হুজুর ভাই
ছোটবেলায় আমার নাম শুনে অনেকেই যখন বলত,”বাহ,তোমার ডাকনামটা তো সুন্দর”,তখন খুব ভালো লাগত।সেইসময় তো আর বুঝতাম না যে মানুষ অনেক কিছুই বলে,যেগুলোর নাম হচ্ছে “কথার কথা।”তাই নাম নিয়ে আমার ভিতরে হাল্কা গর্ব ছিলো।আমার এই গর্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে।টিচার থেকে শুরু করে সিনিয়র,স্টাফ,হসপিটাল অ্যাটেনডেন্স,যেই নাম জিজ্ঞেস করে,আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,”হিন্দু নাকি?”সারাজীবনে আমার যে কয়জন “প্রতীক”
বিস্তারিত»AIM IN LIFE
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে প্যারাগ্রাফ নামের একটা জিনিস ছিল । তো সেই প্যারাগ্রাফের নানা রঙ ,নানা ঢং। একবারের বিষয় আমার মেনি বিড়াল তো আরেকবারের বিষয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি । তবে সুবিধাও ছিল । ক্যাডেট কলেজের বদৌলতে আর পাঁচটা ক্যাডেটের মত এই বস্তু পড়ার হ্যাপা কখনও পোহাতাম না । -ধুর মামা, প্যারাগ্রাফ পড়া লাগে নাকি? ওইটা তো এমনি লেখা যায় । সিভিল বন্ধুদের সামনে পার্টটা ছিল দেখার মত।
বিস্তারিত»বিনষ্ট সারথি
ততক্ষণে বিজিত বিকেলে শীত নেমে এসে
নিভায়ে দিয়েছে যৌবনের শিখা
যা জ্বলেছিল শেষরাত্রির বৃষ্টি শেষে।
কথা ছিল তা হবে মহাকালে লেখা
সহস্রাব্দের কোন কবিতার মত
অন্ধকার কোন গুহার দেয়ালে আঁকা
অভিমানে শুকানো ইতিহাসের ক্ষত।
অথচ ভেবেছি অনন্তকাল
কেটে যাবে প্রেমিকার চোখে
স্বপনে দেখেছি যে স্বর্ণসকাল
একে দেব,মেখে দেব প্রিয় সে মুখে
তারপর ভালবাসা ফুরায়ে গেলে
বিপ্লবী হব আমি বিবস্ত্র শোকে।।।
বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
প্রথম আলোতে একটা সিরিজ বিজ্ঞাপন খুব চলছে। দেশপ্রেমকে ব্যাবহার করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষকে উজ্জীবিত করা বিজ্ঞাপন, যার বক্তব্য অনেকটা এরকম-দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারা এর কোন অংশ নই। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। ভালো কথা। বিশেষত যখন ওই লাইনটা বলে “আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ” তখন আমারো লোম খাড়া হয়ে যায়। কিন্তু আমি বিজ্ঞাপনের যে মূল বক্তব্য তার আরো একটু ভিতরে ঢুকতে চাই।
বিস্তারিত»ট্রেন রোল অন….
ট্রেনে চড়েছি। এই নিয়ে চতুর্থবার। অবরোধে প্রথম। তিস্তা এক্সপ্রেস, “ঝ” বগি। প্রথম সিটে, জানালার পাশে। ব্যাপক প্যানিকের মধ্যে আছি। বসেই আমি আর শিপু দুইজন মিলে ট্রেনের বেগ,বাতাসের বেগ,গতিশীল পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,স্থির পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,ঢিলের ট্য্রাজেক্টরি ইত্যাদি বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাব কষা শুরু করলাম। সাথেসাথে আমরা পিকেটার হলে কোথায় ঢিল ছুড়তাম? বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাবগুলা করতাম কিনা?ঢিল ছুড়ার জন্য সুবিধাজনক জায়গা কোথায় হত?কতটুকু দুরত্ব থেকে ঢিল ছুড়লে লক্ষ্যভেদ করার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে?কত ডিগ্রি কোণে?
বিস্তারিত»অ্যানাপোলিসের ডায়েরী : ২
২৪ শে আগস্ট , ২০১৩: সার্ভারে কাজ চলছে দেখে রুমের ইন্টারনেট বেশ কয়েকদিন ধরেই ডাউন। ইন্টারনেট বলতে ক্লাসরুমের ওয়াই-ফাই ই এখন ভরসা। যে আমি ৪/৫ দিন আগেও ক্লাসরুম থেকে বের হওয়ার জন্য সবসময় হাসফাস করতাম, সেই আমি ই এখন ক্লাসরুমে পারলে কাথা বালিশ নিয়ে আস্তানা গেড়ে ফেলেছি।ক্লাস শেষ হয়ে যায়, আমি ডেস্ক থেকে নড়িনা। আমার প্রফেসরের এর ধারণা বিদ্যার্জনের প্রতি আমার আগ্রহ রাতারাতি বেড়ে গেছে।শিক্ষক মহোদয় ব্যাপক আনন্দিত।মানুষ জন আনন্দ পেলে ভালোই লাগে।
বিস্তারিত»তলিয়ে যাবার আগে
গ্রহণে গ্রাসে যে অন্ধকার
আমার চারপাশ, তারই ঘ্রাণ
অস্তিত্বে চড়াও আবার।
অসহায় আমি আর্তপ্রাণ!
প্রাণপাতে জ্বালি দীপশিখা
দিগন্তে, আলেয়ার উৎসবে
ম্লান সেও যেন এক নির্মম ধোঁকা।
দিশেহারা মুখ গুঁজেছি সময়ের শবে!
