নস্টালজিয়াঃ ভুলিতে চাই না আমি, ভুলি কেমনে?

জ়ীবনে বন্ধু আসে কয়েকটা স্তরে। আমার এক স্কুলে বেশিদিন থাকার কপাল হয়নি। আব্বু সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করতেন বলে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম এর স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত আল্লাহ রহমতে পাঁচ বছরে চার বার স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে। বছরের মাঝখানে স্কুলে ভর্তি হবার কারণে রোল নম্বর আসত ১৪৪ বা ততোধিক। ফলাফলঃ পিছনের বেঞ্চে পোংটা পোলাপানের নিবিড় সান্নিধ্য পাওয়া, স্যার অথবা ম্যাডামদের চোখে খারাপ ছাত্রের লেবাশ প্রাপ্তি এবং মুখে তুচ্ছার্থক সম্বোধনেই যার পরনাই আনন্দে মাথা চুলকানো।

জীবনে গুনেগুনে ৮বার প্রথম বেঞ্চে বসতে পারা সৌভাজ্ঞবান আমি অধিকাংশ সময় মেয়েদের পিছনে বসে চুলের ব্যান্ড অথবা ক্লিপেই মন হারিয়েছি ১৬২বার, চুলের কথা নাহয় বাদই দিলাম। কোন এক মনীষীর ভাষায় এটাকে, “জ্ঞানের সমূদ্রসৈকতে এখনো নূড়ী কুড়িয়ে চলেছি”– ও বলা যেতে পারে। সহশিক্ষা কার্য্যক্রম এর মধ্যে কলম ফাইট, টিফিন চুরি আর ম্যাকগাইভার এর ১৪গুষ্টি উদ্ধার বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সে যাই হোক। পড়াশুনার ব্যাপারে সামান্য সিরিয়াস ছিলাম বলে সাময়িক পরীক্ষাতে ফলাফল একটূ সন্তোষজ়নক করতে না করতেই স্কুলের টিসি সার্টিফিকেট নেয়ার সময় হয়ে যেত। আবারও নতুন পরিবেশ, নতুন অবয়ব এবং বন্ধুদের মাঝে জায়গা করে নেবার যুদ্ধ।

ব্যাঙের জ়ীবনচক্রের মতন এই চক্রের আবর্তনে আমি সঙ্গী হিসেবে সবসময় পেয়েছিলাম ইমন আর পিয়ালকে। ওদের বাবাও সেক্ষেত্রে আমার বাবার জ়ীবনচক্রের সঙ্গী। হাফ পেন্ট থেকে ফুল পেন্ট কাল পর্যন্ত তাই আমরা তিনজনই কাচকি মাছের মতন একসাথে সাঁতরিয়ে বেড়িয়েছি। নিজেরাই নিজ়েদেরকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর বিমানবাহিনীর জ়েনারেল এর পদমর্যাদায় অধিষ্ঠীত করে এক্কেবারে সশস্র বাহিনীর ষোলো কলা পূরণ্ করেছিলাম।

আমাদের মধ্যে ইমন এর প্রেম হরমোনটা মনে হয় একটূ বেশি তাড়াতাড়িই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তাই ইমন নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে আমাদের ইমনের মনের ওজ়ন কয়েক মন বেড়ে যায়। কিভাবে এই দুই ইমনের মনকে মাঞ্জা মারানো যায় তা ভাবতে গিয়ে প্রেমের কাতাকুতু আমাদের ও লেগেছিল। কিন্তু,এবার বাধ সাধলো, কন্যা ইমনের ফ্যামিলি ট্রান্সফার। হলনা হলনা, প্রেমটা অঙ্কুরেই বিনাশ। প্রেম নামক রসগোল্লার হাতে-কলম তখনই, তাও নিজের প্রেম থেকে না, ইমইন্নার প্রেম দেখে দেখে। এক পলক দেখা, একটু কল্পনা করা, একটু লজ্জার অনুভূতি ইত্যাদি ইত্যাদি। নারী-পুরুষ সৃষ্টীর রহস্য উন্মোচোন বোধহয় তখনই অনুভব করা শুরু করেছিলাম। যেই মেয়েদের সাথে আগে জ়ামাই-বৌ খেলতাম, তাদের সাথে কথা বলতে কিরম কিরম জ়ানি লাগা শুরু হল।

