অপেক্ষা
শোভন চেয়ার আন্তঃনগর
রেলগাড়ী ঝকর ঝকর
গাছপালা ঘর জীব জানোয়ার
দোলায় দোলে জানালার ধার
জোরছে তাদের কেউ ছুটে যায়
কেউবা যেন কেবল ঝিমায়।
মাঠের পর রাস্তার ধার
নারকেল সার বাঁশের ঝাড়
তার ছায়াতে বাবা ঘুমায়
দিন গোনে মা অপেক্ষায়।
বিষ্যদ বার শুককর বার
শনিবার আর কত বার?
ছেলে তবু আসে না আর!
সিন্দুরমতি দিঘী
‘‘আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,
ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,
ঘরের বিছান নিয়া ক্যান অন্য ধানখ্যাত রোয়?
তিনটে অণু কবিতা
চোখের সমুদ্র
তুমি একদিন সমুদ্র দেখতে চেয়েছিলে।
আমি বলেছিলাম, সে তো আমার চোখেই আছে।
তুমি বলেছিলে….
তোমার চোখ তো শুকনো, জল কই?
আমি বলেছিলাম….
চোখের সমুদ্র মনের দুরবীন দিয়ে দেখতে হয়!
ঢাকা
১৩ জানুয়ারী ২০১৭
কবি ও কবিতা
সে বলেছিল, সে কবি হতে চায়।
তুমি বলেছিলে, অন্তরে তুমি চাও
তার কবিতা হতে,
প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনার কথা
প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনা- আমার চিরদিনের প্রিয় বিষয়, ছোটবেলা থেকেই। প্রশ্ন আসতে পারে, ছোটবেলায় আবার প্রেমের কী বুঝতাম? তখন প্রেম বলতে বুঝতাম স্নেহ, আদর, ভালবাসা। মা যখন শীত আসার আগেই উলের বল আর উল বুননের কাঁটা যোগাড় করে রাখতেন, আর তাঁর স্বল্প অবসরে দিনের পর দিন ধরে উল বুনে আমাদের জন্য সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি বানিয়ে দিতেন, বুঝতাম সেটা ভালবাসা। গোসলের পর মাথা না আঁচড়িয়ে থাকতাম।
বিস্তারিত»আসুন একটু ‘বাংলামি’ করি
সেদিন কিছু পত্রিকা ঘাঁটতে-ঘাঁটতে একটি শব্দ খুব ভালো লেগে গেলো। কে যেন ‘বাংলামি’ বলে একটি শব্দ ব্যবহার করেছে। অন্যরকম। সাধারণত ব্যবহার হয় না। অভিধানে আছে কিনা তাও জানি না। তবে শব্দটি পড়ে শীতের সকালে চাপা রোদের আলোয় নরম ঘাসের ওপর শিশির দেখার মতো আনন্দ পেলাম।
অনেকে শব্দটিকে ‘বাংলামো’ বলেন। ‘বাংলামি’ শব্দটি কয়েকবার বলতে শুনলেও এই প্রথম দেখলাম কাউকে লেখায় ব্যবহার করতে। মাথায় ভূত চাপলো।
বিস্তারিত»তাজহাট জমিদার বাড়ি – রংপুর
দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন তখন মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের (১৬৫৮-১৭০৭ খ্রী) অধীন। তার শাসনামলে শিখ সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি পাঞ্জাব শহরে মোঘলদের সাথে শিখদের সংঘাত বেঁধে যায়। তুমুল লড়াই হয়, শহর পরিনত হয় ধ্বংসস্তুপে, অধিকার রক্ষায় আত্মবির্সজন দেয় অগনিত শিখ। বাংলায় তখন মুর্শিদকুলি খাঁ (১৭০৭-২৭ খ্রীঃ) দাপটের সাথে মোঘল প্রতিনিধিত্ব করছে। এমনই এক উত্তাল সময়ে নিজ ভূমি পাঞ্জাব শহর ত্যাগ করে মান্না লাল রায় ও রতন লাল রায় নিজেদেরকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় বাংলায় আগমন করে।
বিস্তারিত»লো-লিবিডো : একটি উপেক্ষিত ডিসফাংশানালিটি – দ্বিতীয় পর্ব
লো-লিবিডো : একটি উপেক্ষিত ডিসফাংশানালিটি – প্রথম পর্ব
তিন
পুরুষদের লো-লিবিডোর পিছনে প্রথম যে কারনটা কাজ করে, তা হলো ইরেকটাইল ডিসফাংশান (ইডি)।
শারীরিকভাবে তেমন কোনো অসুস্থ্যতা না থাকার পরেও বয়সভেদে ৭% থেকে ২৫% পুরুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
আবার চল্লিশোর্ধদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হৃদযন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি কারনে ৪০% বা তারও অধিক পুরুষেরা সার্বক্ষনিক না হলেও সময় সময় এই সমস্যায় ভোগেন।
লো-লিবিডো : একটি উপেক্ষিত ডিসফাংশানালিটি – প্রথম পর্ব
এক
লো-লিবিডো অর্থাৎ যৌনাকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলা বা আশংকাজনক ভাবে কমে যাওয়াটা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একটি সেক্সুয়াল ডিসফাংশান।
পুরুষদের জন্য সমস্যাটার হার নারীদের চেয়ে কম এবং তা সম্ভবত এই কারনে যে পৌরুষ ও যৌনক্ষমতাকে প্রায়ই ইকুয়েট করা হয়। পৌরুষ জাগিয়ে রাখার চেষ্টা লো-লিবিডো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটা মটিভেশন হিসাবে কাজ করে।
নারীদের মধ্যে এই হারটা হয়তো এই কারনে বেশি যে নারীদের জন্য সতীসাধ্বী হওয়াটাকে বা অযৌন জীবনযাপন করাটাকে সামাজিকভাবে প্রসংশনীয় গন্য করা হয়।
