ঘন্টা কাহিনী

ঘন্টার ইতিহাস প্রাচীন। কবে কোথায় এর উৎপত্তি জানিনা। তবে সব দেশে সব কালেই যেন এর ব্যবহার ছিল। গীর্জা মন্দির থেকে রেল ইষ্টিশান হয়ে বেড়ালের গলা – কোথায় নেই! ইশকুল এবং জেলখানাতে ওটা থাকবেই। শেষোক্ত প্রতিষ্ঠান দুটোর মধ্যে কি একটা অন্তঃমিল আছে যেন।

আকার প্রকারে ঘন্টা সমাজে দুই গোত্র- একটা মোচার খোলের মতো, ভেতরে হাতুড়ি ঝুলছে। উঁচু ঘন্টাঘরে কায়দা করে জিনিসটা ঝোলানো। দড়িদড়ার সাহায্যে ওটাকে এদিক ওদিক দুলিয়ে বাজাতে হয়।

বিস্তারিত»

আসমত ভাইয়ের শিঙ্গা

গিডিয়নের শিঙ্গা নামে এক খানা বিখ্যাত উপন্যাস আছে। লেখার নামটি ধার করেছি সেখান থেকে। বিষয়বস্তু অবশ্য একেবারেই ভিন্ন। শিঙ্গা অর্থাৎ বিউগল যথেষ্ট পুরোনো জিনিষ, সেই আদ্দিকাল থেকে যুদ্ধের ময়দানে এটার ব্যবহার হয়ে আসছে। যন্ত্রটা বাজানো বেশ কঠিন, এতে দম ও কৌশল দুটোই লাগে। যুদ্ধের ময়দান আর সামরিক কুচকাওয়াজ ছাড়াও শিঙ্গার বাদন যে অন্য কাজেও লাগে তা জানলাম আসমত ভাইয়ের কল্যাণে।

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ- দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ।

বিস্তারিত»

পথ হারানো শিশুর মতন

সুখে দুঃখে যাকে খুঁজি,
সে তো আছে আমাতে ডুবি,
রক্তধারায় শিরায় শিরায়
মগজে মননে,
শয়নে স্বপনে,
তবু তারে খুঁজি অবচেতনে।

ব্যথা বেদনায় তারেই খুঁজি,
নিশীর আঁধারে, দিবার আলোতে,
নিদ্রা সজাগে, মন্দ ভালোতে,
হাসির ঝিলিকে, অশ্রুজলে।
এক পথ হারানো শিশু যেমন
মাকে খোঁজে, চোখের আড়ালে!

ঢাকা
১২ জুন ২০২০

বিস্তারিত»

করোনাকালের পংক্তিমালা

১.
কর্ণ লতিকা বর্গা দিয়েছি ঝুমকো দুলের কাছে
কর্ণ কুহরে ইয়ারফোনের মোহর,
রোদ চশমায় চোখ ঢেকে রেখে আমি
ভুলে যেতে চাই ক্রান্তিকালের প্রহর.

২.
গাণিতিক থেকে জ্যামিতিক হয়
সংখ্যার ধারাপাত,
অন্তর্জালে কমেন্ট বন্যা
প্রলয়ে বালির বাঁধ.

৩.
কালো মেঘ দেখে প্রত্যাশা আঁকি
কালবোশেখের প্রলয়,
হয়তো ভাসাবে প্রবল বাতাসে
এই যে দুঃসময়.

বিস্তারিত»

সুবচন নির্বাসনে

১৯৯২ সালে ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগে বাবার সাথে বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে একটা নাটক দেখেছিলাম- নাম ছিল “সুবচন নির্বাসনে”। নাটকটিতে তিনটা প্রবাদ বাক্য (সুবচন) মিথ্যা প্রমানিত হয়।

নাটকে একজন স্কুল মাস্টারের তিন ছেলেমেয়ে- বড় ছেলে স্বপন সেকেন্ড ডিভিশনে এমএ পাশ করে একটা অফিসে চাকরির ইন্টারভিউ দেয়, সেখানে তাঁর থার্ড ডিভিশনে পাশ করা এক বন্ধু ঘুষ দিয়ে চাকরিটা বাগিয়ে নেয়। “সততাই সর্বোতকৃষ্ট পন্থা”

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি (৩)… আজ বাইরে কোথাও যাচ্ছিনা, তাই ইতিহাস নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটি

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি (২)… ‘মেরী ক্রিস্টমাস ডে’ – ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

গতরাতে মেরী ক্রিস্টমাস উপলক্ষে নগরীর আলোকসজ্জা দেখে বাসায় ফিরে ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল, তাই আজ, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ এ আর কোথাও বের হবোনা বলে মনে মনে ঠিক করলাম, স্ত্রীকেও রাজী করালাম। আর বের যখন হবোই না, তখন ঘরে বসে ল্যাপটপ খুলে বসার অসামান্য সুযোগ পেয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

~ বকুলের ঘ্রাণ ~

মধুমাসে মৌ মৌ ফুল গন্ধের সাথে
বাতাসে উড়ছে ধবধবে এপ্রোনের খুঁট
ঘরের ভিতর টুকরো মেঘের ভেলা
যেনো খুঁজে পেয়েছে
সংসারে ফেলে যাওয়া তার
অতল স্মৃতির ঘাটে বাঁধা অমূল্য পল্টুন
পড়ার ঘরে আধো আলোয় নিস্তব্ধ ছেলেটার
উড়ুক্কু বইয়ের পাতায় খেলা করে শুধু
নিস্পন্দ নিথর বাবার ঘুমন্ত মুখ
টিপয়ে সাজানো ফুলদানি খানি
ফাঁকা গল্পের আলপনা ভেবে
এক মনে ধরে থাকে দেবযানী
শেষ চুম্বনের গন্ধ তখনও তাজা
কপোলে তার যতোই ভাসুক
শেষ দেখা না হবার অব্যক্ত বেদনা

মায়ের চোখে ভিজেছে প্রার্থনার হাত
স্মৃতির ফলায় যতোটা ছিঁড়ে নিলে
ভেসে ওঠে উপড়ানো বৃক্ষের শিকড়
বল্কলের প্রলেপে প্রলেপে মিশে
গায়ে লেগে থাকে প্রথম চুম্বনে মাখামাখি
সন্তানের অমূল্য ভাপখানি
সেই মাপে ভেঙেচুরে উপচে ওঠে
পাঁজর দাপানো জলোচ্ছ্বাস

শয়ানে গিয়েছে যে ফেলে রেখে পাতলুন
রোজকার হাতে বাঁধা কলম কিংবা ঘড়ি
স্তব্ধ মুঠোফোনে সহস্র কথার বুনন ঘিরে
ছড়িয়ে রাখা সখ্যের সালতামামি
এই যে এতো সব বাগান উঠোন এলো ঘরদোর
এইখানে আজও এলো ভোর
তোমার সিথানে ভেঁজা মাটি জানি
আলিঙ্গনে বেঁধেছে নতুন ডোর

তুমি নিরালায় ফিসফাস
ছুঁড়ে দিচ্ছো না বলা কথার দীর্ঘশ্বাস
সহস্র সংলাপ গাথা অনুক্ত ভালোবাসা
বুকে তুলে রাখা অযুত কলতান
গোনাগুনতিহীন আনন্দ উচ্ছ্বাস দুঃখ বেদনা
সখ্যের দুরন্ত আলাপ
যা কিছু যতনে
তুলে রাখা ছিলো গভীর গোপনে
কখনো কোনো নিরালা দুপুর সন্ধ্যা কিংবা
পড়ন্ত বিকেল জুড়ে
একলা প্রহরে নিমগ্ন গভীর স্বরে
একাগ্রে কাউকে বলবে বলে

কিছু অনুযোগ
খুনসুটির ময়ান মাখা বাখরখানি
চারকোলের তপ্ত আঁচে আঙুল ছোঁয়া
স্পর্শ আঁকা কথার বকুল
যেটুকু জানতো শুধুই দেবযানী
কিংবা ধুন্ধুমার এক ঝগড়া
জমিয়ে রাখা সাতশো গালাগালের মরমী মাখা
ওই অতটুকু শৈশবের চাতালে
হাফ প্যান্টের পকেট ভর্তি মার্বেলে
খুব মারকুটে এক খেলার বিবাদ
গলার সবক’টা রগ ফুলিয়ে তীব্র বিসম্বাদ
মিহি মসলিন একটা সকাল ফালি ফালি করার মতো
তীব্র স্বরে রাগ সপ্তমী সাধার তান
বোনের কিংবা ভায়ের
আম-কাঁঠালের ভাগ-বাটোয়া’

বিস্তারিত»

প্রেম-বন্ধুত্ব-যৌনতা: বিবিধ মিথস্ক্রিয়া

এক
প্রেম-বন্ধুত্ব-যৌনতা:` এই তিনের মিথোস্ক্রিয়া নিয়ে একটা ভ্যান-ডায়াগ্রাম আছে।
এটা খুব একটা রিসার্চড কিনা, জানি না, তবুও ইন্টারেস্টিং!!!
এই লেখাটা তা নিয়েই।
ভ্যান-ডায়াগ্রামটি পরীক্ষিত হোক বা না হোক, দিস ক্যান বি ইউজড ইন এক্সপ্লেইনিং মেনি থিং এবাউট রিলেশনশীপ।
সেদিন বন্ধুদের আলাপে উঠে এলো, আজকাল ডিভোর্স বেড়ে যাওয়ার ইস্যুটি।
ভাবলাম, এই ভ্যান-ডায়াগ্রাম দিয়ে একটা ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করি……

বিস্তারিত»

ভয়

নিম্নচাপের ধাক্কায়, গভীর রাতে রুম থেকে ভয়ে ভয়ে বের হলাম। ড্রাইং রুম থেকে টয়লেটের মাঝামাঝি একটু খোলামেলা। আলো-আঁধারি মাখা ওই অংশটা আগে অতটা অনুভব করিনি, যতটা আমি অনুভব করছিলাম, ঐ গভীর রাতে, একলা। সুতরাং ওই জায়গাটা যতই কাছে চলে আসতে লাগলো ততই একটা ছমছমে অনুভূতি (শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা সাপ নেমে যাওয়ার মত), raw একটা অনুভুতি আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেললো। শুধু তাই না, মাটিতে অবস্থিত চারদিক ঘেরাও করে রাখা দেয়ালের ছোট্ট একটা কাঠামো (হয়তো তাতে ময়লা আবর্জনা রাখা বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করার জন্য) যা কিনা দিনের আলোতে প্রাণহীন নিরীহ কাঠামো ছিল আমার চোখে,

বিস্তারিত»

What happens in Swandip, stays in Swandip

এই ট্যুরের গল্পটা বলা যায়। যদিও এতদিন ‘what happens in Swandip stays in Swandip’ মোড়কে গল্পটা চাপা রাখার পরিকল্পনা ছিল। কোন এক নববর্ষের গল্প। ইচ্ছা ছিল বছরের প্রথমদিনটা বাইরে থাকব। খোলা আকাশের নীচে। হাজারো তারার নীচে। বেছে নিলাম সন্দীপের আকাশ। দ্বীপ ভ্রমণ বলতে এর আগে নিঝুম দ্বীপ আর সেন্ট মার্টিন। তাই দ্বীপ ভ্রমণের প্যাটার্ন ঠিক তখনো ধরতে পারিনি। জায়গা নির্বাচন যে ভুল সেটা ধরতে পারি সন্দীপ পৌছে।

বিস্তারিত»

এই ভালো, তবে এই ভালো….

তুমি একটা কিছু বললেই,
আমি চুম্বকের মত আকর্ষিত হই,
অভিভূত হই, আলোড়িত হই।
তোমার অদেখা মুখটা খুঁজতে থাকি,
চোখ দুটো খুঁজি, চোখের তারা খুঁজি।
আমার কান দুটো অতন্দ্র প্রহরীর মত
জেগে থাকে, শিশিরের শব্দ শোনার মত
তোমার মিহিসুর কন্ঠ শোনার জন্য।

কিন্তু এসব কোন কিছুই যখন হবার নয়,
যখন জানি, এ দু’চোখ তোমাকে
খুঁজে পাবে না,

বিস্তারিত»

বইটির নাম ”Bookie Gambler Fixer Spy” শেষ পর্ব

এড হকিন্স এর লেখা Bookie Gambler Fixer Spy বইটির দুইটি অধ্যায় আমার পরিচিত ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য অনুবাদ শুরু করেছি। ঠিক অনুবাদ নয়, ভাবানুবাদ। আকারে বেশি বড় হয়ে যাবার কারণে কিছু অনুচ্ছেদ আমি বাদ দিয়েছি।

যাই হোক, আজ সেটার তৃতীয় কিস্তি শেয়ার করছি। মনে রাখবেন স্পয়লার এলার্ট কিন্তু আগেই দিয়ে রাখছি। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। কারণ ‘It will change the way you look at cricket!’

বিস্তারিত»

বইটির নাম ”Bookie Gambler Fixer Spy” ৪র্থ পর্ব

এড হকিন্স এর লেখা Bookie Gambler Fixer Spy বইটির দুইটি অধ্যায় আমার পরিচিত ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য অনুবাদ শুরু করেছি। ঠিক অনুবাদ নয়, ভাবানুবাদ। আকারে বেশি বড় হয়ে যাবার কারণে কিছু অনুচ্ছেদ আমি বাদ দিয়েছি।

যাই হোক, আজ সেটার তৃতীয় কিস্তি শেয়ার করছি। মনে রাখবেন স্পয়লার এলার্ট কিন্তু আগেই দিয়ে রাখছি। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। কারণ ‘It will change the way you look at cricket!’

বিস্তারিত»