ইভা নামের এক মেয়ের কথাই ধরা যাক। আব্বু-আম্মুর মধ্যের দৈনন্দিন কথোপোকথোন হুবহু নকল করার চেষ্টা করতাম আমরা দুইজন। খেলা থেকে বাদ পড়তো না ইভার ছোট ভাই আসিফও। অফিস শেষে আমি বাসায় ফিরলে, বাবা বাবা বলে আমাকে অস্থির করে ফেলত। ইসসিরে, কি লজ্জা! এই ইভার সাথেই আবার দেখা হল, ১৪বছর পরে, ঢাকায়। আমাদের মধ্যে স্মৃতি বলতে বেঁচে আছে, সেই প্রক্সি দাম্পত্য জ়ীবন। লজ্জায় শুধু বললাম, “কেমন আছ?এখন তুমি কলেজে পড় না?” প্রতিউত্তরে বলল,“জ্যী ভাল, আপনি কেমন আছেন? জ্যী আমি সেকেন্ড ইয়ারে এবার।” দুইজনেই লাল হয়ে এক্কেবারে লালামিয়া। খুব ইছা করছিল কথা বলতে কিন্তু তা আর হল না। আচ্ছা, ছোটবেলায় কি খেলার আর কোন সাব্জেক্ট ছিল না? কম-বেশি সবাই এই দাম্পত্য জ়ীবন একবার করে এসেছে, কিন্তু কোন প্রকার বিচ্ছেদ ছাড়াই এর বিচ্ছেদ ঘটার ঘটোনাও বিরল নয়। খুব মিস করি সেই দিনগুলো।

ইচ্ছা করে স্কুল কামাই দেবার মতন বেরসিক কাজ় আমি খুব কমই করেছি। কারণ, স্কুলে না গেলে আড্ডা দেওয়া, টিফিন টাইমে HeineKen লিখা টিনের কৌটার ভিতরে টপাচোপ টপাচোপ টপাচোপ শব্দে বানানো ২টাকার চানাচুর, চক আর ডাস্টার দিয়ে ক্রিকেট খেলে মেয়েদের গায়ে শট নেওয়া,ল্যাং মারা, টয়লেটে গেলে আপ…………ন মনে সামনের দেয়ালটাকে রং করা, কৃষ্ণচূড়ার পুংস্তবক দিয়ে কাটাকাটি খেলে রাণীকে রক্ষা করা, ফুটবল খেলতে গিয়ে বল থেকে আরেকজনের পায়ে বেশি শট নেওয়া।কোনভাবেই এসবের লোভ ছাড়া যেত না। আবার পিটনা খাইনী এমন দিনও হাতেগুনা। একবার ক্লাস ফাইভে, আবু বকর স্যার এর কাছে ধোপা-পিটানী খেয়েছিলাম। কারণ, বকরীর আরেক অর্থ যে ছাগল, তা আমি ভুলে গিয়ে স্যারকে আবু বকরী বলে বসেছিলাম। কে যেন, ফাজ়লামি করে ডিসপ্লে বোর্ডে স্যার এর নামের শেষে একটা অতিরিক্ত দীর্ঘ-ইকার যোগ করে বকর থেকে বকরী করে ফেলেছে। আমি সরলভাবেই স্যারকে তা সংশোধনের জ়ন্য বলতে না বলতেই, বকরী হয়ে যাবার যন্ত্রণা আমার উপরে নাযিল করলেন।অবশ্য মার খেলে নিজ়েকে নিজেই বুঝ দিতাম, শিক্ষক শরীরের যেখানে মারেন, সে অংশ বেহেশতে যায়।তাই প্রয়োজনে আয়োজন করেও মার খাওয়া খারাপ না।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, তখন আমি ক্লাস ওয়ানে। কক-ফাইট(মোরগ যুদ্ধ, কক-ফাইট শুনলে আগে হাশি আসতো না কিন্তু এখন খুব হাশি পাচ্ছে), ১০০মিঃ আর ২০০মিঃ এ সিলেক্ট হয়েছি। কক-ফাইট আর ২০০মিঃ এ ২য় হয়ে শেষ ইভেন্ট ১০০মিঃ এর জন্য অপেক্ষমান।ইতিমধ্যে আব্বু এসেছে, স্কুলে খেলা দেখতে।মাঠের অন্য প্রান্ত থেকে আব্বুকে দেখে বেদম উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে। পরক্ষণেই তলপেটে ফারাক্কা বাধের পানির অস্তিতব টের পেলাম। দৌড় শুরু হবার আগে প্রচন্ড উত্তেজনায় পানির বেগ বেড়ে পানিবিদ্যূতের পটেনশিয়াল-এ্যানার্জ়ী পেয়েছে। নাহঃ, সময় নাই। রেডী, স্টেডী, গোও ও ও ও। পাশেই আমার বড় শত্রু কায়সার বুড়া। ব্যাটা হাইট কম বলে ক্লাস টু এর ছাত্র হয়েও ক্লাস ওয়ান এর সাথে দৌঁড়াচ্ছে। এ ব্যাটাই আমার আগের ২টা ইভেন্ট এ প্রথম হয়েছে। দৌড়াচ্ছি, প্রাণপনে, সেই সাথে বুঝতে পারলাম পানিবিদ্যূত সৃষ্টির স্রষ্টা, সেই পটেনশিয়াল-এ্যানার্জ়ীর হ্রাস্-প্রাপ্তি আমার শরীরে উষ্ণতা সৃষ্টী করে চলেছে। বেশ আরামও লাগছিল, আবার ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যাবার ভয়ও আছে। জ়ানি না কেন, আমি এই ইভেন্ট এ কায়সার ভাইকে হারিয়ে প্রথম হয়েছি। সব অঘটনই তাহলে অঘটন নয়।

