ক্যান্সার

প্রিয়তমা,

কেমন আছ? নিশ্চই ভাল। আমি? আমার হিসেব করা সময় যদি ঠিক হয়, তাহলে তুমি যখন এ লেখাটা পড়ছ, আমি তখন নেই। নেই মানে নেই। আমি চলে গিয়েছি এই জীবনের প্রতি প্রচন্ড এক বিতৃষ্ণা নিয়ে। প্রকৃতির নিয়ম মেনেই হয়ত তোমার জীবনের শূন্যস্থান পূরন হয়ে গেছে।

তুমি হয়ত ভেবেছিলে যে আমিতো এটাই চেয়েছিলাম। হ্যা, আমি চেয়েছিলাম, আমি স্বীকার করছি। কিন্তু, কখনো কি চিন্তা করে দেখেছ কেন আমি এমনটা চেয়েছি?

বিস্তারিত»

টিটোর গপ্পোঃ মূল্যহীন খেলনা

বাঁশ পাতার নৌকা

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে অনেক কিছু।এখনকার বাচ্চারা রিমোট কন্ট্রোলড গাড়ী  বিমান হেলিকপ্টার বা শীপ নিয়ে খেলে।এত দামী খেলনা সবার নাগালের মধ্যে নয়। তবে সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামের খেলনা পাওয়া যায়। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শুধু মেলাতে খেলনা পাওয়া যেত।ব্যাং গাড়ী, শোলার পাখি, কুমির, ঘর; মাটির পাখি পুতুল, হাতি, ঘোড়া, বাঘ,হরিণ, বিড়াল; লোহার চাকু, দা, কাগজ ও শোলার চরকি এবং আরও অনেক কিছু।

বিস্তারিত»

আত্ম- সমালোচনা

অনেক ছোট ছোট ঘটনা মাঝেমাঝে ভাবিয়ে তোলে। নিজেকে বিচার করতে শেখায় নিজের সম্বন্ধে। সেদিন ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছিলাম শর্টকাট রাস্তা ধরে। ওই রাস্তায় আবার টেম্পুতে চলাচল করতে হয়। আমি টেম্পুতে বসেছিলাম আর অপেক্ষা করছিলাম কখন ছাড়বে। হঠাৎ বিড়ির ঝাঁঝাল গন্ধ নাকে এল। আমার পাশে কয়েকজন মহিলা বসে ছিলেন, তারা বিরক্তিতে নাক সিটকালেন। আমি তাকিয়ে দেখলাম এক মধ্যবয়স্ক লোক টেম্পুর পাশে দাড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে। সবাই বিরক্ত হলে ও আমাকে লোকটা অবাক করল।

বিস্তারিত»

২০০২, জুন… মনে আশ, খেলাম বাশ

সিরিয়াল ৯
২০০২, জুন… মনে আশ, খেলাম বাশ

সবাই ঘুমিয়ে গেছে। মন হঠাত খারাপ লাগছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি একা অন্ধকারে। এভাবে জোর করে মানুষটাকে হারানো ঠিক হয়নি। বেচারা পরে জিদ করে নিজেই বারবার হারলো।
আজকে খুব জ্যকেটওয়ালার কথা মনে পড়ছে। ইস, চেহারাটা দেখা হয়নি। আর কোনদিন দেখাও হবে না মনে হয়। আচ্ছা জ্যকেটওয়ালার নাম যদি রায়হান হত! আমার প্রিয় নাম। আমার হাতে এক টা মজার জিনিস আছে।

বিস্তারিত»

ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক

বেছে নেয়ার অগ্রাধিকারে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক
একদিনের রাজা, আরেক নাম পরিচালক।
অগভীর এঞ্জিনের ত্রিচক্রে সওয়ার
ক্ষত বিক্ষত রাজপথে সকম্প ফ্যাটফ্যাটি আর্তনাদ
নিতম্ব থেকে কশেরুকা বেয়ে চাঁদি ছোঁয়া বিষাদ!

বাছাই কেন্দ্রটা রাজ্য নাকি দুর্গ তা বলা শক্ত।
বিকেল থেকে মধ্যরাত অব্দি প্রস্তুতি
পাইক পেয়াদার বাত্তি খাবার
ছাপমারার অন্তঃপুর
হরেক রকম ঠোঙা আর ফর্দ
আধুনিক স্বয়ংবর সভা !

