ক্যাডেট কলেজের অনেকগুলো নিয়মিত খেলার মধ্যে কিন্তু ক্রিকেট নেই। আমরা সাধারাণত ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবল খেলি প্রতিদিনের গেমস টাইমে। কিন্তু ক্রিকেট এর জনপ্রিয়তা কোন অংশেই এখানে কম নয়। আমরা কলেজে ঢুকেছিলাম ৯৬ এর বিশ্বকাপের পর। তখন থেকে বাংলাদেশে ফুটবল কে পিছনে ফেলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়তির দিকে। আমরাও তা থেকে ব্যতিক্রম নই। তাই কলেজে গিয়ে সেটা নেই দেখে খুব নিরাশ হয়েছিলাম। কিন্তু ক্যাডেটদের প্রতিভার মুগ্ধ দর্শক আমরা কিছুদিনের মধ্যেই ক্রিকেট খেলার অনেক গুলা ভার্সন পেয়ে গেলাম।
বিস্তারিত»নরসুন্দর
কলেজের প্রথম দিন। সব গাইডরা আমাদের রিসিভ করতে আসছে। আমারতো মজা। তপু ভাইয়া এসে কপালে একটা আদর দিয়ে আমাকে রিসিভ করলো (পরে শুনেছি আমাদের এক ফ্রেন্ড এইটা দেখে নাকি খুব ভয় পাইছে.. ও ভাবছিলো সব গাইডরা বুঝি এভাবেই রিসিভ করবে..!!!!!)
যাই হোক, ভাইয়া রুমে নিয়ে আসলো ..ড্রেস পরালো..সমস্যা হলো ক্যাপ পরানোর সময় …কিছুতেই আমার মাথায় ক্যাপ লাগছে না..তো তপু ভাইয়া তখন বলতেছে সমস্যা নাই কালকেই ক্যাপ মাথায় লাগবে…
আমাদের পাণ্ডুলিপি – ২
……
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সাদা পোষাক পড়া একজন মানুষ এলেন আমাদের রুমে।
– কেমন আছ সবাই?
আমরা সবাই দাঁড়িয়ে গেলাম। হিমেলই প্রথমে কথা বলল।
– জ্বী স্যার। ভালো।
সাদা পোষাক পড়া মানুষটা হেসে দিল।
– আমি স্যার না। আমাকে স্টাফ ডাকবা।
অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ১
[[ ব্লগে কলেজের অনেক মজার মজার কথা আমরা সবাই লিখছি। আমাদের নতুন উদ্যোগ- সম্পূর্ণ কাল্পনিক কিছু ঘটনা নিয়ে সাজানো ক্যাডেট কলেজ। এই গল্প যে কেউ লিখতে পারো। আমি শুরু করলাম। পরবর্তী অংশ অন্য কেউ লিখবে। এভাবে চলতে থাকবে। নিয়মটা হল- পরবর্তী অংশ যে লিখবে- তাকে মন্তব্যে বলে দিতে হবে… ঘটনা কীরকম হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নাই।
তাইলে শুরু করা যাক…]]
একঃ
ঘটনার শুরু হল ঠিক বারোটা তেত্রিশ মিনিটে।
বিস্তারিত»চুলোচুলি
প্রতিবার চুল কাটাতে গিয়ে যখন সেলুনের চেয়ারে বসি, হাসিমুখে প্রশ্ন শুনি, কিভাবে কাটাবেন? আমি তখন ভীষণ বিপদে পড়ে যাই।
আমি আলাভোলা মানুষ নই। যদিও রঙ চং পছন্দ করি না, শুধু খানিকটা পরিপাটী থাকি। তবে সেই পরিপাটীত্বের সিলেবাসে আমার চুল নেই। চুলের জন্যে এমনকি চিরুনিও একটা বিলাসিতা যেন আমার কাছে, গোসলের পরে দু হাতের দশটা আঙুল দিয়েই কাজ চলে যায়। আলাদা ভাবে কখনোই ভাবা হয় না তাই চুলের চেহারা বা নক্সা কেমন হবে।