দৌড় শেষে আব্বু এলেন। কোলে নিয়ে নিলেন। ততক্ষণে আব্বুর পড়ে থাকা নৌবাহিনীর সাদা ধবধবা ইউনিফর্ম তা আমার ইয়েতে ভিজে গেছে, এবং কিঞ্ছিত বাসনা ছড়ানো শুরু করেছে। আব্বু বুঝতে পেরে বলেছিলেন, “এতই টেনশনে ছিলি রে তুই?চল বাসায় যাই তাড়াতাড়ি।”

১৯৯৭।আব্বুর বদলির সেকেন্ড রাউন্ডের বদৌলতে আমি তখন ঢাকায়। কিন্ত বেশিদিন আর একা ঢাকায় থাকতে হয়নি, ৩মাসের মাথায় আমাদের কাচকি গ্রুপ আবার ও এক হল। বেশ উল্লাসেই দিনগুলো কাটছিল। হঠাৎ একদিন আব্বূ আমাকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন এবং এলোপ্যাথিক ঔষধের মতন, লগে লগে অ্যাকশনে আমাকে ইংলিশ মিডিয়াম একটা স্কুলে নিয়ে এ্যাডমিশন টেস্টের মিশন এ দাঁড় করানো হলো।কৃতিত্বের সাথে ম্যাথ পাস করলেও, ইংলিশে মাশাল্লাহ আর পারিনা টাইপের কেলানো কেলিয়েছি। অনেক দরদাম করে আমাকে এক ক্লাস ডিমোশন দিয়ে ক্লাস সিক্স এর বদলে ক্লাস ফোর এ ভর্তী করানো হলো। মনের দুঃখে হাঙ্গার স্ট্রাইক করেছিলাম।কিন্তু, আম্মুর হাতের রাম-শাম-যদু-মধূ চটকনার সাথে সাথে হাঙ্গার স্ট্রাইক কো…ৎ করে গিলেও রোযা ভাঙতে হয়েছিল। আফসোস,সশস্র বাহিনীর থেকে নৌবাহিনী চলে গেল ইংলিশ চ্যানেলে, ইমন আর পিয়াল আগের স্কুলেই। বাট ফব্লেম হইল, আমি ক্লাস ফোর আর ওরা পড়ে সিক্সে।

