১…
ঘর থেকে দু’ পা ফেলে আশুলিয়া কিংবা ফ্যান্টাসী কিংডম যাওয়ার তিনদিন আগে থেকেই, পোলাপান সবাইকে সেটা জানান দেয় ফেসবুকের কল্যানে। এসে আরেকদফা। বেলা এগারোটায় জিহাদ ফোন করে একঘন্টার মধ্যে বিরিসিরি যাওয়ার প্রস্তাব দিতে শুরুতেই আমার মনে আসলো আগের কথাটা। ইসস!! এতো সুন্দর একটা জায়গায় যাচ্ছি, অথচ মাইক দিয়ে জানান দিতে পারলাম না। আমার কাছে পয়সা-পাতি কখনোই তেমন একটা থাকেনা। কিন্তু সেদিন (শনিবার) প্রায় সাতশ টাকার মতো ছিল। আমি দুই হাজার টাকায় সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে আসছি, একহাজার টাকায় কুয়াকাটা- তাই বিরিসিরি যাওয়ার জন্য সাতশ টাকা বাজেট-ই আমার কাছে অনেক বেশী…
এর আগে বেশিরভাগ ভ্রমণ ছিল ক্যামেরাবিহীন। কিন্তু অনেকের কাছেই বিরিসিরির অপার্থিব সৌন্দর্যের কথা শুনে এবং ইদানিংকালে সচল, ফেসবুকে মানুষজনের সুন্দর সুন্দর ছবি দেখে মনে হলো একটা ক্যামেরা নিয়ে গেলে ভালোই হয়। কয়েকদিন হয় একজনের ঘাড়ে চড়ে বসেছি। কোনকিছু দরকার হলেই তারে বলি, তিনি আলাদিনের দৈত্যের মতো নিমেষেই তা হাজির করে দেন। জি-টকে তাকে পাওয়া গেলো। ভণিতা ছাড়াই বললাম, ক্যামেরা দেন। বিরিসিরি যাবো। তিনিও ভণিতা না করেই বললেন, নিয়ে যাও- তবে খুব খিয়াল কইরা।
২…
গতবার ছুটিতে বান্দরবন গেলাম- এসে প্রবল উৎসাহে মেসেঞ্জারে একজনকে ভ্রমণের বৃত্তান্ত দিচ্ছি। অনেকক্ষণ শোনার পর সে বললো- খালি তো কেমনে গেলি, বাস ভাড়া কেমন, রাস্তা কেমন সেটাই বললি…এতো সুন্দর একটা জায়গার দেখে আসলি অথচ সেটার বর্ণনাই দিলি না…
এই হলো আমার অবস্থা। কোন জায়গায় গেলে আমি শুধু কিভাবে গেলাম সেইটার বর্ণনা দিতে পারি। অবারিত সৌন্দর্য কিংবা বহমান নদীর কথা বলতে পারি না- আমার এগুলো ঠিক আসেও না…
বিরিসিরি যাবার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি বাস রয়েছে। জিনাত পরিবহণ। তবে কয়েকদিন আগে আম্রিকার সৈন্যরা বাংলাদেশে বোমাবোমি করার কারণেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক এখন আর সরাসরি ঢাকা থেকে বিরিসিরি যাওয়া যায় না, কারণ যাত্রাপথে কয়েকটি ব্রীজ পড়ে- সেগুলো ভেংগে গেছে…
আমাদের সাথে মহাজ্ঞানী মুহাম্মদ ছিল। ওর বাসা ময়মনসিংহ। আমরা রাতে ওর বাসায় থেকে, একটু ভালো মন্দ খেয়ে পরদিন সকালে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা করলাম…
সকালে ভালোমতো ডিম-পাউরুটি খেয়ে রওনা দেওয়া হলো বিরিসিরির উদ্দেশ্যে। বাসের অবস্থা জঘন্য। সিট কাভারগুলো ময়লা হতে হতে নতুন জুতার মতো চক চক করছে। এই বাসে তিন ঘন্টা কাটাতে হবে ভাবতেই মনটা ভরে গেল। বিরিসিরি ১২ থেকে ১৩ কি.মি দূরে; এমন সময় আমাদের বাস দাঁড়িয়ে গেলো। আর যাওয়া যাবে না। সামনে সেতু ভাংগা…আর্মির পোলাপাইন হলে এই ১২ কি.মি এক দৌড়ে পাড় হয়ে যেতো, কিন্তু আইইউটির তেলতেলে খাবার খেয়ে তেলতেলে হয়ে যাওয়া আমাদের সেই চিন্তা মাথাতেই আসলো না…
তারপরও আমরা অদৃষ্টের পথে যাত্রা শুরু করলাম। বেশ খানিকক্ষণ পর আমাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলো ট্রাক্টর নামক এক ভয়ানক জন্তু। তিনপদের চাকা দিয়ে সাজানো এই অদ্ভুত জীবটার পেছনে চড়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না। পশ্চাৎদেশে বাড়ি খেতে খেতে আমাদের মাথার ঘিলু হাঁটুতে নেমে আসলো। তাই বিরিসিরিতে নামার কথা থাকলেও আমরা আরো এগিয়ে চলে গেলাম সুসং দূর্গাপুর। এইবার কই যাই????
আশেপাশের মানুষদের বললাম, ভাই আমরা বিরিসিরি দেখতে আসছি- কি দেখে এইখানে সবাই? তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, নদী পার হয়ে হোন্ডা নিয়ে সীমান্তবর্তী বিজয়পুর নামে একটা জায়গা আছে। সেখানে বিডিআর ক্যাম্প আছে। আর আছে চীনা মাটির পাহাড়। আমরা তাই তাদের কথামতো বিডিআর জোয়ানদের দেখার উদ্দেশ্যে পরবর্তী যাত্রা শুরু করলাম…
৩…
গতবছরের শুরুতে হাজার হাজার মানুষের কাছে জাফলং এর কথা শুনে আমি যখন জাফলং এর মাটিতে পা ফেললাম, তখন মুখ দিয়ে একটা শব্দই বের হলো- “ও এই তাহলে সেই জাফলং”। আগে হয়তো ভালো ছিল, কিন্তু জাফলং এখন ভুয়া একটা জায়গা। মরা নদী, বালু বোঝাই ট্রাক আর সীমান্তের ওপারে ভারতের বাসা-বাড়ি ছাড়া জাফলং এ দেখার মতো কিছুই নেই…
বিজয়পুর পৌঁছে সেইখানে দুই মিটার উচ্চ পর্বত আরোহন করে আমার ঠিক একই কথা মনে হলো। ও এই তাহলে বিরিসিরি…একটু ছায়ার মতো বসে আমরা একে অন্যের মুখের দিকে তাকালাম। মুহিবকে বললাম, দোস্ত কিছুই তো ঘটলো না…তুই পোস্টে লিখবি কি? ওর বলে কিছু ঘটালেই হয়। আয় নগ্ন হয়ে নাচানাচি শুরু করি। আমি ওর কথার প্রচন্ড গুরুত্ব দিয়ে বললাম, কিন্তু মানুষজন আছে তো। ও বলে, আরে ধুর! পাহাড়িরা এইসব বুঝবে না…
কথাই চলতে থাকে। আমাদের কিছুই ঘটানো হয় না। উঠে যাবো এমন পর্যায়ে মুহাম্মদ ফেরার পথে চীনামাটির পাহাড়টা দেখার প্রস্তাব করলো…
এই জায়গাটায় এসে আমরা সত্যিকারের মুগ্ধ হলাম। হাঁটাহাটি করছি, এমন সময় এক টিলার উপরের থেকে জিহাদ ডাক দিলো- দেইখা যা…যা দেখলাম তাতে আমি সত্যিকারের মুগ্ধ…টিলা দিয়ে ঘেরা ছোট্ট একটা লেক…আকাশের চেয়েও নীল তার পানি…
ছবি তুলতে পারি না, খালি সাটার টিপে যেতে থাকলাম…যা হয় হবে…
এবার ফেরার পালা…ময়মনসিংহ ফিরে এসে আমরা যার যা পয়সা আছে গোণা শুরু করলাম। দেখা গেলো, ঢাকা আসার জন্য চার জনের বাস ভাড়া নেই…তিনজনের হয়ে যাবে…
কিন্তু কথায় আছে না- মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি। আমরাও উদ্ধার পেয়ে গেলাম…সবই কুদ্রত!!! B-)
ছবিগুলো বড়ই সুন্দ্র আসছে। বিরিশিরির কথা অনেক শুনছি কিন্তু কখনো ছবিও দেখি নাই, যাইহোক আজ দেখা হল। আরো অনেক জায়গায় যাও আরো ছবি দাও অপেক্ষায় রইলাম। কিন্তু একটা প্রশ্ন একজন কি কোলে বসে আসছিল? কে সেই জন?
না মিয়া কোলে বসে আসবে কেন?? আমরা দুইটা করে সিট নিয়ে মোট আটটা সিট দখন করে আসছিলাম- হাসা কইতাছি... বাস থেকে নামার পরেও আমার পকেটে ১০০ টাকা ছিল। সবি কুদ্রত!!
একটু আগেই সচল এ পড়লাম লেখাটা। সুন্দর। মন্তব্য দিতে পারি নাই, কারন অনেকদিন চেষ্টা করেও সদস্য হতে পারি নাই। সুন্দর লিখসো
ধন্যবাদ... ভাই।
আগেই পড়ছি, ভাবছিলাম হেইখানে কমেন্টও করি। কিন্তু কি করুম, ইচ্ছা করেনা।
তাই এইখানেই কই, লেখাতো ভালা হইছেই, ছবিগুলা আরো ভালা হইছে, ইস্পিশালি পাঁচ নাম্বার আর লাস্টটা তো একেবারে সেইরকম :boss:
এখন এইখানে কদেখি পঁচিশ হাজারি জিনিসটা কার?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সবাই দেখি পইড়া ফেলছি। ব্যাপার না। 🙂 🙂
আমার কাছে এক নম্বরটাও ভালো লাগছে। এক নম্বরটা যে আমি তুলছি বিশ্বাসই হইতে চায়না...
পচিঁশ হাজারি জিনিস :grr: :grr: দাড়ান একটু ঘুইরা আসি। তারপর কইতাছি... 😀 😀
😮
তোমার প্রায় প্রতিটা ছবিতেই পেশাদারী ছোঁয়া আছে... :clap:
পোলাপাইন এত বিনয় করবার পারে রে ভাই... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তাইলে একটা ক্যামেরা কিন্না দেন বস। মনের সুখে ছবি তুলে পুরাই পেশাদার হয়ে যাই 😉 😉
ছবিগুলা আসলেই ভালো হয়েছে। বিনয়টা মনে হয় স্বভাবেই করছে রায়হান, তাই না? আমারও একটা ক্যামেরা কেনা লাগবে! ক্যামেরার অভাবে আমার পরতিভা সব ধুলায় লুটাইতেছে :((
আস্লেই বস... আমার তো গতি হয়ে গেছে। কাম্রুল ভাই কিন্না দিবো। কিন্তু আপনার কি হইবো??
দেশে যেয়ে বিরিসিরি আর মিস নাই।
দেইখাই ছাড়ুম।
Life is Mad.
অবশ্যি। যাওয়ার আগে গাইড হিসেবে আমারে নিয়ে যাইয়েন।
চ্রম জায়গা তো ... চ্রম
ছবি সহ বিত্তান্তের জন্য রায়হান কে ধণ্যবাদ
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ধইন্যা পাতা...
মাইনাস। 😀
বিরিসিরি কে প্লাস।
যাই হোক, আমিও বিরিসিরি যাবো 🙁 ।
তুই যাবি। যা...সারাদিনিই তো ঘুরার উপরে থাকোস। 🙂
আমিও বিরিসিরি দেখুম :(( :(( :((
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
যাওয়ার আগে দেইখা আয়। এখন তো আর তোর কোন কাম কাইজ নাই।
রায়হান, বিরিসিরি জায়গাটা আসলেই সুন্দর। পিছনে মেঘালয়ের পাহাড়গুলোর জন্য এই জায়গাটাকে আরো সুন্দর লাগে। কিন্তু ওখানে যাওয়ার রাস্তাটা সেইরকমই খারাপ। বিশেষ করে সেতুগুলার অবস্থাও খুব একটা ভাল না। এই সুন্দর জায়গাটা দেখার জন্য অবশ্য একটু কষ্ট সহ্য করা যায়।
তোমার লেখা পড়ে মজা পাইসি, ছবিগুলাও সিরাম হইসে! :gulli: :gulli: :gulli:
তানভীর ভাই, ধন্যবাদ...
মেঘালয়ের পাহাড়ের সৌন্দর্য আরও ভালো উপভোগ করা যায় গারো পাহাড় থেকে। ময়মনসিংহ হতে হালুয়াঘাট। তারপর রিকসায় যেতে হয় সেখানে...
যা, তোরে একটা ক্যামেরা কিন্না দিমু। 😀
আস্লেই?? কবে? কানাডা যাওনের আগে নিশ্চয়ই। আহ্ এই না হলে বড় ভাই... B-) B-)
আমারে একটা কিনা দিয়েন তাহলে আমিও অনেক জায়গা থেইকা ঘুইরা আইসা কাহিনি লিখমু। না হলে অন্যদের মতো গুগল থেকে ছবি দিতে হইবো 🙁 :((
ছবিগুলা সুন্দর হইছে।
কেমন আছে ময়মনসিং?
কতদিন শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের নদীর উপরের পিলারে বইসা বইসা হাতি ঘোড়া মারি না!!!
হাতি ঘোড়া মারা কি জিনিস 😉 😉
দুনিয়ার তাবৎ আতঁলামির টপিক নিয়া জ্ঞান গর্ভ আলোচনা করা এবং তুমুল তর্ক বিতর্ক শেষে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ অবদান হিসাবে মানবজাতির সকল সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্যাপারে ঐক্যমত্যে পৌঁছা এবং তৎপর বাড়ি ফিরিবার আগেই সেই মহা আবিষ্কার সমাধানের কথা ভুলিয়া যাওয়াকেই হাতি ঘোড়া মারা বলা হয়।
কখনো মারো নাই? 😛
😛 😛
@তৌফিক
বাহ! ভাল বলছ তো...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
জটিল কমেন্ট হইছে তৌফিক :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
লেখা ভালো হইছে ছবিও সুন্দর হইছে 😕 কিন্তু একটা সন্দেহ দূর হইলনা 😉 ছবিতে কিংবা জায়গা গুলাতে যারা গেছে তাদের ছবি তো নাই 😕
আল্লাহ আবার গুগল এর ছবি নাতো:(
তবে লেখা কিন্তু ভালো হইছে :))
ক্যামেরাম্যান হিসেবে আমি আছি। সুতরাং আমার ছবি নাই (চাল্লু) আর মানুষের ছবি বিশেষ তুলি নাই। মানুষ থাকলে সুন্দর ছবিগুলো খ্যাত হয়ে যায়, এইটা আমার অভিমত... 🙂
আপনার বন্ধু রা ভালো ছবি তুলতে পারে 😀
আপনে গেলে আ্পনেও পারতেন আশা করি B-)
~x( ~x( ~x(
:)) =)) :khekz:
সত্য কথা বাইর হইয়া গেলো :khekz:
কিছু প্রশ্ন, বিরিসিরি যাওয়ার উত্তম সময় কখন? ফ্যামিলি নিয়ে গেলে থাকব এইরকম হোটেল কি আছে? নিজস্ব ট্রন্সপোর্ট নিয়ে যাওয়া কি ঠিক হবে?
রায়হান, ছবি গুলো যেমন সুন্দর, জায়গাটি আসলেই তেমন সুন্দর?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
জায়গাটি কি আসলেই তেমন সুন্দর?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
* বিরিসিরি যাওয়ার উত্তম সময় শীতকাল...
* ফ্যামিলি নিয়ে থাকার মতো হোটেল নেই। তবে একটি মিশনারী আছে...সেখানে থাকার ব্যাবস্থা আছে। বড় বড় রুম, ভাড়া দেয়া হয়। যেহেতু ছেলে ও মেয়ের জন্য আলাদা হোস্টেলের ব্যাবস্থা, তাই বলতে পারছি না ফ্যামিলি নিয়ে থাকা যাবে কিনা...
* নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট নিয়ে বিরিসিরি পর্যন্ত যেতে পারবেন। তবে রাস্তা কল্পনাতীত খারাপ, এইটা মাথায় রাখা দরকার। অনেকেই দেখেছি নিজের গাড়ীর প্রচন্ড যত্ন নেয়। বেড়িবাধের রাস্তা একটু খারাপ হলে ওরা দুই ঘন্টা সময় বেশী লাগিয়ে মহাখালি হয়ে টংগী যায়।
* জায়গাটা সুন্দর। তবে কোন কোন জায়গা সুন্দর সেটা আগে থেকে জেনে নিয়ে রওনা দিলে ভালো। ভালো লাগবে...
[বটমলাইনঃ বিরিসিরি ভ্রমণের পর আমার মনে হয়নি এই জায়গায় ফ্যামিলি ট্যুর দেওয়া যাবে...]
ধন্যই পাতা
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
না রায়হান। বিরিসিরি যাওয়ার উত্তম সময় বর্ষাকাল…সোমেশ্বরী তখন ফুলে ফেপে ওঠে।আর ওর পানির মত এমন টলমলে পানি আমি সারা বাংলায় খুজে পাইনি। ওই সময় আবহাওয়াও থাকে চমতকার।
আর ফয়েজ ভাই,
ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে পারবেন।জার্নিটা একটু কষ্টকর, কিন্তু ymca রেস্ট হাউসটা ভালো।এভারেস্ট দা ভালো যত্ন আত্তি করে...খাবেন বাদলদার দোকানে।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
এইটা আমি জানি। কিন্তু আপনার কি মনে হয় মাটির ওই রাস্তা দিয়ে আদৌ বর্ষাকালে চলাফেরা করা যাবে?? আগেও গেলেও এখন আর যাবেনা। রাস্তার বিবেচনায় তাই শীতকালে যাওয়াটাই বেটার। আপনি কি কন? 🙂
YWMC হবে
রাস্তার কষ্টের কথা তো কইলামই 🙁
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
তাইলে বউ বাচ্চা রাইখা বর্ষায় একটা ঢু মারার প্ল্যান করি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
যান বস এক সাথেই যান। এই ভ্রমণটা একটু অন্যরকম হোক...সোমেশ্বরীর প্রেমে পড়ে যাবেন।
আমি বস বউ সহই পরবর্তী বর্ষায় যামু...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ছোট একটা বাচ্চা আছে না আমার। ওকে নিয়ে তো বিপদে পড়ব, এখন কি আর আডভেঞ্চার করা যায়?
বাচ্চা বড় হোক তখন আডভেঞ্চার শুরু করব আবার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হুম। তাইলে দরকার নাই ভাই। ভাবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বর্ষায় যাত্রা শুরু করেন 🙂
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
দোস্ত ,
আমরা গেসিলাম ৮-৯ জনের মত। থাকার কথা ছিল মিশনারীদের হোস্টেলে(YWMC), গিয়ে দেখি বাংলা ছিনেমার স্যুটিং পার্টি দখল নিয়া আসে পুরাটা। দুইটা হোস্টেল আছে, একটা ছেলেদের জন্য আরেকটা শুধু মেয়েদের জন্য। ভাগ্য ভাল ছিল ছেলেদেরটা দখল করলেও মেয়েদেরটা খালি ছিল। তাও যিনি দায়িত্বে ছিলেন তারে খালা বানায়ে তারপর রক্ষা। ছেলেদের হোস্টেলে আসলে সবাই থাকতে পারে, ফ্যামিলি সহ। কিন্তু ফ্যামিলি না নিয়ে যাওয়াই ভাল, জার্নিটা অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। বিশেষ করে নদী পার হয়ে মোটরসাইকেল বা রিক্সা নিয়ে গ্রামের রাস্তায় দিয়ে প্রায় ৩-৪ কিমি(আরও বেশি হতে পারে) যেয়ে তারপর বিজয়পুর বর্ডার। তয় যাদের বাজেট কম কিন্তু এডভেঞ্চার বেশি 😉 নিঃসন্দেহে দৌড় দিতে পারেন। থাকতে চাইলে খাওয়া দাওয়ার অসুবিধা হবে না, গারোদের একটা হোটেল আছে যেখানে মামা বাড়ির মত খাওয়া দাওয়া করসিলাম 😛 । এছাড়া তথাকথিত চাইনিজ রেস্টুরেন্টও আছে একটা 😛 । হোস্টেলগুলো আসলে ট্রেনিং সেন্টারের আবাসিক ভবন। অন্য সময়ে ব্যবসা করে আরকি 😉 । তাই ভাড়া দেয়ার সময় খালা-আন্টি বানায় ফেলান, কে জানে ভাড়া মওকুফও হয়ে যেতে পারে। 😛
বলতে ভুইলা গেছি... ছবিগুলা জটিলসসস মামু... B-) B-)
খালা??? 😕
কুয়াকাটায় গিয়া আমাদের কয়জন খালুর সাথে লাইন কইরা খালার কাছে গেছিল :chup:
আরে...... এই খালা সেই খালা না।। B-)
এইটা হইল পাতাইন্না খালা।
@ হাসনাইন,
দোস্ত মজার ব্যাপার হইলো আমরা (YWMC) দিকেই যাই নাই। খাওয়াদাওয়াও করি নাই। কারণ পকেটে পয়সা ছিল না... সারাদিন ঝাপাঝাপি করে ক্ষিদা পাওয়ার পর চার টাকা দিয়া একটা রুটি কিন্না খাইছি। 🙁
হুমম আমরাও চাইসিলাম টাকা বাঁচাইতে, অনেক বাঁচছিল। B-) তয় একটা জিনিস সমেঝমে আসে নাই 😛 , ঐখানে হাঁসের ডিম পাওয়া গেলেও মুরগির ডিম পাইতে খবর হইয়া গেসিলো। ~x(
ছবিগুলা খুবই সুন্দর। বিরিশিরি না গিয়া এই ছবিগুলা দেখলেই হইতো। কারণ, ছবিতে যত সুন্দর মনে হচ্ছে বিরিশিরি ততো সুন্দর লাগে নাই। তবে চিনামাটির পাহাড়টা অসাধরণ এবং অনন্য। বাংলাদেশে এইরকম চিনামাটির পাহাড় আর এইরকম পানি বোধহয় আর কোথাও নাই। শিউর না অবশ্য।
চীনা মাটির পাহাড়ে যাইয়া আমি দুঃখ ভুলে গেছি...
হাহাহহা... নাম শুইন্না আমিও ধান্দা খাইছিলাম। 😛
বিরিশিরি নিয়া এত আশা কইরা গেলে নিরাশ হইতে হইব। 🙁
নীল পানিগুলা বড়ই মনে ধরছে...।
সিলেটে কেউ আইলে আওয়াজ দিয়েন। নিয়া যামুনে এক জায়গায়...। চরম নীল পানি...। টলটলে...। ফিরা আসতে মন চাইবোনা...।
জায়গাটার নাম িক "লালাখাল"?
অসাধারন!!!
দিন দিন জাফলং এর অবস্থা খারাপ হচ্ছে।