পর্বতশৃঙ্গে

পর্বতশৃঙ্গে

“পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল
আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি
এই আক্ষরিক সত্যের কাছে যুক্তি মূর্ছা যায়”। – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সত্যজিত রায়ের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিটি আমি দেখি ১৯৯২ কি ৯৩ সনে। ১৯৬২ সনে কলকাতায় মুক্তি পাওয়া এই ছবিটা আমার জানামতে ব্যবসা সফলতার মুখ দেখেনি। আন্তর্জাতিক কোন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারও পায়নি। তবুও আমার মনে হয় সত্যজিত রায়ের অমর সৃষ্টিসমূহের অন্যতম এটা।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৩

মার্চের কুড়ি, উনিশশো তিরাশি। গতকাল বাবা মায়েরা আমাদের কলেজে রেখে গেছেন। রাতে প্রায় কারোর ভাল ঘুম হয়নি। অচেনা একটি ভোরবেলায় ঘন্টা বাজলো ঢং ঢং করে। প্রথমে ঠাহর করতে পারি না কোথায় আছি। চোখ রগড়ে ইতিউতি তাকাতে মিলি আপাকে দেখতে পেলাম। আমাদের বেডগুলো খাট আর চৌকির মাঝামাঝি কিছু একটা। পাশ ফিরে শুলে বেশ একটা ক্যাচর ম্যাচর আওয়াজ হয় দেখি। আটজন ক্যাডেটের ডর্মে দুই বাথরুম আর দুটো টয়লেটে সকালবেলা বেশ একটু নীরব ঠেলাঠেলি হলো আমাদের মাঝে।

বিস্তারিত»

পাগলের দেশে

পাগলের দেশের গল্পে যাবার আগে ঘুরে আসা যাক জনির শৈশব থেকে। সাঁতার শেখার আগেই তিন বছর বয়সে সমবয়সীদের সাথে গরুর লেজ ধরে বিল পার হয়ে ওপাড়ে চলে যেত সে। বিলের ওপাড়ে তখন তরমুজের চাষ হত। সেখান থেকে বাচ্চা ছেলেদের দু একটা তরমুজ ছিঁড়ে খাওয়াকে চৌর্যবৃত্তি না বলে অধিকার প্রতিষ্ঠা বলা যেতে পারে। এরপর গোড়ালি পানিতে শাপলা ফুলের পাতার নিচে হাঁসের ডিম খুঁজে আর কিছু মাছ ধরে ফিরতি গরুর পালের লেজ ধরে আবার বাড়ি ফিরত তারা।

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে – দুই

নির্জন রাত, এখন সবাই ঘুমিয়ে
খোলা আকাশের নীচে একা একা জেগে রয়েছি;
দুরন্ত বাতাস কান ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। নীলা,
আমিই কি একা একাই হেঁটে চলেছি? তুমি কি নেই আমার সাথে?

নাকি সাথে সাথে হাঁটছিলে ছায়ার মত, কোথাও থেমে গেছো?

এখন অনেক রাত- ভোর হতে বেশী বাকী নেই,
শেষ রাতের মেঘগুলো শেষ বারের মত উত্তরে চলে যাচ্ছে।
চাঁদ খুব ঘনঘন উকি দিচ্ছে আর হারাচ্ছে,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে- এক

কদিন আগে একটা কবিতা লিখবার চেষ্টা করেছিলাম। ফেসবুক ওয়ালে পোষ্ট করা আছে। কি হয়েছে আল্লাহ মালুম, তবে রফিক আজাদের একটা কথা মনে আছে, জীবনে যার নারী নাই সে কবিতা লিখবে কিভাবে?

যাইহোক, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মাঝে মাঝে দুই এক লাইন লিখতাম, এরপর এক সময় বসে কম্পাইল করে একটা কবিতা দাঁড় করাতাম। নিশ্চিন্তে বলতে পারি এইগুলা কবিতা না। কারন কবিতা একটা সময়ে বা বিভিন্ন সময়ে একটা নির্দিষ্ট ভাব নিয়ে লিখতে হয়।

বিস্তারিত»

দেশাত্মবোধক গানঃ সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য…..