বেতাল
কখনো ডায়েরি আর কলমটাকে কোলের ওপর ফেলে রেখে দেয়ালের দিকে শূন্যচোখে তাকিয়ে থাকা, কখনো গিটারের তারে আঙুলের নানা মাপের চাপে-টোকায় সুর খোঁজা, কখনো ইয়ারফোন কানে গুঁজে চোখ বুঁজে বুঁদ হওয়া। নিলয় যতক্ষণ বাসায় থাকে, ততক্ষণ এ তিনটা দৃশ্য চোখে পড়ে। ডায়েরি, গিটার আর ইয়ারফোনের তিন ইয়ারী কথা আদতে একটা গল্পই বলতে চায়। নিলয়ের তন্ময়তা চোখে পড়ে, অস্থিরতার আঁচ পাওয়া যায়। ভেতরে ভেতরে বেসুরো-বেহাল এক বাদ্যযন্ত্রের মত নিলয় প্রায় নীরব ও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে।
বিস্তারিত»‘সাইলেন্ট নয়েজ’র মোড়ক উন্মোচন
প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার জ্যাকী কবীরের ছোট গল্পের প্রথম সংকলন ‘সাইলেন্ট নয়েজ’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ২৯ জানুয়ারী।
রাজধানীর ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে বইটির মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম, ইন্ডিপেনন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসাদ মরতুজা, সানবীমস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক নুসরাত হক।
জ্যাকী কবিরের লেখা ১৫টি ছোট গল্পের সংকলন ‘সাইলেন্ট নয়েজ’ প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ।
বিস্তারিত»শেষ তৈলচিত্র
সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
নিশ্চুপ বসে আছি।
দুর্দান্ত গতিময় স্বপ্ন – স্থবির বাস্তব – অর্থহীন -সম্ভাবনাহীন।
অথবা কি সম্ভাবনাময়?
কী রং তাদের?
.
এক হঠাৎ বর্ণান্ধ শিল্পী।
যা কিছুই আঁকি – যে রং এ আঁকি – কিছুই দেখিনা।
আঁকার অসহ্য তাড়না ছবির পর ছবি আঁকিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।
নীড়ে ফেরা পাখি
১.
বৃষ্টি পড়ছিলো।।অরকা রি ইউনিওয়নে এসে ইমরান এমন প্রকৃতি বেশ উপভোগ ই করছিলো।।একটু পরেই শিরোনামহীনের কনসারট।।দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।।হঠাত চোখ আটকে গেলো।।পাশে যে শাওন ছিলো তা যেনো খেয়ালই করেনি,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পিছু নিলো হঠাত দেখা সেই রমণীর পিছে পিছে।।পরিচয় জানা আবশ্যক।।বলেই ফেললো,”ওয়াও”।।
দেখা গেলো যে রমণী ২৪ ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের কন্যা।।ভাবলো মন্দ নয়।।সে যাত্রা বুঝি বিধি সাথেই ছিলো কেনোনা আরও জানা গেলো যে যুবতী যুবকের ইয়ারমেট।।আর পায় কে,ইমরানের আকাশে বাতাসে ভাস্তে শুরু করলো রঙ বেরঙ্গের মেঘ।।আর কিসের রি ইউনিয়ন কিসের কি!!সারাটা সময় মানে ঐ ৪টা দিন যুবক শুশুমাত্র নাম না জানা যুবতীর পিছন ছুটে চললো।।এবার বুঝি সিঙ্গেল থাকার দিন ফুরোলো।।অনেক কষ্টে সৃষ্টে রমণীর নাম আবিষ্কার হলো।আনিকা!!
একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!
একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!
প্রকাশকঃ ‘রূপ প্রকাশন’ (স্টল নম্বর ২৭০ এবং ২৭১)
বিষয়টাকে কি ভাবে উপস্থাপন করা যায়, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই এখনো কিংকর্তব্যবিমুঢ়। আমি কখনই এ নিয়ে চিন্তা করিনি, সেটা সত্যি নয়। তবে বাস্তব জীবনে এর রুপায়ন সম্পর্কে আমার বিশ্বাস ছিল খুবই ক্ষীণ। আমার কাছে রীতিমত অলৌকিক মনে হচ্ছে।
বই পড়ার অভ্যেস আমার ছোটবেলা থেকেই। গ্রামের বাড়িতেই একটা ইনফরমাল লাইব্রেরি ছিল।
বিস্তারিত»ব্যক্তিগত রেসিপি – ১৩
সেলফোনটা ঘুমিয়ে পড়ছিলো। অবশ হয়ে ওর পাশে আমিও শুয়ে ছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত। চোখ মেলে দেখি বারান্দার আলো ঘরের ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বললেই এক দৌড়ে চার্জারটা এনে দেবে, ভেতরের ঘর থেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে।
দু’দিন আগে পৃ বলছিল এই দৃশ্যের কথা – আগাম। ছুটির দিন সারা দুপুর এঁটো হাতে বসে রইলো — অনেকক্ষণ আমাকে দেখতেই পাচ্ছিল না যেন। আমি টিভিতে একটা অখাদ্য নাটকের সুখাদ্য নায়িকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখিয়েও ওর ধ্যান ভাঙাতে পারলাম না।
বিস্তারিত»