মেলবোর্নের দিনলিপি (৩)… আজ বাইরে কোথাও যাচ্ছিনা, তাই ইতিহাস নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটি

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি (২)… ‘মেরী ক্রিস্টমাস ডে’ – ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

গতরাতে মেরী ক্রিস্টমাস উপলক্ষে নগরীর আলোকসজ্জা দেখে বাসায় ফিরে ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল, তাই আজ, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ এ আর কোথাও বের হবোনা বলে মনে মনে ঠিক করলাম, স্ত্রীকেও রাজী করালাম। আর বের যখন হবোই না, তখন ঘরে বসে ল্যাপটপ খুলে বসার অসামান্য সুযোগ পেয়ে গেলাম। মেলবোর্ন শহর এবং এখানকার অধিবাসীদের জীবন প্রণালী সম্পর্কে, বিশেষ করে আমরা যেখানে থাকি, সেই মুরাব্বিন উপশহরটি (সাবার্ব) সম্পর্কে কিছুটা তথ্য জানার চেষ্টা শুরু করলাম।

মেলবোর্নের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
২৯ এপ্রিল ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ নাবিক জেমস কুক অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব তীরে নেমে প্রথম উপলব্ধি করেন যে এটা একটি নতুন, অনাবিস্কৃত দেশ। তারও অনেক পরে, ১৮৩৫ সালে Van Diemen’s Land (বর্তমানে তাসমানিয়া) থেকে আগত সমুদ্রচারীগণ কর্তৃক মেলবোর্ন শহরটিতে ইয়ারা নদীর তীরে প্রথম বসতি স্থাপন শুরু হয়। ইতিহাসে John Batman এর নামই The founder of Melbourne হিসেবে লেখা আছে, যদিও মেলবোর্নে অন্যতম আদি বসতি স্থাপনকারী John Pascoe Fawkner এর নামও অনেকে উল্লেখ করে থাকেন। তার নামে এখনও মেলবোর্নের ১২ কিমি উত্তরে সিডনী রোড সংলগ্ন “ফকনার সাবার্ব” রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইটালী থেকে এখানে অনেক মানুষ এসে বসতি গড়েন। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর হিসেব অনুযায়ী অস্ট্রেলীয়ায় জন্মগহণকারী নাগরিকদের পরে ওরাই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তার পরে রয়েছে পাকিস্তানী এবং ইরাকীরা।

মেলবোর্নের প্রাচীন নাম ছিল Batmania এবং তারও আগে ছিল Bearbrass। ১৮৩৭ সালের ১০ই এপ্রিল Governor Richard Bourke তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী Lord Melbourne এর সম্মানে তার নামানুসারে শহরটির নতুন নামকরণ করেন Melbourne। সঙ্গীত, শিল্পকলা, কৃষ্টি ও ঐত্যিহ্যের লালন, ধারণ, বরণ, উদযাপন এবং বিকাশের জন্য মেলবোর্নকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী। আধুনিক যুগে বছরের পর বছর ধরে শহরটি তার সুশৃঙ্খল যোগাযোগ ও বসতি ব্যবস্থা এবং নাগরিক সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, নাগরিক বান্ধব প্রশাসন, স্থিতিশীল ও আসঞ্জনশীল সমাজব্যবস্থা, উত্তম স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যবস্থা, ইত্যাদি কারণে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাসযোগ্য ও কর্মযোগ্য শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছে।

