প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেই। আমি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। তার উপর যে বিষয়ের উপর লিখব, তার জন্য যতোটুকু গবেষণা আর সময় দেয়া প্রয়োজন তাও দেইনি। তবু লিখছি। কারণ, যারা এ ব্যাপারে ভালো জানেন, আশা রাখি, তারা কমেন্টের মাধ্যমে মূল্যবান মতামত দেবেন। আর আমার মতো নাদানেরা শিখতে পারবে। ব্লগ বলার চেয়ে বরং এটাকে থ্রেড ইনিসিয়েশন বলাই ভালো হবে। গৌরচন্দ্রিকার পাট এখানেই শেষ করি, আসুন চলে যাই মূল বিষয়ে।
এই নির্বাচনের বড় একটা নিয়ামক ছিল বোধ করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী। বিগত সরকারের আমলে রাজাকারেরা আমাদের পয়সায় কেনা গাড়িতে আমার মা-বোন-ভাইদের রক্তে রাঙানো পতাকা পতপত উড়িয়ে চলেছে আমার বাংলার রাস্তায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি এখন জীবিকা চালাতে রিক্সা চালান এখন, তিনি হয়তো ট্রাফিক পুলিশের লাঠির নিচে এই গাড়িগুলোর জন্য অপেক্ষা করেছেন। এসকর্ট করা পুলিশের গাড়ির বাঁশির শব্দ শুনে পথ ছেড়ে দিয়েছেন, আর দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছেন। আরো দুঃখের কথা হলো, এদের গাড়িগুলোতে চড়ার, পতাকা উড়ানোর ব্যবস্থা আমরাই করে দিয়েছি ভোট দিয়ে। দেরিতে হলেও ভুল বুঝতে পেরেছে বাংলার মানুষ। এদের ভরাডুবি হয়েছে। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। সংসদ অবশ্য পুরোপুরি রাজাকারমুক্ত হয়নি। একটা বেজন্মা ঠিকই কিভাবে যেন জয়ী হয়ে গিয়েছে।
নবগঠিত সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারবে কি- এটাই এখন বড় প্রশ্ন। সামু ব্লগে একজন ব্লগার উইকিপিডিয়ার রেফারেন্স দিয়ে একটি ব্লগে রাজাকারদের দলটার সাথে সৌদি কানেকশন খুঁজে বের করেছেন। তার ব্লগের উপসংহার হলো, সৌদি আরবকে না খেপিয়ে রাজাকারদের বিচার করা যাবে না। আমাদের মতো গরীব একটা দেশের সৌদি আরবের মতো বন্ধু দরকার আছে। যেকোন সরকারই এই ঝুঁকি নিতে চাইবে না। রাজাকারদের বিচারের পথে এটা হলো প্রথম প্রতিবন্ধক। এখন বোঝার ব্যাপার হচ্ছে গিয়ে, এই প্রতিবন্ধকটা বাস্তবে কতোটুকু শক্তিশালী হবে বা আদৌ এটা কোন প্রতিবন্ধক হবে কিনা। বিদগ্ধ পাঠকেরা মতামত দেবেন আশা করি।
রাজাকারদের বিচার করতে গেলে তাদের রাজনৈতিক দল থেকে প্রবল বাধা আসবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, জামাত বাংলাদেশের সাংগঠনিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী দল। ছোট দল হতে পারে, কিন্তু এদের দলের প্রতি আনুগত্য গড়পড়তা অন্য যে কোন দলের থেকে বেশি। ক্ষমতাসীন দল কি সাহস করবে এই বাধা মোকাবেলা করার? যদি সাহস করে, তবে জয়ী হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অংশগ্রহন লাগবে। ৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের মতো স্বতঃস্ফূর্ততা লাগবে। সেনাবাহিনীর সমর্থনও লাগবে হয়তো। এটা হলো দ্বিতীয় প্রতিবন্ধক।
বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন দলের কাছে হয়তো রাজাকারদের বিচারের চাইতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দূর করার ব্যাপারটিই বেশি কাজ করবে। যেটা অবশ্যই কাম্য নয়। অন্যদিকে, রাজাকারদের বিচার করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যেও অনীহা আসতে পারে। আমরা সবাই জানি, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। কোন কুকর্ম তারা একসাথে করেছিল কিনা তারাই ভালো বলতে পারবে। থলের বেড়াল বেড়িয়ে পড়বে বলে হয়তো তারা রাজাকারদের বিচার করতে নাও চাইতে পারে।
আমার অর্বাচীন বুদ্ধিতে যতোটুকু কুলিয়েছে, রাজাকারদের বিচারের ভবিষ্যত বোঝার চেষ্টা করেছি। আপনাদের সবার সাদর আমন্ত্রণ রইল এ ব্যাপারে মতামত জানানোর।
আমার মনে হয় বাইরের চাপের সুযোগ না দিয়েই কাজটা করে ফেলা দরকার, অগ্রীম হিসেব নিকেশ না করেই। কারণ একবার এই ফোড়া মুক্ত হওয়া গেলে পরবর্তীতে যে কোন সমস্যা এলে এদেশের জনগনই সেটার বিরুদ্ধে দাড়াবে।
তাতে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা বাড়বে বৈ কমবে না।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আপনার কি মনে হয় টিটো ভাই? বিচার কি আদৌ হবে? হলে কতটুকু সফলভাবে করা যাবে? আর না হলেই বা কেন বিচার হবে না?
আপনার মতামতটা দেন। 🙂
শোন এত প্রশ্নের উত্তর এখন পাওয়া যাবে না। ৭১ এ যদি পতাকা কি করা হবে? কেমন করা হবে? ডিজাইনটা সুন্দর হবে তো?ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর ভাবতে গেলে কাজটা আদৌ কত এগুতো তা জানি না।
মূল কথা হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
দাবী অক্ষুন্ন রাখো
আমি কি বলছি বুঝতে পারছ তো? না হলে জানিও
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
হ্যাঁ পারছি মনে হয়।
আমারে কনভিন্সও করে ফেলছেন। শুরু কইরা দিলেই হয়। বাকিটা যখনেরটা তখন দেখা যাবে। 🙂
কিন্তু শুরু হবে তো!!!
এই আশংকাটাই মনে দুলতেছে।
আশংকাটা আমার মধ্যেও কাজ করতেছে। আগের বারের আওয়ামী সরকার এই বিচার করতে পারে নাই। সেখানে যে ভুল হয়ছিল, সাথে দূর্নীতিসহ নানান কারণে ২০০১ এ তাদের ভরাডুবি হয়েছিল। এখন মানুষ আরো সচেতন, গত দুইবছরে এটা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখনোও যদি নতুন সরকার মনে করে যে আগেরবারের মতোই চলবে, তাহলে বিরাট ভুল করা হবে।
খুব দ্রুত ফলাফল পেতে চাইলে মনে হয় প্রথমেই বিচারের কার্যক্রম শুরু করে দেয়া উচিত! মূল সমস্যা বিএনপি-র সাথে জামাতের গাঁটছড়া। তবে সংসদে মাত্র ৩২টা আসন নিয়ে খুব বেশি নীতিনির্ধারণী কথা তারা বলতে পারবে না। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুব শক্তিশালী অস্ত্র। খোদার দোহাই, যেন একটিবার অন্তত এই সরকার সেটাকে ভাল কাজে ব্যবহার করে!
