অন্য রকম ক্যাডেট কলেজ-৮ (শেষ পর্ব)

আগের পর্বগুলো: প্রথম | দ্বিতীয় | তৃতীয় | চতুর্থ | পঞ্চম | ষষ্ঠ | সপ্তম

রায়হান ভাইয়ের মুখে ফ্রন্টরোল দেয়ার আদেশ শুনে প্রথমে অবাকই হয়েছিল মহিব। মনে মনে ভাবছিল রায়হান ভাই তো খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। কোনদিনও কোন জুনিয়রকে পানিশমেন্ট দেয়নি উনি। তাহলে আজ কেন এমন ব্যবহার করছে? তাই প্রথমে কি করবে বুঝতে পারছিলনা।

বিস্তারিত»

আমার হুজুর হওয়ার কাহিনী!!!! (৫ মিনিট)

লাস্ট টার্মে কলেজে পৌছেই সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে! কোন ধরনের নিয়ম বহির্ভুত কাজে যোগ দিব না! প্রপার ক্যাডেট বলতে যা বোঝায়,তাই হব! ঠিক করলাম নামাজ পড়তে হবে! পরদিন ফজর থেকে শুরু করলাম নামাজ পড়া। জুনিয়রকে বলে দিয়েছি রিভেল দিতে,ক্লাস সেভেন এইট নামাজ পড়ে,তাদের থেকে হুজুর দেখেই একটাকে বললাম “ফজরের নামজে জামাতের আগে ডাক দিবা”! জুনিয়রটাও মহাউৎসাহে ডাক দেয় প্রতিদিন! প্রথম দুদিন আমারও চরম ঊৎসাহ!

বিস্তারিত»

মা

আমার আজকের এই লেখাটি তুহিনের মায়ের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করে তুহিনকে উৎসর্গ করে লিখা।

আমার ক্যাডেট কলেজের একেবারে শুরুর দিকের ঘটনা। ১৯৯২ সালের জুলাই/আগষ্ট মাস। ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন। আমি, ফখরুল, ফয়সাল এবং মাহফুজ আমরা ৪ জন ছিলাম রুমমেট। আগের শুক্রবারে প্যারেন্টস্‌ ডে হয়ে গিয়েছে। সবার কাছেই কমবেশি খাবারের ষ্টক আছে। ফয়সালের ডেক্সের ভিতরে ছিল ড্রাইকেকের একটা প্যাকেট। আমি আবার ড্রাইকেক খুব পছন্দ করতাম।

বিস্তারিত»

ভালবাসা কারে কয়-১

(আমার লেখা প্রথম নাটক। নাট্য পরিচালক কামরুল হাসান ভাইয়ের জন্য উত্সর্গীকৃত।
বোধকরি সিসিবি’র ভান্ডারেও এটাই প্রথম নাটক।)

১ম অংক
(নির্জন রেললাইন, পথের দু’ধারে দাঁড়িয়ে হাটহাজারী পাহাড়। ওরা দু’জন হাত ধরাধরি করে হাঁটছে। শ্যামলবর্ণের ছেলেটি গভীর আবেগে জড়িয়ে আছে প্রেমিকার হাত।)
অনুপঃ আজকের পৃথিবীটা কত্তো যে সুন্দর লাগছে! তুমি যদি তা দেখতে পেতে!
অপলাঃ জান্‌, পৃথিবীটা এতো সুন্দর, আমি এর সব দেখতে চাই।

বিস্তারিত»

একটিবার এসো তুমি

(উত্সর্গ পর্বঃ সঙ্গত কারণে এই কবিতাটি গিফট করা হলো আমাদের প্রিয় কমান্ডো আহসান ভাইকে। সাথে সবার জন্যে FREE হিসেবে থাকছে নিচের ছবিটা।)