১৮৫১ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে স্বর্ণখনি আবিষ্কৃত হবার পর থেকে শহরটির উত্তরোত্তর প্রসার ঘটে এবং ১৮৬৫ সালে জনবহুল শহর হিসেবে তা সিডনীকে অতিক্রম করে যায়। ১৮৮০ এর দশকে মেলবোর্ন বিশ্বের অন্যতম সম্পদশালী শহরে পরিণত হয়। ট্রাম, রেল ও সড়ক পথে একাধিক গণমুখী পরিবহণ ব্যবস্থা, সহজ জীবনাচার, নিম্ন অপরাধ পরিসংখ্যান, সহজলভ্য কর্মসংস্থান, উন্নত মানের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং শিল্প ও সাহিত্যের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতার কারণে মেলবোর্ন অতি সহজেই একটা জনপ্রিয় শহরে পরিণত হয়েছে। শহরের বুকে বিস্তৃত মহাসড়ক (ফ্রীওয়ে), সড়ক (হাইওয়ে), জনপথ (স্ট্রীট), অলিগলি (লেইন) – সবই একটি সুবিন্যস্ত, সুচিহ্নিত, সুগ্রন্থিত ও সুব্যবস্থাপনাসমৃদ্ধ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত। ফলে, গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে অতি সহজেই কাছের ও দূরের, ছোট ও বড়, জনবহুল ও জনবিরল, যে কোন জায়গায় অনায়াসে পৌঁছানো যায়। বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষজনের খাদ্যাভাসের অনুকূল সব ধরণের বাজেটের রেস্তোরাঁ বিপণীর সহজলভ্যতাও শহরটির জনপ্রিয়তার একটি বড় কারণ। পথে প্রান্তরে আনাচে কানাচে যে কোন জায়গায় চমৎকার কফিপানের সুযোগ সহজলভ্য হবার কারণে মেলবোর্নকে Coffee capital of the world ও বলা হয়ে থাকে।

মেলবোর্ন ভিক্টোরিয়া প্রদেশের অন্তর্গত। উন্নত মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভিক্টোরিয়ানদেরকে সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও প্রতিষেধন সেবা দিয়ে থাকে। বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে রোগীরা নিজে কিংবা তাদের ইন্সিওরেন্স কোম্পানীর মাধ্যমে উচ্চমূল্য পরিশোধ করে উচ্চমানের চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়ার একটি অন্যতম পরিবেশবান্ধব শহর। এখানে চার সদস্যের একটি পরিবারের জন্য কস্ট অভ লিভিং বা জীবন ধারণ ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে মাসিক সাড়ে চার হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার (বাড়ী ভাড়া ব্যতীত), যা নিউইয়র্কের জীবন ধারণ ব্যয়ের চেয়ে ৩০% কম। বেশীরভাগ অস্ট্রেলীয়রা বন্ধুবৎসল এবং সহজাচরণ (ঈজি গোয়িং) স্বভাবের হয়ে থাকে। তাদের কৌতুকবোধ প্রখর। কাজের সময়টুকু তারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে বাড়ী ফেরার পথে কিছুটা সময় সস্ত্রীক কিংবা সবান্ধব ‘পাব’ এ কিংবা রেস্তোরাঁয় বসে পানাহার করে তবে বাড়ী ফেরে। আর সপ্তাহান্তে প্রায় সবাই বেড়িয়ে পড়ে যার যার শখ অনুযায়ী আনন্দ অন্বেষণে। অস্ট্রেলীয়রা খেলাধুলা খুব পছন্দ করে। ১৯৫৬ সালে ওরা মেলবোর্ন অলিম্পিক্স এর স্বাগতিক শহর ছিল। এর ৪৪ বছর পরে অস্ট্রেলিয়া পুনরায় স্বাগতিক দেশ হিসেবে সিডনী অলিম্পিক্স – ২০০০ বা মিলেনিয়াম অলিম্পিক্স – ২০০০ আয়োজন করে সিডনী শহরে। আর ইয়ারা পার্কে অবস্থিত ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা MCG এর কথা তো না বললেই নয়, যা বিশ্বের একাদশতম এবং দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে বৃহত্তম স্টেডিয়াম। দর্শক ধারণ ক্ষমতা হিসেবে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৮৭৭ সালে এই মাঠেই ইংল্যান্ড ও অস্টেলিয়ার মাঝে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে জয়লাভ করে, মূলতঃ Charles Bannerman এর অপরাজিত ১৬৫ রানের বদৌলতে। প্রথম টেস্ট ম্যাচেই এ মাঠে ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরী এবং প্রথম “ডাক” (শূন্য) স্কোর করা হয়। টেস্ট ম্যাচের মত বিশ্বের প্রথম ODI ম্যাচও এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে, সেই একই দুই দলের মধ্যে।

