কিছুদিন আগে আমাদের কলেজে রিইউনিয়ন হয়ে গেল, সবাই তা জানে। সুন্দরী ভাবি আর সুন্দরীদের মেলা বসেছিল কলেজে। আমার মত যারা তাদের আফসোস বেশি ছিল। কেউ কেউ ফেলে আসা কাউকে এস.এম.এস এর মাধ্যমে আপডেট জানাতে সদা তৎপর। আমরাও চান্সে ছিলাম তাদের সেই আপডেট জানার জন্য। অবশেষে সেই মহেন্দ্রহ্মণ এল, সদ্য প্রেমিক লিস্টে নাম লেখানো আনাড়ি আমাদেরই এক বন্ধুর মোবাইলে তার বহু আকাঙ্খিত সেই আপডেট গ্রহীতার বার্তা পড়া হ্ল। বার্তাতে প্রেমিকের আকুতি আর প্রেমিকার ব্যাকুলতা দেখে নিজেকে বড় অপদার্থ মনে হতে লাগল। নাহ পরমুহুর্তে নিজেকে সামলাই; control hasnain, control(ডায়লগটা মারা, দেখি কে বলতে পারে কোথায় থেকে মারা?)। লেখার শিরোনাম দেখে আর আমার লেখা দেখে আনেকেই হয়ত মনে করবেন এটা হয়ত আমার স্মৃতিচারণ রি-ইউনিয়ন নিয়ে।কিন্তু না আমাদের প্রতি রি-ইউনিয়নে একটা অংশ থাকে যেখানে বিগত বছরের ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণ করে এক্স-ক্যাডেটরা। আনেকমজার মজার কাহিনী শুনতে পারলাম। আমাদের কলেজের ব্যাচগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে; মদন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ।
মদন যুগ মানে আমাদের পিতৃতূল্য ভাইদের কাহিনী ছিল অনেকটা এমন,
কলেজ ফলইনে কলেজ প্রিফেক্ট এডজুটেন্টকে প্যারেড স্টেট দিচ্ছেন, ” ২৯২ জন উপস্থিত, ৪ জন হাসপাতাল, দুইজন হাউসে ঘুমায়” ।
এমন আরও মজার কাহিনী আছে যেমন, কোন এক বড় ভাইয়া নাকি চার কোণায় চার তালা দিয়ে মশারি লাগিয়ে ঘুমিয়েছিলেন।
আমি খুব মজা পেয়েছিলাম আমাদের জুনিয়র এক ব্যাচের ঘটনা শুনে। ক্যাডেট যে সময়ে সময়ে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ সেই ক্যাডেট। ফলইনে লেট করার কারণে প্রিফেক্ট ভাই তার কলার ধরে থাপ্পর দিয়েছিলেন, এতে তার শার্টের দুইটা বোতাম ছিঁড়ে যায়। এতেই সে সুযোগ খুজতে থাকে এ “অন্যায়ের” বদলা নেয়ার জন্য। আর বিধাতাও যেন তাকে সেই সুযোগ করে দিলেন। সেই বোতাম ছেঁড়া ক্যাডেটকেই কিনা প্রিফেক্ট ভাই তার খাকি ইউনিফর্ম আনতে বললেন ধুপা রুম থেকে। এই চান্স ত ফেলা যায় না, সে প্রিফেক্ট ভাইয়ের খাকি ইউনিফর্ম নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে তার সব বোতাম ছিঁড়ে ফেলল। তারপর সেটা ভাইকে দিয়ে আসল। কাহিনীর আসল মজা এখানেই, সেই প্রিফেক্ট ভাই সেই একই ক্যাডেটকে ডেকে বোতাম আর সুইসুতা আনতে বললেন। সে দুই বোতাম রেখে দিয়ে অন্য বোতামগুলো প্রিফেক্ট ভাইকে দিয়ে আসল। দুই বোতাম কেন রেখে দিল পাঠক নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।
হ হ... বুঝতে পারসি। 😀
মজা পাইলাম।
*
মশারী তালা দিয়া লাগাইছিলো আমাদের ব্যাচের জিন্নাত। :-))
তাও ভাল, আমাদের আশেক এর কাহিনী সবাই জানেনা...:p
এতদিন হই গেছে এইবার কাহিনিডা কইয়া ফালা...
না জানাই ভাল!ইজ্জত নিয়া টানাটানি পরবে...।
হি হি।
দোস্ত সদ্য প্রেমে পড়া প্রেমিকের আপডেট কাহিনী জানাইলি...কিন্তু আমাদের আপডেট বস মাযহারের কথা তো কিছুই কইলি না...
মদন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ। দরুনতো! নিলাম।