বিটিভি হয়ত ভুল করেও এখন কেউ দেখে না। সেদিন একরকম ভুল করেই কিছুক্ষন বিটিভি দেখা হয়ে গেল। কোন এক নাটকে তরুন বয়সের আসাদুজ্জামান নূরকে দেখে কৌতুহলী হয়ে আটকে গেলাম। বেশ পুরাতন নাটকটি দেখতে ভালই লাগছিল, একেবারে শেষ পর্যন্ত গিয়ে বুঝতে পারলাম এটা ছিল ‘এইসব দিন রাত্রি’। যখন এটা প্রথম দেখায় তখন আমার দেখা থাকলেও মনে থাকার কোন সুযোগ নেই, তবে অবাক হলাম নাটক শেষে ক্রেডিট দেখানোর সময় বাজতে থাকা সুরটি শুনে।
বিস্তারিত»অসুস্থতা
আমি আজকে বুঝলাম আমি অনেক আগে থেকেই অসুস্থ ।
বি এম এ তে জয়েন করার আগে টানা এক মাস হাসপাতালে ছিলাম । নভেম্বর ২০০৬ এর শেষ দিকে জ্বর আসল । পাত্তা দিলাম না । ভাবলাম, ধুর… এই জ্বর কত্তো হইছে । এর জন্য ওষুধ !
এইভাবে এক সপ্তাহ কাটল । তারপর দেখি আমি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় । শুধু মনে আছে আমি চোখ বন্ধ করলেও সব দেখতে পারতাম !!
বিস্তারিত»রাধাকথন-৯
আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়ারে করো তোমার
মনে যাহা লয়
পোড়াচোখের
কাজলঘেঁষা জল
কবে’ হয়ে গেছে
মাছব্যাপারীর
আঁশটে নোট,কালা!
পাষাণ বন্ধু রে
প্রহরগুলো তোর
যমুনায়
নেমে গেছে
পায়পায়,
গলায় দড়ি দি’ছে
রঙ্গিলা কলস হায়
এখন শুধু
মাসী গুণে
কনডম দ্যায়,
গোণে ক’জন এলো গেলো।
প্লেটনিক ডগারেল
আমার বাবা ব্যর্থ প্রেমিক,
তোমার বাবাও ব্যর্থ।
হয়তো বা সেই কারণেই
প্রথম আবেগ দ্ব্যর্থ।
মুসলমানের পোলা,
প্রেমিকার মা চাচী, মামী
ফুফু কিংবা খালা।
ধারার বাইরে যেতে
জিউকে অবহেলা।
প্যারিস রোড আর পশ্চিমপাড়া
যেন ছিল ব্রাত্য।
মায়াবী চোখ মিষ্টি হাসি
বাঁকানো মুখ দেখতে হলাম আর্ত।
কেনিয়া বধ কানে শুনি
কল পাঠিয়ে প্রহর গুনি
কত যুগ যে কেটে গেল
পাষান তোমার মনটি গলে
হলের গেটে আসবে
মুক্তো ঝরা হাঁসবে।
অ্যানাপোলিসের ডায়েরী – ৩
১৪ ই জানুয়ারি, বিকাল ৫:১৮, ২০১৪
মোকাব্বির ভাই এর ডায়েরী ব্লগ টা দেখে মনে হলো আমিও শুরু করে দেই না.. খারাপ হবেনা। এর আগে ছাড়া ছাড়া ভাবে দুইটা পর্ব দিয়েছিলাম। ভাবছি জিনিসটা নিয়মিত করতে হবে.. একটা ব্যাপার খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারছি যে আমি একটা ট্রানসিশন পিরিয়ড পার করছি অনেকদিন ধরে.. আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে গত এক বছর ধরেই। এখানে এসে প্রথমেই পাই প্রাথমিক কালচারাল শকের স্বাদ।
বিস্তারিত»রাত জাগা ছন্দ।
আজ ব্যস্ত ছিলাম। ভীষণ ব্যস্ত।
সকালে দেখেছি দুটো স্বপ্ন।
দুপুরে ছিলো আকাশকুসুম প্রাসাদসম।
বিকেলটা ছিল রঙের বাহার।
গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা যখন,
রবিকরের দৃষ্টি তখন–
কমলালেবুর বাকি আদ্ধেক।
চোখের পাতায় প্রজাপতি,
মনের মাঝে সেনাপতি-
রণে ভঙ্গ দেয় না।
হঠাৎ শুনি–
নাঁকি গলায় যন্ত্রদানব
ইনিয়েবিনিয়ে কেঁদেকেটে
যাচ্ছে গিলে তুষারমানব
দু-চার কদম চাকায় হেঁটে।
ডেসপিকেবল মি!
এই দুনিয়ায় যত জাতি আছে, তন্মধ্যে ক্যাডেট জাতি সর্বাপেক্ষা নিষ্পাপ (হাসেন কেন? ঠিকই তো বললাম)। তবে, সব কিছুরই কিন্ত আছে। কিন্ত থাকবে না কেন বলুন, চাঁদ ও সূর্যের গায়ে যদি কলঙ্ক থাকতে পারে, তবে ক্যাডেটের চরিত্রে দুই-একটা কিন্ত থাকলে কোন সমস্যা নেই। যা বলছিলাম, এই নিষ্পাপ একঘেয়ে জীবনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে আসে কিছু নিয়ম বহির্ভূত কর্ম। বলা নিষ্প্রয়োজন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো কারোর না কারোর বিরক্তির কারণ হত।
বিস্তারিত»সুচিত্রা সেন – লাখো বাঙালীর হৃদয়ের নায়িকা
সুচিত্রা সেন – লাখো বাঙালীর হৃদয়ের নায়িকা
—————————— ডঃ রমিত আজাদ
সুচিত্রা সেন নামটির সাথে পরিচয় খুব ছোটবেলা থেকেই। আমার ফুপু বয়সে তিনি সুচিত্রা সেনের কাছাকাছিই হবেন, অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা। তিনি খুব বলতেন সুচিত্রা সেনের কথা। যা বুঝতাম, উনাদের সময়ের অভিনয় জগৎের জীবন্ত কিংবদন্তী ছিলেন সুচিত্রা সেন। আমার খুব ছোট বেলায় সুচিত্রা সেনের ছবি দেখার সুযোগ হয়নি, কারণ তখন দেশে একটিই টিভি চ্যানেল ছিলো –
বিস্তারিত»স্মৃতি ভান্ডার-১
কলেজের অ্যানুয়াল এথলেটিক্স। কি পরিমান উত্তেজনা বিরাজ করে তা বোধহয় লিখে বলা যাবে না। তো ঐ সময়ের একটা ঘটনা প্রায়ই মনে উকি দেয়। ২০০০ সাল, আমরা তখন ইন্টারমিডিয়েট গ্রুপে। আমি খুবই উত্তেজিত, কারন অবশেষে একটা সময় আসছে যেখানে বেশ ভাল একটা ঝলক দেখানো যাবে। কিন্তু বিপত্তি ছিল শামসকে নিয়ে। ওকে হারিয়ে একা একা বেস্ট এথলেট হবার কোন পথই নাই। তো, অগত্তা সমঝোতা। আমাদের ইভেন্ট আলাদা করে নিলাম।
বিস্তারিত»তারপর উডি অ্যালেন
“( “সেগুন গাছের পাতাটা থেকে আলসে একটা গন্ধ আসছে।”
-“ধুর বোকা ! গন্ধ আবার আলসে হয় কিভাবে?”
-“ঠিক যেভাবে ভোর হয়েছে কাকডাকা। ”
-“মাদার অফ লজিক! এই দিয়ে কলেজে ডিবেট করতে?”
-“ডিবেট? সেটা আবার কিভাবে করে?”
-“শিখিয়ে দিতে হবে নাকি আবার?”
-“তবে তাই হোক সক্রেটিস ম্যাম !”
-“প্লেটোরা এখন বইয়ের পাতায়।রিপাবলিক, প্রতোগারাস, সিম্পসিয়াম”
-“দি রিং অফ গিগস”
একটি মাথামুণ্ডুবিহীন স্বপ্নভঙ্গের গল্প
১
এইমাত্র ক্লাস শুরু হল। যিনি ক্লাস নেবেন, তাঁর চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা। দেখতেই বোঝা যায়, বাবা-মার আদরের পড়ুয়া ছেলে। উসকো-খুসকো চুল, চুলের যত্ন নেয়ার সময়ই বা কোথায়। ক্লাসে ঢোকার পর নিজের পরিচয় দিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংয়ে ক্লাস নেবেন, বুয়েটে যে পড়েন তা সহজেই অনুমেয়। ডিপার্টমেন্টের নাম বলার পর ক্লাসের ভেতর একটা সম্মিলিত চাপা চিতকারের শব্দ শোনা গেল। ভাবী প্রকৌশলীদের চোখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হয়ে উঠল।
তুমি চাইলেই
তুমি চাইলেই,
হাসিনা-খালেদা এসে বসে যাবে-
পলাশীতে ওই,
মনিরের দোকানে।
“শাকিব খান মন্ত্রী হবে”
এমন গুজব শোনা যাবে-
কানে-কানে।
তুমি চাইলেই,
সজীব ওয়াজেদ-তারেক জিয়া
এরশাদের জন্য, মাঠে নেমে-
চাইবে ভোট।
১৮-১৪, মিলে যাবে সব;
গঠিত হবে-
৩৩ দলীয় জোট।
তুমি চাইলেই,
বিস্তারিত»কলেজ পালানো -১
এই ব্লগটি আমার ৪০তম ব্লগ এবং সব গুলাই সিসিবিতে পোষ্ট করা, অন্য কোথাও সাহস করে ব্লগ কখনো লিখিনাই। আমার নিজের মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে, সব লেখা কেন ক্যাডেট কলেজ নিয়া লিখি। কিন্তু মনের শান্তির একটা ব্যাপারতো আছে, ‘যা করিয়া পাও শান্তি, চালাইয়া যাও তাহাই’ (লেখক এবং কবি হাসান শওকত)।
তাই আজকে আবার হাজির হলাম কলেজের একটা গল্প নিয়ে এবং ক্লাস নাইনের সময়ের একটা কাহিনী নিয়ে।
বই ও খাদ্যবিলাস
আমাদের নরসিংদীর খুব পরিচিত একটা লাইব্রেরীর নাম হোল “বঙ্গআজাদ লাইব্রেরী”। এই লাইব্রেরীর কর্ণধার হুমায়ুন মামা, আমার বাবার নামে নাম বলেই কিনা এই মানুষটার মধ্যে পিতৃভাব প্রবল। কর্মব্যস্ত, প্রচণ্ড রকমের ছটফটে আর হাসিখুশি মানুষটি আমাকে খুব স্নেহ করেন। সবাইকে নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ভুরিভোজ উনার বিশেষ পছন্দের কাজ।পেল্লায় সাইজের একটা গলদা চিংড়ী আমার প্লেটে তুলে দিতে দিতে মামা একদিন বলেছিলেন, “শোনো মামা, যা ইচ্ছা করে সেটাই খাবা।
বিস্তারিত»বেহায়া শীত
[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইহা সুশীলদের জন্য নহে ]
কয়েক দিন হল মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে । কেমন মৃদু ? হরতাল ঠেঙ্গাতে পুলিশ যেমন মৃদু লাঠিচার্জ করে সে রকম আর কি । যাই হোক মৃদু শীতে গুরুতর কম্পন ঠেকাতে হীটার ফ্যান কিনলাম। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। একটু বেশী দরেই উষ্ঞতা কিনতে হবে । এখন তো আর ভার্সিটিতে পড়িনা যে ফ্রি বিদ্যুত ব্যবহার করব! সেই সময়ের কথা মনে পড়লে এখন খারাপই লাগে।
বিস্তারিত»