ক্যাডেট কলেজের অনেক অনেক ভালো দিক যেমন আছে তেমনি আছে কিছু খারাপ দিকও। অনেক অনেক আলোকিত দিকের আড়ালে রয়ে গেছে কিছু ড্র-ব্যাক। এমনই একটি বিষয় নিয়ে আজ কথা বলতে চাইছি।
একদিন বাংলা ক্লাসে স্যার (নাম ভুলে গেছি) কি যেন বোঝাতে যেয়ে পড়ার বাইরে একটু অন্য প্রসংগে চলে গেলেন। প্রসংগটা আস্তে আস্তে ” ক্যাডেট” বিষয়ক আলোচনায় মোড় নিল। এরই এক পর্যায় তিনি বলছিলেনঃ
“ক্যাডেটরা কেমন জান? ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেট রা হল রাস্তার পাশে সারি সারি পাতাবাহারের মত।”
এটুকু বলে তিনি থামলেন একটু। ক্লাসের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন – কে বলতে পারবে কেন পাতাবাহারের মত বললাম?
সভাবতই কেউ বলতে পারল না।
এবার স্যার বললেন, পাতাবাহার গাছ গুলোকে কি করা হয় কিছুদিন পর পরই? কাঁচি দিয়ে ছেটে দেয়া হয়। কোন দিক দিয়ে কোন একটি কুষিপাতা একটু বড় হলেই সেটা ছেটে দিয়ে বাকিদের সমান করে দেয়া হয়। কি এবার কিছু বুঝতে পেরেছ? এখানে নিজের মত করে বড় হবার সুযোগ নেই। নিজের মত থাকার সুযোগ নেই।
এবার বোধয় ক্লাস কিছু একটা বুঝতে পারলো।
আজ হঠাৎ ই কথাটা কেন মনে হল, জানিনা।
ক্যাডেট কলেজে কিছু ক্যাডেট দেখতে পেয়েছি যারা ক্যাডেট কলেজে ঠিক মানিয়ে নিতে পারেনি নিজেদেরকে। মানিয়ে নেয়া-না নেয়ার ফলে অনেকেরই অনেক রকম সমস্যা হতে দেখেছি। কেউ প্রকাশ করেছে, কেউ করেনি, কেউ বা করতে পারেনি। প্রকাশ করে কেউ হয়ত ক্লাস এইটে-ই চলে গেছে টাকা-পয়সা দিয়ে, কারো বা প্রকাশ হয়ে পড়েছে বলে হয়ত এস এস সি এর পর চলে যেতে হয়েছে বাধ্যহয়ে, আবার কেউ বা ৬ ছয়টা বছর ধরে চোখের আড়ালে কিছু জল আর বুকে পাথর চেপে নিয়ে পার করে দিয়েছে চুপিচুপি সময়।
কি বলা যায় এই জিনিসটাকে? এটাকে কোন সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা যায় কি? নাকি আদৌ কোন সমস্যা না? যদি সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা যায়ই, তাহলে সেটা কার সমস্যা? ব্যাক্তিগত, নাকি সামষ্টিক? ক্যাডেটের, নাকি ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমের ?
