আহসান ভাই ও আমার প্রথম ব্লগ

সিসিবি তে এটাই আমার প্রথম লেখা। প্রায় নিয়মিত ব্লগগুলো দেখা হলেও সাধারণত কি লিখব কি লিখব করে লিখা হয় না।আজ আপাতত ১ টা ঘটনা দিয়েই শুরু করি।

**তখন ক্লাস এইটের শেষ টার্ম। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সোহরাওয়ার্দী হাইজের ১১ নং রুমে থাকি। রুমে সাৱির ভাই,মুশফিক ভাই এর কল্যাণে গিটার ও ড্রামস শেখার হাতেখরি। রাতদিন (দুখিঃত..কোয়াইট আওয়ার,গেমসের পর,রাতে থার্ড প্রেপের পর..) চলত আমার মিউজিসিয়ান হওয়ার অক্লান্ত সাধনা।

বিস্তারিত»

সালাম তোমায় বন্ধু…(জীবনের গল্প)

বাবা-মা আর দুই বোন যখন রাতুল (ছদ্মনাম) এর সাথে প্রথমদিন ক্যাডেট কলেজে এসেছিল, তখন সবাই এই পরিবারের সদস্যদের সুখী মুখ দেখে তৃপ্ত ছিলেন। আর হবেই বা না কেন? এরকম ছোট নির্ঝঞ্জাট পরিবারের বড় ছেলেটি আজ ক্যাডেট কলেজে জয়েন করলো। দেখতে দেখতে ছয়টি বছর কেটে যাবে। এরপরে সংসারের বিদ্যমান এই সুখ আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে। বোন দুটির ভালো বিয়ে হবে, নিজে বিয়ে করবে। বাবা হয়তো চাকুরী থেকে অবসর নিবেন।

বিস্তারিত»

পরিচিতি

আমি সাদামাটা একজন ক্যাডেট ছিলাম। কলেজ এ এ্যাপুলেট এ ১ দাগ দিয়া শুরু করছি আর ৬ দাগ নিয়া বের হইছি। সেহেতু বুঝতেই পারছেন !!!!
আমি মোটামুটি একজন Juiceless(রস হীন) মানুষ। ফান বুঝতাম খুব কষ্ট করে, কেউ বুঝিয়ে দিলে বুঝতাম। আর ফান এর এখন যতটুকু বুঝি তার কৃতিত্ব / অবদান বলতে গেলে আমার এক সিনিয়র এবং এক বন্ধু , না না দুই বন্ধু‘কে দিতে হবে।

বিস্তারিত»

আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

টুশকি ২০

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২১]

১. জনৈক অফিসার নতুন বিয়ে করে যেই না এক জুনিয়র অফিসারের সাথে ভাবীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন,

বিস্তারিত»

জীবনের গল্প – ২

জীবনের গল্প – [ ১ ]

    জর্জ

আমার খুব কাছের বন্ধুদের মধ্যে জর্জ একজন। সবসময় হসি খুশী থাকে, দেখলে বোঝার উপায় নেই কতবড় ভার তার বুকের উপড় চেপে বসে আছে। ওকে যখন থেকে দেখেছি তখন থেকেই ভাবতাম এই ছেলেটার মত হাসি খুশী আর মাস্তিবাজ যদি হতে পারতাম তাহলে কত মজাই না হত। কখনওই ভাবি নি ওর মনের মধ্যে কত কষ্ট লুকিয়ে আছে।

বিস্তারিত»

কলিকালের দিনলিপি

আমার এই মুহুর্তে এই ব্লগটা লেখার কথা ছিলোনা। লিখতে চেয়েছিলাম খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে। যে আমার উষ্ণ অনুভূতিগুলোর খুব কাছাকাছি থাকে সবসময়। কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি আমি তাকে কতটা ভালবাসি। কিন্তু তা’ আর হলো কই। আমার সব ব্যাপার কিংবা ভাবনাগুলোই অনেকটা এরকম। প্রথমে ভাবি এক কিন্তু পরে হয়ে যায় অন্য কিছু। অনেকটা সিসিবির অনেক পোস্টের মত। হয়তো লেখা হয় সিরিয়াস কিছু ভেবে আর শেষ হয় মাস্ফু ভাইয়ের “আমিও কেক খাপো”তে গিয়ে।

বিস্তারিত»

কাউন্টডাউনঃ নির্বাচনের বাকি ৪ দিন

আগামী ২৯শে ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ ২ বছরের অগণতান্ত্রিক শাসনের শেষে আমরা আবার গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছি। এবারের এই ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাই উন্মাদনার অন্ত নেই। সিসিবি-তেও আমরা নির্বাচনী ব্লগিং শুরু করেছিলাম। প্রথমে একটি ব্লগ দেয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই ব্লগটিই স্টিকি করে বিস্তারিত আলাপ করার। কিন্তু এক ব্লগ মন্তব্য দিয়ে বেশী বড় করে ফেললে লোড হতে অনেক সময় লাগে। তাই আলাদা পোস্ট শুরু করে দিলাম।

বিস্তারিত»

