বন্ড

যেহেতু এটা আমার প্রথম লিখা তাই লিখার আগে একটু কথা বলে নেই। এক সিনিয়র ভাইয়ার কাছ থেকে এটার খবর পেয়ে এসে পরীক্ষার মাঝে এসেও ৩ ঘন্টা লাগিয়ে দিলাম পুরান ব্লগ গুলো পড়তে। সত্যি কথা এদের কে বলতে ইচ্ছা করছিল গেমস এর পর ক্যান্টিন এ আসিস একটা কোক খাইয়ে দিব। (ক্যাডেট মাত্রই জানার কথা গেমস এর ১ ঘন্টা কাটিয়ে ক্যান্টিন এর বরফ হয়ে যাওয়ার একটু আগের কোক কি জিনিস) ।

বিস্তারিত»

রিইউনিয়ন ২০০৮

রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল এক দুঃসপ্নে। আবার সেই প্যারেড গ্রাউন্ড আর আমি উপস্থিত ক্যাডেট হিসাবে। এডজুট্যান্ট গ্রাঊন্ডে এসে স্বয়ং প্যারেড তদারকি করছেন কারন রিইউনিয়নে ভাইয়ারা এসে প্যারেড সম্পর্কে মন্তব্য করে গেছেন।ভাগ্য ভাল ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, না হলে যে আর কত কিছু কপালে ছিল। আসলে ক্যাডেটরাই ক্যাডেটদের শ্ত্রু ।১ম ইনটেকের একজন স্মৃতিচারনে তাদের সময়কার প্যারেড স্টান্ডার্ড এর কথা বলে আসলেন। শরীরের যেকোন অংশ চুলকালেও তারা নাকি প্যারেড গ্রাউন্ডে তা জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

প্রভাত ফেরী এবং আমার নুডলস খাওয়া…

ক্যাডেট কলেজে যাবার আগে এমন অনেক কিছুই প্রিয় ছিল যেগুলো করতে অনেক ভাল লাগতো। তার মধ্যে নুডলস খাওয়া একটা।খাওয়া দাওয়া জিনিসটা আমার কাছে কোনকালেই তেমন একটা পাত্তা পায়নাই।ফলস্বরুপ ভার্সিটিতে যখন ফুটবল খেলি গাব্দা গোব্দা সাইজের দশাসই আফ্রিকান গুলোর সাথে ধাক্কাধাক্কিতেও তেমন একটা পাত্তা পাইনা।আমার মত এমন পাত্তা না পাওয়া মানুষের কাছেও নুডলস জিনিসটা কেন যেন খুব ভাল লাগতো।কিন্তু কলেজ অথরিটির কাছে ব্যাপারটা মোটেও ভাল লাগেনি।কলেজ এ গিয়ে এহেন নুডলস এর সাথে পরিচয় ঘটলো যে আমার ভাল লাগা প্রথম দুই সপ্তাহেই উর্ধপাতন প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি গায়েব।এর মধ্যে আবার মরার উপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়ালো ডাইনিং হলে আমার পাশে বসা এক সিনিয়র।

বিস্তারিত»

আজাইরা প্যাচাল ০১

ক্যাডেট কলেজের ছেলেদের অনায়াসে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া যায়। একদল যাদের লক্ষ থাকে প্রচণ্ড বিদ্বান হবার, এই জন্য তারা ত্রিকোণমিতির এসএউ আহমেদের বইয়ের পাশাপাশি হারুনুর রশীদের বইও সমাধানের চেষ্টা চালায়। বাকিদের ‘চির উন্নত মম শির’, মানে হাঁটু-বাহিনীতে যোগ দেয়া আর কি। এই পার্টি পড়ালেখা বাদে কলেজের অনান্য সকল কাজে আত্মনিয়োগ করে। স্যারদের টিজ করা, কোন ফ্রেন্ড কোনদিন ভুল করে কোন শব্দ উচ্চারণ করেছে তা নোট করে বাকিদের জানান দেয়া,

বিস্তারিত»

ডায়লগ মাসালা (মেড ইন কুমিল্লা)

# “পাখিটাকে কি বাতাস খাওয়াচ্ছো?”
-রাজ্জাক স্টাফ জনৈক ক্যাডেটের প্যান্টের জিপার খোলা দেখে

# “এই ছেলেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছো? ব্যাগের উপর বাস উঠাও।”
-রসায়নের রফিক স্যার

বিস্তারিত»