আমারতো মনে হয় এটি একটি মারাত্নক সমস্যা, যা কিনা একটি মেধাবী ছেলেকে সারা জীবনের জন্য অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। আমি দুঃখিত সবার কাছে , এই যে সবাই কত মজার মজার কথা লিখছে, কত মজার স্মৃতি ক্যাডেট কলেজ কে ঘিরে, কত হাসি-কান্না, কত রোমাঞ্চকর মুহুর্ত এসবের মাঝে “মানিয়ে না নেয়া” টা আবার কি জিনিস? এসব বলে আবার ব্লগের আনন্দময় পরিবেশটাকে নষ্ট করে দিচ্ছি কি না কে জানে। তবুও কাউকে না কাউকে তো বলতেই হয়।
আমাদের ক্লাসে এমন একজন ছিল, যে ক্লাস সেভেনে আসার পরপরই প্রথম যে পরীক্ষাটা হয়, সেই পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। নম্র, ভদ্র একটা ছেলে। কারো সাতে নাই, পাঁচে নাই। অথচ কালের স্রোতে ভিতরে ভিতরে সে কখন দুমরে মুচড়ে গেছে কেউ খেয়ালই করেনি। বোধকরি তার সেই নম্রতা, ভদ্রতাই তার কাল হয়েছিল। আর সবার মত সবার সাথে হৈ হুল্লোড় করে মিশে যেতে পারেনি। তার স্বভাবটাই চুপচাপ থাকা। এধরনের মানুষেরা আত্নাভিমানী হয় খুব বেশি। একটু টিজ খেলেই দেখা যায় অনেক বেশি মনখারাপ করে বসে। অনেক অনেক আকাশ-পাতাল ভাবতে বসে যায়। নিজেকে নিয়ে বিব্রতবোধ করতে শুরু করে। সেই মেধাবী ছেলেটির এমন মানসিক বিপর্যয়ের কথা আমরা জানতে পেরেছিলাম এস এস সি পরীক্ষার পর। অবশেষে তার বাবা মা এসে ছেলেকে কলেজ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়া ছিলেন। অনেক বড়লোকের ছেলে বলে জানতাম আমরা। উনি ক্লাস এইটে পরীক্ষায় ভালো করতে পারেননি। আর অনেক অনেক দুষ্ট(কলেজের নিয়ম কানুনের চোখে) ছিলেন। হেন কাজ নাই উনি করতেন না। একসময় কলেজ আউট হয়ে গেলেন।
কলেজ থেকে বের হয়ে আসার পর আমি কাউকে কাউকে দেখেছি কলেজের প্রতি ভয়ংকর অভিমান নিয়ে বেঁচে থাকতে। প্রচন্ড অভিমানে এমন ও হয়েছে যে ক্লাসমেটদের কোন গ্যাদারিং এ পর্যন্ত আসতে মন চাইত না অনেকের। এটা যে ক্লাসমেটদের প্রতি অনুযোগ স্বরুপ তা নয়, বরং যেন এক ধরনের ছোঁয়াচ বেঁচে চলার মত- ক্যাডেট কলেজের গন্ধ বাঁচিয়ে চলার প্রবণতা সেটা। উপরের দুই ধরনের ছেলেদের তুলনায় এই ধরনের ছেলেদের সংখ্যাই বেশি। এবং আশ্চর্যের বিষয় হল একটা ক্লাসের মোট ছাত্র সংখ্যার রেশিও করলে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। ৫০ জনের একটা ক্লাসে যদি ১০ জনও এরকম হয় তাহলেও আমি মনে করি ব্যাপারটা এলার্মিং।
যাই হোক। এক্সেপশনাল কেইস গুলো আপাতত বাদ থাকুক। কথা বলি তৃতীয় ধরনটা নিয়ে।
কলেজে অনেকের মাঝে থেকেও অনেকেই আসলে ভিতরে ভিতরে রয়ে যায় খুব একা। ইচ্ছা করলেই চলে যাওয়ার উপায় নেই বলে তাদের নীতিটা হয়ে যায় -” রয়ে যাওয়া আর সয়ে যাওয়া”। এই একা হয়ে যাওয়ার সিস্টেম/ ক্রনোলজিক্যাল প্রসিডিওরটা বেশ দৃষ্টি দেবার দাবি রাখে। কলেজে ক্লাস সেভেনে যখন ৫০ কিংবা ৫৫ জন ছেলে প্রথম আসে তখন সে একতাল কাঁদা মাটি। এরপর দিন যায়, সে কলেজের ঘটনা, পরিবেশ ইত্যাদির সাথে থেকে থেকে একটা শেপ নিতে থাকে। হয় সে সবার সাথে মিশে যায় অনায়াসে নতুবা ক্রমাগত সেগরিগেটেড হতে থাকে। ক্রমাগত আলাদা হয়ে যাওয়ার এই প্রসেসটা সম্পন্ন হয় খুব নিরবে-নিভৃতে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই। কিছু কিছু ফ্যাক্টর আছে যেগুলো একটা ছেলেকে শেপ দিতে ক্যাটালিস্ট এর কাজ করে। যেমনঃ
