সত্যি বলছি মতি ভাই বা মতি মিঞার প্রথম আলো মতান্তরে প্রথম আলু একসময় আমার প্রিয় পত্রিকা ছিলো। সত্য এই যে এখনো আমরা অনেক সময়ই প্রথম আলোর লিঙ্ক শেয়ার করি রেফারেন্স দিই।
ছবি লিঙ্ক পেলাম শামস রাশেদ জয় এর ওয়াল থেকে। ক্লিক করুন।
ডোন্ট বিলিভ আলু এনি মোর। তাই ওদের লিঙ্ক সহ স্ক্রিন শট দিলাম। অন্যান্য ছবির ক্ষেত্রেও একই কাজ করবো।
সেই ইডিখোর কমলাকান্তের অনেকদিন কোনো সংবাদ পাই নাই।কলেজ থেকে বের হওয়ার পর অনেক সন্ধান করিয়াছিলাম,অকস্মাৎ সার্টিফিকেট নিতে এসে তাকে ভিপি অফিসের সামনে দেখিলাম।দেখি যে,এইচ পি ভিপি অফিসের সামনে দাঁড়াইয়া,দেয়ালে ঠেসান দিয়া চক্ষু বুজিয়া কি জানি ভাবিতেছে।মনে করিলাম তেমন কিছু না,এইচ পি লোভে পড়িয়া গাছ হইতে ফল-ফলাদী চুরি করিয়াছে।অন্য সামগ্রী কমলাকান্ত চুরি করিবে না নিশ্চিত জানি।একজন বেয়ারাও দেখিলাম।আমি বড় দাঁড়াইলাম না।কি জানি,চুরি বিদ্যা শিখাবার জামিন আবার আমাকেই বলে কিনা।তফাতে থাকিয়া দেখিতে লাগিলাম যে কান্ডটা কী হয়।
এখন নিয়মিত কার্ড খেলি। ২৯ এবং পোকার খেলা হয়। কিন্তু একটা না ভোলা খেলা আর খেলা হয়না। কল ব্রীজ। এটা নাকি বিগিনারদের খেলা। কি আর করা এখন এমেচার হইলেও প্রফেশনাল ভাব নিয়াতো থাকতে হবে। আজকে টাইম লাইনে ঘুরতেসিলাম। এটা আমার কিছুদিন পর পরই করা হয়। হামিমের কিছু স্ট্যটাস আর কমেন্টস পড়ে হাসতেসিলাম মনে মনে। বয়স কত ছিল সেটা হিসাব করলেই বের হবে, কিন্তু সেই ইচ্ছা নাই।
কে বলেছিলেন ঠিক মনে নেই, মেবি প্লাটো/ প্লাতো।
“ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ যে আমাকে নারী করে তৈরি করোনি।”
আমি নিজে ঈশ্বর বিশ্বাসী নই। মা মারা গেলেন নভেম্বরে। বাবা বললেন,
“তুই তো আল্লাহ-খোদায় বিশ্বাস করিস না। তোর মার জন্য দোয়াও করতে পারবি না।”
আমি জবাব দিই,
“হু।”
১। নির্বাচনের ব্যাপারে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা, আম্মুর হাত ধরে টোটো করে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ। কারণ আমার এক মামা সেবারের মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন প্রবল উৎসাহে আম্মুকে বললাম, আম্মু ভোট দিতে যাব।
আম্মু আমার উৎসাহকে পাত্তা না দিয়েই বললেন, “যাওয়া লাগবেনা। কখন আবার কি থেকে কি হয়ে যায়!”
২০০১ এর নির্বাচনের পর আজ আবার নির্বাচন দেখলাম। এবারো ভোট দিতে পারিনি।
১লা জানুয়ারী, পুরো বিশ্বের মানুষ এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য, উদযাপন করার জন্য। ৫ই জানুয়ারী, পুরো দেশের মানুষ উৎকন্ঠায় দিন গুনেছে। আমিও দুটি দিনের জন্যই অপেক্ষা করেছি, তবে একটু ভিন্ন কারনে। আমার দিন গোনা ছিল শারলকের অপেক্ষায়। দুদিনই আমি রাত তিনটা পর্যন্ত জেগে কষ্ট করে লাইভ টেলিকাস্টের লিঙ্ক খুঁজে লাইভ দেখেছি, পরে আবার ডাউনলোড করে রিভিশন দিয়েছি। হেসেছি,
……,
কি লিখব আর কিভাবেইবা লিখব সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা । স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলে জীবনপথে পথহারা এক পথিকের মত ইতঃস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছি । ঠিক যেন নিঃসঙ্গ,নিভৃতচারী রাতজাগা এক পাখি । জানো,এখনো তোমায় নিয়ে স্বপ্ন সাজাই । বন্ধুরা হাসাহাসি করে,মা ডেকে ঝাড়ি দেয় ঘুমানোর জন্য…..। আর চূড়ান্ত নির্বোধ এই ছেলেটা সারাটা রাত জেগে পার করে দেয়,পাছে তোমায় নিয়ে ভাবার জন্য একটা মুহুর্ত কম পরে যায় জীবন থেকে ।
“ভালো” ব্যাপারটা আপেক্ষিক। কথাটার মর্ম প্রথম বুঝি ক্লাস সেভেনে ক্যাডেট
কলেজে ঢোকার পর প্রথম পাক্ষিক পরীক্ষার খাতা দেবার পর। ক্যাডেট
কলেজে ঢোকার আগে যে আমার ভালোর কোন শেষ ছিলো না, যে আমার রোল কখনো প্রথম তিনজনের বাইরে যায়নি, সেই আমিই এক লাফে শেষ তিনের মুখ দেখলাম। শুধু মুখ দেখাই না, শেষ তিনের এমন গভীর প্রেমে পড়েছিলাম যে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে গেল।
এই ভাইয়ের নাকি একটা বালতি ছিলো,রোজ গেমসের পরে লুঙ্গি পরে,হাতে বালতি নিয়ে পুরো হাউজ রাউন্ড দিতেন,আর জুনিয়ররা নাকি মসজিদের দান-বাক্সের মত সেইখানে কুপন ফেলত।এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি,কিন্তু কালে কালে উনার খ্যাতি ডালপালা গজাতে গজাতে ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো ব্যাচের মধ্যে।
পরের কাহিনীও একজন সিনিয়র ভাইকে নিয়ে,কাহিনীর সত্যতা মোটামুটি ভেরিফাইডঃ
পিসিসি’র একটা ঐতিহ্য আছে,এখানে কোন ব্যাচ দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যারা টেবিল লীডার হতে যাচ্ছে,তারা স্বচ্ছ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হাউজ প্রিফেক্টের তত্ত্বাবধানে নিলামের মাধ্যমে তার টেবিলে কোন কোন জুনিয়র বসবে,তা ঠিক করে নেয়।জমাকৃত সকল অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাচের পক্ষ থেকে হাউজকে উপহার কিনে দেওয়া হয়।সুন্দর ট্রেডিশান।তো আমাদের কাহিনীর নায়ক ভাইয়া,দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পিতার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র লিখলেন,”বাবা,ক্লাস টুয়েল্ভকে টেবিল কিনতে হয়,তাই বেশি করে টাকা পাঠায়ে দিয়ো।”উনার পিতা অতশত বুঝিতেন না,উনি পত্রের উত্তর পাঠালেন,
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩ (সময় লিখে রাখিনি) – ভাবনা
নামের শেষে এক বা একাধিক মার্কিনি ডিগ্রী থাকলে দেশে সাধারণত বাজার মূল্য চড়া থাকে। তা সে চাকুরীর বাজার হোক আর বিয়ের বাজার হোক। ছেলে আমার আমেরিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। মেয়েটা আমার ঘরের লক্ষী আবার কেমিস্ট। স্কলারশিপে পড়েছে, যেনতেন কথা নয়। তবে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক (কূটনামী সম্পর্কিত নীতি) পরিসরে মার্কিনি ডিগ্রী মাঝে মধ্যে বিপদ ডেকে আনে। ধরুন আলোচনা,
প্রিয় মিমোসা,
আজ তোর ছবি দেখলাম ফেসবুকে ।এখনো অত সুন্দরী আছিস কেমন করে বলবি?আমি হিংসায় জ্বলে পুড়ে গেলাম ।আমার চিঠি পড়ে কি বুঝতে পারছিস আমার কী ভীষণ মন খারাপ?বোধ হয় না ।আজ সকালে উঠে দেখলাম আমার আদরের কন্যা রবি ঠাকুরের কবিতা পড়ছে ।অতন্দ্রিলার সঙ্গে আমার কিছুতে মিল নেই ।ও চুপচাপ,আমি অস্থির চঞ্চল,ও কখনো রাগ করে না,আমি কথায় কথায় রেগে যাই ।তবে ওর জন্মের আগের কয়টা মাস মন শান্ত রাখার জন্য রবি ঠাকুর নিয়ে মেতে থাকতাম বলেই হয় তো ও আমার মত রবি ঠাকুরের পাগলাটে ভক্ত পাঠিকা ।”অভিসার”
গত কয়েকদিন যাবত বেশ আলোচনা চলছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক (জিয়া) রহমানের দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ নিয়ে। বলা বাহুল্য এই ভাষণটি মূল মিডিয়াতে না এসে, এসেছে ইউ টিউবে।নিচে ভিডিওটির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম যারা এখনো দেখেন নি তাদের জন্য।
তারেক রহমানের এই বক্তব্য ইউ টিউব থেকে প্রায় ৯০,০০০ বার দেখা হয়েছে। এছাড়া অন্য মাধ্যমেও এর পর ছড়িয়ে গেছে।
উনার মত চাপাবাজ লোক আমি জীবনে খুব কমই দেখেছি,তার কয়েকটা নমুনাঃ
চাপা ১-“জানো,ক্যাডেট কলেজ হওয়ার আগে এইখানে বিশাল জঙ্গল ছিলো।বাঘ,সিংহ,ডাইনোসর,আরো অনেক কিছু ছিলো এইখানে।ধরে ধরে নিয়ে আফ্রিকায় ছেড়ে দিয়ে আসত এলাকার লোকজন।”
চাপা ২-মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবার কপালে গুলি করেছিলো পাকিস্তানিরা,উনি টের পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলেছিলেন,তাই ভিতরে না ঢুকে চামড়ার পাশ দিয়ে চলে গেছে।ওই জায়গায় এখন আর চুল গজায় না।আরেকটা গুলি খেয়েছিলেন পেটে।ডাক্তার অপারেশান করেও বের করতে পারেনি,পরে পায়খানার সাথে বের হয়ে গিয়েছিলো।