বিস্তারিত»

২০০২, জুন…হারডিঞ্জ ব্রীজ

সিরিয়াল ৭
২০০২, জুন…হারডিঞ্জ ব্রীজ

ছোটবেলা থেকে আমার হাইট ফোবিয়া আছে। আমি ৩ তলার বেশি উচুতে উঠলেই মাথায় চক্কর। আমি অবশ্য এটা সবাইকে বলি না। যাই হোক, নানাবাড়ীর সবাই আর আমরা হারডিঞ্জ ব্রীজ এ পৌছে গেলাম মাইক্রোতে চড়ে। আমি শুধু প্লানে আছি ওই বদ লোক কে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়।
আমিঃ আমিতো কানা তাই সানগ্লাস পড়ি না। আপনি সানগ্লাস পড়েন না কেন?

বিস্তারিত»

২০০২ জুন…মিশন নানাবাড়ী

সিরিয়াল ৫
২০০২ জুন…মিশন নানাবাড়ী

বাসের ভেতরে আব্বুর কথায় জানা গেল এই লেটু লোকটির নাম আরিফ। প্রিন্টিং এর কাজ করে। আব্বুর সাথে অনেক দিনের পরিচয়। আমিই কেবল ওইদিন প্রথম দেখলাম। বাসার সবাই তাকে ভালো মতই চিনে।নানাবাড়ী নাটোর পৌছালাম দুপুর ৩ টায়। জুনের গরমে আমার মনে হল আমার গা ফুটছে। কিন্তু যখন আরিফ সাহেবের ফরসা মুখটা তেতে লাল হয়ে গেল, আমার ভিতরে এসির শীতল শান্তি।

বিস্তারিত»

পারিবারিক বকর বকর

ক্ষুদে বার্তায় পদ্য বিনিময়

আমার গিন্নী বাংলার ছাত্রী। এক দিন ওর এক বান্ধবীকে আমার লেখা কিছু কবিতা শুনালাম।পরের দিন বেশ ভালই ঝাড়ি খেতে হলো।রোবট আবার কবিতা লেখে । কবিতার কিছু বুঝ তুমি ? কবিতার মধ্যে থাকতে হবে প্রেম ভালোবাসা ।ও বস্তু তোমার মধ্যে আছে ? মনের আক্ষেপ প্রকাশ করা ওসব ছাইপাশ কোনও কবিতা নয়। সেটা আবার পেপারে ছাপার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছো। আরে সাধনা লাগে সাধনা ।

বিস্তারিত»

১৯৯৯, ডিসেম্বর…(জ্যাকেট ওয়ালা লোকটির নিজের কথা)

সিরিয়াল ৩
১৯৯৯, ডিসেম্বর…(জ্যাকেট ওয়ালা লোকটির নিজের কথা)

আমার বাবার সাথে বাণিজ্যিক আলাপ হয় জ্যাকেটওয়ালার। জ্যাকেটওয়ালা বলছি কারণ আমি নাম জানি না তার। যাই হোক, জ্যাকেটওয়ালা আমার বাবার মুখে আমার কথা শুনতে শুনতে আমাকে দেখার জন্য অধীর।আমার গুনমুগ্ধ আব্বু আমার এমন গুনকীরতনই করেছেন যে, জ্যাকেট ওয়ালা একদিন আমাদের বাসায় এসেছিলেন আমাকে দেখতে। কিন্তু আমি তখন কলেজে। ড্রইংরুমের দেয়ালে আমার ফটো ছিল। ওইটা দেখে উনি ……মুগ্ধ!( কি মজা,

বিস্তারিত»

১৯৯৯, ডিসেম্বর……এক ঝলক দেখা

সিরিয়াল ১

১৯৯৯, ডিসেম্বর……এক ঝলক দেখা
আমি ক্লাস টেনে পড়ি। আমাদের বাসায় এক ছেলে এসেছে আব্বুর কাছে কোন একটা কাজে। ড্রইংরুমে বসেছে। কে না কে, তাই আমি আর দেখা করিনি।

আমি পাশের ঘরে টেলিফোনে কথা বলি। দুই ঘরের মাঝখানে একটা দরজা। আম্মু নাস্তা নিয়ে ঢুকল ড্রইংরুমের দরজা দিয়ে। আমি তাই ওইদিকে তাকালাম। আমার একটা বিশেষ ধরনের জ্যাকেট পছন্দ ছিল ওই সময়।

বিস্তারিত»

আর কত ?