১। একাডেমিক রেজাল্টঃ কলেজের সবচেয়ে বড় একটিভিটি হচ্ছে পড়াশুনা। কলেজে লেখাপড়ায় যে ভালো সেই ই রাজা। এখানে ভালো করতে না পারলে সবদিক দিয়েই কষ্ট। একধরনের হীনমন্যতা কাজ করা শুরু করে। ক্লাসমেটদের মধ্যে চার-পাঁচ ধরনের অদৃশ্য স্ট্যাটাস/লেয়ার তৈরী হয়ে যায়। ভালো রেজাল্ট করা পোলাপান গুলো একদিকে, মিডিয়াম গুলো একদিকে, এক্কেবারে খারাপ করা গুলো হয়ত আর এক দিকে। ক্রমে ক্রমে সে নিজেকে নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলতে শুরু করে। ভালো করতে না পারলে স্যার-ম্যাডামরাও তেমন একটা চ্বেনে না ভালো করে। লজ্জার মধ্যে পড়তে হয় সবসময়……। ক্যাডেট কলেজে সামনে দিয়ে হয়ত পিপীলিকাটি পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়না কিন্তু ভিতরে ভিতরে যে পিছন দিয়ে হাতি চলে যায় কেউ দেখতেও পায় না। যে ছেলেটি খুব একাডেমিক্সে খুব খারাপ করে চলেছে তার দিকে স্পেশাল ভাবে তাকানোর কে আছে সেখানে? নেই বাবা, নেই মা। নেই এমন কোন আপন কেউ যার কাছে নিজের অপারগতাগুলো অকপটে তুলে ধরা যায়। ………………
( চলবে…?)
সাবাস কালবেলা ভাই, :clap: বলতে না বলতেই নতুন ব্লগ। পড়ার আগেই তাই ধন্যবাদ। পড়ে এসে আরেকটা কমেন্ট দিয়ে যাব। 🙂
😀 😀 😀
হুমম
😕 😕 😕
সরি লিখতে ভুল হয়ে গেছে, চলুক ভাইয়া। :salute:
ভিন্ন চোখে দেখি কলেজকে। আপনার বিশ্লেষণের কয়েকটি ব্যাপারের সাথে একমত হতে পারিনি। ব্যাপারগুলো বলবোও না, কারণ এই ব্যাপারগুলো সম্পূর্ণই পারসেপশানের উপর নির্ভর করে, সঠিক বেঠিক নাই, যেভাবে দেখবেন সেভাবেই ঠিক।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ তৌফিক। আসলে লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে গেসিল। শেষের দিকে আরো কয়েকটা লাইন লেখা দরকার ছিল - না লেখার ফলে বিতর্কের/দ্বিমতের অবকাশ থেকে গেছে!
তোমার কথাটা খুবই ঠিক। পারসেপশন।
লেখাটা লিখতে বসলাম নিজের চোখে দেখা জলজ্যান্ত ঘটনাগুলো হঠাৎ মনে হওয়ায়। কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় সেগুলো, এমন ভাবনা গুলোরই একটা প্রকাশ এটা বলতে পার।
চলুক তাহলে। 🙂
cadet college e thakte jaygatare ami nijeo hate kortam.mental punishment amar ekdom sojjo hoy na. obossho ber hobar por sei sob vule gechi. ekhon shudu mojar jinis gulai mone ase.
lekha coluk
ধন্যবাদ আবীর।
আমার আবার মজার জিনিসগুলা অল্প মনে আছে। খালি কষ্টের জিনিসগুলা মনে পড়ে। কিন্তু কলেজের জন্য আবার ফিল করি প্রচুর। ক্লাসমেটদের কোন গেট-টুগেদার হলে অনেক দরকারী কাজকর্ম ফেলেও দৌড় দেই। কিসের জানি একটা টান।
চলুক তাহলে!!
