সাতাশ বছর আগে -তিন

নীলা তুমি হাত বাড়িয়ে কি আমাকেই খুঁজছো?

আমার আমিত্ব আমায় অস্বীকার করে,
তুমিও কি আমার অস্তিত্ব অনুভব করোনা?
তোমার এলোচুলে হাত দিয়ে দেখ
আমার দৃষ্টি এখনো প্রথিত আছে
তুমি কি কখনো অনুভব করনি, নীলা?
তোমার পরিপাটি কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে
আমার ঘ্রাণ মিশতে দাওনি;
সোনালী আর কমলা তোমার কাপড়ের ভাঁজে
আমার হাত দূর থেকে নির্বিঘ্নে ছুঁয়ে গেছে
তাও কি তুমি অনুভব করনি?
অন্তত একটা সুযোগ দাও নীলা,
সত্যিকরে একবার হাত রাখি, ছুঁয়ে দেখি?

আজ আর কতটা পথ একা একা হাঁটবো, নীলা?

তুমি বোঝ তুমি আমার কতটা আপন,
তা বুঝেও কেন বোঝাও তুমি বোঝ না?
সবই কি ছুলতো কাঁচের মত-
সবই কি স্বচ্ছ দিঘীর জলের মত –
ভাঙ্গা কাঁচে কিংবা এলোমেলো জলে
তুমি নিশ্চয়ই আমাত খোঁজ না, নীলা?
যে গভীরতা হৃদয় দিয়ে বুঝবার
তুমি হাত দিয়ে কি করে অনুভব করবে, নীলা?
ভালোবাসাবাসির যে গল্প তুমি শুরু করতে দাওনি
আমি শুরু করি? তুমি সাথ দেবেতো?
নদী মানেই স্রোত, আমি নদী হবো
আমার স্রোতে তোমায় ভাসাবো আমিও ভাসবো।

তোমার চারপাশে আমি যে বেষ্টনী, তুমি কি বোঝনা নীলা?

আড়াল যদি তোলই, এমন কেন তোল
যা আমাকে আশা জাগাতে সাহস দেয়?
কেন ঘুম ভাঙ্গার মাঝরাতে, কেন কাঁদতে দাও?
আমি জেগে থাকবেনা ভরা অনিশ্চয়তায় নীলা,
হয় অমাবশ্যার ঘুমাবেন না হয় পূর্নিমায় ঘুমাবো।
জোনাকির টিমটিম আলোয় জেগে থাকার মানে নাই।
হয় ছিড়েঁ ফেল সব বাধাঁ, নয় তুলে দাও প্রাচীর
এমন এক প্রাচীর যার ফাঁকে আলো উকিঁ দেয়না।
আমি ঘুমাতে চাই, এমন ভাঙ্গাগড়ার টান পোড়েনে
আমি একা একা ঘুমাতে ভয় পাই, নীলা।
আমাকে যদি ডাকতে চাও, স্বপ্নের মাঝে ডেকো
আমি অপেক্ষা করছি, ঠিকই শুনতে পাবো।

নীলা, তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ দাবী করছি নিজের বলে।

৫,২০৭ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “সাতাশ বছর আগে -তিন”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।