ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৮

পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ

প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়ির পেছনে ছিল জাম গাছটা। পাখিরা পাকা জাম ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে বিচি ফেলতো এদিক ওদিক। কপাল ভাল থাকলে বেইসবল গ্রাউন্ডে দুটো চারটে আস্ত জামও পাওয়া যেতো। দেলোয়ারা ক’দিন ধরেই ভাবছিল প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ এড়িয়ে কি করে জামগুলো সাবাড় করা যায়। জাম বেশী দিন গাছে থাকে না, তাই যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। সমস্যা হলো,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে – সাত

এখন যদি বৃষ্টি নামে, নামুক, আমি ভিজবো, নীলা।

সমস্ত শরীর ভিজবো, ভিজে চুপসে যাবো
ঠিক যখনই বৃষ্টি থামবে, তোমায় ডাকবো;
আমায় একটু শুকিয়ে দিয়ে যাবে, নীলা?

তোমার বুকের উত্তাপে আমায় শুকাতে দাও
নীলা, আমাকে শুকানোর জন্য ভেজাতে
সুখের কোন বৃষ্টি এ নয়, তুমিতো তা জানোই।

নীলা, তুমি নেই সে কথা বারে বারে মনে করানোর কি প্রয়োজন?

বিস্তারিত»

অবাক ভালবাসা

বেশ অনেকক্ষণ হলো রাতুল চায়ের দোকানটায় বসে আছে। বেশ অনেকক্ষণ। কয়েক কাপ চা খাওয়াও হয়ে গেছে। বসে আছে বলে যে কেউ কিছু বলছে তা না। আরো অনেকেই বসে আছে। আড্ডা দিচ্ছে, গল্প করছে,খাচ্ছে, যার যা খুশি তাই করছে। কারো অন্যের কিছু নিয়ে মাথা ব্যথা নাই। তবে রাতুলের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। আশে পাশে আরো কয়েকজন বসা থাকলেও রাতুল কিন্তু আসলে একা। একটু পর পর মাথা এদিক ওদিক ঘোরাচ্ছে।

বিস্তারিত»

ইয়াঙ্কি মুলুকে পহেলা বৈশাখ

ডেট্রয়েট এ বাংলাদেশীদের  রমরমা দিন। খুব বেশি আগের কথা নয়। এই কিছুদিন আগেও এখানে একটা মাত্র বাংলাদেশী মাছের দোকান ছিলো। সেখানে রো শ্যাড মাছ ইলিশ বলে বিক্রি করা হতো। ইলিশ শ্যাড এর গোত্রভুক্ত আর দেখতেও প্রায় কাছাকাছি। কিন্তু মাটি আর পানির তফাতের কারনে এর কাঁটা অনেক নরম আর স্বাদও অনেক পানসে। এ নিয়ে দোকানিকে প্রশ্ন করা হলে সে তেড়েমেরে আসতো,
-ইতা কিতা মাত মাতরে বা,ইগু বাংলাদেশ থাকি আইসে,

বিস্তারিত»

তুমিময় আমি

পরম মমতায় জড়িয়ে থাকা
তুমিময় কম্বলের উষ্ণতা সারারাত,
দেয়ালে ঝুলানো আরশিতে মুখ দেখা
যেন তোমার দু’চোখ বলে সুপ্রভাত।
টিক টিক করে চলছে হাতঘড়ি
যেন তোমারই হৃদস্পন্দন,
জানিয়ে দেয় তোমার উপস্থিতি
সারাদিন আর প্রতিটি ক্ষণ।
ভেংগে পড়োনা- এই তো আছি
শক্ত করে রাখো শিরদাঁড়া,
কোমরবন্দখানি নিরাশ করেনি
বুঝিইনি আমি তুমি ছাড়া।
পাঞ্জাবীটা আলমারীতে
ভাজে ভাজে তার প্রতীক্ষা,

বিস্তারিত»

ভালো ছেলে

ভালো ছেলে
রবার্ট লুই স্টিভেনসন

অনুবাদঃ মোস্তাফিজুর রহমান টিটো

সকালের আগে জাগি
আমোদেতে দিন কাটে
মুখে নেই বাজে কথা
মেতে রই খেলাতে।

সুয্যি মামা লুকোয় যখন
দূর সীমানার ওপারে
ছিলাম ভালো সারাবেলা
আনন্দেতে মন ভরে।

বিছানা খানা শীতল
এবং পরিপাটি ঝরঝরে
নামায পড়ে ঘুমোতে যাব
দাঁত মাজারই পরপরে।

বিস্তারিত»

#যা_পড়তে_চাই – ১

সপ্তাহান্তে ছ’টি দৈনিক পত্রিকা বাড়িতে আসে। সবগুলোই বাংলা ভাষার। ওগুলোর সাহিত্য পাতাগুলো সব পড়ার চেষ্টা করি।

আজ দৈনিক জনকন্ঠে একটি ছোট গল্প পড়া শুরু করলাম। শিরোনাম ‘প্রোপোজাল’। লেখকের নাম বলতে চাই না।

দ্বিতীয় প্যারায় একটি লাইনঃ ‘তাকে মতিঝিল থেকে যেতে হবে – নতুন এক ক্লায়েন্ট ওয়েট করছে’। কয়েক লাইন পরই আবার, ‘বাস আসছে না, রাস্তায় হেব্বি জ্যাম’।

আর পড়তে চাইলাম না।

বিস্তারিত»