১বছর পরে, আমার ব্যাচের ক্যাডেট কলেজ় ভর্তী পরীক্ষা শুরু। কিন্তু, আমি ফোর থেকে ফাইভ আর আমার দোস্তদবয় সিক্স থেকে সেভেনে উঠবে। বরাবরের মতন এবারও আব্বু চ্যালেঞ্জিংভাবেই হুকুম করলেন আমাকে এবারই ক্যাডেট কলেজ়ের ভর্তী যুদ্ধ মোকাবেলা করতে হবে। এইডা কি তামশা! মেজ়াজটা তখন ব্লাস্ট ফার্নেসের মতন উত্তেজিত হয়েছিল। যদিও জ়ানি, আমার দৌড় বেশিদূর না। কিন্ত আমার লাইফে তো ক্লাস সিক্স বলে, কিছুই নেই।সেভেন এর জন্য এ্যাডমিশন কিভাবে সম্ভব?৩টা মাস দি ক্যাডেট সাজেশন্স বই এর উপর গ্যারিলা যুদ্ধ আর গুরুগৃহের গরুডলা খেয়ে ২৬শে মার্চ সাধীনতা দিবসে, ফলাফল প্রকাশের দিনেই ১৬ই ডিসম্ব্রেরের বিজয়ের আনন্দ। “হায় আল্লাহ, আমি দেহি টিকছি।” ইমন ও টিকেছে। কিন্তু শেষমেষ মানবদেহের হাইড্রোসিল নামের পাল্লাটার ২প্রান্ত উচু-নিচু না হয়ে ভারসাম্য থাকার কারণে বেচারা মেডিকেলে টিকেনি বলে ক্যাডেটে পড়া হয়নি। এখনো ও মাঝে মাঝে বলে, “শালার তোরা ক্যাডেট এর পোলাপান বডির মাইধ্যেই সাম্মতা নাই, সবাইরটা উপরে-নীচে।”

সেই থেকে শুরু হল, আমাদের ৩জনের ৩দিকে যাত্রা। ইমন রাজউক স্কুলে, পিয়াল নৌবাহিনী স্কুলে আর আমি আমার হী্যরত শুরু করলাম ক্যাডেট কলেজ়ের অতি কঠোরতায় ভরা অধিক মধুরতম, নতুন সবপ্ন দেখার প্রেরণাস্থলে।যেখানে অত্যাচারেই কেবল অত্যাচারীতের চোখে অশ্রূ ঝড়ে না, অত্যাচারীর বিদায় বেলায়ও তার কমতি পড়ে না।বন্ধুতব যেখানে জ়োগান দেয়, সহমর্মিতা, সহায় আর সহযোগীতার সুবাতাস।

ইমন,পিয়াল,সায়েম,সায়হাম,নিয়ন,নিসা,তুলি,মুমু,আখি,সুমি,কায়নাত,নাঈমা,মুবিন,জায়েদ,আসিফ,নূর,সাব্বিরের মতন যেখানে পেয়েছি আরও ৫১টা প্রিয়মুখ।কিন্তু আজ জীবনের আর এক পর্যায়ে এসে সেই সবগুলো মুখই আজ স্মৃতির পাতায়। মাঝে মাঝে এই চরম বাস্তবতায় আজ্ঞাবহ আর্তনাদেও মুখগুলো সহানুভূতী আর আনন্দ জাগায় ।আজও পড়ে মনে, প্রতি অণুক্ষণে, ভুলিতে চাই না আমি, ভুলি কেমনে?

৪,১৭৮ বার দেখা হয়েছে

৫৬ টি মন্তব্য : “নস্টালজিয়াঃ ভুলিতে চাই না আমি, ভুলি কেমনে?”

