টিটোর গপ্পোঃ গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ

অতীত ভ্রমন সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না ? গাল গল্প নয়। আপনিও পারবেন। এজন্য বিশাল কিছু হবার প্রয়োজন নেই।ওয়ার্প স্পীডে ছোটার মত নভোযানও লাগবে না।টাইম মেশিনও দরকার নাই।প্রথমে একটু প্রমান দেই।চাঁদ তারা দেখুন।অতীত দেখা হয়ে যাবে।এবার কাজের কথায় আসি।নারকেল গাছে উঠুন। গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ দিয়েই পাঠিয়ে দিবো আপনার শৈশবে।

প্রথমে একটা নারকেল পাতার শলার এক পাশ থেকে একফালি কাটুন।ফালিটার মাথা থেকে একটা ছোট অংশ কাটতে হবে।ছোট অংশের দৈর্ঘ্য ফালিটার প্রস্থের তিনগুনের কম হতে হবে।ছবি অনুসরন করে গিট্টু দিন।হাতের কব্জির সাথে প্যাঁচ দিন।তৈরী হয়ে গেলো ঘড়ি।গিট্টুর দুই দিকে প্যাঁচ দিয়ে দুপাশে শলা লাগান।পেয়ে গেলেন চশমা।কয়েক ফালি পাতা নিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চোঙা বানান।বড় পাশে শলা আটকান।ছোট পাশে সমান দুই টুকরা পাতার ফালি ঢুকিয়ে দিন।

বিস্তারিত»

প্রলাপ-১৭

“You enter it by the Ancient way
Through Ivory Gate and Golden”

১.
অদ্ভুত একটা কমপ্লেক্সিটি…অনেকগুলো গলিপথ-ঘুপচি…যার শেষ সমুদ্রে…এগুলো নদী না নিশ্চিত…নদী হলে নৌকা থাকতো…মাছ থাকতো…পাড়ঘেষে বাড়ি থাকতো…বাড়িতে মানুষ থাকতো…মানুষের সংসার থাকতো…

এখানে কেবল বৈরাগ্য!
২.
যে রাবারের বনের কথা বলা হয়েছে পুরোনো গল্পে,সেখানে এখন এয়ারফিল্ড হয়ে গেছে,যার রানওয়ে ঘিরে আলোর স্ফটিক,সোডিয়াম আলোর পরিবর্তে সাদা ফ্লাডলাইট।যার কন্ট্রোলরুমে বসে ইউনিফর্ম পড়া রমনীরা মৃদুভাষ্যে বলে যাচ্ছে দুঃসময়ের সঙ্কেত।

বিস্তারিত»

আমার মা আমার জীবন

ক্লাসে বসে থেকে অনেক কস্টে মিলানোর চেস্টা করছি যে আমি আসলে এখানে কি করছি(!) এমন সময় পাশে বসা ছেলেটা আচমকা জিজ্ঞেস করে বসল, “ভাই, আপনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত কোনটা?”

কিছুটা সময় নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার জীবন! ক্লাস সেভেনে আনন্দের মুহূর্ত? বারবার জোর করে ষ্টেজে ওঠানো স্যার দের উপর চরম বিরক্ত হয়ে বলতাম “ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া”

বিএমএ আর বিএনএ তে চাপের মুখে বলতেই হত “গ্রিন কার্ড পাওয়া”

বিস্তারিত»

১৯ ডিসেম্বর, অনশন

সিরিয়াল ১৫
১৯ ডিসেম্বর, অনশন

ক্লাস শেষে বাসায় এসে ফোন দিলাম
আমিঃ আজকে একটু আসবেন নাকি?
আরিফঃ কেন?
আমিঃ এমনিতেই
আরিফঃ তাহলে তো আসা যাবে না।তোমার জন্য আসতে বললে আসব।
আমিঃ তাহলে আসা লাগবে না। কারণ আমি বলব না আমার জন্য আসতে
আরিফঃ ভেবে দ্যাখো আর আসব না।
আমিঃ না আসলেন!

এই প্রথম আরিফ সাহেব রাগ করে কল কেটে দিলেন।আর কল ধরে না।

বিস্তারিত»

ক্যান্সার

প্রিয়তমা,

কেমন আছ? নিশ্চই ভাল। আমি? আমার হিসেব করা সময় যদি ঠিক হয়, তাহলে তুমি যখন এ লেখাটা পড়ছ, আমি তখন নেই। নেই মানে নেই। আমি চলে গিয়েছি এই জীবনের প্রতি প্রচন্ড এক বিতৃষ্ণা নিয়ে। প্রকৃতির নিয়ম মেনেই হয়ত তোমার জীবনের শূন্যস্থান পূরন হয়ে গেছে।

তুমি হয়ত ভেবেছিলে যে আমিতো এটাই চেয়েছিলাম। হ্যা, আমি চেয়েছিলাম, আমি স্বীকার করছি। কিন্তু, কখনো কি চিন্তা করে দেখেছ কেন আমি এমনটা চেয়েছি?