একদিন সব বাঁধন শিথিল হয়ে যায়

আটপৌরে এ জীবনের কত হিসেব নিকেশ,
কত ভালবাসা, কত স্বপ্নের আশা-নিরাশা
মনের অগোচরে কোথায় বিলীন হয়ে যায়!
হায়! একদিন সব বন্ধন শিথিল হয়ে যায়।
একদিন মুঠোয় বাঁধা হাত ছেড়ে দিতে হয়,
পৃথিবীর বুক চিরে নতুন নতুন পথ সৃষ্টি হয়,
সে পথ বেয়ে ভালবাসার মানুষেরা চলে যায়।
একদিন আর কোন বাঁধন থাকেনা, অথবা
কোন আকুল আশাও থাকে না,

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৫ম পর্ব)

আগের পর্বগুলোঃ

৯।

জ্বর এবং চাচার কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে পরবর্তী কয়েকদিন অনিকের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেল। অবশ্য, কিছুটা দেরি হলেও খুলনা এবং দেশের প্রায় এলাকার খবর ঠিকই জানতে পারছিল। কেননা, রেডিও বা পত্রিকা তো ছিলই, এর পাশাপাশি ওর বন্ধুদের মধ্যে প্রায় প্রতি বেলাতেই কেউ না কেউ আসত।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকা: পর্ব সাত

নিলুফার ম্যাডাম

ধবধবে ফর্সা, ঈষৎ পৃথুলা নিলুফার ম্যাডাম প্রায়শঃ নীল শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আমাদের ইংরেজী পড়াতে আসতেন। ম্যাডাম আমাদের পার্ট টাইম শিক্ষক। তিনি ময়মনসিংহের স্হানীয় বাসিন্দা। আমাদের কলেজের শিক্ষকেরা প্রায় সকলেই বড় বেশী সাদামাটা সাজপোশাক করতেন, ঠোঁটে আলতো লিপস্টিক কি চোখে কাজলের সামান্য রেখা ছাড়া কেউ বাড়তি কোন প্রসাধন করতেন না। নিলুফার ম্যাডাম আমাদের একঘেয়ে কলেজ জীবনে ঝলমলে গ্ল্যামার নিয়ে এলেন!

বিস্তারিত»

বলের বদলে গ্রেনেড (৪র্থ পর্ব)

১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব

৭।

আজকের সকালটা কেমন বিষণ্ণ! অনিক মনে মনে ভাবল। সকালে নাস্তা করার পর সেই কখন থেকে টেবিলে বসে পড়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছে না।

গতকাল গোপালগঞ্জ থেকে চিঠি এসেছে। এবার অনেকদিন পর বাবা-মা’র কাছ থেকে চিঠি এল। অবশ্য শুধু বাবার কথা বলাই ভাল,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর আগে- ছয়

কাল রাতে ভরা জ্যোৎস্না অন্ধকার করে মেঘ জমলো;
জমাট মেঘ নিমিষেই গড়ে তুললো
এক অস্বস্তিকর অমাবশ্যা।
চাঁদ কি মুখ লুকোল না ডুবে গেল?
নীলা –
কাল রাতে আমি কি একাই বৃষ্টিতে ভিজেছি?
তুমি কি বুকের উত্তাপে তোমার চুল শুকাওনি?

এখনতো তুমি এত দূরে নও নীলা:
রাতের বৃষ্টিতেতে আমি একাই ভিজবো
আর তুমি বিদেশ বিভূইয়ে
সাদা রোদ্দুরে চুল খুলে হাসবে;

বিস্তারিত»

আজ “বিশ্ব বই দিবস”

আজ ২৩ শে এপ্রিল। প্রতি বৎসর এই দিনটিকে “আন্তর্জাতিক বই ও কপিরাইট দিবস” বা সংক্ষেপে “বিশ্ব বই দিবস” হিসেবে পালন করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে বই এর পঠন, প্রকাশন এবং কপিরাইট প্রতিষ্ঠার উন্নয়নের লক্ষ্যে। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো সিদ্ধান্ত নেয় যে ২৩ শে এপ্রিল উদযাপিত হবে “আন্তর্জাতিক বই ও কপিরাইট দিবস” হিসেবে, কারণ এই তারিখটি ইংরেজ কবি, সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক উইলিয়াম শেক্সপীয়ারসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের আরও অনেক প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিকদের জন্ম অথবা প্রয়াণ দিবস।

বিস্তারিত»

ভালবাসার আশা

ভালবাসায় রেখো আমায়,
শাস্তিতে নয় কভু,
ভুলের পথে পা বাড়ালে
শুধরে দিও প্রভু।

তুমি যাদের ভালবাসো
ফেরেশতারাও আকছার
ডাকে তাদের সসম্মানে
মানুষ তো কোন ছার!

প্রতিপালক একাই তুমি,
স্রষ্টা আমার, মানি
সৃষ্টিরা সব বেঁচে থাকে
তোমার দয়ায়, জানি।

ভুলের পাহাড় মাথায় নিয়ে
পথ চলেছি যত,
ভুলের বোঝা বেড়েই গেছে
হিসেব নেই কত।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কথিকাঃ পর্ব ৬

‘ফালা দাও’ সমাচার

শাজাহান আলী স্যার ক্লাসে এসেই বললেন,
‘ক্যাডেটস্, তোমরা এখন এখনই বর্ষণমুখর সন্ধ্যা নিয়ে একটা রচনা লিখে ফালা দাও দেখি।’
স্যারের ‘ফালা দাও’টি একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটদের মাঝে খানিক আলোড়ন সৃষ্টি করলো। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে কী যেন বলাবলি করে নিল। স্যার ক্যাডেটদের দুষ্টুমি অনুধাবন করতে পারলেন বলে মনে হলো না। তিনি সময় কাটানোর জন্য চেয়ারখানা টেনে একটা বই নিয়ে বসলেন।

বিস্তারিত»