বলের বদলে গ্রেনেড (১০ম পর্ব)

আগের পর্বগুলোঃ

১৯।

কামদেবপুর গ্রাম, মেহেরপুর মহকুমা।

পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যে কোন দিন আক্রমণ করতে পারে এই ভয়ে বেশিরভাগ পুরুষ মানুষই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যারা রয়ে গেছে, তাদের আসলে যাবার আর কোন জায়গা নেই কিংবা অন্যত্র সরে যাবার মতন শারীরিক সক্ষমতা নেই।

বিস্তারিত»

চক্রব্যুহ

আমার এখানে যখন গভীর অমানিশা,
অন্য কোন দূর দিগন্তে তখন অরুণোদয় হচ্ছে।
সেখানে পাখিরা ভোরের প্রার্থনা সঙ্গীত শুরু করেছে,
বিশ্বাসীরা দল বেঁধে উপাসনালয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আর কিছুক্ষণ পরে,
সেখানে সোনালী আলোর রশ্মি ছড়িয়ে পড়বে।
পাহাড় উপত্যকা পেরিয়ে, লোকালয়ে, বিস্তৃত মাঠে।
মানব মানবীরা বেড়িয়ে পড়বে নিত্যদিনের যাপন কর্মে।

কৃষ্ণপক্ষের পরে শুক্লপক্ষ,
আঁধারের পর আলো,

বিস্তারিত»

কাতার সোজা করেন, ভাইসব কাতার সোজা করেন …

ট্রাম্প সাহেবের মনে শান্তি নেই। চমকদার ভঙ্গিতে চটকদার সব কথাবার্তা বলে মার্কিন মুলুকের অর্ধেক আদমকে বেকুব বানিয়ে সাদাবাড়ীর চাবির দখল নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কেউ তার “লীডারশীপ” কে যথাযথভাবে সন্মান দেয় না, কেয়ার করে না। এমনকি বিবি মেলানি ও কথা শোনেনা, লোকজনের সামনে ঝামটা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নেয়। বড়ই অসৌন্দর্য্য অবস্থা।

এরই মধ্যে একদিন উপদেষ্টাদের পরামর্শ অনুযায়ী মুসলিমদের সাথে “সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধন” স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তিনি স্থানীয় এক মসজিদে গেলেন।

বিস্তারিত»

কেন প্রয়োজন ভিন্নপাঠ?

দারিদ্র্য নিরসনসংক্রান্ত যে-কোনো বৈশ্বিক সম্মেলনে আফ্রিকার প্রসঙ্গ উঠতে বাধ্য। কিন্তু আফ্রিকা কি সত্যিই দরিদ্র ও যুদ্ধ-কবলিত নাকি তাকে দরিদ্র করে রাখা হয়েছে? গুণীজন কহিবেন, উহারা দরিদ্র না হইলে ধনী দেশগুলো অকাতরে হাজার হাজার কোটি ডলার সাহায্য বা সহজ শর্তে ঋণ দিতেছে কেন?

নরওয়েজিয়ান স্কুল অব ইকোনমিকস পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ধনী দেশ কর্তৃক দরিদ্র দেশকে সাহায্য প্রদানের প্রচলিত এ ধারণার মধ্যে রয়েছে শুভঙ্করের মস্ত ফাঁকি।

বিস্তারিত»

পাকাপোক্ত ভিনগ্রহী

অথচ কিছু উচ্ছ্বাসের গণ্ডিতে-
আমিও ছিলাম উপস্থিত,
চাঁদ-রূপ গণ্ডি আধা-চাঁদ হয়ে
একদিন অমাবস্যা নামলো।
এরপর এলো বরষা
তবু ছাতাটি আর মেললো না,
বরষা কিন্তু থেমে থাকেনি।

এরপর আকাশের ভাগাভাগি হয়ে গেল
ভাগ হলো জোছনাও,
এখন পাকাপোক্ত ভিনগ্রহী হয়ে জোছনা দেখি।

আহ, আকাশের চাঁদটা কি পরিপূর্ণ গোলাকার!!

