কাউন্টডাউন শেষ। নির্বাচন শুরু হতে অবশ্য আরও ৮ ঘণ্টা বাকি। কিন্তু কাউন্টডাউন ঘড়ি রাত ১২ টা ধরেই করা হয়েছিল। যাহোক, কাউন্টডাউনটা মুখ্য না। ভোট গ্রহণ আর ফলাফলটাই মুখ্য। ভোটদান পরিস্থিতি আর ভোট গ্রহণের পর ফলাফল জানতে এই পাতায় চোখ রাখুন। নাহ্, শুধু চোখ রাখলেই চলবে না, আপনিও অংশ নিন এই লাইভ ব্লগিং এ। আপনার অভিজ্ঞতা, মনোভাব আর আশার কথা বলে যান। আর তথ্য দিয়ে আমাদেরকে আপ টু ডেট রাখুন।
বিস্তারিত»নির্বাচনী অভিজ্ঞতা এবং না ভোটকে না বলুন, জামায়াত-শিবিরকে না বলুন
১.
ছোটবেলায় ভোটের সময় আমার প্রধান আকর্ষন ছিল বিটিভি। ভোট শেষ হতেই টানা ৪৮ বা ৭২ ঘন্টা ধরে টিভি খোলা থাকতো। নানা ধরণের অনুষ্ঠান হতো, আর ফাঁকে ফাঁকে নির্বাচনের ফলাফল। নাটক ও বাংলা সিনেমাই দেখাতো বেশি। মনে আছে আমার মা টিভি রুমে নীচে ঢালাও বিছানা করে দিতো, আমারা সবাই ৪৮ বা ৭২ ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম এই বিছানায়। তখন ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, কে জিতলো তাতে খুব মাথাব্যাথা থাকতো না।
টুশকি ২১
এই লেখার কোন শিরোনাম নাই
খারাপ ছাত্র হওয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। আমার মধ্যে তার সবটা বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, কলেজে আমি মানবিক বিভাগের একজন গর্বিত ছাত্র ছিলাম, বিজ্ঞানের ছাত্রদের যন্ত্রণা দেয়া ছিল আমার সবচাইতে প্রিয় কাজ। তাই কলেজ হতে বের হয়ে আমি খুবই চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম যে আমার মত ছাত্র কীভাবে কোথাও চান্স পাবে তা নিয়ে। আইএসএসবিতে লাল কার্ড পাবার পর আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এই জীবনে মনে পড়াশুনা করা আর হল না।
বিস্তারিত»আহসান ভাই রিটার্নস
ভাই,কেউ বলতে পারবেন কি,ব্যাঙের শুক্রাণু আর সাপ এর ডিম্বাণু মিলে যে জীব সৃষ্টি হবে তা কেমন হবে?!? :dreamy:
সেই কাহিনী আজ শুনুন তাইলে……
আমি তখন ক্লাস এইটে।সবেমাএ জীববিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় বুঝতেছি,আর কিছু বিষয় মাথার মধ্যে ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর বেশি তাপমাত্রায় ফুটতো।(বি:দ্র: আমার মাথার গলনাঙ্ক কক্ষ তাপমাত্রার একটু বেশি!)।এর প্রমাণ আমি আমার বালিশ ও হাউজের বাথরুমে পেয়েছি।পাঠকগণ,কথাটাকে প্লিজ অন্যভাবে নেবেন না।মাথার চুল যে হারে উঠছিল,তাতে ঘুম থেকে উঠেই আগে বালিশ ঝাড়তে হত;আর বাথরুমে গোছলের সময় পানি যেন না আটকায় তার ব্যাবস্থা করতে হত।তবে এটুকু ঠিকই বুঝতাম,হাওয়া থেইকা ক্যামনে একটা জ্বলজ্যান্ত প্রাণী(মানুষ,বিড়াল,কুকুর,…প্রমুখ) এই সুজলা সুফলা ধরণীতে আগমণ করে।আর রিসেন্টলি সুকুমার রায়ের হাইব্রিড নামগুলার(বকচ্ছপ,সিংহরিণ…)সংস্পর্শে এসে কোনভাবেই একটা ইকুয়েশন মিলাইতে পারছিলাম না।ব্যাঙের শুক্রাণু আর সাপ এর ডিম্বাণু মিললে কি হবে?ক্লাসমেট প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসা করছি,কিন্তু কারো ‘লিমিটেড ব্যাঙ্ক একাউন্ট’এ আমার এই সহজ সরল চেকটা ভাঙ্গাইতে পারি নাই।