দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।
বিস্তারিত»ফরিয়াদ
আধা বর্বর থুড়ি আধা পরিবাহী
তড়িচ্চুম্বকীয় আবু গারিবের ফরিয়াদ
কানে তোলো কিচিরমিচির
এত কষ্ট দিও না নিউরন রেটিনাকে
ক্যাথোড গামা কাপড় খুলে
এলইডি পরালেই চলবে না
অবরোধ তুলে নিতে হবে
ঘাস ফুল মৌমাছি থেকে
নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আন
ফড়িং আর সব প্রজাপতি।
মর্মান্তিক প্যাথেটিক
সামনেই রিইউনিওন। পুরোনো অনেক কথা মনে পড়তেছে বিভিন্ন সিচ্যুয়েসনে,গল্পে গল্পে। কিছু গল্প শোনা, বেশীর ভাগই প্রত্যক্ষ করা।
১) ক্লাস সেভেনের ১ম প্যারেন্টস ডে। সবার প্যারেন্টস আসল। শুধু আমি আর মুসফিক রুমে চুপচাপ বসে আছি। আমার খুবই মন খারাপ। প্যারেন্টস আসে নাই তাতে নাকি সবার প্যারেন্টস আসল শুধু আমার আসে নাই তাতে, কোনটা তে যে বেশী খারাপ লাগতেছে ঠিক বুঝতেছি না। আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসবে না সেটা আগেই জানানো ছিল।
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রাকৃতজন: পরিবেশ পরিচিতি (১ম ভাগ)
পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন: যাত্রা পর্ব – The Exodus
ডাক্তারের রুম থেকে বেরিয়ে আমাদের লাগেজ সংগ্রহ করে বেরিয়ে এলাম । এখন যাবো মাসুমের বাসায়, সে থাকে ইষ্ট লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকায়। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সার বেঁধে দাঁড়ানো অনেক ট্যাক্সি। নিয়মানুযায়ী সবার সামনে দাঁড়ানো ট্যাক্সির ড্রাইভার আমাদেরকে নিতে বাধ্য। কিন্তু গন্তব্য শুনেই বলল যে, সে যাবেনা। তবে আমরা কিছু বলার আগে সেই তাড়াতাড়ি বলল,
বিস্তারিত»অণু ব্লগঃ এক
আমার পড়শী শ্রীমতী ঊর্মিলা আর তার স্বামী শ্রীমান বলরাম সিং কে ছুটির দুপুরে দুটি ডাল ভাতের নিমন্ত্রন করেছিলাম। বিচিত্র কারণে এই দম্পতি আমাদের মা মেয়েকে খানিক স্নেহ করেন। উইকেন্ডে, জন্মদিনে অথবা পড়শীদের পটলাক পার্টিতে আমাদের কদাচিৎ দেখা সাক্ষাৎ ঘটে।
ওদের একমাত্র পুত্র অজয় আসে নাই সাথে, ও জর্জিয়া টেকে পড়ে। ছুটির দুপুরে ক্যাম্পাসে গেছে গ্রুপ স্টাডি করতে।
মোরগ পোলাউ, ভেড়ার রেজালা আর রায়তায় আমাদের সাদামাটা আয়োজন।
বিস্তারিত»টাইটেল
টাইটেল আমি বলিনা
বললে কেমন তৃপ্ত লাগে
না বললে
অপরে আড়চোখে তাকায়।
টাইটেল ছাড়া মানুষ
মানুষ ছাড়া টাইটেল
আভজাত্য কি বেমানান।
টাইটেলে কি লেখা থাকে
আভিজাত্যের অপর নাম?
মন-মনুষ্য দিয়ে কি
করা যায় না মানুষের বিচার?
টাকা দিয়ে টাইটেল হয়
টাইটেল দিয়ে বিচার নয়
তাই টাইটেল দেখে বিচার
ভ্রান্ত বলেই গণ্য হয় B-)
ফিরিঙ্গি হাইকু
Fate
Millions of rebirths
But the result is same.
Always looser in preset game!
Crocodile Tears
Two footed reptiles,
Shedding crocodile tears.
How treacherous!!
Hot Autumn
Hot autumn evening
My flesh is boiling
In open oven!