বিস্তারিত»

টিটোর গপ্পোঃ মূল্যহীন খেলনা

বাঁশ পাতার নৌকা

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে অনেক কিছু।এখনকার বাচ্চারা রিমোট কন্ট্রোলড গাড়ী  বিমান হেলিকপ্টার বা শীপ নিয়ে খেলে।এত দামী খেলনা সবার নাগালের মধ্যে নয়। তবে সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামের খেলনা পাওয়া যায়। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শুধু মেলাতে খেলনা পাওয়া যেত।ব্যাং গাড়ী, শোলার পাখি, কুমির, ঘর; মাটির পাখি পুতুল, হাতি, ঘোড়া, বাঘ,হরিণ, বিড়াল; লোহার চাকু, দা, কাগজ ও শোলার চরকি এবং আরও অনেক কিছু।

বিস্তারিত»

আত্ম- সমালোচনা

অনেক ছোট ছোট ঘটনা মাঝেমাঝে ভাবিয়ে তোলে। নিজেকে বিচার করতে শেখায় নিজের সম্বন্ধে। সেদিন ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছিলাম শর্টকাট রাস্তা ধরে। ওই রাস্তায় আবার টেম্পুতে চলাচল করতে হয়। আমি টেম্পুতে বসেছিলাম আর অপেক্ষা করছিলাম কখন ছাড়বে। হঠাৎ বিড়ির ঝাঁঝাল গন্ধ নাকে এল। আমার পাশে কয়েকজন মহিলা বসে ছিলেন, তারা বিরক্তিতে নাক সিটকালেন। আমি তাকিয়ে দেখলাম এক মধ্যবয়স্ক লোক টেম্পুর পাশে দাড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে। সবাই বিরক্ত হলে ও আমাকে লোকটা অবাক করল।

বিস্তারিত»

২০০২, জুন… মনে আশ, খেলাম বাশ

সিরিয়াল ৯
২০০২, জুন… মনে আশ, খেলাম বাশ

সবাই ঘুমিয়ে গেছে। মন হঠাত খারাপ লাগছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি একা অন্ধকারে। এভাবে জোর করে মানুষটাকে হারানো ঠিক হয়নি। বেচারা পরে জিদ করে নিজেই বারবার হারলো।
আজকে খুব জ্যকেটওয়ালার কথা মনে পড়ছে। ইস, চেহারাটা দেখা হয়নি। আর কোনদিন দেখাও হবে না মনে হয়। আচ্ছা জ্যকেটওয়ালার নাম যদি রায়হান হত! আমার প্রিয় নাম। আমার হাতে এক টা মজার জিনিস আছে।

বিস্তারিত»

ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক

বেছে নেয়ার অগ্রাধিকারে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক
একদিনের রাজা, আরেক নাম পরিচালক।
অগভীর এঞ্জিনের ত্রিচক্রে সওয়ার
ক্ষত বিক্ষত রাজপথে সকম্প ফ্যাটফ্যাটি আর্তনাদ
নিতম্ব থেকে কশেরুকা বেয়ে চাঁদি ছোঁয়া বিষাদ!

বাছাই কেন্দ্রটা রাজ্য নাকি দুর্গ তা বলা শক্ত।
বিকেল থেকে মধ্যরাত অব্দি প্রস্তুতি
পাইক পেয়াদার বাত্তি খাবার
ছাপমারার অন্তঃপুর
হরেক রকম ঠোঙা আর ফর্দ
আধুনিক স্বয়ংবর সভা !

বিস্তারিত»

২০০২, জুন…হারডিঞ্জ ব্রীজ

সিরিয়াল ৭
২০০২, জুন…হারডিঞ্জ ব্রীজ

ছোটবেলা থেকে আমার হাইট ফোবিয়া আছে। আমি ৩ তলার বেশি উচুতে উঠলেই মাথায় চক্কর। আমি অবশ্য এটা সবাইকে বলি না। যাই হোক, নানাবাড়ীর সবাই আর আমরা হারডিঞ্জ ব্রীজ এ পৌছে গেলাম মাইক্রোতে চড়ে। আমি শুধু প্লানে আছি ওই বদ লোক কে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়।
আমিঃ আমিতো কানা তাই সানগ্লাস পড়ি না। আপনি সানগ্লাস পড়েন না কেন?

