যদি উপেক্ষা করতে না পারো, ভালবেসো না

“পথে চলে পারে পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধরে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে!
তবু সে চোখের চারিপাশে!
তবু সে বুকের চারিপাশে!
আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে!”
– জীবনানন্দ দাশ
=======================

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,
ভালবেসো না।

জানি, ভালবাসায় সুখ আছে
জানি ভালবাসা স্বর্গীয়,
কিন্তু এও জানি,
ভালবাসার উল্টো দিকে
উপেক্ষা লিখা আছে।

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,
ভালবেসো না।
কারন, তোমাকে না জানিয়ে
তোমার সম্মতি না নিয়ে
তোমার সেই ভালবাসা উল্টে গিয়ে
বেরিয়ে আসতে পারে উপেক্ষা।

জানি তুমি ভালবাসতে পারো
আর হয়তো সেও ভালবাসে তোমায়।
কিন্তু এও জানি,
ভাল সবাই বাসতে পারে
কিন্তু উপেক্ষা সবাই করতে পারে না।

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,
ভালবেসো না।
কারন ভালবাসা এক ক্ষণস্থায়ী ঘাসফুল
কারো কাছে তা এড্রেনালিন রাশ
কারো কাছে তা কেবলই মোহ
আর তাই, রাশ কেটে গেলে অথবা
মোহোত্তির্ণ হলে, পড়ে রয় ঘাস।

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,
ঘাস মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারবে না
নতুন ঘাসফুলের জন্য
হাত বাড়াতে পারবে না
তাদের ছুয়ে দেখতে পারবে না।

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,
ঘাসের বিছানায় একাকী শুয়ে শুয়ে
কাটবে তোমার অষ্টপ্রহর,
ঘাসফুল আর ছোয়া হবে না।

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,
উপেক্ষার জবাব
উপেক্ষায় দিতে পারবে না।
যদি শান্তি চাও
উপেক্ষা নামের যুদ্ধে নামো
অবশ্য, সে যুদ্ধ সহজ নয় মোটেও
আর দশটা যুদ্ধের মতই
ঢেঁড় ক্ষয়ক্ষতি আছে তাতে
আর আছে অস্বীকার।

যদি উপেক্ষা করতে না পারো
যদি অস্বীকার করতে না পারো
ভালবেসো না।
আর বাসলেও, সারাজীবনের জন্য
তা একা একা বয়ে বেড়াতে
প্রস্তুত থেকো………
=============================

“তবুও সাধনা ছিল একদিন, এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা করে গেছি; যে নক্ষত্র নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বারবার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি………”

-জীবনানন্দ দাশ

৩,৪১৪ বার দেখা হয়েছে

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।