ভুলে যেতে হয়

কে কবে কী বলেছিল,
কখন বলেছিল, এসব-
অন্তর কন্দরে রাখতে নেই,
এসব ভুলে যেতে হয়।

কার চকিত চঞ্চল হাসি
আকাশ থেকে এক ফালি
বিজলী প্রভা এনে দিয়েছিল,
সে কথা ভুলে যেতে হয়।

যার কথায় পরাণে প্রথম
নিক্কণের সুর বেজেছিল,
নিস্তব্ধ নীরবতার আচ্ছাদনে
তার স্মৃতি ঢেকে রাখতে হয়।

কার কান্নায় বুকের নদীটা
ক্ষণে ক্ষণে উছলে উঠেছিল,

বিস্তারিত»

অনুবাদ হাইকু

কোবায়াশি ইশার সাতটি হাইকু

এক

শীতল হাওয়া
সব শক্তি দিয়ে ডাকে
ঝিঁঝিঁপোকা

দুই

ঠাণ্ডা বাতাস
পেঁচিয়ে মোচড় দিয়ে
এখানে এলো

তিন

গরমে পর্বতমালা
আমার প্রত্যেকটি ধাপে
আরো দেখতে পাই

চার

চড়ুইপাখির ছানা
পথ ছাড়ো পথ ছাড়ো
ঘোড়া পার হচ্ছে

পাঁচ

গরুর বাছুরটি
গিয়েছে বেড়াতে
শরতের বৃষ্টি

ছয়

সেপ্টেম্বর মাস
ডোরাকাটা কিমোনো
পরেছে আকাশ

সাত

লোভ জাগানিয়া
ধীরে ধীরে তুলতুলে
তুষার পড়ছে

ইয়োশা বুসনের সাতটি হাইকু

এক

হারুসামে ইয়া
মোনোগাতারি য়ুকু
মিনো তো কাসা

বসন্তের বৃষ্টি
কথা বলতে বলতে
চলে যাচ্ছে

দুই

য়ুকু হারু ইয়া
ওমোতাকি বিওয়া নো
দাকি গোকোরো

বসন্তের গমন
চৌতারা বাদ্যযন্ত্র
ধারণের অনুভুতি

তিন

না নো হানা ইয়া
সুকি হা হিগাসি নি
হি ওয়া নিশি নি

ক্যানোলা ফুল
পুব দিকে চাঁদ
পশ্চিমে সূর্য

চার

বোতান চিরিতে
উচি কাসানারিনু
নি সান হেন

বিক্ষিপ্ত পিওনি ফুল
আর জড়ো করে রাখা
কয়েকটি পাঁপড়ি

পাঁচ

ওনো ইরে তে
কো ওডোরোকু ইয়া
ফুয়ু কোদাচি

কুড়াল মেরে
আমি অবাক গন্ধে
শীতের বৃক্ষরাজি

ছয়

ফুজি হিতোতসু
উজুমি নোকোসিতে
ওয়াকাবা কানা

ফুজিয়ামা ব্যতীত
সব কিছু ডুবে গেছে
কচি কচি পাতায়

সাত

য়ুদাচি ইয়া
কুসুবা ও সুকামু
মুরা সুজুমে

বিকালের বৃষ্টি
ঘাস ধরবে না পাতা
গ্রামের চড়ুইপাখি

♦মাতসুয়ো বাসো,

বিস্তারিত»

এ কেমন অভিভাবক?!

অভিধান বলছে অভিভাবকের অর্থ দেখাশোনা করে যে, রক্ষণাবেক্ষণকারী; তত্ত্বাবধায়ক; আশ্রয়দাতা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবি কি এমন? খোদ বিসিবি সভাপতিই কি প্রধান অভিভাবক হবার যোগ্য?

১। ”অস্ট্রেলিয়ায় তখন চলছে ২০১৫ বিশ্বকাপ। ব্রিসবেনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দিচ্ছিল স্থানীয় বাঙালিরা। নিজের বক্তৃতায় দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান রসভরা কণ্ঠে বললেন, “আমাদের ‘বুম বুম তামিম’ তো এখন ‘ঘুম ঘুম তামিম’ হয়ে গেছে!’’

পুরো হলরুমে হাসির হুল্লোড় উঠল।

বিস্তারিত»

ডিসেম্বরের হাইকুগুচ্ছ

ডিসেম্বরের হাইকুগুচ্ছ

১২৫

অতলান্তিক সময়
চলতে স্রোতের বিপরীতে
কূলহারা নাবিক

১২৪

এক রত্তি ডাঙা
পালক খুঁটে খুঁটে হাঁস
রোদ কণা মাখে

১২৩

সাদা সজনে ফুল
ফুলিয়ে রোঁয়া বুলবুলি
রৌদ্র মাখে গায়

১২২

উল্টা বিব্রত
আজব প্রজন্ম কহে
সব তোমাদের দোষ

১২১

মলন মলা শেষ
উঠোন ঠুকরে মা মুরগী
ছানাদের ডাকে

১২০

হেমন্তের দুপুর
ছোট্ট দ্বীপে হাঁসের দল
জলকেলি শেষে।

বিস্তারিত»

ভালোবাসা অধরা

ভালোবাসো আমায় ?
হ্যাঁ………কিন্তু না…
স্বপ্নে দেখো আমায় ?
হ্যাঁ………কিন্তু না…
তবে, আমি ভালোবাসি ?
উমম………হ্যাঁ………কিন্তু না…
স্বপ্নে আসবে আমার ?
জানিনা………

জীবনের অতল গহীনে দ্বিধা আর দ্বন্দ্ব
চাওয়া পাওয়া, আর না পাওয়া চাওয়া সব ধূসর হয়ে
সাঙ্গ হবে খেলা একদিন
মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ।
তবুও ভালোবাসি প্রিয়তমা, জেনে রেখো…
ভালোবাসি তোমায় ।

বিস্তারিত»

নন্দিনী

নন্দিনী, হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। মেয়েটাকে কখনোই আমি ডাইসেক্ট করতে পারিনি। একটা মানুষ এতটা মিস্টেরিয়াস কি করে হতে পারে??? আজব নাহ! বলতে পারেন আমি সেই ভারসিটি লাইফ থেকেই তার পিছে ঘুরছি। আসলেই আমি বুঝতাম না যে সে আমাকে পাত্তা দিত নাকি এভয়েড করতো। কখনো সে নিজেই আগ বাড়িয়ে কথা বলতো অথচ ফেইসবুকে মেসেজ দিলে অনেক সময় ২ দিন পরেও সীন করতো না।কেমন যেনো একের ভিতর ২-এরকম ক্যারেক্টার ছিলো।

বিস্তারিত»

পীর কাহিনী

সমস্যাবিহীন জীবন মানুষ কখনোই যাপন করেনি। সভত্যার সেই ঊষা লগ্ন থেকেই সমস্যা মানুষের নিত্য সঙ্গী। কালের বিবর্তনে এই সমস্যার প্রকৃতি হয়ত বদলিয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবন কখনোই কিংবা কোন যুগেই সমস্যা মুক্ত হয়নি। অতীত অথবা বর্তমানের মানুষ যেমন পারেনি সমস্যাকে পুরোপুরি জয় করতে, তেমনি ভবিষ্যতের মানুষও যে পারবে তার কোন সম্ভবনা এখনও কোথাও উঁকি দিয়ে দেখা দেয়নি।

মানুষের আদি সমস্যা হলো ক্ষুন্নিবৃত্তির সমস্যা। আদিম যুগে এই সমস্যার একমাত্র সমাধান ছিলো শিকার।

বিস্তারিত»

ভবঘুরে, রং আর ক্যানভাসের গল্প

প্রথম পর্বঃ ভবঘুরের দিনলিপি

সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১২ মিনিট, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫।
খুলনা রেলওয়ে জংশন।

টয়লেট থেকে বের হয়ে থমকে গেল নরেন। হারামজাদা স্যামুয়েল দাঁত কেলাচ্ছে। গা জ্বলে গেল নরেনের। পেটের যন্ত্রণায় আর বারবার টয়লেটে যাওয়ার ঝামেলায় ওর নিজের লেজে গোবরে অবস্থা, আর এই ব্যাটা এতে মজা পাচ্ছে। অবশ্য ওর মজা পাওয়ার যথেষ্টই কারণ আছে। এই দেশের খাবারে কোন সমস্যা হয়নি স্যামের।

বিস্তারিত»

ভারচুয়াল-একচুয়াল

(এই গল্পের সবক’টি চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কারুর সাথে এদের কোন মিল পরিলক্ষিত হলে তা নিতান্তই কাকতালীয়।)

– বাবা, তুমি কি ‘দি কাইট রানার’ পড়েছ?
– না, মা, পড়িনি। তবে বইটার নাম শুনেছি, খুব সম্ভবত: একজন আফগান লেখকের লেখা উপন্যাস।
– তুমি ‘দি কাইট রানার’ পড় নি?

রোদেলা আশ্চর্য হয়। এই উত্তর তার কাছে অপ্রত্যাশিত। চোখে-মুখে তার ঝুলে থাকে একরাশ অবিশ্বাস।

বিস্তারিত»

হাইকু গুচ্ছ

১১৪

কুয়াশার চাদর
সীমের মাচায় ফুলপাতায়
নাচে টুনটুনি

১১৩

বকলম কবি
সুবর্ণ বন্দর লোভে
নিজ সন্তান ফেরি

১১২

খড়ের গাদায় ভাপ
দুধ নারকেল খেজুর রসে
পিঠে খাওয়ার ধুম

১১১

প্রকৃতির পর্দা
কচুরিপানার ফুলে
তৃপ্ত নয়ন মন

১১০

আখ ফুলে ফিঙে
গাঁয়ের বধু ধান ওড়ায়
হেমন্ত বাতাসে

১০৯

মায়ের বুকের ওম
পাশ ফিরতে লেপের মাঝে
শিমুল বিচি বাজে

১০৮

এক এক শূণ্য নয়
অনুবাদ পার্থক্যে হয়
কথার ডালপালা

১০৭

গোলাপী বা লাল
সবুরে মেওয়া ফলে
রে ঝিঁঝিঁ বাঙ্গাল!

বিস্তারিত»

গৌস্টিং: নতুন অনলাইন উৎপাত-৩

প্রথম পর্ব: গৌস্টিং: নতুন অনলাইন উৎপাত-১
দ্বিতীয় পর্ব: গৌস্টিং: নতুন অনলাইন উৎপাত-২
ছয়: গৌস্টি-র মনঃস্তত্ব
এই পুরো সিরিজের এই অংশটাই সবচেয়ে জটিল।
এই অংশে তাত্বিক আলাপের পাশাপাশি অন্ততঃ একজন রিয়েল লাইফ গৌস্টির সাথে আলাপ করে তাত্বিক জ্ঞানের সাথে তাঁর অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নিয়ে লিখছি।

প্রথমে তাত্বিক আলাপ করি:
গৌস্টেড হবার পর একজন গৌস্টির উপর সেটার প্রভাব পড়ে ধাপে ধাপে:
প্রথম ধাপ: অস্বীকার করা
গৌস্টির পয়েন্ট অব ভিউ থেকে তখনও সম্পর্কটা উত্তপ্ত অবস্থায় আছে।

বিস্তারিত»

গৌস্টিং: নতুন অনলাইন উৎপাত-২

প্রথম পর্ব: গৌস্টিং: নতুন অনলাইন উৎপাত-১

চার: ইন্ডিকেশনস
যিনি গৌস্টিং এর শিকার হন, বেশিরভাগ সময়েই তাঁর কাছে মনেহয় সেটা ঘটেছে হঠাৎ করেই। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই উনি বুঝতে পারতেন, কিছু কিছু ইন্ডিকেশন আসলে আগে থেকেই আসছিল। এই যেমন:
১) প্রথম টেক্সট বা আলাপটা ঐপক্ষ থেকে আসা কমে যাওয়া বা এক্কেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়া।
২) পাঠানো টেক্সটের দায়সারা, ছোট্টো,

বিস্তারিত»

গৌস্টিং: নতুন অনলাইন উৎপাত-১

এক: কি এবং কেন?
প্রযুক্তি দিনেদিনে অনেক কিছুই সহজ করে দিয়েছে, এটা যেমন ঠিক, এটাও ঠিক যে তা অন্য অনেক নতুন নতুন সমস্যার সুত্রপাত করেছে।
গৌস্টিং (Ghosting) হলো প্রযুক্তির সৃষ্ট সেরকম এক উৎপাত…
সোশাল মিডিয়া, সেলফোন, ডেটিং সাইট ইত্যাদির কারনে মানুষের একাকিত্ব ও তাতে ভোগাটা এখন আর আগের মত নাই।
আবার এটাও ঠিক যে এসব আছে বলেই অনেক সময়েই আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী সোশালাইজড ও কানেক্টেড হয়ে যাচ্ছি।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-২

আমার এই লেখাটা সকল শিক্ষার্থী মায়েদের উৎসর্গ করা হলো।

প্রায় ১৭ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার জীবনে আজ আমার একটা অন্য রকমের অভিজ্ঞতা হলো। ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া ক্যাম্পাসে আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েটের “বিজনেস ইংলিশ” কোর্সের একটা ৩০ মিনিটের ক্লাস টেস্ট নেয়া হবে। ক্লাসে দেখি এক ছাত্রী তার ছোট্ট বাচ্চাটাকে নিয়ে এসেছে, বাচ্চাটা তার কোলে ঘুমাচ্ছে। পরীক্ষার দিনে বাচ্চাকে সাথে নিয়ে এসেছে কেন, এই প্রশ্ন করাতে মেয়েটা জানালো যে, আজ বাচ্চাটাকে কারো কাছে রেখে আসার মত তার বাসায় কেউই ছিল না।

বিস্তারিত»

নাই কাজ তো খৈ ভাজ

আমার একান্ত ব্যাক্তিগত চিরশত্রু ক্যামেরা অপারেটর-কে ভীষণভাবে মিস করছি। উনি গেছেন বাচ্চা-সমেত বাপের বাড়ি। আমার প্রিয় শিল্পী অঞ্জন দত্ত-কে নিজের মতন করে গাওয়ার চেষ্টা করলাম। গান নাহয় নাই বা পারি, কিন্তু ওই যে, “শখের তোলা আশি টাকা”। সাউন্ডের দূর্বল অবস্থার জন্য সিলিং ফ্যানটা অনেকটাই দায়ি। আর বাকি দোষ আমার ক্যামেরা অপারেটরের। সে না থাকায় কী-বোর্ডের গায়ে একটা মিনি-স্ট্যান্ড এটাচ করে মোবাইল ফোনটাকে সাপোর্ট দিয়ে রেকর্ড করতে হলো।

বিস্তারিত»