ঘুরেফিরে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত
নিংড়ানো যে জীবন মিলায়েছে
সেই প্রাচীন শূণ্যতায়, বিবস্ত্র;
শরীর জড়ায়ে শুধুই অন্ধকার আছে!
তার আর কিছু নেই!…
আমার দার্শনিক সাজার বারোটা বাজা ও কিছু স্মৃতি
গতকাল রাত থেকে স্মৃতিকাতর হয়ে আছি।
গোফ-দাড়ি দুটোই স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছিলো। মাস দুই এর কম না।
চেহারায় কেমন একটা দার্শনিক দার্শনিক ভাব চলে আসছিলো। যদিও দুর্জনেরা নানান আকথা কুকথা বলে আমাকে খোচানোর চেষ্টা করেছেন। আমি তো আয়না দেখতে জানি। জানি আমাকে বেশ লাগছিলো দেখতে। কিন্তু অন্যদের তা সইবে কেনো!
যুগ চেঞ্জ হয়ে গেছে এখন পুরুষেরা গোফ-দাড়ি তো রাখেই না, বরং অনেকে বুকের লোম ও কামায়।
কলকাতার চিঠি
নিউমার্কেটের বাসে উঠেই বুঝলাম পূজার সিজনে বের হওয়া মোটেও উচিৎ হয়নি। অসম্ভব ভীড় আর গরমে দাঁড়িয়ে আছি (আমার সিট ভাগ্য খুব খারাপ) , এদিকে উচ্চতা কম বলে উপরের রডও নাগাল পাইনা, তাই হাতের ছাতা ব্যস্ততার সাথে ব্যাগে ঢুকিয়ে দুই সিট ধরে দাঁড়িয়ে গেলাম।
যে সিটের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম তাতে দুই বোন বসে ছিল, বড় বোন ছোট জনের চেয়ে খুব বড় না হলেও বুঝদারের মত জানালাটা তুলে দে,খুব রোদ,
ইনসমনিয়া
দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, মরবিড শীতের রাতের কার্নিশে
পাপ জমে তিলেতিলে শিশিরের মত অসহায় ঘাসে।
ভেন্টিলেটরে জেগে ওঠে স্টুপিড চড়ুইয়ের প্রলাপ
অপসৃয়মান রাতের ছায়া,চড়ুই আর আমাতে জমে ওঠে আলাপ।
ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে পুরনো চেয়ারটা হিঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে যাওয়া,
অতঃপর বাসি তামাকে সূর্যের বিপরীতে নাচে নীলচে রঙের ধোঁয়া!!
“তোমাদের শোক যখন আমার কবিতার পুঁজি
তখন আমি একফালি রোদের বিলাসিতা খুঁজি।
বহুদিন আগে ছায়াদের দেশ থেকে চুরি করে আনা রোদ,
বৃষ্টি
বৃষ্টি হচ্ছে লস আঞ্জেলেসে ।
আকাশ মেঘে ঢাকা। দূর পাহারগুলোকে ও মেঘ ঢেকে দিয়েছে ।জানালা দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে না যে বৃষ্টি ।
বাংলাদেশের সাথে তুলনা করলে এটা ইলশে গুড়ি। না ইলশে গুড়ি বল্লে ভুল হবে। আর ও কম।
বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তায় গাড়ি চলাতে এক ভেজা আওয়াজের হচ্ছে । এই আওয়াজ ও জানালার পাশ দিয়ে পানি পড়ার আওয়াজ।
জাঙ্গিয়া নাম্বার ওয়ান
১.
আজ আকস্মিকভাবে নিজ হস্তে ক্রয়কৃত প্রথম জাঙ্গিয়ার কথা স্মরণ করিয়া স্মৃতিকাতর হইয়া পড়িলাম। তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠতা অধিক দিনের ছিল না। তবে অতি অল্প দিনেই সে আমার মন জয় করিয়া নিয়াছিল। আজ তাহাকে ক্রয় করিবার বৃত্তান্ত লিখিতে মন চাহিতেছে।
সপ্তম শ্রেণি অতিক্রম করিয়া সবেমাত্র অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হইয়াছি। ক্যাডেট কলেজ জীবনের কেবলমাত্র প্রথম বৎসরটি সমাপ্ত হইয়াছে। এমতাবস্থায় সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি পাইয়া পিত্রালয় চট্টগ্রামে আগমন করিলাম।
বিস্তারিত»আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়
শীতের শুরুর দিকে দাদুবাড়িতে চলে যেতাম। সেই ছোটবেলায়। ধানকাটার মৌসুম চলতো তখন.. বাড়তি কাজের লোক নিয়োগ করা হতো সব ধান কাটা শেষ করার জন্য। স্পেশাল এই মূহুর্তে একটু বিশেষ তদারকি করতে আব্বু ,আম্মু র সাথে আমিও চলে যেতাম দাদুবাড়িতে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার কাকরকান্দী ইউনিয়নের বরুয়াজানি গ্রাম। বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে ইন্ডিয়ান বর্ডারের ওপাশের মাথা উচু করে থাকা বিরাট উচু তুরা পাহাড় দেখা যায়.. আর দুই তিন মাইল গেলেই আমাদের সীমান্তবর্তী পাহাড় গুলো।
বিস্তারিত»মা, নেই
ভালো গান শুনলে কাঁদি।
ভালো কবিতা শুনলে কাঁদি।
মানুষের দুঃখে কাঁদি।
মা মারা গেছে, চোখে পানি আসছে না।
আমার মনে পড়ে মায়ের দুঃখে কেদেছি, মায়ের চোখে পানি দেখে কেদেছি।
মার ক্যান্সার যখন ধরা পড়লো ২০০৫ এ সেই খবর ফোনে পেয়ে কেদেছি।
২০০৯ এ আব্বা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লো। বাচে কি মরে এই অবস্থা।