দেশের গান করতে গেলে আমার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ আর আবেগ এসে ভর করে। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন যাপন করার জন্যই এমন হয় কি না জানিনা। গত বছর বড়দিন এর ছুটিতে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সুযোগ হয়েছিল গ্রাম এর বাড়িতে যাবার। বরাবর এর মতোই গ্রামে গেলে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই। এবারও দেখলাম হলুদ রাঙ্গা সর্ষে ক্ষেত, মেঠো পথ, আর চারিদিকে সবুজ আর সবুজ, মনটা জুড়িয়ে যায়।

বিস্তারিত»

অন্তর্গত দাবানলের ভিতর বসবাসকারী তাবৎ কবিদের প্রতি রইলো বিশ্ব কবিতা দিবসের শুভেচ্ছা

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে কবিতার জন্য একটা বিশেষ দিন পালনের এক রীতির শুরু। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো প্রতি বছর ২১ মার্চ তারিখে এ দিন পালনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।

আজ ‍’বিশ্ব কবিতা দিবস’ (World Poetry Day)। গোটা বিশ্ব যে দিবস পালন করছে তা আমরা কতোটা জানি-মানি পালন করি! কবিতাকে কতোটা ব্যবচ্ছেদ করি, কবিকে করি কতোটা! কাব্যচর্চা বা কাব্য আন্দোলন আসলে কোথায় পড়ে আছে আমাদের নিজেদের দেশে সমাজে কী সাহিত্য চর্চার ডেঁরায়।

বিস্তারিত»

অন্ধকার

আমি অন্ধকার দেখেছি

রাত্রির কোমল শরীরে যার প্রগাঢ় ছায়া।

আমি অনেক হেঁটেছি;

শহরের এমাথা-ওমাথা,এগলি-ওগলি

প্রহরীর সজাগ দৃষ্টিতে যখন ক্লান্তির মায়া।

হঠাৎ থেমেছি

পায়ের চলার শব্দ থামিয়ে কান পেতেছি

বাতাসের পরে ভেসে আসে কার দীর্ঘশ্বাস?

নাকি কান্নার আভাস?

হৃদয়ে? নাকি অন্ধকারে?

অনেক বৃষ্টির পরে-

যেমন ধুসর মেঘের আকাশ।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ২

তিনতলার পেছনের ব্লকের দ্বিতীয় রুমটি আমার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। কেউ একজন জানালো, আমার নতুন ঘর বাড়ি সরেজমিনে দেখতে মা হাউসে যেতে পারবেন কিন্তু বাবাকে অডিটোরিয়ামে বসে থাকতে বলা হলো। অগত্যা বাবার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা হাউসের দিকে রওনা দিলাম। আসিয়া খাতুন নামের একজন অল্প বয়েসী মহিলা আমাদের সেখানে পৌঁছে দিয়ে গেল। নির্ধারিত রুমে ঢুকে দেখি আমার আগেই দুই জন ক্যাডেট চলে এসেছে। একজন শ্যামলা মতন দেখতে,

বিস্তারিত»

ফ্লার্ট সমগ্র – তৃতীয় পর্ব

ফ্লার্ট সমগ্র – প্রথম পর্ব
ফ্লার্ট সমগ্র – দ্বিতীয় পর্ব

ছয়
ভেবে দেখলাম, এইভাবে “ফ্ল্যার্ট কতপ্রকার ও কি কি” জাতীয় লিখাটা বেশ লেকচার টাইপের ও বোরিং হয়ে যাচ্ছে।
তারচেয়ে বরং ফ্ল্যার্ট নিয়ে ভিন্ন কিছু প্রসঙ্গের অবতারনা করি আজ।
মতলবি ফ্ল্যাটারদের এপ্রোচ প্রসঙ্গটা আপাততঃ তোলা থাক, অন্য কোনো একদিনের জন্য…

ফ্ল্যার্ট নিয়ে থাকা কিছু কিছু ধোঁয়াশা দূর করার চেষ্টা করি প্রথমেই।

বিস্তারিত»