এ ছাড়া ফুটি (Footy) নামে ওদের নিজস্ব এক ধরণের ফুটবল খেলা আছে, যা খুবই জনপ্রিয়। প্রতিদলে ১৮ জন খেলোয়াড় নিয়ে এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সনাতন ফুটবল, রাগবি, ক্রিকেট ও টেনিস এদের প্রিয় খেলা। সবাই কিছু না কিছু খেলে। চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দূর পাল্লার সাইক্লিং এ এদের নারী পুরুষের ক্লান্তিহীন বিচরণ দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়। কখনো বা সুন্দর কোন প্রাকৃতিক পরিবেশে গিয়ে এরা তাঁবু গেড়ে একটি বা দু’টি রাত একান্তে কাটিয়ে আসে, যার নাম ক্যাম্পিং। এসব প্রতিটি এলাকায় বার্বিকিউ এর সুব্যবস্থা আছে, সেখানেই দু’জনে নিরিবিলি বসে সাথে নিয়ে যাওয়া খাবার দাবার প্রস্তুত করে খায়, তারপরে হয়তো বেড়িয়ে পড়ে নিকটস্থ সাগর তীরে কিংবা হ্রদে সাতার কাঁটার জন্য। বহিরাঙ্গণ কর্মকান্ডের জন্য এরা বেশ ফিট থাকে, মেদবহুল লোকজন খুব বেশী দেখা যায়না। ২০১৩ সালে আমেরিকা ভ্রমণের সময় আমি হরহামেশা অবিশ্বাস্য রকমের মোটা নারী পুরুষ দেখেছি। এখানে আজও পর্যন্ত সেরকম একটাও অতি স্থূলকায় মানুষ আমার চোখে পড়েনি।

মুরাব্বিনঃ

প্রচলিত ধারণা, ‘মুরাব্বিন’ শব্দটি এখানকার প্রাচীন আদিবাসীদের ‘মূরূবূন’ (Moorooboon) শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে, যার অর্থ ‘বিশ্রামস্থল’। আবার আরেকটি মতবাদ হলো, ‘মূরূবূন’ শব্দের মূল অর্থ ‘মাতৃদুগ্ধ’, রূপান্তরিত অর্থ ‘বিশ্রামস্থল’। এর কারণ, প্রাচীনকালে এই সমতলভূমিতে ক্ষেতে খামারে কাজ করার সময় নারীগণ এখানে একত্রিত হয়ে তাদের শিশুদের স্তন্যদান করতেন এবং বিশ্রাম নিতেন, যখন পুরুষেরা আরও সম্মুখের ভূমিসমূহে কাজ করতে যেতেন। মুরাব্বিন কালক্রমে কৃষি খামার ও শস্যক্ষেত্র হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে। Wesleyan church কর্তৃক ১৮৫৪ সালে এখানে প্রথম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ১৮৭২ সালে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ১৮৫৭ সালের ০১ সেপ্টেম্বরে ‘সাউথ ব্রাইটন’ নামে যে ডাকঘরটি চালু করা হয়েছিল, কালান্তরে ১৯০৯ সালে সেটাকে নতুন করে ‘মুরাব্বিন’ নামকরণ করা হয়। অবশ্য আরও পরে ১৯৬০ সালে ‘মুরাব্বিন ঈস্ট’ নামে আরেকটি নতুন ডাকঘর স্থাপন করা হয়। একইভাবে, ফ্লিন্ডার্স স্ট্রীট-ফ্র্যাঙ্কস্টন লাইনে ১৮৮১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে বর্তমানের মুরাব্বিন এলাকায় যে রেল স্টেশনটির উদ্বোধন করা হয়েছিল, সেটির আদি নাম ছিল ‘সাউথ ব্রাইটন’। পরে ০১ মে ১৯০৭ সালে স্টেশনটির নাম পরিবর্তন করে ‘মুরাব্বিন’ রাখা হয়। মুরাব্বিন থেকে মেলবোর্ন শহরমুখি ফ্লিন্ডার্স স্ট্রীট পর্যন্ত রেলপথটি তিন লেনের, কিন্তু মুরাব্বিন থেকে ফ্র্যাঙ্কস্টন পর্যন্ত রেলপথটি দুই লেনের। ফ্লিন্ডার্স স্ট্রীট-ফ্র্যাঙ্কস্টন লাইনটি মোট ৪৩ কি.মি দীর্ঘ, পথে মোট ৩০টি স্টেশন রয়েছে।