  1. রকিব (০১-০৭)
    মাঝে মাঝে এই চরম বাস্তবতায় আজ্ঞাবহ আর্তনাদেও মুখগুলো সহানুভূতী আর আনন্দ জাগায় ।আজও পড়ে মনে, প্রতি অণুক্ষণে, ভুলিতে চাই না আমি, ভুলি কেমনে?

    চরম সত্য...।
    ভাইয়া দারুণ লিখেছেন... :clap: :clap: :clap:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. আমার আব্বুর ও ট্রান্সফারের চাকুরী ছিল, অডিটে থাকার কারণে প্রতিবছর না হলেও দুতিন বছর পরপরই বাসা বদলাতে হত। এবছর চট্টগ্রাম তো পরের বছর সিলেট, পরের বছর ময়মনসিংহ...

    সুতরাং বন্ধুদের ছেড়ে আসার অভিজ্ঞতা আমার অনেক বারই হয়েছে। এইডার চেয়ে বড় কোন কষ্ট ওই বয়সে মুনে হয় না পাইছি।
    আপনের এই লেখা পইড়া মাথায় একটা প্ল্যান আসল, কয়েকদিনের্মধ্যেই ময়মন্সিং অথবা প্রের্বাজ্ঞিয়া (পীরের বাগ গিয়া) পুরান্দোস্ত গুলারে খুইজা বাইর করুম, বাসা আর ডাক নাম ছাড়া আর কিছু খিয়াল নাই। এই চান্সে মুটামুটি এক্টা মাস্তিও হইয়া যাইবো।

    নাসির ভাই, একটা কারেকশন,

    নির্বাচনে আউম্লিক জিত্তা গেছে,
    সুতরাং "নষ্টালজিয়া" নয়, "নস্টাল মুজিব" হবে। 🙁 🙁 🙁

    জবাব দিন
  3. কনক রায়হান (৯৮-০৪)

    নাসির
    অনেক দিন ধরেই সিসিবির লেখাগুলো নীরবে পড়ে যাই।আজ তোর লেখা পড়ে আমিও "নস্টাল মুজিব" হয়ে গেলাম।ইমন পিয়ালদের কথা তোর মুখে অনেক শুনেছি...আজ ব্লগটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
    তোদের সেই জীনে ধরা কাজের মেয়েটাকে নিয়েও একটা ব্লগ লিখে ফেলনা :)) কত মজার মজার কাহিনী তুই জানিস।আশা করি সব এখন ব্লগ আকারে আসবে।ভালো থাকিস।

    জবাব দিন
  4. জাবীর রিজভী (৯৯-০৫)
    যেখানে অত্যাচারেই কেবল অত্যাচারীতের চোখে অশ্রূ ঝড়ে না, অত্যাচারীর বিদায় বেলায়ও তার কমতি পড়ে না।

    নস্টাল মুজিব হইয়া গেলাম।......... :dreamy:

    ভাল লাগল
    -খালেক B-)

    জবাব দিন
  5. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তোমার বর্ননা ভংগি অসাধারন। মনে হচ্ছে লেখালেখিটা তুমি আগে থেকেই কর।

    আমার স্কুল চেঞ্জ করতে হয় নি। প্রেম প্রেম খেলা জমেছিল অনেকদিন।

    ট্যাগে প্রবন্ধ দিয়েছ কেন? কলেজ টা যোগ করতে পার। কলেজ কলেজ কমপিটিশন হচ্ছে, সিলেটকে একটু আপ করবে তোমার লেখা।

    ব্লগে স্বাগতম।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    নষ্টালজিয়া” নয়, “নস্টাল মুজিব” হবে।

    :khekz: :khekz:
    ভাই, মাইরা ফেলার প্লান করছ নাকি হাসাইতে হাসাইতে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    সুন্দর লেখা।
    আসলেই নস্টালমুজিব করে দেয়া লেখা :clap: :clap:

    তোমার বর্ননা ভংগি অসাধারন। মনে হচ্ছে লেখালেখিটা তুমি আগে থেকেই কর।

    ফয়েজভাইএর সাথে একমত


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  8. নাসির (৯৮-০৪)