দূর্গা পূজা

প্রারম্ভিকাঃ
প্রভাষক নিয়ামত উল্লাহ। বিষয়ঃ ইসলাম শিক্ষা। কিন্তু কেন জানি ক্যাডেটদের সকল প্রকার গোপন অনৈসলামিক কর্মকান্ড তার চোখেই ধরা পড়ে। একদিন মোরশেদ সেকেন্ড প্রেপে গভীর মনযোগের সাথে যায়যায়দিনের শাড়ী সংখ্যা পড়ছিল। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে ভক্ষণ করছিল। শরীফ উদ্দিন স্যার – বিশিষ্ট গোয়েন্দা তোফাজ্জল হোসেন স্যার ফর্মে এসে ঘুরে গেলেন। কিন্তু মোরশেদ নির্বিকার। শেষ মুহুর্তে হাত গলিয়ে বের হয়ে যাওয়ার বিশেষ দক্ষতা মোরশেদের আছে।

বিস্তারিত»

ভালবাসা দিবস ১৯৯৯ এবং ইলিয়াস স্যার এর উক্তি…..

মাত্রই শেষ হয়ে গেল ভালবাসা দিবস এবং আমি sure যে সব এক্স cadet রাই তাদের অর্ধাংগ-ধারিনীদের সাথে দারুন সময় কাটাতে ব্যস্ত।ইয়ে মানে আমার এই valentines dayটা শেষ মেষ একা একাই কাটাতে হলো।কিন্তু আসলেই কি তাই?কোনো প্রাক্তন ক্যাডেট কি একা থাকতে পারে?তার অসংখ্য memory তাকে সঙ্গ দেয়………

বিস্তারিত»

স্বপ্নহন্তা

ক্লাস নাইনে উঠেছি কেবল। জানুয়ারি মাস হবে। বুঝলাম আমাকে কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এক অল্টারনেট সিনিয়রের কাছে। বুঝতে হল কারণ, কোন প্রমাণ ছিল না। কেউ জানে না কে বলেছে, কিন্তু আমাদের হাউজের জনৈক অল্টারনেট সিনিয়র জেনেছেন, আমার হাতের লেখা নাকি ভাল। অল্টারনেট সিনিয়ররা তখন এসএসসি ক্যান্ডিডেট। পরীক্ষার চাপ আর রচনা নোট করার কাল। নোটের কাজটা আমাকে দিয়ে সারিয়ে নিতে মনস্থ করলেন তিনি। একটা বড় সাইজের কলেজ খাতা ধরিয়ে দিলেন,

বিস্তারিত»

লাভ ক্ষতি

বাইরে অনেকে জিজ্ঞেস করত কোথায় পড়ি, উত্তর যখন দিতাম প্রশ্নকর্তার সমীহ পেতাম। মনের অজান্তেই তৃপ্তি ভর করত মনে। আমি অন্যদের কথা জানি না কিন্তু আমার কথা বললে আমি বলব আমার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল টিভিতে ক্যাডেটদের ডিবেট দেখে আর প্রতি বছর এস.এস.সি আর এইচ.এস.সি রেজাল্টের দিন পত্রিকায় ইউনিফর্ম পরা ক্যাডেটদের ছবি দেখে। ছোট্ট মনে কি খেয়াল হয়েছিল কে জানে? আমি মোটেও ভাল গোছের কোন ছাত্র ছিলাম না,

বিস্তারিত»

যে হাসি ঠোঁটেই শুকিয়ে যায়

নাম ছাড়া কোন মানুষ হয়না। যেমন হয়না বিশেষত্ব ছাড়াও। ক্যাডেট কলেজের টীচারদের দেখলে সেটা আরো ভাল করে বোঝা যায়। বিশেষত্ব অনুযায়ী নামকরণ ক্যাডেট কলেজে অনেকটা ফরজের পর্যায়েই পড়ে। সেই সব বিশেষণ একত্রিত করা হলে দুই তিনটা বাংলা গ্রামার বই মার্কেটে ছাড়া কোন ব্যাপারই না।উপযুক্ত নামকরণের বেলায় কারো ছাড়ন নাই। সে রাশভারী চেহারার কোন শিক্ষকই হোক কিংবা পাশের বেড এর জিগরি দোস্তই হোক।

ক্লাস ইলেভেন এর কথা।হঠাৎ শোনা গেল আমাদের ভিপি স্যার(ভাইস প্রিন্সিপাল) বদলি হতে যাচ্ছেন।

