ফেসবুক নিয়ে সম্প্রতি নাটকটি দেখে ছোটবেলার কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি ১৯৭৫ সালে, তখনই জানলাম বাংলায় একটি ‘স্পাই সিরিজ’ ছোট-বড় সবাই পড়ছে। নাম ‘মাসুদ রানা’, লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন। বাঙালি এক স্পাই সারাবিশ্বে আসাইনমেন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়ায়; প্রেমে পড়ে কিন্তু কোথাও কোনও বাঁধনে জড়ায় না। অ্যাকশন-নির্ভর মাসুদ রানার গল্পে নায়কের প্রেমের অংশটি ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার। নায়কের বিপদসংকুল জীবনের মাঝে তার ভালোবাসা আমাদের মনে এক অন্যরকম স্বপ্ন জাগিয়ে তুলতো।
বিস্তারিত»সাতাশ বছর আগে- চার
এমন অনাহূতের মত যাওয়া আসা ভালো লাগে না।
এমনি করে এক একটা অলস দিন আসে,
ভাসিয়ে নিয়ে যায় কেনো আমায় একা, নীলা?
সময় থেমে থেমে চলে, নষ্ট ঘড়ির মত;
এমন না চলে থেমে থাকে না কেন?
চুপ করে বসে বসে সময়ের হৃদস্পন্দন গুনতাম!
এমন অযাচিত যাওয়া আসা ভালো লাগেনা, নীলা।
মড়াঁ কাঁধে নিয়ে হাঁটবার মত
সময় আমার কাঁধে চেপে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়।
মৌ
মৌ,
জন্মান্তরে সাহসী হবো।
এ জন্মে-
পরাজিত সৈনিকের মতো
মাথা নিচু করে ফিরেছি আমি।
জন্মান্তরে এমন হবে না।
জন্মান্তরে সাহসী হবো।
তোমার হাতে হাত
চোখে চোখ রেখে –
হৃদয়ের সব কথা বলবো।
তুমি তৈরি থেকো।
নিসঙ্গ প্রহরে মনে হয়
পূর্বজন্মেও আমাদের দেখা হয়েছিলো।
সেবারও ফিরেছি আমি
শূন্য হ্রদয়ে ।
সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়
লুমলে বীচ (LUMLEY BEACH)
“আজ রাত্রে আসিয়াছি নামি
এই দূর সমুদ্রের জলে!
যে নক্ষত্র দেখ নাই কোনোদিন, দাঁড়ায়েছি আজ তার তলে!
সারাদিন হাঁটিয়াছি আমি পায়ে পায়ে
বালকের মতো এক — তারপর, গিয়েছি হারায়ে
সমুদ্রের জলে,
নক্ষত্রের তলে!
রাত্রে,
বিস্তারিত»বলের বদলে গ্রেনেড (২য় পর্ব)
২।
কড়া নাড়ার পর চাচা নিজেই দরজা খুলে দিলেন।
-আরে, ডন ব্রাম্মান যে! সব খবর ভাল তো?
সুনীলদা এবং চাচা দুজনেই একসাথে হেসে উঠলেন। চাচা কেন সুনীলদাকে ‘ডন ব্রাম্মান’ বলে ডাকে তা কয়েকবার জিজ্ঞাসা করতে গিয়েও অনিক সাহস পায় নি। নিশ্চয়ই কোন কাহিনী আছে! আজ কৌতূহল চেপে না রাখতে পেরে অবশেষে জিজ্ঞাসা করেই বসল,
বিস্তারিত»দিলালপুরের জোড় মন্দির ও কাচারি
চিকলী নদীর পাড়ে দিলালপুর গ্রাম। গ্রামে আছে একটি প্রত্ন-নিদর্শন। এককালের প্রাচীর ঘেরা এই নিদর্শন অযত্ন আর অবহেলায় কালের নীরব স্বাক্ষী হয়ে আজ কোন রকমে টিকে আছে। প্রাচীর ঘেরা এই আঙিনায় প্রবেশের জন্য এর দক্ষিণ প্রাচীরে একটি দরজা ছিল। প্রাচীর এবং প্রবেশ পথের দরজা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও এখনো এর স্তম্ভদ্বয় আংশিকভাবে টিকে আছে। দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেই কাচারি ঘর। এক তলা, আয়তকার ইমারতটি পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা, দক্ষিণমূখী ও তিন কক্ষ বিশিষ্ট।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৪
উনিশশো তিরাশি সালের মে মাসে এমজিসিসির প্রথম প্যারেন্টস ডে অনুষ্ঠিত হলো। আমাদের বন্ধুদের মাঝে যাদের বড় ভাই ক্যাডেট কলেজে পড়তো তারা প্যারেন্টস ডে সম্পর্কে জানতো ভাল। আমরা যারা প্যারেন্টস ডে সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলাম তারা হাউস মাস্টার স্যারের বক্তৃতা থেকে অনেক কিছু জানলাম। করিমউদ্দীন স্যার সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন যে পুরুষ এবং মহিলারা একসাথে বসে ক্যাডেটদের সাথে গল্প গুজব করতে পারবে না, অর্থাৎ বাবা উত্তরে বসলে মাকে বসতে হবে দক্ষিণে।
বিস্তারিত»সাতাশ বছর আগে -তিন
নীলা তুমি হাত বাড়িয়ে কি আমাকেই খুঁজছো?
আমার আমিত্ব আমায় অস্বীকার করে,
তুমিও কি আমার অস্তিত্ব অনুভব করোনা?
তোমার এলোচুলে হাত দিয়ে দেখ
আমার দৃষ্টি এখনো প্রথিত আছে
তুমি কি কখনো অনুভব করনি, নীলা?