আর কত দিন এভাবে চলা ?
পারিনা তবু হয়না বলা
সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
ভাবনার জগতে আসি ফিরে।
হিসাব মেলেনা ইট পাথরের
কিংবা শাড়ী গয়নার,
না পারি অংক না পারি বিজ্ঞান
তবু তাকে বলি বাস্তব জ্ঞান।
হে  মোর আধুনিক পাঠশালা
দেখি শুধু ছলাকলা।
গা ভাসিয়ে সাগরে জলে
ঢেউ গুনে গুনে
করি নিজের অবহেলা।

বিস্তারিত»

কৈফিয়তনামা – ১

মানুষ হিসেবে আমি খুবই বৈশিষ্ট্যহীন একজন মানুষ। একদমই সাদামাটা। আমার বয়সে আসতে আসতে একটা ছেলের অনেকরকম অভিজ্ঞতা হয়ে যায়, সেই তুলনায় আমার ঝুলি নিতান্তই খালি বলা যায়, এতোদিনে সিগারেটা পর্যন্ত খাওয়া শেখা হয়ে উঠেনাই… কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হল পুরাই honesty is lack of opportunity! আমার সাধ আছে অনেক কিছু করার, কিন্তু সাধ্য নাই। আরো ঠিক করে বললে সাহস নাই। আবার অন্যদিকে, আমার মধ্যে আত্মহত্যার ভাব প্রবল।

বিস্তারিত»

মনস্তত্ব এবং মনোঃছবি – কিছু এলোমেলো স্মৃতি ও বিক্ষিপ্ত চিন্তা

মনস্তত্ব এবং মনোঃছবি – কিছু এলোমেলো স্মৃতি ও বিক্ষিপ্ত চিন্তা

[এটা সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যবিহীন বিক্ষিপ্ত একটা লেখা – অনেকটা বকবকানির লিখিত ভার্শন]

মনের চাপ খুব বাজে একটা ব্যাপার। কোন কাজে মন বসে না, আর চাপটা বাড়তেই থাকে। এরকম চাপ মন থেকে বের করে দেয়াই ভাল। কিন্তু আসলে কিভাবে তা বের করা যায়, তা আমরা আর কতটুকুই বা জানি। হয় কাউকে ধরে মনের কথাটা বলা শুরু করি – তাও তো আবার অনেক সংশয় – বলা ঠিক হচ্ছে কিনা – কিরকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে – আমার কথাটা ঠিকমত বুঝবে তো – আমার কথাটার গোপনীয়তা থাকবে কিনা – কথাটা কোথাও মিসকোটেড হবে কিনা – আরো কত যে চিন্তা!

বিস্তারিত»

বিপদের বন্ধু বিপ্লব

অনেক দিন আগে একটা কবিতা খুব নাড়া দিয়েছিলো আমাকে। আবছা ভাবে একটু মনে আছে- “তোমাদের হিসেবী খাতায় বীর নেই, শহীদ রয়েছে শুধু” । জীবিতদের মূল্যায়নে বড্ড কৃপন আমরা। তাই কবির আক্ষেপ প্রকাশ কবিতায়। আমার খাতায় কিন্তু বীর আছে-

বিপদের বন্ধু বিপ্লব

কম কথা বলা বিপদের বন্ধু।
দিল খোলা আবু উলা
মোঃ হাসিনুল ইসলাম।

পরলোকগত বন্ধুদের স্মরণে “ক্যাপ্টেন কারজিয়াস” এবং “থ্রি কমরেডস” ভাগ্যক্রমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো।

বিস্তারিত»

কেমন আছি?

মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ থাকে।
আজ ঘুম ভেঙেছে ভেন্টিলেটরের বাসিন্দা চড়ুইপাখির কল্যাণে। ভোর ৫ টায়। সিলিং ঘেঁষে ওড়ার সময় প্রকৃতির ডাক সে এড়াতে পারেনি। ঠিক মুখের উপর পায়খানা করে দিয়েছে। ( পায়খানা বিষয়ক সিরিজ স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে মৌন প্রতিবাদ সম্ভবত)।
শীত- গ্রীষ্ম সবসময়ই মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর কল্যাণে পয়ঃনিষ্কাশিত বর্জ্যের আলিঙ্গন লেপের উপর দিয়ে গেলেও পূতিগন্ধময় নারকীয় দুর্গন্ধটা কিছুতেই এড়ানো গেল না। শুয়ে শুয়েই দিব্যদৃষ্টে দেখলাম পরীক্ষা শেষে রুমে এসে জ্বালিয়ে দিয়েছি চারটা ভেন্টিলেটর,

বিস্তারিত»