    বাপরে! ভাই সবাইকে শেষ পর্যন্ত পড়বার জন্য :salute: জানাই।আমার জ়ীবনের প্রথম লেখার প্রতি আপনাদের সবার এই শ্রদ্ধা দেখাবার জন্য।আমি লিখাটা সাবমিট করে খুব ভয়ে ভয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলাম।উঠে দেখি ১৭তা কমেন্টস।
    নিজেই নস্টাল জ়িয়ে রে ভাই!!
    প্রচুর বানান ভুল আছে।এখনো বাংলা কীবোর্ডে লিখায় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারিনি।বিশেষ করে সংযুক্ত বর্ণসুলোতে। ক্ষমাপ্রার্থী। 😕 😕 😕

    জবাব দিন
    • ব্লগে স্বাগতম নাসির।

      লেখার ব্যাপারে কোন কথা নাই। টাইপিং আর ফরম্যাটিং-এর ব্যাপারে আছে।

      ১...

      বাক্য শেষে দাড়ির পর একটা স্পেস দিও। পড়তে আরাম লাগবে।

      ২...

      দুই প্যারার মাঝে অন্তত দুই লাইন ব্রেক দিও।

      ৩...

      অভ্র ব্যবহার করলে অভ্রের হেল্পটা দেখে নিও। খুব কাজের।

      ব্লগে নতুন আরেকজন সদস্য দেখে খুব ভালো লাগছে। চালিয়ে যাও।

      জবাব দিন
  9. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ভাল লেগেছে। কোনকিছুতে নস্টালজিয়া থাকলে ভালো লাগার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেটা যদি হয় শৈশব বা কৈশোরের নস্টালজিয়া তাহলে তো কথাই নেই। প্রত্যেক মানুষের জন্যই বোধহয় বাল্যকাল একটা ঐশ্বর্য্য। এই ঐশ্বর্য্য না থাকলে বোধহয় বেঁচে থাকাই বৃথা।

    জবাব দিন
  10. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    কবি যথার্থই বলেছেন,

    "যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি..."

    ইয়ে...মানে...উপমাটা মনে হয় ঠিক হইল না...স্লা! আগে তো হইত...কি যে হল... :bash:

    যাই হোক, তোমার লেখা পড়ে নষ্টাল 'সবকিছু'তে ভুগলাম... :clap:

    অপ্রাসংগিক কথাঃ 'নষ্টাল' শব্দ টা কেমন জানি...কেমন...!!! :-B


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  11. ১.
    নাসির লেখা ভাল হইছে। তবে বানান আর ফরমেটিং একটু ঠিক কইরা ফেললে আরো দারুন লাগবে পড়তে। 😀
    ২.
    সিলেটের আরো একজনকে দেখে ভালো লাগছে।
    এই লেখার ট্যাগে তুমি সিলেট দিলে আমরা সেঞ্চুরী কইরা ফেলতাম। এখনো সময় আছে দিয়া দেউ। 😀 😀
    ৩.
    ব্লগে স্বাগতম।
    এই কে আছিস ? নাসিরকে এক কাপ চা দে। 😉 😉

    জবাব দিন
  12. জাফর (৯৫-০১)

    স্মৃতিকথা এর ১০০ তম লেখার জন্য, CENTURY এর জন্য, নষ্টাল’ মুজিব জাতীয় লেখার জন্য :salute: .

    (নষ্টাল’ হাসিনা করা যায় না??? :-/ তাইলে ম্যাডাম খুশি হয়ে সিসিবি রে "জাতীয় ব্লগ" ঘোষণা কত্তে পারে ।

    - আমি কিন্তু ম্যাডাম রে তেল দিচ্ছি না 😉 😉 :-B ).