অগত্যা,আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাই,আমার জন্ম জন্মান্তরের শুভাকাঙ্খী,আমার সব প্রশ্নের উত্তর জানা একমাএ ‘ওরাকল’,আহসান ভাইয়ের(৩৫তম ইনটেক,মকক) সরণাপন্ন হলাম।তিনি ডাইনিংয়ে আমার বাম পাশে বসেতন।একদিন ডিনারে সবাইকে ডিমের কারি দিছে।কারি বলতে,ঠান্ডা পানির সাথে বিশ্বের তাবৎ মশলার সংমিশ্রণে যে অদ্ভুত যৌগ তৈরী হয়,তা।ডিমটা ফুল সিদ্ধ,গরম তেলে একটু ভাজা।সবার সামনে প্লেট আর প্লেটের বামপাশে হাফপ্লেটে কারি থাকতো।ভেজিটেবল দিয়ে খাওয়া শেষ করে,যেইনা কাটা চামচের মাথা দিয়ে ডিমটা হাফ প্লেট থেকে ফুল প্লেটে ট্রান্সফারের উদ্যোগ নিয়েছি,রাস্তার মধ্যে কোন এক দুর্নিবার আকর্ষণে ডিমটা নিউটনের সূত্যের প্রমাণ স্বরূপ হাফপ্লেটের বুকে যেয়ে পরল।কোন যুবতী মেয়ে আমার বুকে ২০০ কিমি স্পিডে ধাক্কা খাইলেও এতটা ‘ইয়ে’
বিস্তারিত»ওমের্তা
ইতালির সিসিলির মাফিয়াদের নিয়ে অনেক গল্প-উপন্যাস, চলচ্চিত্র হয়েছে। তবে মাফিয়া সাহিত্যের সবচেয়ে বড় শিল্পী আমার মতে মারিও পুজো। আমেরিকায় অভিবাসী ইতালীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের ছেলে তিনি। লিখেছেন উপন্যাস ও চিত্রনাট্য। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হলো ” দ্য গডফাদার”, সেবা প্রকাশনীর কল্যাণে এর অনুবাদ অনেকেই হয়তো পড়েছেন। তাঁর সেরা চিত্রনাট্য এই উপন্যাসেরই চিত্ররূপ, ফ্রান্সিস ফোর্ড কাপোলা পরিচালিত অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র “দ্য গডফাদার”। অনেকেই এই চলচ্চিত্রটিকে এ যাবৎকালের সেরা চলচ্চিত্র বলে গণ্য করে থাকেন।
বিস্তারিত»রাজাকারদের না বলুন
কথা নয় আজিকার
দেশে যত রাজাকার
ভোটে, জোটে আছে দল পাঁকিয়ে
আমি, তুমি, তাহারা
ভাই,বোন, মা হারা
দেখবো তা’ শুধু শুধু তাকিয়ে?
শুভ জন্মদিন লাবলু ভাই
আমার যখন জন্মই হয়নি তার আগেই ভাইয়া ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়া শেষ করে বেরিয়ে গেছেন। শুধু আমার নয়, এই ব্লগের প্রায় সবার চেয়ে তিনি এরকমই বড়। কিন্তু তাতে কি ! আমাদের সাথে তার বন্ধুত্ব হতে একটুও দেরি হয়নি। ক্যাডেট কলেজে পড়ার এই এক মজা। নিজের ক্লাসমেটরা তো অবশ্যই , বড় ভাই, ছোটো ভাইরাও কেমন নিমেষে আপন হয়ে যান। সে যে কোন কলেজের , যে কোন ব্যাচেরই হোক না কেন।
বিস্তারিত»সাইফুল স্যার ও আমার ২য় পোস্ট
সিসিবি তে এটা আমার ২য় লেখা। প্রথম ব্লগ এর অসাধারণ(!) সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজকের লেখার জন্ম। আজও আপাতত ১ টা ঘটনা দিচ্ছি।
**ক্লাস টেন এ তখন। ১৪ নং রুমে থাকি। করিডোর এর সাইডে জানালার পাশেই আমার বেড। গেমস এর পর এসেই ড্রেস চেঞ্জ না করেই সদ্য পাওয়া মাসুদ রানা সিরিজের “নীল ছবি” নিয়ে বসলাম। করিডোর দিয়ে যাচ্ছিলেন হাউজ ডিউটি মাস্টার সাইফুল ইসলাম(ইতিহাস) স্যার।তিনি আমার পড়ালেখা সম্পর্কে ভালই খোঁজ খবর রাখতেন!হঠাৎ কোন পূর্বাভাস ছাড়া রুমে ঢুকেই বললেন,”জাবীর,তুমি তো এত পড়ালেখা সচরাচর করো না!”