ভাই, আপনার লেখা পড়ে আমার ক্যাডেট কলেজের বন্ধু মিজান এর কথা মনে পড়ল...
আমাদের SSC এর জাস্ট আগের কথা। মিজান ও ক্যাডেট কলেজের পরিবেশে ঠিকমত মানিয়ে নিতে পারেনি। বেশ কিছুদিন ধরেই ওর মাঝে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছিল । টেস্টের সব খাতায় ও উত্তর লিখে আবার কেটে দিয়েছিল । তারপর পরীক্ষার আগেই-
একদিন আমরা লনে ক্রিকেট খেলছিলাম। হঠাত দেখি কলেজ মাইক্রো এসে মিজান কে ওর সব জিনিসপত্র সহ নিয়ে চলে গেল। আমরা কাছে এসে শুনলাম মিজান নাকি বারবার বলছিল- "আমি যাবো না, আমি যাবো না..."। কিন্তু যেতেই হল ওকে। আর আমরা বসে রইলাম স্তব্ধ হয়ে।
P.S: আমাদের এক বন্ধু ওর বাসায় গিয়েছিল কিছুদিন আগে। ওর কাছে জানলাম- মিজান নাকি এখনো সেই ৯৮-এর মতই ...কি যে খারাপ লাগলো জেনে! আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন
আমি যাব না, আমি যাব না.........এই যায়গাটুকু পড়তেই বুকটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠল!! দোয়া অবশ্যই রইল।
এই যে দেখো এই ব্যাপারগুলো। এগুলো কেন হয়? এগুলো এড়াতে কি কি করা উচিত বলে মনে হয়? আমার কিছু সাজেশন্স আছে- যেগুলো করা যেতে পারে বলে মনে হয়। পরের পর্বে বলছি সেগুলো।
আমি বলি। প্রথমেই বলি আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। কারণ খুব প্র্যাক্টিকাল অনেক কথা বলা হয়েছে। এবং যে ঘটনাগুলোর উদাহরণ দিয়েছেন, তার অনেকগুলো আমরাও আমাদের চোখের সামনে ঘটতে দেখেছি।
যেমন, আমাদের মিশতু...ফায়জুল হাসান স্যারের ছেলে। মানিয়ে নিতে না পেরে ক্লাস নাইনের দিকে চলে গেলো। বা জেসিসির জাকিরকে আমি ক্লাস ফাইভের বৃত্তি কোচিঙের সময় চিনতাম গভমেন্ট ল্যাবের তুখোড় ছাত্র হিসেবে। পরে আইইউটিতে সেই জাকিরকে দেখেছি অন্য চেহারায়......প্রচন্ড ফাঁকিবাজ হিসেবে। মেলাতে কষ্ট হয়েছে, কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে পরিবর্তনটুকু এসেছে ক্যাডেট কলেজে থাকার সময়।
এগুলো যেমন সত্যি, তেমনি বিপরীতটুকুও কিন্তু সত্যি। আমার নিজের পড়ালেখার উত্থানটুকু ক্লাসটেনেরও পরে। প্রোগ্রেস টেস্টের সময় থেকে। অনেককে দেখেছি আগে কখনো খেলেনি অথচ বের হবার সময় তুখোড় বাস্কেটবল খেলোয়াড় হয়ে বের হতে। কেউ বা দুর্দান্ত ডিবেটার। ক্যাডেট কলেজে ঢোকার সময় একটা ছেলে যেভাবে ঢুকে, বের হবার সময় বেশীরভাগ সময়ই পরিবর্তনটুকু আকাশ পাতাল হয়। ক্যাডেট কলেজের এই জিনিষটা ভালো লাগে। সবার জন্য সুযোগ করে দেয়। বাবা মার কথা রাখার জন্য দিনে তিনটা করে প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে যে ছেলেটা তার কৈশোরটাকে নষ্ট করে দেয়, তার থেকে বেড়িয়ে আসার সুযোগ করে দেয়। যে পড়তে চায়, সে পড়তে পারে। যে খেলতে চায় সে খেলতেও পারে। যার এক্সট্রা কারিকুলারে উৎসাহ থাকে সে সেটারও চর্চা করতে পারে। দেশের কটা স্কুল কলেজ এ সুযোগ করে দিতে পারে? পড়াশোনায় ভালো হয়ে বোর্ডে ফার্স্ট স্ট্যান্ড করাটাকে কিন্তু কিছুতেই সার্থক জীবন বলা যেতে পারে না। আমি তা মনে করি না।
সার্ভাইভাল অভ দ্যা ফিটেস্টের নীতিটা ভাল লাগে। পরিবর্তিত পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারাটা খুব বড় একটা ব্যাপার। ক্যাডেট কলেজে এ জিনিষটা শিখে নেবার সুযোগ থাকে অনেক কম বয়সে। 'নম্র, ভদ্র একটা ছেলে। কারো সাতে নাই, পাঁচে নাই। ' - এমন একটা ছেলে ক্যাডেট কলেজে না এসে বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশন করে দেশের বাইরে পড়তে গিয়ে কারো সাথে মিশতে না পারার সমস্যায় পড়ছে না - এমনটা কে বলতে পারে? তাই আমি বলি, যে ছেলেটা মানিয়ে নিতে না পেরে মাঝপথে চলে গেল, এটা তার একধরণের হেরে যাওয়া। এই হেরে যাওটাকে মেনে নেবার সীদ্ধান্তটা তারই নিজে থেকে নেয়া। কিন্তু লাইফতো সবসময় মনমতো চলবে না। যা চাইবো তা তো সবসময় হবে না। মানিয়ে নিতে হবে। তাই আমি যে জীবনে অভ্যস্ত, তার থেকে কঠিন জীবনে এসে পড়লাম বলে কি এত সহজে হার স্বীকার করে নেয়া ভাল? তাহলে যে জীবনের প্রতি পদে পদে হার স্বীকার করে নিতে হয়.........
আশিক, এতো সুন্দর করে লিখেছো যে আমার কিছু বলারই চান্স রাখো নাই। 😕 তোমার সাথে আমি একমত।
আমার কোন অনুযোগ নাই, বিরাগ নাই। এই লেখাটা লেখার পিছনে আসলে কয়েকটা পয়েন্ট ছিল যেগুলো ক্যাডেট কলেজে ইম্প্লিমেন্ট করা যেতে পারে ( আবারো বলি - যেতে পারে) বলে মনে হয়েছে আমার। পরবর্তী পর্বে সেগুলো লিখছি। পড়ে দেখোতো আসলেই করা যেতে পারে কি না। করলে কি হবে না হবে।কেমন?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
অপেক্ষায় থাকলাম 😛
বলে দেই, আশিক কিন্তু ডবল স্ট্যান্ড।
:clap: :clap: :clap:
আপনি এক্স ক্যাডেট! জানতাম না। 🙂
কালবেলা,
ভাইয়া তোমার লেখায় অনেক মূল্যবান লেখা উঠে এসেছে।
ধন্যবাদ তোমাকে।
ভাল আর খারাপ - মুদ্রার এ পিঠ আর ঐ পিঠ।
এই আলোচনা থেকে পরিশষে ক্যাডেট কলেজ গুলোকে আরো ভালো করার প্রয়াস পাওয়া যাবে সেই কামনা করি।
চলবে না পাক্কা দৌড়াবে...।
:clap:
অফ টপিকঃ
তোর হাতে গোনা ভাল স্মৃতির কথা গুলো নিয়েও সময় করে লেখা দিস। কেননা তুই এত ভাল লিখিস যে আমার বিশ্বাস গুটি কয়েক মধুর স্মৃতি বাকি নোনা ধরা মরিচা গুলো কে ছাড়িয়ে যাবে...
