ক্যাডেট কলেজের ব্লগে রোমান্টিকতা নেই এই আক্ষেপ যাদের তাদের আক্ষেপ ঘুচানোর একটা দায়িত্ব নিলাম। আমাদের কলেজের খুবই একটা জম্পেশ কাহিনী। স্পর্শকাতর বলে কিছু নাম গোপন রাখা হইল কেবল নায়কের নাম ব্যতিত।
ইউসুফ হল নায়কের নাম। সেই হিসেবে নায়িকার নাম জুলেখা দেওয়াই উচিত।নতুন ১১ এ এসেছে ওরা। খুব যে একটা হ্যান্ডসাম ছেলে তা নয়। কিছুদিন ধরেই বেশ একটা গুজব শুনছি তার সাথে নাকি কলেজেরই এক স্যারের এর মেয়ের প্রেম হয়ে গেছে। আমরা তো অবাক এবং এককথায় তা চাপা বলে উড়িয়ে দিলাম। চাপা বলে উড়ানোর মধ্যে যতটা কাহিনীটাকে অসম্ভব বলে ভেবেছি ঠিক ততটাই নিজেরা একটু জেলাসিত (jealous, এই বাংলা শব্দটা আমার ছোটভাইয়ের বানানো) ও কাজ করেছে। ঐ মেয়েটা আমরা যখন ক্লাস সেভেনে ছিলাম তখন খুব পিচ্চি ছিল। সেই মেয়েই ৬ বছর পরে যে হঠাৎ এত বড় হয়ে গেছে তা খেয়াল করলাম। আর মোটামোটি সবাই এ ভাবছে ইউসুফ কেন? তাই সবাই মিলে গুজবটাকে উড়িয়ে দিলাম জোর করে।
তাতে কিন্তু ইউসুফের দূরের ফুটবল মাঠে গেমস টাইমে খেলতে যাওয়ার কোন বিরতি পড়লনা। প্রসঙ্গত সেটা ক্যাম্পাসের স্যারদের বাসা পার হয়ে যেতে হয়। পরবর্তীতে খবর পেলাম তখন নাকি কোন একটা ছাদে কেউ একজন এসে যায়। নিচে থাকে একটা ইট। সেই ইটের নিচে তাদের চিঠি। আহহহ কি ভাগ্য। আমরা তবুও বিশ্বাস করিনা। হয়ত নিজের চোখে দেখলেও করতাম না। কিন্তু বিশ্বাস আমাদের করতেই হল। একদিন জুলেখার বাবার হাতে ধরা পড়ে গেল জুলেখা। এমন কি চিঠি সমেত। চিঠি নিয়ে এসে স্যার হাউস অফিসে ডেকে আনলেন ইউসুফ কে। সেদিন ইচ্ছামত পিটালেন স্যার ওকে। একেবারে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেন রোমিও কে।কিন্তু কারণ কারো কাছেই জানা যাচ্ছেনা। কানাঘুষায় শুনে ফেললাম এতদিন ধরে চলে আসা গুজবটা সত্যি। পরের দিন অন্যান্য স্যাররা দুই পক্ষ হয়ে গেল। একদল বলছে ক্যাডেটের কি সাহস। বলাই বাহুল্য ওনারা বিবাহিত এবং মেয়েসন্তানের জনক। অন্য দল ব্যাচেলর তারা বলছেন অমুক সাহেব বেশি বাড়াবাড়ি করেছেন এত মারা ঠিক হয়নাই। দোষ থাকলে তো ওনার মেয়ের ও আছে। এক হাতে কি ঢোল বাজে। আমরা হা করে শুনি। পরে ইউসুফ মনে হয় আর ভয়ে ওইদিকে যায়নি। একটি অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী।
ওই স্যার আমাকে খুব পছন্দ করতেন। সম্প্রতি ওনার বাসায় যাওয়ার পর উনি আমাকে বলেছেন ওই মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে। ইউসুফটা কই আছে কে জানে?স্যার ঐ কথা বলার সাথে সাথে আমার ওর কথাই মনে পড়েছে।