June 06, 2017

বিস্তারিত»

#মাথায়_যত_চিন্তা_আসে

ফরিদ শুক্রবার ঘুম থেকে দেরী করে উঠলো। গ্রীষ্ম কাল, তাই জানালা খুলে ঘুমিয়েছিল। ভাল ঘুম হয়েছে। রাতে ট্যাব্ খুলে পড়তে-পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ন’টার সময় ঘুম ভাঙ্গলো। ভেবেছিল চোখ মেলেই রৌদ্রকরজ্জল একটি সকাল দেখবে। নাহ! কেমন যেন একটি সন্ধ্যে-সন্ধ্যে ভাব। চোখ মুছে ঘড়ির দিকে তাকালো। হ্যা, ন’টাই বাজে। তাহলে?!

তার বিছানার ডান দিকে টেলিভিশন সেট। রিমোট দিয়ে চালিয়ে দেশী কয়েকটি চ্যানেলে কিছু না দেখে বিদেশী চ্যানেলে দাঁড়ালো।

বিস্তারিত»

আম বৃত্তান্ত

তখন আমি ক্লাস ইলেভেন এ। একাডেমিক ব্লকে ক্লাস টেন বি ফর্মের কোনায় শেডের পাশে একটা ছোট আম গাছ ছিল। গাছে লিচুর চেয়ে সাইজে সামান্য বড় আম গুলো অনেকদিন ধরে চোখে চোখে রাখি, কবে পাকবে। তো আমগুলো কেবল মাত্র পাকা শুরু হয়েছে। এক বৃহস্পতিবার মিল্কব্রেকের পর কোনো এক স্টেজ কম্পিটিশনের সময় অডিটোরিয়াম থেকে পালিয়ে গিয়ে শেডে উঠলাম, সাথে বন্ধু শাহাদুজ্জামান। দুজন মিলে গাছ ছাফা করে দিলাম।

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৯ম পর্ব)

আগের পর্বগুলোঃ

১৭।

জুন, জুলাই এবং আগস্ট, ১৯৭১।

প্রশিক্ষণের প্রথম মাসে আক্ষরিক অর্থেই ওদের চোখের জল এবং নাকের জল এক হয়ে গেল। এতটা শারীরিক পরিশ্রম করার অভিজ্ঞতা ওদের বেশিরভাগই ছিল না, ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনেকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ল।

বিস্তারিত»

অশনি সংকেত-১

গত কয়েকদিন ধরেই দেখছি রাজনৈতিক অসহনশীলতার চুড়ান্ত মাত্রা। তাও আবার এমন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যাকে চাইলেই ঘায়েল করে ফেলা যায়। অন্তত বাংলাদেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায়। নির্দোষ স্লোগানে। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর স্লোগান আমি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের মিছিলে শুনেছি। সিরাজগঞ্জে। ‘চাইয়া দ্যাখ খালেদা, আইতাছে তোর বাপেরা’। সেই তুলনায় সনাতনের, ‘ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না’ তো নির্দোষ স্লোগান। লজ্জার অনুভূতি তখনই হয় যখন ব্যক্তি নিজেকে নিজের কাছেই অপরাধী সাব্যস্ত করে।

বিস্তারিত»

ক্ষমা করো প্রিয়তমা

চোখের জলে ভেসে যাওয়া বুকে
গুমরে ওঠে কান্নারা
মুক্তোয় গড়া অশ্রু ফোটা
মনকে করে দিশেহারা।

অভিশাপ দাও প্রিয়তমা আজ
ভালোবাসার যোগ্য নই আমি
দু’পায়ে দলেছি প্রেম সকলই
দিয়েছো উজাড়ে যা তুমি।

রিমঝিম ঝিম বৃষ্টির সুরে
একাকার হবো দু’জনেতে
ছোট্ট নীড়ে তুমি আর আমি
আর তো কিছু চাওনি যে।

পারিনি দিতে চেয়েছিলে যা
ক্ষমা করে দিও তুমি মোরে
খেলিনি আমি তোমায় নিয়ে
ভালোবাসি আজো অন্তরে।

বিস্তারিত»

রংপুর

ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত রংপুর বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন অঞ্চল। রংপুর জনপদের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য বাংলাদেশের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ করে কুচবিহার-কামতা, প্রাগজ্যোতিষ-কামরূপ-কামাক্ষ্যা বা আজকের আসাম ও বিহার অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক যুগের স্মারক বহন করে চলছে।

জেলার নামকরণ নিয়ে আছে নানা মতবাদ। পৌরানিক যুগে রাজা নরক শ্রীকৃষ্ণের সাথে যুদ্ধে বিজিত হলে তার ছেলে ভগদত্ত প্রাগজ্যোতিষ তথা কামরূপ রাজ্যের রাজা হন। প্রাগজ্যোতিস্বর ভগদত্ত (খ্রীঃপূর্ব ১৫০০ অব্দ) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কুরুপক্ষ অবলম্বন করে নিহত হবার পূর্বে অবসর যাপন,

বিস্তারিত»

সুপ্রীমকোর্টের ভাস্কর্য সরানো ও কিছু ব্যক্তিগত ভাবনা

কাদের মোল্লার হাইকোর্টের রায়ের সময়ও একটা বিশাল জনগোষ্ঠী ও জনমত ফাসীর দাবির পক্ষে ছিলো। কিন্তু সে জনমতটা রাজপথে দৃশ্যমান ছিলোনা। সরকার ঠিক যে প্রক্রিয়াতে সেই জনমতটা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিলো , কাজ শেষে অন্য এক প্রক্রিয়াতে আবার সেই জিনিস টা কে ভেঙ্গে দিয়েছিলো (যদিও আমি ভেঙ্গে দেয়ার ব্যাপারটার বিরোধী ব্যক্তিগতভাবে)।

সুপ্রীমকোর্টের ভাস্কর্য সরানোর আগেও সেইরকম প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যেতে পারতো। একটা বিশাল জনগোষ্ঠী ও জনমত ভাস্কর্য সরানোর বিপক্ষে।

বিস্তারিত»

হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে কুঁড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি

আজ ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ,  প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৮তম জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে কবির প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। নজরুলগীতি এর প্রতি দুর্বলতা আমার সব সময়ই।   কবির সৃষ্টি সব অসাধারণ গানের মধ্য থেকে একটি গান গাইলাম। হৃদয়ছোঁয়া এই গানটি আশাকরি সবার ভাল লাগবে।

https://youtu.be/_E9HxXabwBI

বিস্তারিত»

আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা মসজিদ-নীলফামারী

নীলফামারী জেলার দারোয়ানী ও দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা সড়ক ধরে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার পথ চললে রাস্তার দক্ষিন পাশে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা/আঙ্গরার মসজিদ অবস্থিত।

মসজিদে প্রবেশের জন্য রাস্তা সংলগ্ন একটি প্রবেশ তোরন আছে যা সাম্প্রতিককালে নির্মিত। প্রবেশ তোরন অতিক্রম করে মসজিদ আঙ্গিনায় ঢুকলে সরাসরি দক্ষিনে একটি মাযার ও পশ্চিমপাশে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা।

বিস্তারিত»

কবি মানস

কবির মনে যখন কোন আঁধার নেমে আসে,
তিনি নিশ্চুপ থেকেই আলোর সন্ধান করেন।
তিনি আত্ম সমর্পিত চিত্তে সব মেনে নিলেও
অন্তর্দৃষ্টিতে তিনি আলোর সন্ধান করে যান।

গভীর অনুতাপেও কবি কবিতা খুঁজে বেড়ান,
প্রভাময় প্রেমের উৎস অনুসন্ধান করে চলেন।
জীবনের প্রেমতাড়িত প্রত্যাশা ও প্রত্যাখানের
পুলক নৈরাশ্য নিয়ে কবিতা লিখেন ও পড়েন।

ভারী হৃদয়েও মুখে হাল্কা হাসির প্রলেপ মেখে
কবি বিচরণ করেন নিজ বাসভূমে,

বিস্তারিত»