আঁধার পেরিয়ে এসো তুমি মেয়ে
দ্বিধার পর্দা গলে এসো
গোধূলি লগনে অবারিত দিগন্ত জুড়ে এসো
কিংবা হাসনাহেনার গন্ধ নিয়ে এসো
নতুবা হেলেনের সাজে এসো।

বিস্তারিত»

শপথ

ডিসেম্বর মাস, আমাদের বিজয়ের মাস, স্বাধীনতা অর্জনের মাস। তাই বিজয় কিংবা স্বাধীনতা নিয়ে কিছু লিখতে খুব ইচ্ছা করছিল। কিন্তু মাথার মধ্যে কিছুই গোছাতে পারলাম না। ২০০১ সালে বি এম এ তে থাকাকালীন ম্যাগাজিনে একটা কবিতা দিয়েছিলাম। ওটা ছাপাও হয়েছিল। আসলে কবিতা বললেও ভুল হবে। বস্তুত এটা একটা ছড়া। এখন হঠাৎ মনে পড়ে গেল। এখানে সবার সাথে সেটা শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে। সামান্য পরিবর্তন করে ওটাই এখানে তুলে দিলামঃ

শপথ

বহুদিন পর হঠাৎ যে আজ
মনে হলো এক করুন কথা,

বিস্তারিত»

একটা রূপকথা

দেখি, আজ একটা গল্প বলি বরং।
এক বাড়ির বড় ছেলে নতুন বিয়ে করে খুব লক্ষীমন্ত একটা মেয়েকে ঘরে নিয়ে আসলো। দুইজনে খুব ভাব-ভালবাসা, খুব মিল-ঝিল। নিজেদের মত করে সুখেদুখে দিন কাটায়।
বাড়ির বাকি লোকজনের আবার এটা পছন্দ হলো না। রূপকথার কূটনী বুড়িদের মত তাদের চোখ টাটাতে লাগলো এত সুখ দেখে। তারা নানান মিটিং-টিটিং করে একসাথে নানান রকম ফন্দি-ফিকির করতে লাগলো। বৌ-টার লক্ষীপনাকে বললো ন্যাকামী,

বিস্তারিত»

ভালো লাগে

১.
কোন কোন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই সবকিছু ভাল লাগতে শুরু করে। সেইদিন সকালের পরোটাটা অমৃতের মত লাগে, আলুভাজি কিংবা ডিমের স্বাদ মনে হয় ওই সকালেই সবচেয়ে ভালো হয়! ভার্সিটিতে ভোর সকালে কোন ক্লাস থাকেনা কিংবা ওইদিন বস ছুটিতে থাকে বলে অফিসে দেরীতে গেলেও হয়। সকালের ভালোলাগার রেশটুকু যেন সারাদিনের সঙ্গী হয়ে যায়।
ক্লাস করতে গেলে দেখা যায় সবচেয়ে বদরাগী স্যার ক্লাসে আসেননি অথবা কোন এক বিচিত্র কারনে ওই স্যার ক্লাসে গল্প করছেন।

বিস্তারিত»

“দ্য ড্রিম টিম” ভার্সেস “আদার্স”

পাঠকগন, আমার এই লেখাটা মাস্ফ্যুর জোরাজুরির ফলাফল, ছোট ভাই একটা দাবী করেছে। ফেলতে পারলাম না। যা মনে আসল লিখে ফেললাম।

১৯৯৭ সালের ঘটনা। আমরা তখন ক্লাস টুয়েল্‌ভে। আই সি সি এফ এম (ফুটবল) উপলক্ষে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার ২য় আই সি সি। (এর আগে ৯৬ তে গিয়েছিলাম জেসিসি তে এ্যাথলেটিক্স টিমের মেম্বার হয়ে)। আমাদের ফুটবল টিমের কম্বিনেশন টা ছিল দারুন।

বিস্তারিত»

রূপবিলাস- ৩,৪

এখানে(১,২)