সৈয়দ সাফী
বস্ কি যে বলেন!!
kamrul dustu khub valo chilo....
weldone .......
shahal6538,
Probably u'v given this comment to kamrul but mistakenly posted in this post. is it? :shy:
খুব খুব খুব সুন্দর লেখা হইসে। অনেকাংশেই সহমত :boss:
তাই নাকি? ধন্যবাদ B-) (পাট নিলাম) 😕
চমৎকার লেখা, অনেক বিষয়ে একমত না হলেও লেখাটা প্রশংসনীয়।
চলুক...
ধন্যবাদ ফৌজি,
হুমম্, চলুক তাহলে......( আশাকরি লেখার শেষে যেয়ে আমরা সবাই একমত হতে পারব, আলোচনার মাঝা-মাঝি জায়গায় আসলে হালকা দ্বিমত তৈরী হয়, ব্যাপারস না।)
কালবেলা ভাই এর সাথে অনেকাংশেই একমত । কিন্তু আশিক এর survival of the fittest কথাটা ভাল লেগেছে । very true..আমি আমার cadet life বলতে গেলে কিছু না করেই শেষ করেছি । but at the end of the day i am a very confident person and can tackle pretty much any crap thrown at me..that's what cadet college taught us..তবে sir দের মনে হয় আরেকটু attentive হওয়া দরকার । কারন সবাইকে তো একভাবে treat করলে same result আসবেনা । anyway আলোচনা আরো চলুক ।
হুমম চলছে। কিন্তু লিখতে গেলে হাত বেথা করে। B-) B-) B-)
survival of the fittest কথাটা শুনেত খুবই ভাল শোনায়..িকন্তু আমার মতে কলেজ এই ফিট হওয়ার training center নয়.. exam center.. 😛
আর কলেজের তেলা মাথায় তেল েদওয়ার সিস্টেমটা একদম অপছন্দ.. 😕
ভাই ফুয়াদ, তেলা মাথায় তেল-এর ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলবেন? 🙂
সাক্ষাতে বলবনে 😀
কিরে তুই কি হাসান নাকি? সিসিআর ৯৯?
বাহা,
হি...হি... 😀 😀 😀 । মেইল চেক কর।
Ok. I understant.
ঐ জিহাদ B-) ,
এইডার ২য় পর্ব সাবমিট কইরা রাখছি তো......পাবলিশ হয় না কেন?
কালবেলা ভাই, এই ব্লগে প্রথম প্রথম মডারেশনের পর পাবলিশ হয়। পুরো সদস্য হয়ে গেলে আর এসব ঝামেলা নেই। মনে হয়, মডারেটররা অনলাইন কেউ নেই। থাকলে পাবলিশ করে দিত। একটু অপেক্ষা করেন, আমরাও অপেক্ষায় আছি।
তৌফিক,
ধন্যবাদ। :party:
কালবেলা ভাই, আপনে বোধহয় রেডবুক কিংবা ড্যাশবোর্ড এর নতুনদের জন্য সেকশনটা পড়ে দেখেন নাই। মডারেশন এর জন্য জমা দিতে চাইলে pending for review সিলেক্ট করে সেভ করতে হয়। আপনি শুধু ড্রাফট হিসেবে সেভ করে রাখসিলেন দুইটা পোস্টই। এই জন্য বোঝাটা মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
যাই হোক, এখন থেকে নিজেই পোস্ট করতে পারবেন। আপনার নভিসেস ড্রিল সাফল্যের সাথে সমাপ্ত। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদুদ্দিন,
ধন্যবাদ ধন্যবাদ। বুঝতে পেরেছি... 😛
কালবেলা ভাই,
কথাগুলো এক্কেবারে সত্য। অস্বীকার করার উপায় নাই।