প্রায় দশ বছর আগে কুমিল্লার এক গন্ডগ্রামের এক কলেজে ৩জুন তারিখে প্রবেশ করেছিল ঐকলেজের ভবিষ্যৎ এর একজন সুপারস্টার। তাহার পড়াশুনায় ধারে আর রূপ সৌন্দর্যে তখন ডুবিয়াছিল পুরা কলেজ। আমরা তখন তাকে ভয়ে ভয়ে দেখিতাম আর ভাবিতাম আল্লাহ যাকে দেয় ছাপ্পড় মারিয়া দেয়। আমরা যখন বাংলায় কোনমতে পাশ করিতাম তখন এই ব্যাটা হায়েস্ট এর পর হায়েস্ট পাইয়া আমাদের ইজ্জতের ফালুদা বানাইত। x-(
কিন্তু কালেকালে অনেকবেলা তো হল।
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২
সেদিন কি যেন একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল, ক্লাসের সব মেয়েদের সাথে স্বাতীও দেখি শাড়ি পড়ে এসেছে। শাড়ি পড়ার সাথে সাথে মেয়েদের মধ্যে একটা অন্যরকম পরিবর্তন আসে, আমি আগে কখনও খেয়াল করিনি। ওকে দেখার পর আমার মধ্যে তৈরী হওয়া বিষ্ময়-ভালোলাগা মিশ্রিত এই অনুভুতিটাকে কেন জানি একান্তই নিজের মনে হল! সেসময় হ্যাবলার মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করছিলাম বলে মনে পড়ছেনা।
বিস্তারিত»সকালের মুক্তা
সকাল যখন মুচকি হেসে..
ছড়িয়ে আলো চারদিকে..
চোখের উপর আস্তে বসে..
ডাকে আমায় তার দিকে..
তন্দ্রা তখন দৌড়ে পালায়
হুড়মুড়িয়ে তার ছোটা..
ঝকমকানো মুক্তো দেখি
আসলে পানির ফোটা!!
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
কয়েকদিন থেকে মনটা খুব খারাপ ছিল। সিসিবি থেকে নীরব নির্বাসনে চলে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু তা আর পারলাম কই? শওকত ভাইয়ের সেরা ১০ মুভি নিয়ে লেখায় ঠিকই কমেন্ট করে ফেললাম। ওখানে আবার সামিয়ার সাথে হালকা ভুল বোঝাবুঝি। বোনের সাথে এরকম হলে কি কারো ভাল লাগে? তাই সিসিবির আমাদের সবার পছন্দের বোনটার জন্য লিখে ফেললাম এই গল্পটা।
স্বাতী নিঃসন্দেহে ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে নয়,
বিস্তারিত»মেডেল প্যারেড ২০০৯ (আনমিল, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টস্)
গতকাল লাইবেরিয়াতে হয়ে গেল আমাদের এতদিনের বহু প্রতীক্ষিত “মেডেল প্যারেড”। দীর্ঘ দেড় মাস প্যারেড অনুশীলনের পর আমাদের এই ফাইনাল প্যারেড হলো। শেষ হলো আমাদের মেডেলের প্রতীক্ষার পালা। আমরা সবাই ইউ এন মেডেল পেলাম। প্যারেডের পরে হলো কেক কাটা, প্রীতি ভোজ এবং একটি কালচারাল প্রোগ্রাম। সমস্ত দিনের উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নিয়ে আমার আজকের এই ব্লগ, সেই সাথে আমার প্রথম ছবি ব্লগ
বিস্তারিত»বইমেলায় বন্ধু-র বইঃ অমিত আহমেদ ও আনোয়ার সাদাত শিমুল
বিখ্যাত লোকজনদের সাথে আমার কখনো বন্ধুত্ব হয়নি, বরং তার উল্টোটাই ইদানিং বেশি বেশি ঘটছে, আমার বন্ধুরাই বেশ বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। 🙂
আর এই তালিকার সাম্প্রতিক দুটো নাম হচ্ছে অমিত আহমেদ ও আনোয়ার সাদাত শিমুল।
এই দুইজনের সাথেই পরিচয় হয়েছে ব্লগে এসে। লম্বা সময় পাড়ি দিয়ে এখন দুজনেই আমার আত্মার খুব কাছের মানুষ, কখনও দেখা না হয়েও!