৩.
এই মানুষটার মাথায় শিং, লেজও আছে একটা। মুখে ভুবনভোলানো হাসি। কিন্তু সে জানে লোকটা তার জন্যই অপেক্ষা করছে বছর ধরে, যুগ যুগ ধরে। হাসির মোহে আর পরবে না সে, উল্টা ঘুরে দৌড় দেয়। কিন্তু একি পায়ের নিচে মাটি কোথায়?!! সব ষড়যন্ত্র ঐ বুড়ো বদমাসটার। নিচে তাকায় না সে, যদি হাল ছেড়ে দেয় শরীরটা। হাল ছাড়া যাবে না, হারা যাবে না।

বিস্তারিত»

আমার পরাণ যাহা চায়

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আস্‌সালামু আলাইকুম ও ঈদ মোবারক। আমি সিসিবির নতুন একজন সদস্য। এটি আমার প্রথম লিখা। আপনাদের কেমন লাগবে বুঝতে পারছিনা। অনেক সংকোচ, লজ্জা আর দ্বিধা নিয়েই লিখছি বলতে পারেন। খারাপ হলে ব্লগ এ্যাডজুট্যান্ট মুছে ফেলতে পারেন।

শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সায়েদের প্রতি, যার মাধ্যমে এই নতুন জগতে আমার অনুপ্রবেশ। গত ২৩ শে নভেম্বর আমি যেদিন মনরোভিয়া থেকে ফিরব তার আগের দিন সায়েদ আমাকে বলল “তুই কি সিসিবি র মেম্বার?” আমি বললাম,

বিস্তারিত»

অবশেষে…ঈদে ঢাকার বাইরে

নাহ, ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া আর মনে হয় যুদ্ধ জয় করা সমান কথা। আমাদের দেশের এই সিস্টেম গুলা যে কবে ঠিক হবে। অপ্রতুল যানবাহন, লাখ লাখ মানুষের ভীড়, অসহনীয় যানযট ইত্যাদি ইত্যাদি।

ছাত্র জীবনে তাও ঈদের ২/৩ দিন আগে যেতাম। তাই এতো ভীড় পেতাম না। কিন্তু লাস্ট তিন বছর ধরে চাকুরিতে জয়েন করার পর থেকে ঈদের ছুটি তিন দিন। তাই প্রতি বারই যেতে হয় ইদের আগের দিন।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোর লাইগা রে …

কলেজ থেকে ছুটিতে আসলে আমাদের প্রধান কাজ ছিল সব বন্ধুরা (ক্যাডেট পার্টি) একসাথে আমার বাসার সামনে বা আহমেদের বাসার সামনে দুই দলে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলা। সকাল থেকে শুরু হতো একেবারে দুপুর গড়িয়ে বিকাল না হলে থামাথামির কোন নামগন্ধ ছিলো না।

ক্রিকেট আমার খুব প্রিয় খেলা। খেলতে এবং দেখতে। কিন্তু সমস্যা হলো খেলার সময় আমি আবার একেবারে আনাড়ী। ফলে দুই দল ভাগ করার সময় আমাকে সবাই বিপক্ষ দলের দিকে ঠেলে দিতো।

বিস্তারিত»

রূপবিলাস

১.
বিকেলের সময়টায় কোন কাজ থাকে না সৌরভের। প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি লেকে চলে যায়। তারপর একটা জুতসই জায়গা দেখে বসে পড়ে। আমোদপ্রবণ মানুষগুলোর ছুটে চলা দেখে , আর দেখে প্রেমিক যুগলের খিলখিল শব্দে লুটোপুটি খাওয়া। বিচিত্র মানুষের সমাগম ঘটে, কেউ আসে মজা করতে কেউ আসে লুটতে। সৌরভ আসে মানুষ দেখতে। এক একটা মানুষের মুখ দেখে গল্প খুঁজে বেড়ায় সে, জীবনের গল্প। মানুষকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ফেলে,

বিস্তারিত»