আমাদের দাবী আরো জোরালো করতে হবে। এখন তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই পরোটা ভাইজা ফেলতে হবে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
টিটো ভাই,তাওয়া গরম আর পরোটা ভাজা নিয়া একটা বড়দের কৌতুক মনে পইড়া গেল।মিস কল দিয়েন-ফোন কইরা কমুনে 😛
কোন রকম ডাউট নিলেই দ্বীধা বিভক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়। আমরা ধরে নেই অবশ্যই শুরু হবে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
শুরু না হইলে লীগের খবর আছে।
লীগের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। জনদাবী থাকলে সরকার বাধ্য।
____________________________________
ধন্যবাদ টিটো ভাই। আপনার কমেন্ট অনেক সাহায্য করলো।
এই মুহূর্তে জামাত আর বিএনপি সমার্থক; একটার গায়ে হাত দেয়া মানে আরেকটার সাথে পাঙ্গা নেয়া। রাজাকারদের বিচারে এইটাই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। জাফর ইকবাল এর একটা কলামে পড়ছিলাম জামাত আগে বিএনপির মাথায় উঠে বসছিল, এখন পেটের ভিতর ঢুকে গেছে। জামাত এর সাথে কোয়ালিশন এইবার বিএনপির ভরাডুবির প্রধান কারন - এই সত্য অনুধাবন করে বিএনপি যত তাড়াতাড়ি জামাতকে উগড়ে ফেলবে ততোই সবার জন্য মঙ্গল।
কন্ট্রিবিউশনের জন্য ধন্যবাদ সালাহউদ্দিন ভাই।
অফটপিকঃ সাল্লু ভাই, সালাম!কেমন আছেন, বস?
তাড়াতাড়ি সিসিবি তে নিয়মিত হন...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আমি একটা কথা বলব, যদিও ঠিকমতো না জেনেও বলছি। শেষবার যখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছিলো, সেবার যুদ্ধাপরাধীদের কিংবা মুজিব হত্যা মামলার কোন সুরাহা হয়নি। তাই এবারো যদি কাজের কাজ কিছু না হই তবে একটা কথাই বলতে হবে- আমরাই আসল অপরাধী যারা এবারো এরকম একটা অথর্ব রাজনৈ্তিক দলকে নিজেদের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক হিসেবে নির্বাচিত করেছি। আশা করছি নিজেদের অপরাধী ভাবার মতো কোন দুঃস্বপ্ন আমাদের দেখতে হবে নাহ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এইবার করব না মানে চাইপ্পা ধইরা করানো লাগব.......সুযোগ বারবার আসবে না
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
বিচার্হবে, টেন্সন্নিয়েন্না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আমরা সব সময় জেগে থাকবো।
'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই' এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা দেশের সাধারন জনগন। যে দলই সরকারে যাক, আমাদের কথা তারা শুনবে না যতদিন না আমরা তাদের শুনতে বাধ্য করি।
একদিন না একদিন আমরা বাধ্য করবো।
আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো।
বাঙালী যেন আবার ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে মহান না হয়। :-B
বাঙালির মহত্বের পরিচয় দেওয়ার আর সময় নাই। আবার আমাদের জেগে উঠতে হবে। যদি আমরা না জাগি তবে তবে হয়তো আমাদের মত কাউকে নিয়ে পত্রিকায় হেডলাইন হবে, "যুদ্ধাপরাধি খুন-পাশবিকতা না মানবিকতা" ।
উঠতি তারুণ্যে আমারও এই রকম একটা ফ্যান্টাসি ছিল।
কিন্তু শার্লী ভাই, এদেরকে কেউ শহীদ বলে দাবী করবে এটা হতে দেয়া যাবে না। বিচার করতে হবে, যেন ইতিহাস এদেরকে অপরাধী বলে চিহ্নিত করে রাখে।
