প্রসঙ্গ : পরকীয়া – প্রথম পর্ব

এক
একজন নারী বা একজন পুরুষ কেন পরকীয়ায় জড়ান, সেটা জানা গেলে এর কোনো প্রতিকার আছে, নাকি নাই তা বোঝা যেতে পারে।
এই সিরিজটা শুরু করলাম নারী পুরুষ উভয়েরই পরকীয়ার স্বরূপ আবিষ্কার করার জন্য।

অনেক পুরাতন ও এখনো প্রচলিত কিছু হাইপোথিসিস আছে নারী বা পুরুষের পরকীয়ার কারন নিয়ে।
এ সম্পর্কিত যে তত্ত্বটা বিবর্তনবাদ কেন্দ্রিক, সেটায় যাবো না কারন এখন আর সেটা প্রমান বা অপ্রমান –

বিস্তারিত»

ওবেসিটির প্রতিকার – প্রথম পর্ব

এক
যারা যারা জীবনে কখনো ওজন কমানোর চেষ্টা করেছেন, তাঁরা খুব ভাল করেই জানেন যে, কাজটা মোটামুটিভাবে পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলার একটা।
কঠিন কেন? কারন:
১) মাসে দেহের ওজনের ১%-এর বেশী কমানোর চেষ্টা করলে সেটা স্ট্যাবল হয় না। অর্থাৎ দেখা যায়, ওজন কমেছে কিন্তু স্বাভাবিক খাদ্যে ফিরে গেলে দ্রুত আবার তার একটা বড় অংশই ফিরে আসছে।
২) শুরুর পর তিন থেকে চার সপ্তাহ ওজন কমেতো না ই,

বিস্তারিত»

ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারের প্রতিকার নিয়ে কিছু ভাবনা


ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় প্রোফেশনাল হেলপ লাগবেই – এমন একটা প্রায়ই বলে থাকি।
শুরুতেই ব্যাখ্যা করি, কেন তা বলি।
ডিপ্রেশন কথাটা দিয়ে আমরা যা বুঝাই তা হলো কোনো এক ধরনের “ডিপ্রেসিভ ডিজ-অর্ডার”-এ আক্রান্ত হওয়া।
বেশীরভাগ মানসিক সমস্যার মতই ডিপ্রেসিভ ডিজ-অর্ডারে আক্রান্ত হবারও একটা ট্রিগার অনেক সময় থাকে। কিন্তু একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে ট্রিগারের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়ায় সেটা থেকে মস্তিষ্কে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলি ও এর কারনে ঘটা শারীরিক উপসর্গগুলি।

বিস্তারিত»

আনট্রিটেড ডিপ্রেশন ও তা মোকাবেলা করা নিয়ে আরও কিছু কথা…

এক : “হাউ টু ডিল উইথ ডিপ্রেসিভ ডিজ-অর্ডার” – শুরু করা নিয়ে কিছু আশাবাদ
প্রথমেই একটা ব্যাড নিউজ : ডিপ্রেশন হলো ওয়ান অব দ্যা মোস্ট কমন মেন্টাল ডিজ-অর্ডার। প্রতি ১০ জন পুরুষের মধ্যে একজন এবং প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে একজন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়।
তবে গুড নিউজ হলো – এটাই আবার ওয়ান অব দ্যা মোস্ট ট্রিটেবল মেন্টাল ডিজ-অর্ডার। যাদের ট্রিটমেন্টের আওতায় আনা যায়,

বিস্তারিত»

শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমণ — ১

প্রায় হঠাৎ করেই এক অনির্ধারিত সাক্ষাতে আমরা চার বন্ধু দম্পতি ইচ্ছে প্রকাশ করলাম, শান্তির দেশ ভুটান সফরে যাব। শুধু ইচ্ছে প্রকাশ করলেই তো হবেনা, অর্থকড়ি ছাড়াও কিছু কাঠ খড়ও পোড়াতে হবে। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কম কথা বলে যে বন্ধুটি, সেই দায়িত্ব নিল সবার পক্ষ থেকে হোটেল বুকিং, টিকেট বুকিং, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার। শুধু তাই নয়, ০৬ মে ১৭ তারিখে তার বাসায় বাকী তিন যুগলকে দাওয়াত করে সফরের উপর একটা নাতিদীর্ঘ প্রারম্ভিক ব্রীফিং দিল এবং টিকেট ও হোটেল বুকিং এর কাগজপত্র হস্তান্তর করলো।