তিনটে লিমেরিক
নিধিরাম
লড়াইয়ের ময়দানে নিধিরাম সরদার
লড়ে যায় খালি হাতে নাই ঢাল তলোয়ার
জনম নিযুত কোটি
না বদলায় নিয়তি
পরাজয়ে নত হয় বারবার।
গুমট আশ্বিন
মেঘ যেন কাশফুল একেবারে শুকনা
প্রাণবায়ু যায় বুঝি তবু পাতা নড়ে না
শারদীয় গরমে
মাথা ভরা ঘামে
আশ্বিনে ঝকাসটা এলো না।
কুম্ভিলক
মায়াকান্নায় নক্র মশাই সাজেন বড় স্তাবক
মহান কাজে ভিখ মাগেন গিরিগিটি তঞ্চক
কল্কে বোতল
শুকনো গরল
গড্ডালিকার কুম্ভিলক।
নিরাপদ অণুব্লগ
১
আমি মানুষটা সবসময়ই একটা এ্যডভেন্চারাস টাইপের। একটু ঝুঁকিপ্রবণ। আমার কাছের মানুষ, বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞেস করলে সবাই এক বাক্য তা স্বীকার করবে। ধ্যাৎ লেখাটার শুরুতেই কেমন জানি আমি আমি টাইপ হয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো এই চ্ল্লিশোর্ধ বয়সে এসেও আমার স্বভাবটা বদলে যায়নি। জীবনের ব্যাপারে আমি একইভাবে প্যাশনেট, উচ্ছ্ব্সিত এবং স্বাপ্নিক। সেদিন বসে বসে ভাবছিলাম গত দশকে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন কী আর আগামী দশকে অগ্রাধীকারের ভিত্তিতে সবচেয়ে প্রধান লক্ষ্যমাত্রা কী।
ফুটবল বিষয়ক ক্যাডেটীয় (অণু) ছোট ব্লগ
ক্যাডেট কলেজে বিভিন্ন পার্টি থাকে। এইসব পার্টি একেকটা ফ্র্যাটার্নিটির মত। স্মোকার পার্টি, কলেজ পালানো পার্টি, ডেয়ারিং পার্টি, প্রেমিক (মোবাইল ফোন)পার্টি আরো কত কি । আমাদের সময় অন্যতম বড় একটা পার্টি ছিল ফুটবল পার্টি! এই পার্টির গর্বিত মেম্বার ছিলাম কলেজে। কলেজে আমাদের কিছু কর্মকান্ডের বর্ণনা দিচ্ছি :
১) দিন রাত ফুটবল নিয়া গঠনমূলক আলোচনা করা। বিভিন্ন টিমের ফর্মেশন নিয়ে বিশ্লেষণ ধর্মী আলোচনা করে প্রেপ টাইমকে কাজে লাগানো।
বিস্তারিত»ফেইসবুকে রুচি চানাচুর মেলে না তাই সিসিবির দরজায়।
(১) বাড়ছে টিউশন ফি, বাড়ছে ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম এদিকে গাছ কেটে বসানো হয়েছে প্রমাণ সাইজের এক হাস্কি। জায়গার নাম হাস্কি প্লাজা।
এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তবে অামি মজা লুটে যাচ্ছি। মিশিগান টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্কট হলো এই হাস্কি। দেখতে নেকড়ের মত (সম্ভবত নেকড়ের দূরসম্পর্কের আত্মীয়) এই কুকুর ভবিষ্যতে পালার বড় ইচ্ছে।
(২) হাটাচলার রাস্তায় বেশী নকশা করতে নেই।
বিস্তারিত»আমার বন্ধু লুবনা
কলেজে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই লুবনার প্রিয় বন্ধু ছিলাম না। লুবনা বরং আমাকে মারতো সময় সুযোগ পেলে। মার্চ পাস্ট করে একাডেমিক ব্লকে যাচ্ছি তো লুবনা আমার অক্সফোরড শু খুলে দিলো লাথি মেরে। সাইডে বসে জুতো পরছি, ও এমন একটা লুক দিল যে মনে হতো দেখিস একদিন আমিও… সেই একদিন কখনোই আসে নাই ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়ে। অনেক কারিগরী করে দুই ইঞ্চির একটা বিনুনি করলাম চুলে,
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রাকৃতজন: যাত্রা পর্ব – The Exodus
আমার দাদা ছিলেন ভ্রমন পিপাসু একজন দরবেশ টাইপের মানুষ। এমনকি তিনি পায়ে হেঁটে সুদূর মক্কা পর্যন্ত গিয়েছিলেন হজ্জ আদায় করতে। আমার বাবা এক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত, তিনি জীবনেও বাংলার বাইরে কোথাও যাননি। আমিও পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি টানা তেত্রিশ বছর পর্যন্ত। কল্পনায় চষে বেড়িয়েছি সারা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড অথচ বাংলার বাইরে কোথাও এক পাও ফেলা হয়নি । কলকাতা আর দার্জিলিং গিয়েছিলাম বৈকি – কিন্ত তাওতো ঘুরে ফিরে ওই বাংলার মধ্যেই।
বিস্তারিত»আমার পথ চলা-প্রথম খণ্ড
কাহিনি গুলো আমার নিজের জীবন থেকে নেয়া। so অনেকের কাছেই বিরক্তিকর লাগতে পারে। আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি :p
“আমার পথচলা, আমার পথে
যেন বেলা শেষে, আকাশ তারমনে………………”
“হঠাৎ করেই গানের লাইন গুলো মনে পড়ে গেল। একসময় ব্ল্যাক, আর্টসেল এদের গান শুনতে খুব ভাল লাগত। অনেকদিন পর আজ আবার সেই পুরনো স্মৃতি গুলো এসে জড় হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের সেই স্কুল-যেখানে আমি আমার শৈশব পার করেছি,
আমার প্রথম অণুব্লগ
যাইহোক কোন কারণে মনটা ডাইভার্ট করতে চাচ্ছিলাম। ভাবলাম আমিও অণুব্লগে সামিল হই। বুঝতে পারছি না লেখার বিষয়বস্তু কি হবে। আচ্ছা, সবাইকে স্বার্থপর হবার উপদেশ দিলে কেমন হয়? আগে নিজের ভাল তো জগৎ ভাল। আসলে স্বার্থপর না, একটি অভিযোগহীন জীবন কাটানোর চেষ্ঠা করলে কেমন হয়? অভিযোগ আছে তো সমস্যা লেগেই আছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় যে যেরকম তার ঈশ্বরও সেরকম। যার অন্তহীন অভিযোগ, তার ঈশ্বরও তাকে শুধু সমস্যার বাণ নিক্ষেপ করতে থাকে।
বিস্তারিত»