যুদ্ধপরাধীদের বিচারের জন্য সরকারকে চাপ দেয়া এক জিনিস আর বিচার বিভাগের সহায়তায় নিজেরাই শুরু করা অন্যজিনিস। আমার কাছে পরেরটাই ইফেক্টিভ। এক্ষেত্রে সরকার শুধু বিচার কাজে হস্তক্ষেপ না করলেই হয়।
নিজের এলাকায় রাজাকারদের নাম ধরে ধরে মামলা দিতে হবে। মামলা হতে হবে স্পেসিফিক। যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমান এখনো পাওয়া যাবে। সরকার এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে, মামলা যাতে দ্রুত এগিয়ে যায় তার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু সরকার নিজে থেকে ঢালাওভাবে করতে চাইলে কাজ হবে কিনা এ ব্যপারে আমি সন্দিহান।
শুরু করতে হবে আমাদের, সরকার সহায়তা করতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়া এগিয়ে আসতে পারে, সচেতন নাগরিক এগিয়ে আসতে পারে, গন জোয়ার তৈরী করতে হবে, তাহলে সরকারে জন্য সুবিধা হবে। শুধু সরকারের উপর চাপিয়ে বসে থাকা বোকামি হবে। কাজ হবে না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আওয়ামী বুদ্ধিজীবি মহল এবং তাদের তথাকথিত শুভাকাঙ্খী একটা গ্রুপ এর আগের হাসিনা টার্মে আওয়ামী লীগের এসব যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার না করা বা সেটার ইনিশিয়েটিভ না নেয়া সম্পর্কে সবসময় কিছু না কিছু অজুহাত দেখিয়ে এসেছেন। সংবিধান সংশোধন করতে হবে এটা ছিলো একেবারে শুরুরদিকে তার মধ্যে। দুই তৃতীয়াংশেরও বেশী আসন দিয়ে দেশের মানুষ সেই রাস্তাটাও বন্ধ করে দিয়েছে এইবার।
সাল্লু মামার পয়েন্টটাও স্ট্রং। বিএনপি এতই কম আসন পেয়েছে, এবং যেভাবে তাদের সব বয়স্ক / সিনিয়র নেতারা হেরেছেন সেটা তাদের অস্তিত্বকে কিছুটা হলেও হুমকির ভেতর ফেলেছএ। জামাতকে পেটের ভেতর নেয়া যে সেটার একটা কারণ এটা না বোঝার মতো গবেট তারা না। সমস্যা হলো বিএনপির সাপোর্ট কিন্তু কম না। ভোটার হিসাব করলে এটা দেখা যাবে ৪০%ও হয়ে যেতে পারে। এখন জামাত নির্মূল অভিযানে নামলে তারা যাদি তাদের ওম দান কারী বিএনপিকে দিয়ে হানাহানি মূলক সর্বনাশা কোনো কিছুতে ইনভলভ্ করে ফেলতে পারে তবে সেটা নতুন সরকারের জনয় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়াতে বেশি সময় নেবেনা। জামাতের সাথে জঙ্গি কানেকশন শক্ত বলে জনারণ্যে একটা গুজব আছে। এই বেজন্মারা সেটাকেও আক্রমণের একটা অস্ত্র বানাবে। এখন সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তরিকতা দেখালে জামাত তাদের এইসমস্ত কানেকশন নিয়ে মরণ কামড় দেয়া শুরু করতে পারে, করবে।
বিএনপি টু সাম এক্সটেন্ট নেতৃত্ব শূন্যতায় আছে। খালেদা জিয়া সহ আরো হাতেগোণা কয়েকজন নেতা ছাড়া তাদের বেশিরভাগ বয়স্কনেতাই দলের ভেতর নতুন গ্রহণযোগ্য নেতা তৈরি হতে দেননি। তরুণ যে কয়জন হয়েছেন তারা হয় উত্তরাধীকারী রাজনীতির আমদানি না হয় ছাত্রদলের গুন্ডাপান্ডা সুবাদে। কিন্তু এই দিকটাতে আওয়ামীলীগ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। মিড লেভেল কিছু নেতা তাদের রেডি ছিলো সবসময়। বিএনপির এই নেতৃত্ব শূন্যতাও জামাতকে ঘাড়ের উপর থেকে ঝেড়েফেলার পথে একটা বাধা হয়ে দাড়াবে। তখন জামাত আরো ভালোমতোন এক্সপ্লয়েট করতে পারবে বিএনপিকে, কিংবা মনে হয় করবেই।
