে গান-পাগলামিটা সেভেন-এইট থেকেই শুরু। ঢাকার ছেলে, ঢাকায় থাকি – তাই ঢাকার হাওয়াটাই গায়ে লেগেছিল। বাংলায় সোলস-মাইলস-ফিডব্যাক-চাইম এর সাথে ইংরেজি গানের দিকে যে কখন ঝুঁকে পড়লাম, টেরই পেলাম না।

বিস্তারিত»

এক ব্যাক বেঞ্চারের চোখে শুভ আলামত…!!

ছোট বেলা থেকেই আমি সবসময় পেছনের বেঞ্চে বসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতাম। পেছনে বসার কি জানি এক অমোঘ আকর্ষণ আছে। যারা সবসময় সামনে বসে অভ্যস্ত তারা আমার কথা-বার্তা খুব একটা বুঝবেন না হয়ত। আমার মনে আছে, ছোট বেলায় স্কুলে থাকতে আমি একবার এক স্যারের কাছে পেছনে বসার জন্য মার পর্যন্ত খেয়েছিলাম। কেমন করে জানি আমার গায়ে ভাল ছাত্রের তকমা ছিল, আর স্যারের কথা মতন ভাল ছাত্রদের নাকি সবসময় ক্লাসে একেবারে সামনের বেঞ্চে বসার নিয়ম…আজব!

বিস্তারিত»

আজ স্বপ্নাহতের জন্মদিন

স্বপ্নাহত নামটা বিনা অনুমতিতে চুরি করে টাইটেল এ বসানোর জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।ওটা উনার সচল-নাম। তার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ওয়ার্ডপ্রেসের অন্যরকম খাওয়া দাওয়া দিয়ে। আর আফটার দ্য লাইটস আউট ( সবার পায়ে পড়ি, অন্য কোন ভাবে নিয়েন না কিন্তু :no: ) পড়ে তো রীতিমত গুরু মানতে শুরু করেছি। সত্যি বলতে, সিসিবি শুরু থেকে যাদের হাত ধরে চলতে শিখেছে উনি তাদেরই একজন।

বিস্তারিত»

রঁদেভু

“টেবিলের কোণে মেয়েটি বসে ছিল”
এই দৃশ্যটা বানিয়ে আমি দ্বিধায় পড়ি
সেখানে সে বসে ছিল, কি ছিল না
এমন সন্দেহ আমাকে দোটানায় ফেলে।
আবার, আমি দেখেছি এমন দৃশ্যের পেছনেও
কেউ কেউ ঘোলা শরীরে দাঁড়িয়ে থাকে;
মেয়েটি একাই বসে ছিল, বাঁকানো পিঠ টেনে ধরে।

আমি চুলের পাশে উপবৃত্তাকার কাঁধ দেখি
ওড়নার প্রান্তে শাদা পায়রার ভার দেখি,
প্রথাগত চোখ খুলে ভাঁজের নিভৃতে মেলে দেই
কোমল উরুতে খিলখিল হেসে গড়িয়ে দেই মার্বেল
মেয়েটি সুস্মিতা,

বিস্তারিত»