এবারের বই মেলায় ডেব্যু করছে আনোয়ার সাদাত শিমুল,
মজার নামতা ৯
ছোটবেলায় একদিন অপু অংক পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখল যে সে একটা অংক বাদে সব অংক পারে। শুধু ৯ এর নামতা পারছিল না সে। ৮ এর নামতা পর্যন্ত সে পারত তখন, অথচ পরীক্ষায় এল ৯ এর নামতা। কিন্তু মা বলেছে কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবেনা। তাই নামতাটি না জানলেও মনে যা আসলো, তাই লিখে দিয়ে আসল সে। আশ্চর্য্যের বিষয়, রেজাল্টে দেখা গেল তার সব উত্তর সঠিক হয়েছে এবং সে পূর্ণ নম্বর পেয়েছে।
বিস্তারিত»মিথিলা বেঁচে উঠুক
এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘হাউসফুল’। পারিবারিক জীবনের অত্যন্ত বাস্তব ঘটনাগুলো সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকে। এ-পর্যন্ত ৬০টি পর্ব প্রচার হলো এর। :party:
রাজধানীর পল্লবীর একটি বিল্ডিংয়ে পাশাপাশি বসবাসরত দুই ফ্যামিলি। উভয় ফ্ল্যাটের কর্তার নাম একরামুল, এদের একজন রুচিশীল ভদ্রলোক ইঞ্জিনিয়ার আরেকজন বিল্ডার্সের কাজ করেন।
দ্বিতীয়জন মোটামুটি গেঁয়ো, তার সাথে বাসায় থাকে তার ভাগিনা সিদ্দিক। সিদ্দিক নাটকের সবচে মজাদার চরিত্র,
প্রিয় সেগুন বাগান
খুব সিরিয়াসলি সত্যজিৎ রায় হতে চাইবার আগে আমি তারচেয়ে সিরিয়াসলি হতে চেয়েছি ম্যাকগাইভার কিংবা মিঠুন চক্রবর্তী। এই দুইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে বন্ধুদের নিয়ে গোয়েন্দা দল বানিয়ে আমি প্রায় হয়েই গিয়েছিলাম কিশোর পাশা। গোয়েন্দা রাজু খুব বেশিদিন আমার সহচর ছিলো না। কাকাবাবু বা ফেলুদা পড়েছি, তবে হতে চাই নি কোনদিন। এখন এই আধাযুবক বয়সেও ছেলেবেলার যে হিরোর আবেদন একটুও কমেনি আমার কাছে, সেই দুর্দান্ত ছোকরার নাম ‘মাসুদ রানা’।
বিস্তারিত»কল সেন্টার কড়চা-০১
(ভুমিকাঃ আমি যখন ২০০৫ সালে গ্রামীন ফোনে জয়েন করি ইন্টার্নি করার জন্য, আমার টাস্ক ছিলো কল সেন্টার এর জন্য একটি নতুন সফটওয়্যার তৈরী করা। তখন কিছুদিন কল ও ধরতে হয়েছে। আর যেহেতু এখনো কল সেন্টার এর সার্ভার আমার দায়িত্তে এবং আমার আশে পাশে সবাই কল ধরে তাই অনেক ধরনের বিচিত্র কাহিনি শুনি এবং দেখি প্রতিদিন। সিরিয়াস, কল সেন্টার এ থাকলে মানুষ যে কতো বিচিত্র ধরনের হতে পারে তার ধারনা হয়।
বিস্তারিত»তোর হাত কই ছিল???
