ক্যাডেট কলেজে জানাযার নামায

নামায পড়ি সচরাচর আমরা সবাই। আর ক্যাডেট কলেজে থাকতেও পড়তাম। কিন্তু জানাযার নামায? এমনিতেই প্রায়শঃ এই নামাযটি পড়ার সৌভাগ্য কারো হয়না, ঘটনাক্রমে হয়ত কখনো পড়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ক্যাডেট কলেজের ৬ বছরে এই নামায পড়ার অভিজ্ঞতা ক’জনের আছে?

আমি সেই ৬ বছরে কলেজে একটাই জানাযা অনুষ্ঠান পেয়েছি। তা ছিল আমাদের কলেজের বুকবাইন্ডার কাজেম সাহেবের। অশীতিপর বৃদ্ধ এই লোকটির পেশা ছিল লাইব্রেরির বই বাঁধাই করা,

বিস্তারিত»

ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-০৩ (শেষ পর্ব)

শেষ তিন দিন সিসিবি তে আসতে পারি নাই। এসেই দুইটা মন খারাপ করার মতো খবর। মশিঊর ভাই এর টা আগেই একক থেকে শুনেছি।
দুইটা এমব্যাসী আর ব্যাংকে দৌড়াতে দৌড়াতে জান শেষ। একবার বলে এই পেপার দাও, আবার ওইটা। টুরিস্ট ভিসা এর যদি এই হাল হয়, না জানি অন্যগুলার কি হয়।
আজকে আসলাম সিসিবি তে। অনেক গুলা লেখা জমছে। সব পড়তে পারি নাই। হিট টুসকি পড়লাম।

বিস্তারিত»

একজন চিকির আত্মকাহিনী

(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)

আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার,

বিস্তারিত»

ফটো ব্লগ : জাস্ট সেলোগ্রাফী-০২

আগের পর্ব

বাহ, আগের সেলোগ্রাফী তে সবার মন্তব্য পড়ে ভালোই লাগলো। অনেকেরই দেখি সেলোগ্রাফীতে আগ্রহ আছে।

আমার সেলোগ্রাফী করতে বেশ মজা লাগে। তাই যেখানেই যাই, সেলোগ্রাফী চলতে থাকে সবসময়।

বিস্তারিত»

ফেইসবুক বিড়ম্বনা

আমার বউ রোজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে মনোযোগ দিয়ে প্রথম যে কাজটা করে, সেটা হলো, ফেইসবুকের অজস্র ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ধরে ধরে গণহারে ইগনোর করে দেয়। ব্যাপারটা ওর জন্যে বেশ বিরক্তিকর, সন্দেহ নেই। আমার এসব জ্বালাতন নেই, তাই ওর দূর্ভোগ দেখে প্রায়শই মুখ টিপে হাসি। মাঝে মাঝে আমাকে ডেকে দেখায়, দুয়েকজন একদম প্রথম মেসেজেই বিয়ের প্রস্তাব পর্যন্ত দিয়ে বসে, এইরকম দুয়েকটা মেসেজ দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেছে!

বিস্তারিত»

ফটো ব্লগ : আমার জাস্ট সেলোগ্রাফী

অনেকদিন থেকে লেখার সময় করে উঠতে পারতেছিনা। অফিসে খুব ই প্রেসার এ আছি। খালি কাজ আর কাজ।
এর মাঝেই একটু পর পর সিসিবি চেক করি আর কমেন্ট দেই। (যাতে ইমোই থাকে বেশি)।

আজকে রায়হানের বিরিশিরি এর ছবি গুলো দেখে আমারো শখ চাপলো আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করার।

বিস্তারিত»

ছন্নছাড়া স্মৃতি

ছন্নছাড়া(আগের পর্ব)

১. স্যার আমাদের ইসলাম শিক্ষা পড়াতেন। নাদুস নুদুস চেহারায় শিশুসুলভ হাসি লেগে থাকত, ক্যাডেট কলেজে অনেকটা বেমানান। এ বিষয়ের পরীক্ষা প্রস্তুতি হত সবচেয়ে আলাদা, বিভিন্ন রঙের কলম-পেন্সিলের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। পরীক্ষার খাতায় লেখার চেয়ে মিনার, মসজিদ, চাঁদ-তাঁরা আঁকাতেই আগ্রহী ছিলাম সবাই। শিল্পী মনটাকে উজার করে দিতাম পরীক্ষার খাতায়, দেখার মত জিনিস হত একেকজনের খাতা। সব সহ্য করতেন স্যার।

বিস্তারিত»

পুরোনো কিন্তু সোনালি স্মৃতি

আগের কথাঃ লেখাটা ছিলো এই ব্লগে আমার প্রথম লেখা। তখন বাংলা টাইপ প্রায় পারতাম না। তাই লেখাটা বাংলিশ এ দিয়েছিলাম। সম্ভবত জিহাদ কষ্ট করে বাংলায় টাইপ করে দিয়েছিলো। আর যেহেতু লেখালেখি থেকে অনেকদিন দূরে ছিলাম তাই বেশি লিখতে পারি নাই। হঠাত লেখাটা চোখে পড়লো। মনে হলো অনেক কিছু লেখার ছিলো আরো। তাই কিছু অংশ সংযোজন করে আবার দিলাম।যারা পড়েন নাই, তাদের জন্য বিশেষ করে।
লেখার প্রেক্ষাপটঃ হঠাৎ খুঁজে পেলাম আমার পুরোনো একটা লেখা।এটা লিখেছিলাম কলেজ থেকে বের হবার দুই দিন আগের রাতের বেলা।হঠাত বের হবার আগে ভাব চলে আসছিলো।

