দিনলিপিঃ গডের স্টেক

এক গেলাস জল গড়িয়ে খেতে হয় নাই দেশে অথচ এখানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নিজেকে করতে হয়। বাজার সরকার থেকে শোফার, রাঁধুনি থেকে কবি অথবা জেনেটর বলতে সবই আমি এই জগত সংসারে!

বড়দিনের ছুটি কাটাতে বড় আপার ফ্যামিলি আসবে আমাদের আটলান্টার বাড়ী তাই মা মেয়ের আনন্দ আর ধরে না। তারা আর আমি বসে বসে খাবারের মেন্যু বানাই। বড় আপা আমার তিন বছরের বড় হলেও আমার প্রতি তার আচার আচরণ আমার মায়ের চাইতে কোন অংশেই কম নয়।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৪: অথঃ ইমিগ্রেশান)

এদেশে এসেছিলাম এক বছরের ভিসা নিয়ে। তবে ভিসা হাতে পাওয়ার তিন মাস পরে এদেশে আসার কারনে হাতে আর সময় ছিল মাত্র নয় মাস। এর মাঝেই চাকরী-বাকরী খোঁজা, গোধূলির জন্ম, এসব করতে করতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলো। তখন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অ্যাপ্লাই করলাম, পেয়ে গেলাম আরও চার বছরের জন্য। এই চার বছর যখন শেষ হবে তখন আমাদের এদেশে অবস্থানের সময়কাল হবে চার বছর নয় মাস।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ

স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।

বিস্তারিত»

প্রলাপ-১৩

থোকা থোকা বেগুনী সে-অর্কিডফুল
পোর্সেলিনের জল থেকে উন্মুখ
জানলাপ্রান্তে ঝুঁকে দেখে
তুষারের মোলায়েম গান –
দিনভর। অবিরাম।

অথচ জলের নির্বিবাদ কোলে
গাঢ়সবুজ তার পত্রাবলির সাথে
বেগুনী আভার সখ্যতা দেখে
জলার ধার ধরে
কি করে
সারসার জারুলের গাছ
মনে চলে আসে,
সবুজের হাত ধরে।
বরফের কনকনে কামড়
ফালাফালা করে দেবার আগে
নিমেষ জুড়ে
বাংলাদেশ।

বিস্তারিত»

স্বীকারোক্তি

ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,

বিস্তারিত»

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

এর মধ্যে বেশ কয়েকদিন এই ব্যপারটা ঘটেছে। মনে বেশ দোলা দিয়েছে। পুরোনো স্মৃতির নতুন দোলা। কাকতালিয়ভাবে পরপর কয়েকদিন দেখি ঘড়িতে ৬টা বেজে ২৮ মিনিট। অর্থাৎ ৬.২৮ বাজে। আমার ক্যাডেট নম্বর ৬২৮। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনের অজান্তে ক্যাডেট কলেজের অনেক স্মৃতি স্ট্রীম অফ কনশাসনেসের মত একে একে ভেসে আসে। আর এটাই তো স্বাভাবিক! আমার মনে হয় ঘড়ির কাঁটার সাথে নিজের ক্যাডেট নম্বরের মত এমন চিরসঙ্গির সঙ্গতি দর্শনে আমার মত যে কোন ক্যাডেটের মন আলোড়িত হবে।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৫)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন: পরিবেশ পরিচিতি (১ম ভাগ)

একদিন স্কুল থেকে ফিরে গোধূলি জানালো যে তাদের ক্লাসে একটা নতুন মেয়ে এসেছে, নাম লীয়াহ। কয়েকদিন পরেই পরিচয় হল লীয়াহর বাবা অ্যান্ডির সাথে। ভদ্রলোক পেশায় অর্থপেডিক সার্জন, (তাঁকে আমি ফাজলামো করে মাঝে মধ্যে বাংলায় হাড়-কবিরাজ বলে ডেকে থাকি) । আমাদের মিডল্যান্ডস এলাকায় বেশ নাম ডাক ওয়ালা কনসালটেন্ট। আদিতে নাইজেরিয়ান, দীর্ঘদিন স্লোভানিয়াতে ছিলেন। গায়ে গতরে নেহায়েত মন্দ না,