তোমার পরিপাটি কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে
আমার ঘ্রাণ মিশতে দাওনি;
সোনালী আর কমলা তোমার কাপড়ের ভাঁজে
আমার হাত দূর থেকে নির্বিঘ্নে ছুঁয়ে গেছে
তাও কি তুমি অনুভব করনি?
সর্বনাম তুমি
আচ্ছা, যদি এমন হতো
কোনদিন হয়ত দেখা হয়েই গেল
নগরীর কোন ব্যস্ত ভীরে
অথব শুনশান কোন চরে
হয়ত আমি আমি গিয়েছিলাম
একটু একা থাকতে,
নিজেকে একটু সময় দিতে
নিজেকে আরো কাছ থেকে দেখতে
আর তুমিও-
আনমনে আকাশ দেখতে দেখতে
হঠাৎই চোখ আটকে গেল
কোন এলোমেলো বাতাসে
শাড়ীর ওড়ানো কোন তোমাতে
তবে আমি কি করব!
মেঘ বলেছে যাব যাব
বিকাল থেকে রোদের তাপটা আজ একটু কম। উত্তর দিকের আকাশে মেঘের আনাগোনা। চৈত্র মাসের শেষ দিকে এমনিতেই ভ্যাঁপসা একটা গরম থাকে। তার ওপর প্রতিদিন লোকাল বাসের ভীড়ে বাড়ি ফিরতে যা তা অবস্থা হয়ে যায় অভ্রর। আজকে পরিস্থিতি ভিন্ন। সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা ঠান্ডা একটা বাতাস বইছে। হয়ত কাছে পিঠেই কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। বাসায় ফিরে স্ত্রী নীলার হাতে ব্যাগ টা দিয়েই অভ্র গোসল করতে চলে যায়।
বিস্তারিত»হয়তবা কোন একদিন
হয়তবা কোন একদিন
হয়ত,
আমার একটা ঘর থাকবে
চিলেকোঠায়-
রাতের আকাশে এক মগ চা হাতে তারা গুনব
আর অপেক্ষায় থাকব-
ভোরের সূর্যোদয়ের
এলোমেলো বাতাসে চুল উড়বে
আর কানে থাকবে-
কোল্ডপ্লে,লিংকিন পার্ক অথবা বন জোভির সব মাতাল করা গান।
হয়তবা কোন একদিন
হয়ত,
কোন বাধা থাকবে না
ক্লাশ, এসাইনমেন্ট, সিটি, মিড, প্রেজেন্টেশন কিচ্ছু না।
ফুড প্রসেসর
গল্পটা দারিদ্র্যের। গল্পটা আপেক্ষিকতার। পাথরকুচি গাছকে কেটে ফেলে দিলেও তার মৃত পাতা আর প্রোথিত শিকড় থেকে যেমন জন্ম নেয় অসংখ্য গাছ, তেমনি দারিদ্র্যেরও কোন বিনাশ নেই। অভাবকে উতরে যাওয়া অনেক সাফল্যের গল্প আছে। কিন্তু সে গল্পের পরে আরও গল্প থাকে। পড়াশোনা শেষ করেই যে কয়েকজন ভাগ্যবান ছেলে অতিদ্রুত ভালো চাকরিতে ঢুকতে পারে রকিব তাদের মধ্যে একজন। বরাবরই সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। জীবনের এতগুলি বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসলই যেন এই চল্লিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরি।
বিস্তারিত»আজ আমার মন ভাল নেই
আজ আমার মন ভাল নেই। তাই-
আজ সকালে কোন পাখি ডাকেনি,
আমিও তেমন নিবিষ্ট মনে ডাকিনি
তোমাকে সারাদিনে, হে দয়াময় প্রভু!
আজ আমি
নতুন কোন কবিতা লিখতে পারিনি।
কী বোর্ডে সমন্বয়হীন চাপ দিলেও,
মনিটরে কোন চেনা অক্ষর ভেসে ওঠেনি।
আজ আমি
কোন কবির কবিতাও পড়তে পারিনি।
মনিটরে কবিতার কালো অক্ষরগুলো
ঝাপসা হতে হতে ফিকে হয়ে গিয়েছিল।
হাঁপরের টানে
বিবেক আছে,
তাই ক্রন্দনও আছে।
ঔচিত্যবোধ আছে,
তাই দহনও আছে।
মনের ঘন্টা বেজে চলে,
ঢং ঢং করে বেজে যায়।
অদৃশ্য কামার চুপি চুপি
বুকের হাঁপর টেনে যায়।
হাঁপরের টানে জ্বলে ওঠে
অগ্নিশিখা ও কয়লা দগ্ধ।
লোহা কাঁসা তামা সবই
ছাঁচে পড়ে হয় পরিশুদ্ধ।
ঢাকা
০৪ এপ্রিল ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
~ কাইলকাই তো বৈশাখ, হ পয়লা বৈশাখ ~
[ অণুগল্প ]
: ডিঙ্গিটা উজানের দিকে ঠেল এইবার।
: অহনই যাইবাগা বাজান ! মাছ তো বেশি উডে নাই। জাটকাডি কি রাইখ্যা দিবানি !
জমির শেখ ঘাড়টা ঘুরায়া পোলা কলিমুদ্দিরে দেহে।
: বাপরে মাছ যা উডনের হেইট্টুকই উডবো। কপালে থাহন লাগে। হের থে বেশি কি আর উডবো নি ! জাটকাডিরে আমি রাহুম ক্যারে। অহন তো জাটকা ধরন নিষেধ।
: আইজকা তাইলে বেলা থাকতে যাওন হইবো।