বিস্তারিত»

২০০২ জুন…মিশন নানাবাড়ী

সিরিয়াল ৫
২০০২ জুন…মিশন নানাবাড়ী

বাসের ভেতরে আব্বুর কথায় জানা গেল এই লেটু লোকটির নাম আরিফ। প্রিন্টিং এর কাজ করে। আব্বুর সাথে অনেক দিনের পরিচয়। আমিই কেবল ওইদিন প্রথম দেখলাম। বাসার সবাই তাকে ভালো মতই চিনে।নানাবাড়ী নাটোর পৌছালাম দুপুর ৩ টায়। জুনের গরমে আমার মনে হল আমার গা ফুটছে। কিন্তু যখন আরিফ সাহেবের ফরসা মুখটা তেতে লাল হয়ে গেল, আমার ভিতরে এসির শীতল শান্তি।

বিস্তারিত»

পারিবারিক বকর বকর

ক্ষুদে বার্তায় পদ্য বিনিময়

আমার গিন্নী বাংলার ছাত্রী। এক দিন ওর এক বান্ধবীকে আমার লেখা কিছু কবিতা শুনালাম।পরের দিন বেশ ভালই ঝাড়ি খেতে হলো।রোবট আবার কবিতা লেখে । কবিতার কিছু বুঝ তুমি ? কবিতার মধ্যে থাকতে হবে প্রেম ভালোবাসা ।ও বস্তু তোমার মধ্যে আছে ? মনের আক্ষেপ প্রকাশ করা ওসব ছাইপাশ কোনও কবিতা নয়। সেটা আবার পেপারে ছাপার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছো। আরে সাধনা লাগে সাধনা ।

বিস্তারিত»

১৯৯৯, ডিসেম্বর…(জ্যাকেট ওয়ালা লোকটির নিজের কথা)

সিরিয়াল ৩
১৯৯৯, ডিসেম্বর…(জ্যাকেট ওয়ালা লোকটির নিজের কথা)

আমার বাবার সাথে বাণিজ্যিক আলাপ হয় জ্যাকেটওয়ালার। জ্যাকেটওয়ালা বলছি কারণ আমি নাম জানি না তার। যাই হোক, জ্যাকেটওয়ালা আমার বাবার মুখে আমার কথা শুনতে শুনতে আমাকে দেখার জন্য অধীর।আমার গুনমুগ্ধ আব্বু আমার এমন গুনকীরতনই করেছেন যে, জ্যাকেট ওয়ালা একদিন আমাদের বাসায় এসেছিলেন আমাকে দেখতে। কিন্তু আমি তখন কলেজে। ড্রইংরুমের দেয়ালে আমার ফটো ছিল। ওইটা দেখে উনি ……মুগ্ধ!( কি মজা,

বিস্তারিত»

১৯৯৯, ডিসেম্বর……এক ঝলক দেখা

সিরিয়াল ১

১৯৯৯, ডিসেম্বর……এক ঝলক দেখা
আমি ক্লাস টেনে পড়ি। আমাদের বাসায় এক ছেলে এসেছে আব্বুর কাছে কোন একটা কাজে। ড্রইংরুমে বসেছে। কে না কে, তাই আমি আর দেখা করিনি।

আমি পাশের ঘরে টেলিফোনে কথা বলি। দুই ঘরের মাঝখানে একটা দরজা। আম্মু নাস্তা নিয়ে ঢুকল ড্রইংরুমের দরজা দিয়ে। আমি তাই ওইদিকে তাকালাম। আমার একটা বিশেষ ধরনের জ্যাকেট পছন্দ ছিল ওই সময়।

বিস্তারিত»

আর কত ?

আর কত দিন এভাবে চলা ?
পারিনা তবু হয়না বলা
সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
ভাবনার জগতে আসি ফিরে।
হিসাব মেলেনা ইট পাথরের
কিংবা শাড়ী গয়নার,
না পারি অংক না পারি বিজ্ঞান
তবু তাকে বলি বাস্তব জ্ঞান।
হে  মোর আধুনিক পাঠশালা
দেখি শুধু ছলাকলা।
গা ভাসিয়ে সাগরে জলে
ঢেউ গুনে গুনে
করি নিজের অবহেলা।

বিস্তারিত»