বিস্তারিত»

বিবাহনামা

[ বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট কেবলমাত্র বিবাহিতদের জন্যে। যুবক ও অবিবাহিত ভাইয়েরা শত হস্ত দূরে থাকুন। তবে… কথা আছে, পুরাতন প্রেমিকেরা এই লেখা পড়িতে পারেন। আপনাদের জন্যে জরুরী অবস্থা আপাতত শিথিল:-) ]

২০০৭ এর জানুয়ারির কোন এক রাত। সদ্য দেশ থেকে ফিরেছি, বিবাহ করে মোটামুটি যুদ্ধ জয়ী সেনাপতির মতন নূরানী হাসি সারাক্ষণ আমার চোখে মুখে। কারো সাথে দেখা হলেই খানিক কথাবার্তার পর পেটের মধ্যে ভুটভাট শুরু হয়ে যায়,

বিস্তারিত»

অণুগল্পঃ বনসাঁই

থোকা থোকা আগুন ভর্তি গাছটার নিচে মুখ অন্ধকার করে দাঁড়িয়ে আছে সজীব। ছটফটে একটা ভঙ্গি ওর সারা দেহে, ঘড়ি দেখছে বারবার। শিলা আজ খুব বেশি দেরি করে ফেলছে- টিউশানীতে ঠিক সময়ে পৌঁছতে হলে সজীবের এক্ষুনি উচিৎ বাস ধরতে ছোটা। কিন্তু সে উপায় নেই। ক্লাস শেষ হবার পরে এইটুকুই যা সময়, এখন চলে গেলে আজ আর দেখা হবে না।

শুরুতে অবশ্য এত ঝামেলা পোহাতে হতো না।

বিস্তারিত»

শিমুল মুস্তাফার আবৃত্তিঃ মকবুল সমুদ্রে যাবে-

শিমুল মুস্তাফার প্রসঙ্গে কে যেন একবার বলেছিলেন, সম্ভবত লুৎফর রহমান রিটন, নাকি অন্য কেউ ভুলে গেছি, যে, এত ছোট্ট একটা শরীর থেকে এত জোরালো শব্দ কেমন করে বের হয় ভাবতেই অবাক লাগে!

গানের মতই আবৃত্তি বিষয়ক কোন জ্ঞান নাই আমার। শুনে শুনেই যতটুকু বুঝি সেটুকুই, মানে হলো, শোনার জন্যে তৈরি দু’খান কানের কল্যাণে বুঝবার জন্যে তৈরি একটা প্রাণ পেয়ে গেছি আমি, সেটাই ভরসা!

বিস্তারিত»

ইংরেজির গোড়াপত্তন (প্লাস একটা সুসংবাদ)

আমার বাবা সবসময় আফসোস করতেন, আমরা নাকি ভাল ইংলিশ শিখি নাই। তাঁদের সময় (ব্রিটিশ+পাকিস্তান পিরিয়ডে) মানুষ বেশ ভাল ইংরেজি চর্চা করতো, স্বাধীনতার পরে এই চর্চাটা দারুণরকম কমে গেছে। কথা সত্য, তবে আমি যে ইংরেজিতে একদম খারাপ না, সেটা আমার বাবার মুখে কখনো স্বীকার করাতে পারিনি। :((

আমার এবং এই ব্লগের সবার ইংরেজির মান ভাল বলে আমার বিশ্বাস। এর কারণটা ক্যাডেট কলেজ।
ক্যাডেট কলেজে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আমরা ইংরেজির একটা দৃঢ় প্রশিক্ষন পেয়ে এসেছি।

বিস্তারিত»

কিছু ঘটনা – ২

অনেকদিন আগে এমজিসিসি নিয়া কিছু ঘটনা লিখেছিলাম।কালকে হঠাত আরেকটা মনে পড়ে গেলো।
(যারা পড়েন নাই, তাদের জন্য আগের লিঙ্ক)
হঠাত কালকে আমাদের যুবায়েদ ফোন করে বল্লো “ওই ২৬ তারিখে ফ্রি থাকিস”
আমিঃ কেন?
যুবায়েদঃ “আমার বিয়ের রিসেপশন। সেনা কুঞ্জে।“
আমিঃ “ঠিক আছে। চলে আসবো। নো প্রব্লেম।“

বিস্তারিত»

আবার জমল মেলা…

১.
শুক্রবার সকাল।
আজ সেই সিসিবি শুক্রবার।আগের মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে আজকে সিসিবির সদস্যদের সমাবেশ হবে।পরে অবশ্য অ্যাডজুটেন্ট স্যার ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলেন যে,শুধু সমাবেশ নয়,আজকের দিনটি সিসিবির সদস্যরা কলেজের মতো করে কাটাবে,অনেকটা কলেজের শিডিউল ফলো করে।ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন করলাম,

বিস্তারিত»

উদ্ভট ফ্যান্টাসী-২

আগের পর্ব
৪/

আজকের সিসিবি সমাবেশ টা একটু অন্যরকম হল। অন্যান্য বারের চেয়ে পরিবেশটা একটু ভারী। কারন- গ্যালাক্সীর সিনেটের নতুন বিল। যেটাতে ক্যাডেট কলেজকে ভার্চুয়াল করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে ক্যাডেটরা কলেজ লাইফ এর টেষ্ট নিবে শীতল ঘরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে।

বন্যঃ “ফাজলামো পাইছে? সবগুলা কাউন্সিলররে গ্রিশিন গ্রহে বন্দী করে রাখা উচিত।“
মাশরুফঃ “দাড়ান, এইবার এমন কিছু করতে হবে,

বিস্তারিত»