গল্পঃ স্মৃতিভ্রষ্টতার উল্টোযাত্রা

এটাই প্রারম্ভের অন্ত অথবা অন্তিমের আরম্ভঃ এরকম ঘোষণায় সচকিত হয় রোমকূপ। সামনে জীবন নাই, আশা নাই, সুর নাই, নারী নাই। নেশা নাই, কবিতা নাই, তোমার দুচোখ নাই। তার থেকেও তীব্রশরীর, স্তন আর নাভিমূল নাই, তোমার মধুকূপী বাহু নাই, রীডসুলভ আঙুল নাই। প্রথাগত শূন্যতার চাইতেও বেশি কিছু, অনেক কিছু জীবন ছাড়িয়ে যার ছায়া পড়তে পারে, আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। সংখ্যারেখার প্রমাণবিন্দু হারিয়ে গেলে খুব বিপন্ন লাগে।

বিস্তারিত»

আচার ০১০: পরবাসীর রোজনামচা

গত বছর সেইন্ট জন’স-এ বরফ পড়া শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। আমার প্রথম শীত ছিল সেটা কানাডায়, আর প্রথম বরফ দেখা তো বটেই। বরফ পড়া তিন রকম দেখেছি- ফ্লারিজ, ব্লিজার্ড আর ফ্রোজেন রেইন। ফ্লারিজ হলো সবচেয়ে স্বপ্নীল তুষারপাত, আকাশ থেকে পেঁজা তুলার মতো বরফ পড়ে। দেখতে ভালোই লাগে। তাপমাত্রাও থাকে সহনশীল পর্যায়ে, শূন্যের দু’এক ডিগ্রী নিচে। বরফ পড়ার এই দৃশ্যটা মাথায় ছিল আগে থেকেই। বাসায় পুরোনো বইয়ের গাদা থেকে একটা বই পেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»

একটু হাইসেন কিন্তু (সবার পিলিজ লাগে)…

১। ডিউটি মাস্টার বাচ্চি খান স্যার। কোন এক অদ্ভুৎ কারণে গেমসের পরে টি ব্রেক এর বাঁশি পড়ার সময় হাউসের বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। আমার জনৈক বন্ধু গেমস না করার কারণে গোসলের ঝামেলা ছাড়াই নামাজের পোষাক পরে নিচ্ছিল। কেডস ও মোজা খোলার পরে হাফ শার্ট খুলে ফেললো। পরনে তখন হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি। এই অবস্থায় পাজামা না পরে আগে পাঞ্জাবী পরে ফেললো। ঠিক তখনই বাচ্চি খান স্যার রুমের পাশ দিয়ে হেটে যাবার সময় জানালা দিয়ে এই দৃশ্য দেখে আঁতকে চীৎকার করে উঠলেন,

বিস্তারিত»

উচ্চতা বিভ্রাট

কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই,

বিস্তারিত»

ফুটবল এবং আমি…

এহসান ভাই এর বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ব্লগ এ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে ব্যালট পেপার এ কাজী সালাউদ্দিন এর নাম দেখে খুবই পুলকিত হলাম। সেই সাথে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। কাজী সালাউদ্দিন ছিলো আমার chieldhood hero. না, তার খেলা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কিন্তু আবাহনীর ফ্যান হবার কারনে সে আমার হিরোতে পরিণত হয়। ঠিক যেমন পেলে ব্রাজিলের সমর্থকদের কাছে greatest footballer of all time( হয়ত তার কোন খেলা না দেখেই!!!)।

বিস্তারিত»

সুইস আল্পস – পাথুড়ে পাহাড়

পর্বত আরোহনের জন্য পাথর বাওয়ার প্রাথমিক জ্ঞান অপরিহার্য। ফরাসিতে যাকে বলে escalade। অনেকে এটাকে sport climbing ও বলে থাকেন। দড়ি বাঁধার কৌশল থেকে শুরু করে rappelling (দড়ি বেয়ে নিচে নামার একটি কৌশল) এবং belay ( নিচে থেকে যিনি দড়ি ধরে রাখেন) সবকিছুই আয়ত্ত করে নেয়া চাই। কারন একটি দড়ির উপর নির্ভর করে থাকতে হয় top rope climber এবং তার সাহায্যকারী belayer কে। শুধু তাই নয় দড়ি কতটুকু ঢিল দিয়ে রাখতে হবে কখন তা টান টান রাখতে হবে তাও জানা খুব জরুরি।

বিস্তারিত»

কৈশোর ৪

সব ভালো জিনিশেরই বোধহয় একটা শেষ থাকে। আমাদের জীবন আবার এতোই অদ্ভুত- অনেক কিছুই শেষ হয়েও শেষ হয় না। এই গল্পের শেষটুকু আমি এখনও কাউকে বলি নাই। এই লেখাটাও আগে শেষ করি নাই। এখন কেন জানি মনে হচ্ছে শেষ করতে হবে। সব কথা ফুরুলে নির্বাক বসে থাকা নির্জন বাতিঘরের কাছে আর কোনও কথা জমা থাকবে না। সেভাবে নির্ভার হওয়াটাও জরুরি মনে হচ্ছে এখন।

৫ই জুন মেসেজটা পেয়েছিলামঃ “যতদূরে গেলে দূরে যাওয়া হয়,

বিস্তারিত»