বিস্তারিত»

কিছু চিঠি… আর… কিছু স্মৃতি

“Cadet no-1976, Fall Out….”
আমার ছয় বছরের ক্যাডেট জীবনে শুনতে চাওয়া সবচেয়ে প্রিয় এবং আকাঙ্ক্ষিত শব্দগুলোর মধ্যে এটি লিস্টির একেবারে উপরের দিকেই লটকে থাকবে।

আমি ছেলে হিসেবে খুব বেশি সাহসী নই।অতি নিরীহ জীব। কারো সাতেও নাই,পাঁচেও নাই।আর সব ডেয়ারিং ক্লাসমেট এর মত বেসম্ভব মাইর কিংবা পানিশমেন্ট খেয়ে কিছুই হয়নাই এমন ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারিনাই কোনদিন।জানালার পাশের বেড পাওয়ার সৌভাগ্য আমার জুনিয়র ক্লাস থেকেই বাড়াবাড়ি রকমের ছিল।সেই অনুযায়ী আমার সিনিয়রদের ডাকাডাকি শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে যাবার কথা।কিন্তু কোন কারণে তা’

বিস্তারিত»

ঘুমরঙ্গ

আমাদের ক্লাস নাইন আর টেনে জ্যামিতি পড়াতেন যিনি, তাঁর বিখ্যাত “চাপ”-এর কথা আমাদের কলেজের সবারি জানা। সবার কাছেই ভয়ের আর বিরক্তিকর নাম। স্যারের ক্লাসে ঘুমানোর সাহস ত দূরে থাক তাঁর ধারে কাছে কেউ ঘেঁষত না পারতপহ্মে, আমিও পারলে তাই করতাম। কিন্তু আমার কপালে অন্য কিছু ছিল।ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়ে আমি পাঁচ মিনিট টাইম পাইলেও ঘুমানোর ট্রেনিং পাই।

বিস্তারিত»

আফটার দ্য লাইটস আউট

ঘুম। দুই অক্ষরের এতটুকুন একটা শব্দ।অথচ প্রধাণ উপদেষ্টা থেকে রাস্তার ফকির, এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবেনা যার জীবনে ঘুম জিনিসটা আকাঙ্ক্ষিত নয়।ভার্সিটি জীবনে এর বিস্তার মনে হয় আরো বেশি।কত ক্লাস আর ক্লাসটেস্ট যে ঘুমের জন্যে অবলীলায় বিসর্জন দিয়েছি তার হিসাব নেই।মানুষ নাকি দিনে কাজ করে আর রাতে ঘুমায়।কিন্তু ভার্সিটিতে দেখি আমার বেশ কিছু ক্লাসমেট(মাঝে মাঝে আমি সহ) দিনেও ঘুমায় রাতেও ঘুমায়।সেই অর্থে ওরা মানুষ কী না সেই বিতর্কে না গিয়ে বরং ঘুম প্রিয়তার কথাটাই শুধু ভেবে দেখি।

বিস্তারিত»

কেন আমি ঋণী?

ক্যাডেট কলেজের কাছে ঋণের কথাই বলছি। গত কয়েক দিন ধরে ভেবে বেশ কিছু কারণ বের করলাম যার জন্য আমার আজীবন ঋণী থাকা উচিত, ক্যাডেট কলেজের কাছে। ব্যাপারগুলো মোটেই হালকা নয়। ভেবে দেখলাম, ক্যাডেট কলেজে না গেলে আমার জীবন একেবারে অন্যরকম হয়ে যেতে পারত এবং সেই জীবন আমার পছন্দ হতো না। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, আমার যে সেই জীবন পছন্দ হচ্ছেনা তা তখন আমি বুঝতেও পারতাম না।

বিস্তারিত»

কতিপয় ডায়লগ পার্ট , পার্ট ১ সিন ২

এইবারের বেশীরভাগ কাহিনী অন্যের মুখে শোনা। ভুল ভ্রান্তির জন্য মাফ চাই। জনৈক পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। ইন্টারে অনুশীলনীর গানিতিক সমস্যার সবসময় প্রথম অংকটা করাতেন। কেঊ যদি তখন জিজ্ঞাসা করতো, “স্যার ১২ নং অংকটা করিয়ে দেন।” তখন তার উত্তর “ওই একই, একই, same , same”

বিস্তারিত»