মেলবোর্নের ১৬ কি.মি দক্ষিণ-পূর্বে নেপীয়ান হাইওয়ের দু’ধারে অবস্থিত মুরাব্বিন মূলতঃ একটি আবাসিক উপশহর হলেও এখানে কিছু শিল্পাঞ্চলও রয়েছে। ‘মুরাব্বিন ঈস্ট’ এলাকায় প্রধানতঃ খাদ্য ও পানীয় শিল্প গড়ে উঠে। এলাকাটি সমতলভূমি হওয়াতে ১৯২০ সালে এখানে একটি বিমানবন্দর স্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে সেটি অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিগণিত হয়, যেখানে কেবল ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরণের প্লেন ওঠা নামা করতো। এমনকি ২০১১ সালেও এটি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় বৈমানিক হ্যারী জর্জ হকার এর জন্মশত বার্ষিকীতে তাকে সম্মান জানিয়ে বিমানবন্দরটির নাম রাখা হয় “মুরাব্বিন হ্যারী হকার বিমানবন্দর” (Moorabbin Harry Hawker Airport)।

১৮৭১ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মুরাব্বিন একটি পৌরসভা (মিউনিসিপ্যালিটি) হিসেবে ছিল, তার পরে সিটি কাউন্সিলে উন্নীত হয়। মুরাব্বিন রেলস্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বস্থ এলাকায় সিটি কাউন্সিলের অফিস, আর্ট গ্যালারী ও নাট্যমঞ্চ অবস্থিত। পোর্ট ফিলিপ বে থেকে এটি মাত্র ৩ কি.মি দূরে অবস্থিত। আমরা যে এপার্টমেন্টে থাকি, সেটি থেকে রেলস্টেশন এবং বাস স্টেশন, উভয়টিই মাত্র দুই মিনিটের হাঁটাপথ। কমিউনিটি লিভিং এর জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই দশ মিনিটের হাঁটা পথের ভেতরেই আছে। ৪ কি.মি দূরে আছে উপসাগরের তীর, যার সমান্তরালে নেপীয়ান হাইওয়ে এবং ফ্র্যাঙ্কস্টন লাইনের রেলপথটি চলে গেছে।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া। তথ্যের বর্ণনাঃ লেখকের।

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

৩,২৪৪ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “মেলবোর্নের দিনলিপি (৩)… আজ বাইরে কোথাও যাচ্ছিনা, তাই ইতিহাস নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটি”

    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      "এখানে কি অস্ট্রেলিয়ান কোন আদিবাসী বসবাস করে?" - মেলবোর্নে কোন আদিবাসী আমার চোখে পড়ে নাই, তবে আছে। বেশী দেখেছি সিডনীতে। অন্যান্য জায়গাতেও নিশ্চয়ই অনেক আদিবাসী আছে, নইলে অস্ট্রেলিয়া সরকার কেন "আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়" চালু রেখেছে!
      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।