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ তিন

আমাদের বাড়ীর কাছেই রুবি ফলস। এর আগেও বার কয়েক গেছি মাটির নিচের এই রূপের জলধারা দেখতে। এবারের জার্নিটা একটু অন্য রকম কারণ কানাডা থেকে ভাই-ভাবী এসেছেন, আর আমি তাদের গাইড হয়ে আমেরিকার রূপ বৈচিত্র্য দেখাতে বেরিয়েছি। হাজার উপায়ে আমাকে তো তাদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে রূপে গুণে কানাডার চাইতে আমার দেশটি উত্তম! আমাদের বাড়ী থেকে মাত্র দুশো কিলোমিটার দূরে এই মেঘ পাহাড়ের দেশ। সবাই মিলে গল্প করতে করতে যখন টেনেসি পৌঁছুলাম আলো ঝলমলে একটি দিনের শুরু হয়েছে সবে।

বিস্তারিত»

গেজেটেড গরীব

ছেলে ক্যাডেট কলেজের ছাত্র। জেলা সমাজসেবা অফিসার। ফার্ষ্টক্লাস গেজেটেড অফিসার। একদিন সচিব হবেই। বিয়ের আগে এসবই বলেছিল পাত্রপক্ষ। আমিও রঙ্গীন স্বপ্নের জাল বুনছিলাম। কিন্তু স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হল। আমার অধমার্ধ আসলে গেজেটেড গরীব।

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত কিন্তু নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। যুগের সাথে তালও মিলাবে না। বড্ড সেকেলে। তারই এক সহকর্মী প্রায়শ বলে- “সাপ কুইচা ব্যাঙ, যা পায়াম খায়াম” ।

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৩য় সংস্করণঃ জীবনের গল্প।

(১) প্রেমটা করার আগে বলতে গিয়েও পারিনি যে আমার এর আগে আরো একবার বিয়ে হয়েছিল। এই দেশে মেয়ে হিসেবে “আগে বিয়ে হয়েছিল” বিয়ে বাজারে বিশাল বড় লালকালির দাগ। মন্দের ভাল পারিবারিক চাপে করা বিয়ে মাসখানেকের সমঝোতায় শেষ করে বের হয়ে এসেছিলাম। গত সপ্তাহে যখন বললাম ততদিনে রাজনের সাথে সম্পর্ক অনেকদূর গড়িয়েছে। বলার পরে রাজনকে হতাশ হবার চেয়ে চিন্তিত হতে দেখে জানা আশংকাই মাথায় চেপে বসলো।

বিস্তারিত»

অ-দাস

দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।

বিস্তারিত»

ফরিয়াদ

আধা বর্বর থুড়ি আধা পরিবাহী
তড়িচ্চুম্বকীয় আবু গারিবের ফরিয়াদ
কানে তোলো কিচিরমিচির
এত কষ্ট দিও না নিউরন রেটিনাকে
ক্যাথোড গামা কাপড় খুলে
এলইডি পরালেই চলবে না
অবরোধ তুলে নিতে হবে
ঘাস ফুল মৌমাছি থেকে
নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আন
ফড়িং আর সব প্রজাপতি।

বিস্তারিত»

মর্মান্তিক প্যাথেটিক

সামনেই রিইউনিওন। পুরোনো অনেক কথা মনে পড়তেছে বিভিন্ন সিচ্যুয়েসনে,গল্পে গল্পে। কিছু গল্প শোনা, বেশীর ভাগই প্রত্যক্ষ করা।

১) ক্লাস সেভেনের ১ম প্যারেন্টস ডে। সবার প্যারেন্টস আসল। শুধু আমি আর মুসফিক রুমে চুপচাপ বসে আছি। আমার খুবই মন খারাপ। প্যারেন্টস আসে নাই তাতে নাকি সবার প্যারেন্টস আসল শুধু আমার আসে নাই তাতে, কোনটা তে যে বেশী খারাপ লাগতেছে ঠিক বুঝতেছি না। আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসবে না সেটা আগেই জানানো ছিল।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রাকৃতজন: পরিবেশ পরিচিতি (১ম ভাগ)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন: যাত্রা পর্ব – The Exodus

ডাক্তারের রুম থেকে বেরিয়ে আমাদের লাগেজ সংগ্রহ করে বেরিয়ে এলাম । এখন যাবো মাসুমের বাসায়, সে থাকে ইষ্ট লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকায়। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সার বেঁধে দাঁড়ানো অনেক ট্যাক্সি। নিয়মানুযায়ী সবার সামনে দাঁড়ানো ট্যাক্সির ড্রাইভার আমাদেরকে নিতে বাধ্য। কিন্তু গন্তব্য শুনেই বলল যে, সে যাবেনা। তবে আমরা কিছু বলার আগে সেই তাড়াতাড়ি বলল,

বিস্তারিত»