মায়াবতী মেঘ

এক মায়াবতী মেঘ আমায় ছায়া দিয়েছিল,
হাওয়ায় ভেসে ভেসে আমার কাছে এসেছিল।
সে মেঘ আমায় কথার ছলে গল্প বলেছিল,
তার গল্প শুনে আমার চোখে স্বপ্ন ভেসেছিল।

মায়াবতী মেঘের বুকে অনেক কান্না জমা ছিল,
দেখতে পেলাম চোখ দুটো তার যখন ঝরেছিল।
যখন তৃষিত এক মরু বুকে তার অশ্রু পড়েছিল,
লক্ষ গোলাপ একটি রাতেই হঠাৎ ফুটেছিল!

ঢাকা
০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

জীবনের পুল পুশ ফ্যাক্টরঃ

জীবনে আমার যেটুকু এগিয়ে যাওয়া, তার অধিকাংশই কোন না কোন পুল-পুশ ফ্যাক্টরের কারণে হয়েছে। কখনো কেউ একটু পুশ করেছে, কখনো কেউ একটু পুল করে নিয়েছে, আর মাঝে মাঝে কোন কিছুতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেই সেলফ স্টার্টেড হয়ে সামনে দৌড়িয়েছি। সেখানেও কোন প্রণোদনা হয়তো পুশ করেছে, নয়তো পুল।

৩৩ বছর কলমের খাপটাকে বন্ধ রেখেছিলাম। দূরের বন্ধু (টেনিসি প্রবাসী) ড. হুমায়ুন কবির একবার নিজের লেখা কবিতার একটা লিঙ্ক পাঠিয়ে পড়তে বললেন।

বিস্তারিত»

যা পড়ছি এখন ।। ভাঙো দুর্দশার চক্র

কদিন ধরে পড়ছি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নতুন বই ভাঙো দুর্দশার চক্র । কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পরই মনে হলো হতাশাগ্রস্ত লক্ষ্যহীন কিশোর-তরুণ কিংবা কেবল অর্থ উপার্জনের পেছনে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকা বন্ধুটির হাতে এই বইটি পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।

চারপাশে বাড়ছে আত্মকেন্দ্রিকতার খোলসে বন্দী মানুষের সংখ্যা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা, পরমত অসিহষ্ণুতা। মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে,

বিস্তারিত»

আত্মকেন্দ্রিকতা ও আত্মপ্রেম সম্পর্কিত জটিলতা – ৪

আত্মকেন্দ্রিকতা ও আত্মপ্রেম সম্পর্কিত জটিলতা – ১
আত্মকেন্দ্রিকতা ও আত্মপ্রেম সম্পর্কিত জটিলতা – ২
আত্মকেন্দ্রিকতা ও আত্মপ্রেম সম্পর্কিত জটিলতা – ৩

আট (ক)

আমি এখন এই লেখাটার জটিলতম অংশে আছি।
এতক্ষন যা যা লিখেছি, তা ছিল মূলতঃ আত্মপ্রেমীদের নিয়ে।
যারা আত্মপ্রেমী নন, তাঁরা তাতে নিজেকে সরাসরি খুব একটা খুজে পান নাই।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ১

নুসরাত ম্যাডাম পাটভাঙা সুতির শাড়ি পরতেন টানটান করে, সাথে ম্যাচিং লাল রঙের ব্লাউজ। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকের রেখা, কপালে উদীয়মান সূর্যের মত একখানা টিপ গোটা মুখটি উজ্জ্বল করে রেখেছে। সাজপোশাক বলতে ঐটুকুনই। কলেজ চলাকালীন সময় ম্যাডামদের লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরবার চল ছিল, অন্য সময়ে তাঁরা সিভিল জামাকাপড় পরতে পারতেন। ছিপছিপে পাতলা গড়নের ম্যাডাম হাঁটতেন ঝড়কে পেছন ফেলে, ঈষৎ ভেজা কন্ঠে তিনি কথা বলতেন স্পষ্ট উচ্চারণে। কাঁধ অব্দি লম্বা চুল টেনে বাঁধতেন পেছনে।

বিস্তারিত»