ফয়েজ ভাইয়ের এই পয়েন্ট টা নিয়ে বলি, হয়তো ঠিকাছে এই চিন্তাটা। কিন্তু সাধারণ মানুষের চেয়ে এই মামলাগুলোয় সরকার কিংবা বিশিষ্টজন কেউ এগিয়ে এলে কেন জানি মনে হয় ফল পাওয়া যেতে পারে দ্রুত। আমাদের বিচার বিভাগ যতই স্বাধীন হোক, যেকেনো ধরণের মামলা চালানো এখানে সাধারণ মানুষের জন্য এখনো বেশ দুরূহ ব্যপার। সেক্ষেত্রে ডঃ কামাল হোসেন অথবা মু. জাফর ইকবাল দের মতো কেউ এগিয়ে এলে হয়তো ভালো হবে।
কিংবা ঘাদানিক এর মতো কোনো সংগঠনের ব্যানারে।
দেখা যাক কি হয়, সবেতো শুরু হলো। এতোগুলো আসন আবার নিজেদের আখের বিএনপির মতো ফাকফোকর না রেখে ঘুছিয়ে নেয়ার ধান্দা হলেতো বিপদ। লাউ এন্ড কদু'র বিজনেস বাঙ্গালি অনেক দেখেছে। এবারও যেন তা না হয় সেই প্রার্থনা করি।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মিডিয়াও করতে পারে। সেক্টর ফোরাম আছে, ঘাদানিক আছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি না হয়ে সংগঠন হলে বেটার।
বিএনপির নেতৃত্ব শুন্যতাটা ভয়ের। আমার ভয় এখানেই। লেজুড় বৃত্তিক হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক রাজনীতি, আর অতিরিক্ত জামাতপ্রিয়তা বিএনপি কে মেরুদন্ডহীন করে ফেলেছে। এটা খালেদা জিয়া যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই দেশের জন্য মংগল। ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য শক্তিশালী বিরোধীদল দরকার। এটা এবার হচ্ছে না। আওয়ামীর মাথা ঠিক থাকবে এটাই আশা, কিন্তু এটার উপর বেশি নির্ভর করাটা বোকামী হবে।
উপায় একটাই, শক্তিশালী মিডিয়া।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কাইয়ুম ভাই,দুর্দান্ত বিশ্লেষণ।অনেক চিন্তার মোড় ঘুরে গেল আপনার আর ফয়েজ ভাই এর লেখা পড়ে।
ভার্সিটিতে ভর্তির শুরুর দিকে বেশ কিছু দিন ঘাদানিক করেছি। ওদের টিএসসির নিচতলায় রুম ছিল। বিএনপি এসে তুলে দেয়। আবার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ..............
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই
শুধু জামাতের বিচার করলেই হবে না, নুরেমবারগ ট্রায়ালের মত ওদের আদরশের বিচার করতে হবে। না হলে এই শিবির গুলা ১দিন নব্য রাজাকার হয়ে উঠতে পারে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ কন্ট্রিবিউশনের জন্য।
কাইউম ভাই আর ফয়েজ ভাইকে স্পেশাল ধন্যবাদ ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার জন্য। অনেক নতুন কিছু বুঝতে পারলাম।
হে বাঙ্গালী,
জেগে থাকো...
লেগে থাকো...
আমার কাছে আজকের পত্রিকার সেরা খবরঃ
‘নিজামী-লজ্জা’ থেকে মুক্তি চেয়েছিল পাবনাবাসী
টুকুর মতো নবাগত প্রার্থীর কাছে নিজামীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থী কেন হারলেন? জবাব দিলেন পাবনার বিষ্ণুপুর গ্রামের কলেজশিক্ষক শহিদুর রহমান। বললেন, ‘নিজামীর কারণে আমরা জাতির কাছে ছোট হয়ে ছিলাম। এবার আমরা এই ভাবমূর্তি থেকে মুক্তি চেয়েছি। তাই তাঁকে ভোট দিইনি।’
পাবনাবাসীকে লাল সালাম।
সকাল ৬ টা।
কাম্রুল্ভাই, আপনি তো বেশ ভাল হয়ে গেছেন, সকালে উঠে ফজরের নামাযটা পড়েই সিসিবিতে...
এর পরে মর্নিং ওয়াক আর হালকা এক্সারসাইজ.... 😀 😀 😀
সাবাস... আপ্ন্রেদিয়াইহৈবো। :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
খবরঃ প্রথম আলো
সবার সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। রাজাকারগুলা ডরাইছে। 😀
জয় বাংলা।
(আমারে আবার লীগার মনে কইরেন না, এই স্লোগান মুক্তিযোদ্ধারা দিত।)