( ব্লগে আজকে রাতে ঢুকে দেখি দারুন সিরিয়াস পরিবেশ। তাই মনে হল তাইলে হালকা কিছু হয়ে যাক)
আমাদের সাথে ডিপার্টমেন্টে এক পুরা আজব চীজ পড়ে, নাম হচ্ছে ইশতিয়াক । এই ব্যাটা একদিন আমাকে আর সেলিম(scc) কে তার নতুন ডেটিং এর কাহিনি শুনাইতেছে । বলে বুঝলি রাশেদ। আমি বলি না বললে বুঝব কি ভাবে?? ইশতি বলে সেইটাই তো বলতে চাচ্ছি । সেলিম বলে তাইলে এত ধানাই পানাই না করে সেইটাই বল।
যার যার ধর্ম, তার তার কাছে (রি-এডিটেড)
(কোন এক বিচিত্র কারনে আমার আগের লেখাটি বারবার এডিট করা স্বত্তেও এডিটেড হচ্ছিলনা এবং কেউ নতুন করে কমেন্ট করতে পারছিলনা। তাই বাধ্য হয়েই রিএডিট করে এখানে আবার নতুন ভাবে প্রকাশ করতে হলো। আমার এন্ডের এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য দুঃখিত। ঐ পোষ্টের মন্তব্যগুলোর জবাবও আমি এখানে দেয়ার চেষ্টা করব।)
আলমের “প্রাউড টু বি মুসলিম” পোষ্টটিতে দেখেছিলাম সে তার ঐ লেখাটি আমাকে উৎসর্গ করে লিখেছিল (‘দেখেছিলাম’
বিস্তারিত»প্রাউড টু বি মুসলিম
(এই ব্লগের শানে নুযুল আশাকরি সবারই জানা, জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। লেখাটি আমাদের প্রিয় রহমান ভাইকে উৎসর্গীকৃত।)
মুসলমান ঘরে জন্মেছি তাই গর্ববোধ করি। জন্মসূত্রে মুসলমানিত্ব পেয়েও এটাকে সৃষ্টিকর্তার এক রহমত বলে মনে হয়। (ভাইজানেরা, যারা একমত, বলেন সুবহানাল্লাহ্।) কেন আমার এমন মনে হয়?
ইসলাম ধর্ম স্রষ্টা-প্রবর্তিত একটি ‘পূর্ণ গাইডলাইন’। এর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই ইসলামের প্রবক্তা মুহাম্মদের (সাঃ) জীবনেই। পার্থিব অক্ষর-জ্ঞানশূন্য এই মানুষটি তার চারপাশের অনৈতিক-বর্বর যোদ্ধা জাতিকে কী করে উদারনৈতিক-সহনশীল জাতিতে পরিণত করেছেন,
দুঃখ বিলাস
মাঝে মাঝে কি যে হয়। আর কিছুই ভাল লাগে না, না গল্প না আড্ডা। চারিদেকে হতাশার গন্ধ পাই। পুরান বন্ধুদের খুজি কিন্তু মন কিছুতেই জমে না আড্ডায় । এইটা কে কি বলে? জানি না, জানতে ইচ্ছাও করে না কারন তখন কিছুই যে আর ভাল লাগে না । হাত টা নিশপিশ করে। এত কাছে দিয়ে চলে যায় স্বপ্ন কিন্তু কিছুই করার থাকে না। দুই বছর কম সময় না কিন্তু স্বপ্ন না ধরতে পারার পুরান বেদনা মলিন হয় না।
বিস্তারিত»শান্তর বাসা
মাঝখানের কিছু বছর আমাদের বন্ধুদের এমন একটা সময় গিয়েছিলো, যখন আমাদের সবার ২য় ঠিকানা ছিলো শান্তর বাসা।
শান্তর বাসার খোঁজ কখন কেমন করে যে পাই, এতদিন পরে আমার আর সেসব কিছু মনে নেই। কিন্তু পাবার পর থেকে এমন হতো যে, প্রায়শই আমরা, বন্ধুরা, নিজেদের সবাইকে আবিষ্কার করতাম শান্তর বাসায়। কারন সহ বা কারণ ছাড়াই। খিদে পেলে বা না পেলে। আড্ডা দিতে চাইলে বা না চাইলেও।