বিস্তারিত»অন্য রকম ক্যাডেট কলেজ-৮ (শেষ পর্ব)
আগের পর্বগুলো: প্রথম | দ্বিতীয় | তৃতীয় | চতুর্থ | পঞ্চম | ষষ্ঠ | সপ্তম
রায়হান ভাইয়ের মুখে ফ্রন্টরোল দেয়ার আদেশ শুনে প্রথমে অবাকই হয়েছিল মহিব। মনে মনে ভাবছিল রায়হান ভাই তো খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। কোনদিনও কোন জুনিয়রকে পানিশমেন্ট দেয়নি উনি। তাহলে আজ কেন এমন ব্যবহার করছে? তাই প্রথমে কি করবে বুঝতে পারছিলনা।
বিস্তারিত»আফসোস রিটার্নস্…
– ‘কিরে ব্যাটা! কি করস??’
– ‘কি আর করুম, নেট ব্রাউজ করি…’
– ‘সারাদিন তো করিস ঐ এক কাজ…’
– ‘না করার কি আছে? আমার তো এখন অখন্ড অবসর…!’
– ‘হা হা হা…কবে তোর ‘অখন্ড অবসর’ থাকে না…???’
এই পর্যায়ে হাল্কা মাইন্ড খাইলাম, ‘হালায় আমারে পঁচাইল নাকি?’ ভাবতে ভাবতে বললাম,
– ‘ইয়ে…মানে…অফিসিয়ালি আর কি…কেবলই সেমিস্টার শেষ হইল তো…!!!’
সেদিন জাফরের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রাখার পর হঠাৎ করে অনেক পুরনো স্মৃতি পড়ে গেল…
বিস্তারিত»ফ্রেমবিষয়ক রচনাখণ্ডঃ পুরোনো জন্ম এবং নতুন মৃত্যু
প্রথম খণ্ড
গাড়ীটা চলছিল অনেক জোরে। জানালা খোলা। আমি অনেকদিন চুল কাটাইনি। তুমুল বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল বারবার। আমি ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম না। আমার চোখ ঢেকে যাচ্ছিল ঝাপ্টায়, বার বার!
আমরা দুই ভাই এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে শাঁ শাঁ করে ছুটে যাচ্ছি। ড্রাইভিং সীটে আমার খালাতো ভাই। বিস্রস্ত মুখে একগাল খোঁচা খোঁচা দাড়ি। বিপজ্জনকভাবে কয়েকটা গাড়িকে এদিক ওদিক করে পাশ কাটালো।
বিস্তারিত»আবার যুদ্ধ হলে রাজাকার হবো
শেষ পর্যন্ত সিদ্বান্তটা নিয়েই ফেললাম। লাবলু ভাই হয়তো শুনেই আমাকে ঘৃনা করা শুরু করবেন। বলবেন, ‘ছেলেটাকে এতো পছন্দ করতাম ও কিনা শেষ পর্যন্ত এমন একটা কাজ করলো?’ রাগ করে হয়তো কথা বলা বন্ধ করে দেবেন আমার সাথে। দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু তাতে আমার কিছু যাবে আসবে না। আমি আমার সিদ্বান্তে অটল থাকবো।
ফয়েজ ভাই শুনে হয়তো বলবেন, আমার বৃত্ত ভাঙ্গার গানটা তবে বৃথা গেলো।
বিস্তারিত»কাউন্টডাউনঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮
আজ শুক্রবার। সোমবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল তথা শনিবার রাত ১২ টার পর থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। আর রবি বার রাত ১২ টার পর থেকে যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এখন থেকে একেবারে সেকেন্ড ধরে কাউন্টডাউন শুরু করা যেতে পারে। কাউন্টডাউনের জন্য সচলায়তনে একটি বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। উপরে যে কাউন্টডাউন ঘড়িটি দেখা যাচ্ছে সেটা সচলায়তনের সৌজন্যেই দেয়া।
বিস্তারিত»একটু শুনবেন, প্লিজ…
আপনার এলাকার সবচে’ যোগ্য ও গুনী লোককে ভোট দিন। সে যে দলেরই হোক
জ্বি জ্বি!! আমি জানি, আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কোন দলের কথা বলছি। আর যাদের মাথা একটু মোটা আছে, তাদের জন্যই বোল্ড করা। আরে ভাই চামচ নিয়ে কমোডের দিকে যাচ্ছেন কেন?? না না! আমি ওসব খাইনা। যুদ্ধাপরাধীদের পরিবর্তে নেড়ি কুত্তাকে ভোট দিবেন? তা কী করে হয়? একটু ভাবুন প্লিজ!!
যুদ্ধ তো আমরা করি নাই ভাই।
বিস্তারিত»