বিস্তারিত»

বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা : কিছু ভাবনা

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে খুব সাধারণ একটা অভিযোগ হল, এখানে যা শেখান হয়, বাস্তব জীবনে তা কাজে লাগে খুবি কম। আর বাস্তব জীবনে যা কাজে লাগে, সেগুলো সবাই শেখে ঠেলায় পড়ে। কথারটার মধ্যে সত্যতা আছে বলেই মনে করি। আমার মতে এই ব্যাপারগুলো আমাদের স্কুল সিলেবাসে থাকা উচিত যেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে-

রান্না ও পুষ্টি: সাধারণ রান্নার নিয়ম-কানুন জানা ও অভিজ্ঞতা থাকা সবারই দরকার।

বিস্তারিত»

ডিভোর্স এণ্ড সোশ্যাল মিডিয়া

কিছু বিষয়ের অহেতুক সমালোচনা আমি একেবারেই মেনে নিতে পারি না। বিশাল এই সমাজের নিতান্তই একটা ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে আমার ধারণা, কিছু-কিছু সমালোচনা, হাসি-তামাসা বা তিরস্কার, ব্যাক্তি এবং সমাজ উভয়ের দৃষ্টিতেই অগ্রহনযোগ্য। হাসি-তামাসা টাইপের সমালোচনা বা কটাক্ষ, যা ইদানিং “ট্রল” নামে ব্যপকভাবে পরিচিত, এসবের মধ্য দিয়ে আমরা কিন্তু প্রকৃতার্থে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং রুচিজ্ঞানকেই জনসম্মুখে নিয়ে আসি। অনেকেই হয়ত মুখে কিছু বলে আমাদের এই অসুস্থ মানসিকতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন না,

বিস্তারিত»

‘লুয়াং প্রেবাং’ – বিলীয়মান নান্দনিক ইতিহাস দ্বিতীয় পর্ব

‘লুয়াং প্রেবাং’ – বিলীয়মান নান্দনিক ইতিহাস

 

দ্বিতীয় পর্ব

 

চন্দন গাছের শহরে বাইসাইকেল আরোহী

 

“Where I went in my travels, it’s impossible for me to recall. I remember the sights and sounds and smells clearly enough, but the names of the towns are gone, as well as any sense of the order in which I traveled from place to place.”- Haruki Murakami,

বিস্তারিত»

অস্তাচলের ভাবনা

সন্ধ্যা ঘনায়ে এলো,পাখি খোঁজে নীড়,
মেঘ তুমি ভেসে যাবে ছড়িয়ে আবির।
আমি হেথা দেখে যাবো রঙের খেলায়
তোমার হারিয়ে যাওয়া আঁধার বেলায়।

মেঘ তুমি ভেসে যাবে কোন দেশেতে?
অনুপম এ রঙে তোমায় কে এঁকেছে?
সোনালী আভায় মোড়া নীল ধুপছায়া
প্রেয়সীর কপোল সম কোমল কায়া!

বিস্তারিত»

বারো শিবালয় মন্দির – জয়পুরহাট

জয়পুরহাট জেলা সদরের হেলকুন্ডা গ্রামে বাস করতেন কান্ত মন্ডল ও তার পরিবার। পেশায় গন্ধ-বনিক কান্ত মন্ডল নবাবী আমলে (১৭০৭ – ১৭৫৭ খ্রীঃ) অর্থ-বিত্ত-ঐশ্বর্য্যে এতটাই সম্মৃদ্ধি অর্জন করেন যে, তাকে মূর্শিদাবাদের তৎকালীন ধন্যাঢ্য ব্যাক্তি জগৎশেঠের সাথে তুলনা করা হতো। এই বংশেরই অন্যতম সফল পুরুষ রাজীব লোচন মন্ডল।

সম্ভবতঃ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে অথবা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজীব লোচন মন্ডল জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বেল আমলা গ্রামে ‘বারো শিবালয় মন্দির’ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করেন।

বিস্তারিত»

প্রভুর ক্ষমা, মায়ের আশীষ

নিজের লেখায় কখনো তৃপ্ত বোধ করি না। যতবার পড়ি, ততবারই সম্পাদনা করতে ইচ্ছে হয়। নিজের লেখা পুরনো কবিতার ঝাঁপি খুলে আজ এই কবিতাটাকে হাতের কাছে পেলাম। পড়ে ভাল লাগলো, কবিতা লেখার পেছনের অনুভূতিটার কথা মনে পড়ে গেল। সাথে সাথে মাকে ফোন করলাম, দোয়া চাইলাম। মা জানালেন, সব সময় আমরা তাঁর দোয়ায় আছি। মাথায় তাঁর অদৃশ্য হাতের পরশ অনুভব করলাম। মায়ের হাসিমাখা কথাগুলো কানে গেঁথে রইলো।

বিস্তারিত»

তউফিক স্যারের জন্যে প্রার্থনা!

আমি নিজে বিখ্যাত মানুষ না হলেও অনেক বিখ্যাত মানুষদের সাথে আমার পরিচিতি ও সখ্যতা ছিল। কৈশোরকাল হতেই। এই সুযোগটা মূলত সৃষ্টি হয়েছিলো মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে আমার পড়াশুনা করার সুবাদে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সাল। ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে সবার একটা সাধারণ ধারণা যে সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর অভিভাবকদের সন্তানরা এখানে পড়াশুনা করে। বিষয়টার বর্তমান সত্যতা সম্পর্কে আমি খুব বেশি ওয়াকিবহাল নই। তবে আমাদের সময়ে, তৎপূর্বে, এমনকি আমাদের পরের অনেকটা সময় জুড়েও ধারণাটা সত্য ছিল না।

বিস্তারিত»

নামে কী বা আসে? কী বা যায়?

এই তো মাত্র বছর তিনেক  আগের ঘটনা। তখন ক্রিকেটে বাংলা-বয়েজ এর শনির দশা চলছিল। ৫ মার্চ ২০১৪, এশিয়া কাপের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছেও নাস্তানাবুদ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ২২ বলে ৪১ রানের এক লড়াকু ইনিংস খেলে আমাদের সবার নয়নের মণি হয়ে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান নামের অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল এক চৌকস খেলোয়াড়। বাংলা-ক্রিকেটের ভক্ত সমর্থকদের গভীর হতাশার মাঝে সে যেন এক হঠাৎ আলোর ঝলকানি। এই ছেলেটা আগামী দিনে আমাদের ক্রিকেটের একটা বড় নক্ষত্র হয়ে উঠবে এমনটা ভেবে ভেবে আমরা সবাই কমবেশি উচ্ছ্বসিত।

বিস্তারিত»

জয়পুরহাট

বাংলার পাল সাম্রাজ্যের (৭৫০ – ১২০০ খ্রীঃ) দ্বিতীয় নৃপতি ধর্মপালের (৭৭০ – ৮১০ খ্রীঃ) ভাই বাকপালের পুত্র জয়পাল। অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, ধর্মপালের অপর ভাই দেবপাল (৮১০ – ৮৫০ আনুঃ খ্রীঃ) তার শাসনামলে জয়পালকে তার প্রধান সেনাপতি হিসাবে নির্বাচিত করে। জয়পাল পরবর্তী কালে এই অঞ্চল শাসন করার সুযোগ/অধিকার পান। স্থানীয়রা খঞ্জনপুরের দক্ষিণ দিকে আনুমানিক ২.৪ কিলোমিটার দূরে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপত্যের নিদর্শনকে জয়পালের রাজবাড়ি বলে চিহ্নিত করে থাকেন।

বিস্তারিত»

সে রাতে আকাশটা অঝোরে ঝরেছিলো

সে রাতে আকাশ যেন ভেঙে পড়েছিলো,
জলভরা মেঘগুলো নেমে এসেছিলো,
পাখিদের নীড়গুলো ভিজে গিয়েছিলো,
নিশাচর পথিকেরা বাড়ী ফিরেছিলো।

সে রাতে আকাশটা অঝোরে ঝরেছিলো,
মেঘ ভরা জলধারা ঝরে পড়েছিলো,
সরীসৃপেরা সারারাত বিবরে ছিলো,
বাহিরের কিছু প্রাণী ভেসে গিয়েছিলো।

সে রাতে আকাশ থেকে নেমে এসেছিলো,
এক সুন্দরী জলপরী মায়ায় ভরা।
এক ঘুমহারা পাখিকে ঘুম পাড়িয়ে,

বিস্তারিত»