বিস্তারিত»জং আর জাদু
আমাদের এক স্যার এর কথা বলি।ডায়লগ পর্বে তার সেই বিখ্যাত ডায়লগ হাসনাইন বলেছে-“আই উইই…ল থ্রো ইইউ ফ্রঅঅম দা উইইন্ডো অঅর ফ্রঅম দা কলেএজ।” আমাদের বি ফরমের ফরম মাস্টার হবার পর তার সাথে আমাদের সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়। এর আগে তিনি প্যারেন্টস ডের পর ফর্ম এ আসে সবার ডেস্ক চেক করতেন। সিজ করার ক্ষেত্রে তার অসীম আগ্রহ ছিল। প্যারেন্টস ডের অনেক খাবারই তিনি নিজের মনে করে বাড়ী নিয়ে গেছেন।
বিস্তারিত»আজীবন স্বাধীনতা
ডোমেইনের নাম ঠিক হয়ে যাবার পর, এখন আমাদের কাজ একটা ভালো হোস্ট জোগাড় করা। “ডোমেইনের নাম দিন” পাতায় এ নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি আজীবন স্বাধীনতা। এ জন্যই ওয়ার্ডপ্রেসের লৌহ কপাট ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। টাকা-পয়সার জোগাড় আশাকরি করা যাবে। সবাই তাই মতামত দিন, কোথায় হোস্টিং করলে ভালো হয়।
বিস্তারিত»ক্যাডেট
আজকে শাকুর মজিদ স্যারের বইটা পরতেসিলাম, “ক্লাস সেভেন, ১৯৭৮”। মাঠে বসে আছি, সামনে খেলা হচ্ছে। eee করসে ২২২, আর আমাদের ডিপার্টমেন্ট সর্বসাকুল্যে ৬৫ করে অলআউট।
পাশ থেকে ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই জিজ্ঞাস করলেন -“কি পড়?” দেখালাম।
-কেমন?
একটুক্ষণ ভাবলাম, ক্যাডেটদের খুবই ভাল্লাগবে অবশ্যই, কিন্তু নন-ক্যাডেট যারা তাদের? ভাষাটা খুব ফ্লুয়েন্ট না, সামান্য জড়তা আছে। তাই বললাম, জ্বী ভাইয়া, আছে ভালোই।
বন্ধু, তোদের জন্য…
আমার লেখালেখির অভ্যাস কোনদিনই ছিলনা। কিন্তু সেদিন কামরুল ভাই এর লেখা পড়ে অনেকটা দায়িত্ববোধ থেকেই লিখতে বসলাম। শুরুতে কামরুল ভাই কে লেখাটা দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি এখন আমাদের ব্যাচের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে ব্লগে যোগ দিয়ে লেখাটা ব্যাচের সবার পক্ষ থেকে ওদের দুজনের জন্য উৎসর্গ করছি। হ্যা,আমি রেজা ইকবালের ব্যাচেরই একজন। অনেকেই আমাকে চিনবেন দুই জমজ ভাই এর একজন হিসাবে। এখানে আমি রেজা ইকবালের এক বন্ধু হিসাবেই লিখছি।
বিস্তারিত»একটি ক্ষণস্থায়ী পোস্ট
এই দুর্দান্ত ব্লগটা শুরু করেছিলো সম্ভবত মুহাম্মদ, রায়হান আর জিহাদ। এই তিনজনের আইডিয়া এবং শ্রমকে অভিনন্দিত না করলে অকৃতজ্ঞতা হবে। তোমাদের জন্যে তিন উচ্ছাস!
ক্যাডেটদের জন্যে একদম আলাদা একটা ব্লগ- ব্যাপারটা বেশ আনন্দের। এখানে যারা লিখে, তাদের তুলনায় আমি বেশ বুড়ো-গোত্রীয় মানুষ, স্মৃতিচারণেও বেশ দুর্বল, তাই এখানে ভাল করে তেমন কিছু লেখা হয়ে উঠে না। তবে প্রায় রোজই এসে পড়ি-কে কি লিখলো- বেশ মন দিয়ে।
বিস্তারিত»প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব
দুদিন ধরে এখানে লেখা হচ্ছে না আমার(রায়হান আমার পেরেন্টসের ফোন নং খুঁজছে। বাসায় বলে দিবে আমি নাকি কিছু করিনা সারাদিন ব্লগিং ছাড়া এই ভয়ে)। আজ একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাব বলে ৩টার দিকে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম আসার আগেই খুব ভাল একটা টপিক মাথায় চলে আসল। সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে মনে হলে এটা তাড়াতাড়ি না লিখলে আমার ঘুম আসবেনা। তাই উঠে আসলাম। ক্যাডেট কলেজের প্র্যাকটিক্যাল গুলা নিয়ে এই কাহিনী।
বিস্তারিত»জীবনের প্রথম অবস্ট্যাক্ল
কলেজে সর্বসাকুল্যে পাঁচবার অবস্ট্যাক্ল কোর্স করতে হয়েছে। কোন অবস্ট্যাক্লে যে কি কাহিনী ঘটিয়েছিলাম কিচ্ছু মনে নেই। কাহিনী অনেকই মনে আছে কিন্তু কোনটা কোন বছরের তা বের করাটা সহজ না। ক্লাস টুয়েলভের টাও তেমন মনে পড়ছে না। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে ক্লাস এইটে করা জীবনের প্রথম অবস্ট্যাক্লের কথা। কারণ তো বোঝাই যাচ্ছে, ব্যতিক্রমী কিছু ঘটেছিল। সে কাহিনীটাই বলতে চাচ্ছি এবার।
জীবনের সবচেয়ে জটিল রোগগুলো হয়েছিল ক্যাডেট কলেজে থাকতেই।
বিস্তারিত»ধন্যবাদ…এবং… শুধুই ধন্যবাদ
কয়েকদিন ধরেই ভাবছি কিছু একটা লিখবো।কিছু একটা লিখবো।কিন্তু হয়ে উঠছিলোনা নানা কারণে।কারণগুলোর মধ্যে ব্যস্ততা যেমন আছে, আছে অলসতাও।
ইদানীং আমাদের ব্লগটা সেইরকম জমজমাট হয়ে উঠেছে।দেখে মনে হচ্ছে বৃহস্পতিবারের আড্ডাটা এখন সপ্তাহের সবগুলো দিন জুড়েই আসর জমিয়ে রাখছে।পুরোনো বন্ধুগুলোর পাশাপাশি আরো নতুন অনেক মুখ এসে জড়ো হয়েছে,হচ্ছে।দেখে ভাল লাগে।একটু তৃপ্তিও লাগে।এমন কিছু একটা করার পেছনে নিজের একটু আধটু ভূমিকার কথা ভেবে বোধহয় একটু গর্বও লাগে।আজ আর কলেজের কথা নয়।বরং ভার্চুয়াল জীবনে নতুন কলেজ খোলার অভিজ্ঞতার কথাই বলি…
মজনু
আমরা যখন ক্লাস ১০এ তখন সব কলেজে নতুন টিচার নেয়া হয়..সেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লায় আসলো দুই piece… ফিজিক্স এর একজন স্যার আর কেমিস্ট্রির একজন ম্যাডাম……..’চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার অমনিশা’র মত হাটু লম্বা চুল ছিল ম্যাডাম এর…যখন চুল ছেড়ে রাখত তখন পেছন থেকে আসলেই খুব সুন্দর লাগত।ক্যাডেটদের ব্যাচেলর জীবনের দুর্দশা কাটানোর জন্যই যেন উপকরণ হয়ে তার আগমণ….
বিস্তারিত»পলেন
আমাদের ব্যাচকে কেউ খুব একটা ঘাটায় না। আমরা খুবই ইনডিসিপ্লিনড্। ইচ্ছা হলো নামলাম, না ইচ্ছা হলো নামলাম না, তবে অবশ্যই ডিএম-এনডিএম দেখে। ও নামে নাই, সেকেন্ড হাই টেবিলে বারোটা চেয়ার, এক জন না নামলেই ফার্স্ট হাই টেবিল থেকে স্যার ধরে ফেলবে। আমরা ওর চেয়ারটা উল্টায় রাখলাম, যেন স্যার না দেখে। হাউসে ফিরে কমন রুমের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, নিচ থেকে খুব চিল্লাচিল্লির শব্দ। আমি আপন মনেই হাসলাম,
বিস্তারিত»