আরেকটা কাহিনী বলে ফেলি। ঐ সময় আমাদের কলেজে মেয়েসন্তানের বাবারা বেশ সতর্ক হয়ে গেলেন। আমাদের কলেজে তখন আবার তনিমা হল সবচেয়ে হিট (কুমিল্লা থেকে আগত তালুকদার স্যারের মেয়ে)। নজরুল স্যারের মেয়েরা তখন আফ্রিকা মেড। হঠাৎ শোনা গেল উনি নাকি ভিপি স্যার কে কমপ্লেন করেছেন ক্যাডেটরা হাসপাতালের বারান্দায় বেশি ঘুরাঘুরি করে। আমাদের হাসপাতাল ক্যাম্পাসের পাশে। আর হাসপাতালের পাশেই নজরুল স্যারের বাসা। এইটা শুনে আমাদের এক বন্ধুর উক্তি। ক্যাডেটরা যদি নজরুল স্যারের মেয়ের দিকে তাকায় ওটা তো ওনার ভাগ্য। উনি মনে হয় উলটা কথা বুঝাতে চাচ্ছিলেন। জুলেখার দিকে তাকাইল ক্যাডেটরা আমার মেয়েগুলার গতি হইল না ।
আচ্ছা এটা কোন তালুকদার স্যার?athletics coach? কামরুল ভাই,কেমনে যে এত দারুন লিখেন!
এইটা ইকবাল হোসেন তালুকদার। ভূগোল। যার আরেক নাম হল নিবারণ। কুমিল্লার পোলাপান ভালোই চিনার কথা। যদিও নিজের থেকে বেশি জনপ্রিয় ওনার সুন্দরী মেয়ের জন্য।
আফ্রিকা মেড ই হোক আর ইউরোপ মেড ই হোক... আমার এক ক্লাসমেট এর অবিস্মরনীয় ডায়লগ মনে পইড়া গেল...
অন্ধকারে সবাই সমান। 😀
=)) =)) =)) এইটার নসু ভার্সন হইল-"বাত্তি নিভাইলে সবই এক"
আহ, তনিমাহ!
আহহহহহহ
Just to assure everyone, I'm not the same Yousuf Kamrul bhai is talking about. =) [তবে 'জুলেখার বাবা' প্রথমে ভেবেছিলেন আমিই সেই কালপ্রীট]
ইকবাল হাসান তালুকদার (ইহা তা) র শালা ছিল বাংলা ছবির নায়ক জসীম। সযার class এ আসলেই বাংলা ছবির গল্প শুনতে চাইতাম। sir কিছুখন হুম্ম হুম্ম করে গল্প শুরু করতেন। আমরা কলেজে থাকার সময় সযার এর মেয়ে একদম পিচচি ছিল। আমাদের সময়ে কোনো সু্নদ্রি ছিল না। এর মধ্যেও আমাদের এক Batch Mate যে কিনা একজন sir এর ছেলে ইস্রাইল হক sir এর মেয়ের সাথে প্রেম করে হইচই ফেলে দিসিল ক্যা্মপাসে।
তারপর বহু জল গরাইসে ও এখন Canaday বউ বাচ্চা নিয়ে ভালই আছে। ইস্রাইল হক স্যার কি অবসর নিয়েছে? উনার মেয়েদের বিয়ে হয়েছে শুনেছিলাম
সিসিবির ইতিহাসে প্রথম রোমান্টিক লেখা হিসেবে এই লেখাটি একটি ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে বলে সমালোচকরা মনে করেন 😛
আমরা ২০০২ এ মির্জাপুরে এ্যাথলেটিক্স এ গিয়া বুশরা নামের একজনকে দেখেছিলাম। তখন স্প্রিন্টাররাও হ্যামার এর ওখানে গিয়া দাড়াইয়া থাকত। কি যে ভাল লাগত!!!!!!!