    জবাব দিন
  13. রহমান (৯২-৯৮)
    তোমার বর্ননা ভংগি অসাধারন। মনে হচ্ছে লেখালেখিটা তুমি আগে থেকেই কর।

    আমি সত্যিই বুঝিনি এটা নাসিরের প্রথম লেখা। কমেন্ট পড়তে গিয়ে বুঝলাম। ব্লগে স্বাগতম নাসির। আশা করি নিয়মিত লিখবা।

    জবাব দিন
  14. এহসান (৮৯-৯৫)

    দারুন নাসির দারুন। :boss: বানান ভুল, প্যারাগ্রাফ এইগুলা আস্তে আস্তে ঠিক হবে। আমিও ত ওভ্রতে অনেক কাঁচা। সিনিওর দেখে অনেকে কিছু বলে না, কিন্তু তাই বলে লেখা থামিয়ে দিও না।

    অসাধারন বর্নণাভঙ্গী। :clap: আমার খুব ভাল লাগসে। ছোটোবেলার কথা মনে করিয়ে দিলা। ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  15. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    ব্লগে আর একজন শক্তিশালী লেখকের প্রবেশ....ট্যাট ট্যাটা :party: :party:
    হুম ফয়েজ ভাই ছেলের শুধু প্যানট ভিজানোর অভ্যাসই না লেখালেখির অভ্যাসও আছে


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  16. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    শুধু নস্টালজিক না ইন্সপায়ারিংও।
    আমারও কত কি যে মনে পড়ে যাচ্ছে।
    বাবার বদলীর চাকরীর কারণে চার জায়গার চারটা স্কুলে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আলাদা আলাদাভাবে অনেকের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছে আমার।
    নাসির,
    বেশি বেশি ভালো হইছে।
    টিটোর কমেন্টটাই রিপিট করি,

    ব্লগে আর একজন শক্তিশালী লেখকের প্রবেশ….

    পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  17. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    পুরা পাংখা! :thumbup:
    অসাধারণ লেখার স্টাইল...

    যেখানে অত্যাচারেই কেবল অত্যাচারীতের চোখে অশ্রূ ঝড়ে না, অত্যাচারীর বিদায় বেলায়ও তার কমতি পড়ে না।

    আমি এইটা কে ক্যাডেট কলেজের অফিসিয়াল সংজ্ঞা বানানোর প্রস্তাব দিচ্ছি...


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  18. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    নাসির,
    স্বাগতম।
    আসলেই ব্লগে আরেকজন শক্তিশালী লেখকের প্রবেশ।
    লেখাটি পড়ে সবাইই কিছু না কিছু হইছে...। কেউ নস্টাল"জিয়া", কেউ নস্টাল"মুজিব", কেউবা নস্টাল"হাসিনা"... কোনটা বাদ নাই...। আমি কি হব? কিছু না পেয়ে আপাতত নস্টাল"আহসান" ই হইলাম...।

    অনেক সুন্দর লিখছ ভাইয়া। চালাইয়া যাও।

    জবাব দিন
  19. নাসির (৯৮-০৪)

    ইমইন্যা তুই ত মাইর খাবি। যেইভাবে দেদারসে ইংরেজীতে লিখা গেছিস। তোর বাংলা কোন সফট ডাউনলোড করা নাই তাই এমন হইছে। তুই একেবারে উপরে দেখ লিখা আসে Bangla Problem?এই সেকশনের হেল্প নিলে পড়তে অ পারবি, লিখতেও পারবি। আর কমেন্টস বাংলাতেই পারলে দিস।

    জবাব দিন
  20. যদি অামি নিজে না দেখতাম , অন্য কারো কাছে শুনতাম যে, অামাদের নাসির এত্তো সুন্দর করে একটা ‍‍কাহিনী িলখেছে ....সত্যি ,হয়তো বিশবাস করতাম না.অসাধারন সুন্দর..
    নাসির ছোটবেলা অাসলেই অনেক দুষ্ট ছিল,সেটা অামরা ছোটবেলা যারা ওর সাথে খেলতাম তারা জানি !বোঝাই যাচ্ছে নাসির খুব ভালো ‍একজন েলখক
    হতে যাচ্ছে ....শুভ কামনা রইল

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।