বাঁশ পাতার নৌকা
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে অনেক কিছু।এখনকার বাচ্চারা রিমোট কন্ট্রোলড গাড়ী বিমান হেলিকপ্টার বা শীপ নিয়ে খেলে।এত দামী খেলনা সবার নাগালের মধ্যে নয়। তবে সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামের খেলনা পাওয়া যায়। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শুধু মেলাতে খেলনা পাওয়া যেত।ব্যাং গাড়ী, শোলার পাখি, কুমির, ঘর; মাটির পাখি পুতুল, হাতি, ঘোড়া, বাঘ,হরিণ, বিড়াল; লোহার চাকু, দা, কাগজ ও শোলার চরকি এবং আরও অনেক কিছু। মেলার খেলনা কয়েকদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেত। তাই বলে সারা বছর কি আমরা বসে থাকতাম ? তা কিন্তু নয় । আশেপাশের নানা উপকরণ দিয়ে খেলনা তৈরী করা হত। এখন সেসব খেলনার অনেক গুলো দেখা যায় না।ভবিষ্যতেও হয়তো দেখা যাবে না। এজন্য শুরু করছি একটি ধারাবাহিক- টিটোর গপ্পো। শিকড়ের কাছাকাছি যাবার চেষ্টা থাকবে।
কাগজের নৌকা অনেকেই বানাতে পারি ।ডাব গাছের ডাবের উপরও নৌকা থাকে। সুন্দর ভাবে কেটে নিলেই হল। কিন্তু সবাই কি তা পারে ? আপনি বিনা খরচে বাঁশ পাতার নৌকা বানাতে পারেন ? দেখুন- খুব সহজ। একটি বাঁশ পাতা নিন। মোটাপাশ থেকে এক বা দেড় ইঞ্চি ভাঁজ করুন।ছবির মত ভাঁজ করা অংশ দুই খানে আংশিক ছিঁড়ুন। মাঝের অংশের উপর দিয়ে এক পাশের ছেড়া অংশের ছিদ্রে অন্য পাশটা ঢুকিয়ে দিন।তৈরী হয়ে গেলো সাম্পানের মত নৌকা। চিকন পাশটাতেও একই রকম কায়দা অনুসরন করলে সম্ভবত চীনা জাংক টাইপের নৌকা তৈরী হয়ে যাবে। যেমনই তৈরী করুন সেই নৌকা পানিতে ভাসবে। বোঝার সুবিধার্থে ছবি দেখুন।
অনেক অনেক ভালো একটি ভাবনা। :thumbup:
নিজে খেলনা বানিয়ে খেলা বা সেটিকে শোকেজে সাজিয়ে রাখাটা অনেক আনন্দের।
ভালো থাকা অনেক সহজ।
:teacup: 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:clap: :clap: :clap: :clap:
🙂 😀 :party:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
দারুন জিনিষ ভাই। ছোট বেলায় অনেক কিছুই বানাতে পারতাম, বেশির ভাগই ভুলে গেছি 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
যে গুলো মনে আছে লিখে ফেল 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাই, টিটো কে? :-/
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমার ফেসবুক দেখ 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
আপনার প্রোফাইলে না গেলে দেখা যায় না, এখন দেখলাম। এইডা আমি সন্দ করছিলাম... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
পাখি বানানো পারতাম। সেই পাখি আবার ডানাও ঝাঁপটায়! B-)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
পাখি বানাতে পারি আমিও 😀 অরিগ্যামী সারস এবং ডানা ঝাপটানো পাখি B-)
অরিগ্যামী নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছা আছে।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই এক ধাক্কায় বয়স ৬ কি ৭ এ নিয়ে গেলেন। নারকেলের পাতা দিয়ে ঘড়ি বানাতে পারতাম। একই জিনিস দিয়ে বাশিটা মনে হয় এখনো বানাতে পারব। তবে সব চেয়ে আকর্ষনীয় ছিল, এক ধরনের ঘাস হত আমাদের মাঠে। ওই ঘাসের ফুল দিয়ে শেয়াল বানানো হত। আমরা কেউ পারতাম না। আমার প্রয়াত জেঠু পারতেন। ওই শেয়ালের জন্য জেঠুর সাথে সাথে রোদে পুড়ে মাঠে চলে যেতাম। আর শেয়াল টা হাতে পাবার সাথে সাথে নিজেকে সবার থেকে আলাদা লাগত।
অসাধারন ভাই। টিটোর ছোটবেলার গল্প গুলো চলতে থাকুক।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
😀
ঘাসের ফুল দিয়ে বানানো শেয়াল দেখতে খুব ইচ্ছা করছে :dreamy:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ওইটা হারিয়ে গেছে আমার জেঠুর সাথে সাথে। 🙁 আর কাউকে কখনো বানাতে দেখি নাই, নিজেও শিখতে পারি নাই।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
😕 🙁
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাল্লাগেনাই।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাল্লাগছে।
আমি ও নৌকা বানাইতাম বাঁশ পাতা দিয়ে। আর নারিকেল পাতা দিয়ে বানাতাম চশমা।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ধন্যবাদ সামিউল। পরের পর্বে নারকেল পাতার খেলনা নিয়ে লেখব ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
আসলে অমূল্য খেলনা আর অমূল্য স্মৃতি :boss:
Truth is beauty, beauty is truth.
:thumbup: :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল