আমার একান্ত ব্যাক্তিগত চিরশত্রু ক্যামেরা অপারেটর-কে ভীষণভাবে মিস করছি। উনি গেছেন বাচ্চা-সমেত বাপের বাড়ি। আমার প্রিয় শিল্পী অঞ্জন দত্ত-কে নিজের মতন করে গাওয়ার চেষ্টা করলাম। গান নাহয় নাই বা পারি, কিন্তু ওই যে, “শখের তোলা আশি টাকা”। সাউন্ডের দূর্বল অবস্থার জন্য সিলিং ফ্যানটা অনেকটাই দায়ি। আর বাকি দোষ আমার ক্যামেরা অপারেটরের। সে না থাকায় কী-বোর্ডের গায়ে একটা মিনি-স্ট্যান্ড এটাচ করে মোবাইল ফোনটাকে সাপোর্ট দিয়ে রেকর্ড করতে হলো। এতটা কাছ থেকে রেকর্ডিং-এর কারনে নোয়াইজ বেশিই হলো মনে হচ্ছে।
ক্যাডেট কলেজে বেশিরভাগ লোকগীতি গেয়েছি। সেটাতেই কম্ফোর্ট বেশি পাই। উচ্চারণ নিয়ে তেমন মাথা না ঘামালেও চলে। কিন্তু অন্য কোন গান গাইতে গেলে উচ্চারণের টেনশন কাজ করে। হাজার হোক আমরা তো কথ্য উচ্চারণেই অভ্যস্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সুর-তাল-ছন্দ-লয় এসব আসলে আমার মতন এ্যামেচারের জন্য বেশ টাফ। তারপরেও কত যে ভুল করছি তা ভাবতেই লজ্জা লাগে। আমরা যারা নিয়মিতভাবে কথ্য বাংলায় অভ্যস্ত, আমাদের জন্য অল্পপ্রান-মহাপ্রান এবং ঘোষ-অঘোষ ধ্বনির সঠিক ব্যাবহারটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারন কথপোকথনেই আমারা তালগোল পাকিয়ে ফেলি। গানের ব্যাপারটা আমার কাছে আরো জটিল মনে হয়। সাহস হারিয়ে ফেলি মাঝে মধ্যে।
সবাই শুধু 2441139 নিয়েই মাতামাতি করে গেল। আমার কাছে কেন যেন এই “দাস বাবুর কেবিন” লিরিকটা আরো বেশি এ্যাপিলিং মনে হয়। এই গানটা যতবার শুনি বা এর কথাগুলো যতবার ভাবি, আমার মনে হয়, আমি যেন সবকিছুই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি … সাদামাটা কিছু তরুণ-তরুণীর চেহারা, সাধারন পোষাক, কাঁধে সস্তা দামের ব্যাগ।
ভালোই গেয়েছো আহমদ
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ, ভাইয়া।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম